এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৩০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৬৬ বার পঠিত
  • নকুড়ের দোকানের একটু আগে গঙ্গাপদর মুদির দোকান। পুজোর সময় শুধু নবমীর দিন একবেলা বন্ধ থাকে। বাকি সব দিন খোলা। সেই সকাল নটায় দোকান খোলে আর রাত দশটায় বন্ধ করে।
    দুপুরের সময়টা বাদ দিয়ে সে সময়েই ব্যস্ত থাকে। দোকানের পাশের দিকে একটা বেঞ্চি পাতা আছে।
    গঙ্গাপদর পুরণো নিয়মিত দু একজন খদ্দের মাঝে মাঝে সেখানে এসে বসে। গঙ্গা কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের সঙ্গে গল্পগাছা করে। বিভূতিবাবুও তাদের মধ্যে একজন। অষ্টমীর দিন
    সকালে এগারোটা নাগাদ বিভূতিবাবু গঙ্গার দোকানের পাশে পাতা বেঞ্চে গিয়ে বসলেন।
    গঙ্গা একটা বোতলের মুখে ফানেল লাগিয়ে তেল ঢালছিল। সামনে খদ্দের দাঁড়িয়ে আছে।
    গঙ্গাপদ তেল মাপতে মাপতেই বলল, ' কি খবর বিভুদ্দা .... আপনাদের নাটক কবে নামছে ? '
    ----- ' চা আনা ...চা আনা ... এ..ই কালিপুজোর পর। দেখবি কেমন হয় ... ' বলে পকেট থেকে চায়ের পয়সা বার করে দিলেন দোকানের ছেলেটাকে।
    ---- ' আরে রাখুন রাখুন ... আমি পয়সা দেব'খন। রতন যা তো গোবিন্দ দোকানের গিয়ে দুটো চা নিয়ে আয় ... লিখে রাখতে বলিস ... ' এগারো বছরের ছেলে রতন দোকান থেকে বেরিয়ে গেল গোবিন্দর দোকানের দিকে।
    বিডন স্ট্রিটের মন্ডপ থেকে মাইকে 'হে ক্ষণিকের অতিথি' ভেসে আসছে। বেলা বারোটার পর থেকে ' এ শুধু গানের দিন ' আর, সন্ধের পর থেকে ' হাল ক্যায়সা হ্যায় জনাবকা ... ' বাজবে। এ একেবারে ধরাবাঁধা রুটিন।
    ------ ' তারপর ... বিভূদ্দা , ঠাকুর টাকুর দেখলেন নাকি ? আমাদের তো আর ওসব হয় না। কাল রাত্তিরে প্রোগ্রাম করব ভাবছি। ওই একদিনই ... সময় কোথায় ? আপনাদের মতো ভাগ্য নিয়ে যদি জন্মাতাম ... আহা ... '
    বিভূতিবাবু বিড়বিড় করে আপনমনে বললেন, ' নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস... '
    ------ ' কি বললেন ? '
    ----- ' না কিছু না ... ওই কথার কথা বললাম আর কি ? '
    পাঁচ ছ জনকে ছাড়ার পর গঙ্গার হাত একটু খালি হয়েছে।
    ----- ' চতুর্থীর দিন রাত্রে মিনার্ভার ওদিককার ছেলেগুলো এসে বোমা , সোডার বোতল মেরে গেছে খবর পেয়েছেন ? '
    ----- ' হ্যাঁ রাত বারোটা একটা নাগাদ আওয়াজ একটা পেয়েছিলুম বটে .... কিন্তু কোনদিকে হচ্ছে বুঝতে পারিনি ... ওটা তা'লে ওখানেই ... '
    ----- ' হ্যাঁ গো ... কি হুজ্জুতি শুরু হল বল তো বচ্ছরকার দিনে ... যাই বল , এসব কিন্তু কোনদিন ছিল না এদিকে ... '
    ------ ' হুঁ হুঁ ... এ তো ভারি মুশ্কিলে পড়া গেল ... কাউন্সিলরকে জানান হয়েছে ? '
    ----- ' অত জানি না .... কাউন্সিলর কি আর জানে না ? সবই জানে ... '

    দোকানের ছেলেটা দু গ্লাস চা নিয়ে এসে গেল।
    ------ ' নিন বিভূদ্দা ধরুন ... '
    বিভূতিবাবু একটা চায়ের গ্লাস তুলে নিলেন। একটা চুমুক মারলেন। রাস্তার দিকে আনমনা চোখ ফেলে শারদ আলোর ঝালরে উদ্ভাসিত নানা লোকজনের আসা যাওয়া দেখতে লাগলেন।
    গঙ্গা বলল, ' শুনলাম পুজোর পরে ও পাড়ার পুজো কমিটি মিটিং ডাকবে ... আমাদের পাড়াতেও বলবে ... '
    ----- ' কেন ? '
    ----- ' ঠিক জানি না। এইসব হুজ্জুতির ব্যাপারেই মনে হয় কথা হবে ... কাউন্সিলরও বোধ হয় থাকবে ... '
    ----- ' ও আচ্ছা .... সে দেখা যাবে'খন। এসব কি আর বন্ধ হবার ? দিনকে দিন বেড়েই যাবে ... মানুষ যে কেন এত বদমায়েসি করে ... '
    গঙ্গার দোকানে আবার খদ্দের জমতে শুরু করেছে। চায়ের গ্লাসে শেষ চুমুকটা দিয়ে ' নাঃ এখন উঠি রে ... ' বলে বেঞ্চি থেকে গা তুললেন বিভূতিবাবু।
    বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে বিভূতিবাবু দেখলেন নিতাইবাবুর মেয়ের অঙ্কের মাস্টারমশাই বাড়ি থেকে বেরোল। বোধহয় মাইনে নিতে এসেছিল। শ্রীলেখা বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়েছিল। বিভূতিবাবুকে দেখে জিজ্ঞাসা করল , ' রিহার্সাল আবার কবে আরম্ভ হবে জেঠু ? '
    বিভূতিবাবু হেসে বললেন, ' সে কি আর আমি জানি রে ... ডিরেক্টরই বলতে পারবে ... ওকেই জিজ্ঞেস করিস ... '
    ----- ' হুঁ : ... আমার বয়েই গেছে। কত বড় ডিরেক্টর ... যেন একজন শম্ভু মিত্র ... '
    বিভূতিবাবু শ্রীলেখার কথার অন্তর্নিহিত ভাবার্থটা ঠিক ধরতে পারলেন না। ওখানে একটু দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা ধরার বৃথা চেষ্টা করলেন , তারপর বাড়িতে ঢুকে গেলেন।

    অলোকেন্দু মিত্র সন্ধে সাতটায় চেম্বারে এসে বসেছেন। পাশের ঘরে বেশ কয়েকজন বসে আছে উকিলবাবুর সঙ্গে দেখা করার জন্য। দিবাকর এসে জিজ্ঞাসা করল , ' বাবু চা খাবেন নাকি ? '
    ------ ' চা ? আন এক কাপ। কটা পার্টি আছে রে ? '
    ----- ' চারটে মনে হচ্ছে। পরমানন্দবাবুও এসেছে। '
    ----- ' তাই ? একাই এসেছে, না সঙ্গে কেউ আছে ? '
    ----- ' একাই তো মনে হল। না, সেদিন যে ছেলেটা
    এসেছিল সে আসেনি ... '
    ----- ' ও আচ্ছা, ঠিক আছে। এক কাজ কর তুই, পরমানন্দবাবুকেই আগে পাঠিয়ে দে। বেশিক্ষণের কাজ নয়। ওকেই আগে ছেড়ে দিই ... '

    দিবাকর পরমানন্দবাবুকে পাঠিয়ে দিল। পরমানন্দবাবু ঘরে ঢুকতেই অলোকেন্দু বলে উঠলেন, ' আসুন পরমানন্দবাবু ... আপনার ডিড রেডি করে ফেলেছি। বসুন বসুন ... '
    পরমানন্দ বসলেন। অলোকেন্দু মিত্র নতুন দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্র বার করে বললেন, ' এই নিন , ধরুন। একদম পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছি ... আর কেউ ট্যাঁ ফোঁ করতে পারবে না ... নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন ... '
    ----- ' কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাব স্যার ... কি উপকার যে করলেন স্যার কি বলব। এত তাড়াতাড়ি যে হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি ... আপনার ইয়েটা যদি বলেন ... আমি আমার সাধ্যমতো নিশ্চয়ই... '
    ------ ' আরে না না, ওসব কিছু লাগবে না। আপনি তো আমার নিজেরই লোক ... মানে , ওই ইয়ে ... এ ক'দিনে একটা সম্পর্ক তো তৈরি হয়েছে ... দিনে দিনে সম্পর্কটা হয়তো আরও পাকা হতে পারে ... কিছু বলা তো যায় না ... '
    পরমানন্দবাবু কথাগুলো পুরোপুরি ধরতে পারলেন না। কেমন যেন ভাসা ভাসা লাগল।
    বললেন, ' হ্যাঁ সে তো বটেই , সে তো বটেই ... সে যা বলেছেন ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' আপনার ভাগ্নে ... মানে ওই সেদিন যে এসেছিল ... স্কটিশ চার্চের... '
    ----- ' হ্যাঁ ... প্রতিবিম্ব। ও আজ আসতে পারেনি ... এক স্যারের কাছে পড়তে গেছে ... '
    -----' আচ্ছা আচ্ছা ... ওর নাম প্রতিবিম্ব ? নামটি বেশ সুন্দর। ও কি আপনার কাছেই থাকে ?'
    ------ ' হ্যাঁ স্যার। ওর মা বাবা অনেকদিন আগেই...'
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা... সরি সরি পরমানন্দবাবু ...'
    ----- ' আমি তা'লে উঠি স্যার ... '
    ----- ' হয়তো শীঘ্রই দেখা হবে আবার ... বলা তো যায় না।
    ----- ' সে তো আমার পরম সৌভাগ্য স্যার... আমরা গরীব মানুষ ... '
    ------ ' পরমানন্দবাবু ... এ পৃথিবীতে টাকা দিয়ে প্রায় সবকিছু কেনা যায় , কিন্তু কিছু জিনিস এখনও কেনা যায় না ... '
    পরমানন্দবাবু আবার ধন্দে পড়লেন।
    মুখে বললেন, ' তা তো বটেই, তার তো বটেই ... '

    শশীভূষণবাবুর উকিলের সঙ্গে বসে জমির রেজিস্ট্রির ব্যাপারটা পাকা করে ফেললেন নিতাইবাবু। নিবারণ সাহাও ছিল। অঞ্জলিকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। অঞ্জলি বলছিল , ' পুজোটা কেটে গেলে এসব করতে পারতে।
    নিতাইবাবু জানালেন, ' না না ... শুভস্য শীঘ্রম। উকিলবাবু একমাস কলকাতায় থাকবে না। দেরি হয়ে যাবে। শুভ কাজ ফেলে রাখতে নেই , বুঝলে কিনা ... '
    শুভ কাজ ঠিকই। অঞ্জলির মনে তবু কেমন একটা মন উতলা করা বিসর্জনের বাজনা বেজে উঠল। মায়াভরা সংসারের মায়াবী বাজনা। কিসের মায়া যে কোন দিক দিয়ে জড়িয়ে ধরে মানুষকে কেউ বলতে পারে না।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ০২:৫২524294
  • পড়ছি
  • Anjan Banerjee | ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২১524310
  • অনেক ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন