এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৯০ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৭০ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    সুমনা আর কাবেরী দুজনে একসঙ্গে হেদুয়ায় ঢুকল দুপুর আড়াইটের সময়। প্রতিবিম্ব একটা খাতা খুলে খুব মন দিয়ে একটা নোট পড়ছে। সুমনা দূর থেকে বলল, ' ওই দেখ ... জ্যোতিষী ঠাকুর শাস্ত্র পাঠ করছে ... '
    ------ ' ওঃ, তোরা দুটো আছিস ভাল ... কি এক খেলা শুরু করেছিস ... মাসীমাকে ভালমানুষ পেয়ে ... ' কাবেরী বলল।
    ----- ' আরে ... এটা কি আমরা করেছি নাকি ? স্ক্রিপ্টটা হল বাপির ব্রেনচাইল্ড এবং তিনিই ডিরেক্টর ... '
    ------ ' ওঃ ... স্যার পারেনও বটে ... এত ব্যস্ততার মধ্যেও ... ভাগ্য করে বাবা পেয়েছিস কিন্তু ... '
    ----- ' হ্যাঁ সেটা একেবারেই অস্বীকার করছি না ... ' সুমনা হাসতে হাসতে বলে।
    দুজনে প্রতিবিম্বর কাছে পৌঁছে গেল। সুমনা ধপ করে প্রতিবিম্বর একপাশে বসে পড়ল। কাবেরীও বসে পড়ল সুমনার পাশে।
    সুমনা বলল, ' তাহলে নেক্সট প্রোগ্রাম কবে হচ্ছে ? '
    ----- ' কিসের প্রোগ্রাম ? ' প্রতিবিম্ব জিজ্ঞাসা করে।
    ----- ' ওই জ্যোতিষ গণনার ... '
    ------ ' সে তো কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম ... মানে, অলোকেন্দু স্যার যেরকম প্রোগ্রাম ফিক্স করবেন। তবে সত্যি কথা বলতে কি এসব ছেলেখেলা আমার আর ভাল লাগছে না। এসবের কোন মানে হয় না ... '
    সুমনা কিন্তু এ কথায় একেবারেই মনক্ষুণ্ণ হল না। বরং বলল, ' সত্যি ... এগুলো ছেলেমানুষী হয়ে যাচ্ছে। কোন মানে হয় না ... আমারও আর ভাল লাগছে না এসব ... তাছাড়া বিয়ে টিয়ের ব্যাপার তো এখন অনেক দেরি .... আমি বাপিকে বলব ... এসব এখন বন্ধ রাখতে ... '
    ----- ' বুঝিয়ে বোল কিন্তু ... '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ওটা নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না ... '
    কাবেরী বলল, ' সুমনা তুই নিখিল স্যারের কাছে পড়বি না ? দারুণ ইন্টারেস্টিং লোক কিন্তু ... ওনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে ... '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' আমারও ওনাকে সেদিন দেখে বেশ ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার বলে মনে হল ... দেখ না যদি বাড়িতে রাজি করাতে পার ... কাবেরীর সঙ্গেই তো যাওয়া আসা করবে, অসুবিধে কিছু নেই ... অবশ্য যদি এই ব্যাচেই জায়গা পাও ... '
    ------ ' হ্যাঁ, বাপিকে বলেছি ... মনে হয় ব্যবস্থা হয়ে যাবে সামনের মাস থেকে। স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কাবেরী তুই যেরকম বলছিস আমারও খুব শুনতে ইচ্ছে করছে নিখিল স্যারের কথা ... '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' হ্যাঁ ... দেখ দেখ ... এসব অসার জিনিস নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কোন লাভ নেই ... '
    ----- ' অসার জিনিস ? দু দিনেই নেশা কেটে গেল ? ' সুমনার মুখ গম্ভীর হয়ে যায়।
    ----- ' আরে ... আমি কি তাই বললাম নাকি ? '
    ---- ' তাছাড়া আর কি বোঝায় ? '
    ----- ' আরে দূর ... তুমি আমার কথাটাই ধরতে পারনি ... '
    কাবেরী বলল, ' তোরা থামবি ? তিলকে তাল করছিস কেন ? চল চল ... এখান থেকে বেরোই। ওদিকে একটু হাঁটি ... অমিতাভর সঙ্গে কতদিন দেখা হয়নি ... এই শনিবার একবার কফি হাউসে যাব ভাবছি ... '
    সুমনা বলল, ' যা না ... যা ... এতদিন দেখা না করে থাকিস কি করে ! আমি তো ভাবতেই পারিনা ... '
    প্রতিবিম্ব মুচকি হেসে বলল, ' তবেই বোঝ .... '
    সুমনা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দেয়, ' আহা ... এতে বোঝবার কি আছে ... আমি কি বিশেষ কারো কথা বলছি নাকি ? '
    ----- ' না না ... বিশেষ কেউ না ... একেবারে ফালতু কেউ ... '
    সুমনা বলে ওঠে, ' কাবেরী ... দেখলি ... দেখলি ?'
    কাবেরী বলল, ' আঃ ... থাম তো .... যথেষ্ট হয়েছে ... '

    দাঁড় করানো ট্যাক্সিটায় লোকদুটোকে তুলে ঠাসাঠাসি করে বসে উল্টোডাঙায় এনে নামাল কানুরা। দুজনকে নবীন সংঘের ক্লাবের ঢোকাল।
    একটা লোক চেঁচামেচি করতে লাগল ....
    ------ ' অ্যাই কি ... কি হচ্ছেটা কি ? বহুত খারাপ করছিস কিন্তু তোরা ... তোদের কপালে কিন্তু অনেক দুঃখ আছে, বলে দিলাম ... '
    কানু বলল, ' বস বস ... এখানে ... বস বলছি ... আমাদের দুঃখ কষ্টের ব্যাপার পরে হিসেব করব ... আগে বল, কে তোদের পাঠিয়েছে ? মেয়েটাকে ফলো করছিলি কেন ? '
    দ্বিতীয় লোকটা বলল, ' ফলো করতে যাব কেন ? আমরা নিজের কাজে যাচ্ছিলাম। তোরাই তো এসে ধাক্কা মারলি ... আমাদের লেট করিয়ে দিচ্ছিস। মালিককে কি জবাব দেব আমরা ? '
    ক্লাবের বাইরে সাত আটটা ছেলে ঘোরাঘুরি করছে।
    কানু বলল, ' সেটাই তো জানতে চাইছি ... তোদের মালিকটা কে ? '
    ----- ' আমাদের মালিককে তোরা চিনবি কি করে ? বললেই চিনবি নাকি ? বেকার মাস্তানি করছিস ... এর দাম চোকাতে হবে তোদের। ভাবছিস সাগর মন্ডলের নাম শুনেই গুটিয়ে যাব আমরা ? ওর দিন শেষ হয়ে এসেছে ... '
    কথাটা শুনে বাদলের মাথায় আগুন জ্বলে গেল। সে খপ করে লোকটার গলা চেপে ধরল।

    ------ ' বল ... শালা আর একবার বল ... জিভ টেনে ছিঁড়ে নেব ... দাদা মরলে তোদের সবক'টাকে নিয়ে মরবে, মনে রাখিস ... '
    বাদল রীতিমতো বলিষ্ঠ চেহারার লোক। গলায় তার আঙুলের চাপে লোকটার শোচনীয় অবস্থা হল। সে হাঁসফাঁস করতে লাগল। ছাড়াবার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। বাদলের চোখ জ্বলছে গনগনে রাগে।
    কানু তাড়াতাড়ি হাত লাগাল।
    ----- ' এই ... এই বাদল ... ছাড় ছাড় .... ছেড়ে দে এখন ... হিসাব কিতাব পরে হবে। এখানে পটকে গেলে গাড্ডায় পড়ে যাব ... '
    বাদল ছেড়ে দিল।
    বলল, ' বল ... বল ... ফালতু টাইম নষ্ট হচ্ছে ... '
    প্রথম লোকটা বলল, ' কি বলবটা কি ? '
    ----- ' কার হয়ে কাজ করতে এসেছিলি ? '
    ----- ' বললাম তো কারও হয়ে না ... আমরা কাউকে ফলো করিনি ... '
    ------ ' দেখ ... ভাল কথায় বলবি, না এখানে আটকে রেখে দেব ? তোদের ফ্যামিলির লোক কিন্তু কান্নাকাটি করবে ... তোদের বউ বাচ্চার কোন ক্ষতি নিশ্চই চাস না ? '
    কথাটা শুনে লোক দুটো কেমন মিইয়ে গেল।
    একজন বলল, ' না না ... ওসব করিস না ... ওরা কি করেছে ... '
    কানু জানে যে কোন মানুষের এটা দুর্বল জায়গা।
    সে বলল, ' ঠিক আছে ... আর কিছু বলতে হবে না ... তোদের অ্যাড্রেসগুলো বল ... তারপর দেখছি ...'
    লোক দুটো চুপ করে রইল।
    কানু আবার বলল, ' বল ... জলদি বল, জলদি বল ... তারপর ব্যবস্থা করছি তোদের ... '
    এই সময়ে পিছন থেকে শোনা গেল, ' কি ব্যবস্থা করবি রে কানু ? '
    কানু আর বাদল পিছন ফিরে দেখল সাগর এসে দাঁড়িয়েছে।
    একটা ছেলে তাড়াতাড়ি একটা চেয়ার এনে দিল সাগরকে। শরীরের যন্ত্রনা চেপে সাগর বসে পড়ল সেখানে।
    কানু বলল, ' তুমি আসতে গেলে কেন এই চোট নিয়ে ... আমরা তো ছিলাম ... এরা কিছুতেই মুখ খুলছে না ... তাই বাড়ির অ্যাড্রেস চাইছিলাম ... '
    ----- ' কেন বাড়ির অ্যাড্রেস চাইছিলি কেন ? '
    ----- ' বউ বাচ্চাকে না তুললে মুখ খোলানো যাবে না মনে হচ্ছে ... '
    ----- ' খবরদার ... ফ্যামিলির কারো গায়ে যেন হাত না পড়ে। তাদের কি দোষ আছে ? '
    তারপর লোক দুটোর দিকে তাকিয়ে বলল,
    ' তোদের নাম কি ? '
    লোকদুটো নাম বলল। একজনের নাম সন্তোষ দাস, আর একজনের নাম মন্টু সরখেল।
    ----- ' তোদের বাড়ি কোথায় ? '
    সাগরের সামনে সন্তোষ আর মন্টু যেন কোন মন্ত্রবলে বশীভূত হয়ে গেল।
    জানা গেল, সন্তোষের বাড়ি সুকিয়া স্ট্রিটে আর মন্টুর বাড়ি লেবুবাগানে।
    সাগর এবার কিছু জিজ্ঞাসা করল না। সরাসরি বলল, ' বংশীলালের এত সাহস হল কি করে ? সে কি ভেবেছিল আমি কিছু জানতে পারব না ... '
    এ কথা শুনে লোকদুটো থতমত খেয়ে গেল।
    বলল, ' না মানে ... আমরা তো আসতে চাইনি ... ভয় দেখাল তাই ... '
    ----- ' ঠিক আছে ... বুঝতে পেরেছি ... তোরা যা ... যদি দরকার মনে করিস আমার কাছে আসিস ... বিপদে পড়লে এই ক্লাবে কিংবা বিডন স্ট্রিটের মোড়ে পটলের দোকানে যোগাযোগ করিস। '
    সন্তোষ আর মন্টু কোন কথা না বলে আবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে রইল সাগর মন্ডলের মুখের দিকে।
    একটু পরে সন্তোষ বলল, ' আমরা বড় গরীব সাগরদা ... কোন উপায় নেই আমাদের ... '
    সাগর সন্তোষের কাঁধে হাত দিয়ে বলল, ' উপায় নিশ্চয়ই আছে। আমার কাছে আছে। আসিস ...'

    সন্ধে সাড়ে সাতটায় রেডিওয় দিল্লী থেকে প্রচারিত বাংলা খবর পড়তে শুরু করেছেন নীলিমা সান্যাল। জওহরলাল নেহেরু চীন সফর সেরে ফিরেছেন। নানা কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সীমান্ত চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে। নীলিমা সান্যাল খবর পড়ে চলেছেন। সবশেষে নানা জায়গার খেলার খবর পড়তে লাগলেন। শেষ করার আগে বিশেষ বিশেষ খবরগুলো আর একবার করে শুনিয়ে দিলেন। এবার বোধহয় দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় সংবাদ পড়বেন। শ্রীলেখার অঙ্কের মাস্টারমশাই এসেছেন। একটা কোয়েশ্চেন পেপার তৈরি করে এনেছেন। আজ শ্রীলেখার একটা পরীক্ষা নেবেন। শ্রীলেখার বুক দুরদুর করছে। অঞ্জলি তার সেলাই মেশিনে কি একটা সেলাই করছে। নিতাইবাবু কলতলা থেকে চান করে বেরোলেন। অফিস থেকে এসে চান করা তার অভ্যাস। দীনবন্ধু সাড়ে ছ'টা থেকে এসে বসে আছে। মেসে ঢোকার আগে প্রায়ই একবার করে এ বাড়িতে কিছুটা সময় কাটিয়ে যায়। অনিমেষ বাড়ি নেই। বোধহয় কোথাও আড্ডা মারতে গেছে। দীনবন্ধু বসে বসে অঞ্জলির পা-মেশিনের ঘর্ঘর ঘর্ঘর শুনছে আর সকালের বাসি খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছে। আজ বোধহয় কোন বিশেষ খবর পাবার আশায় এসেছে সে অঞ্জলি মাসির কাছ থেকে। নিতাইবাবু ভিজে গামছা পরে কলঘর থেকে বেরোলেন। বালতিতে চিনচিন করে জল পড়ছে। বোধহয় কলটা ঠিকমতো বন্ধ হয় না। প্যাঁচ কেটে গেছে। একটা তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বললেন, ' এই যে ভায়া ... কতক্ষণ ?
    ----- ' এই ... মিনিট দশেক হবে ... '
    ----- ' অ ... তা মেসের খবর সব ভাল তো ? কিছু অসুবিধে হলে দত্তদাকে বোল ... ভাল খাতির আছে ওনার ... '
    বলে, একটা ধূপকাঠি জ্বালিয়ে তার ঘরে বসবাসকারী দেবদেবীর সামনে ঘোরাতে ঘোরাতে চোখ বুজে বিড়বিড় করে কি যেন বলতে লাগলেন, নিয়মমাফিক যা তিনি রোজই বলেন। তার এ কার্যক্রম শেষ হলে সুবাসিত ধোঁয়া ছড়ানো ধূপকাঠিটা এক জায়গায় গুঁজে দিয়ে তিনি আপাতত কর্ত্তব্য মুক্ত হলেন।
    অঞ্জলি বলল, ' দীনু ... বস একটু ... আসছি আমি ... হয়ে এসেছে ... চা খাবি তো ? '
    ----- ' তা একটু হলে হয় ... '
    নিতাইবাবু এবার লুঙ্গি পরে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললেন, ' তোমার পিসী তো তোমার বিয়ের পাত্রী দেখতে উঠে পড়ে লেগেছে। তবে প্রথম ভেনচারটা বোধহয় আনসাকসেসফুল। একটু উঁচুতে ছিল টার্গেটটা, তোমার পিসী ঠিক হাত পায়নি ... '
    দীনবন্ধু কোন কথা না বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নিতাইবাবুর মুখের দিকে।
    অঞ্জলি মেশিন বন্ধ করে বলল, ' দূ ..র, তুমি থাম তো ... বারো হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি ... ওই মেয়ের কোথায় বিয়ে হয় দেখব ... দীনু তুই চিন্তা করিসনি এর চেয়ে দশগুণ ভাল মেয়ের সঙ্গে তোর সম্বন্ধ ঠিক করব ... '
    নিতাইবাবু ভ্রু ওপরে তুলে বললেন, ' বো..ঝ ঠ্যালা ! '
    দীনবন্ধু ফিক করে হাসল যুগান্তরের পাতায় চোখ রেখে। যার মানে হল --- চিন্তা করছেটা কে ?

    শিবপ্রসাদবাবু বললেন, ' আজ যে এত তাড়াতাড়ি রান্নাবান্না সেরে ফেললি ? '
    ------ ' তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ব। কাল সকালে বেরোতে হবে না ? ' রাত্রি বলল।
    ------ ' কোথায় ? '
    ----- ' কেন ... ওখানে যেতে হবে না ড্রেসিং করতে ? ভুলে গেলে ? '
    শিবপ্রসাদবাবু অনুমোদন সহকারে বললেন, ' ও আচ্ছা ... '

    ( চলবে )

    *******************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন