এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৬৭ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৮৩ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    বিমলবাবু বাড়ির বাইরে এসে উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে এদিকে ওদিকে তাকাতে লাগলেন। সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে তিনি এবং এর পরবর্তী পরিণতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে ভেবে তার হাত পা ছেড়ে যেতে লাগল। সাগর আর কানু তার সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
    ----- ' দাদা চিন্তায় পড়ে গেছেন মনে হচ্ছে ... অত কি ভাবছেন ? ', সাগর তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীমায় অভয় দিল।
    ----- ' না, মানে ... ওরা তো খুব রেগে গেল। যদি এবার ... '
    ----- ' আমি তো দায়িত্ব নিয়েছি। আপনি টেনশন নিচ্ছেন কেন ? আমি কি মাঝ রাস্তায় আপনাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যাব ? '
    বিমলবাবু কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। শূন্য দৃষ্টিতে সাগরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    সাগর বলল, ' কানু দুবেলা আপনার খোঁজ নেবে। তাছাড়া পটলও সারাদিন ধরে মাঝে মাঝে এখান থেকে রাউন্ড মেরে যাবে ... '
    ----- ' কে ... কে পটল ? '
    ---- ' ওই তো ... অ্যাই পটল ... এদিকে আয় তো ... এই যে ... এর নাম পটল ... ওই মোড়ের সাইকেল সারানোর দোকানে পেয়ে যাবেন ওকে সকাল নটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত ... খুব ভাল ছেলে ... '
    ----- ' ও ... কিন্তু রাত্তিরবেলা যদি ... ' বিমলবাবু পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারেন না।
    ----- ' হ্যাঁ, ঠিক কথা। সেই জন্যে আপনাকে একটা ডায়েরি করে রাখতে হবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। কারো নাম লেখার দরকার নেই। লিখবেন আপনি এদের চেনেনই না। পুলিশেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। লিখবেন ... কিছু অগ্যাত... কি বলে যেন ... '
    ----- ' অজ্ঞাতপরিচয় ... '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... অগ্যাতপরিচয় ... ওই ... ইয়ে ... '
    ----- ' অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী '
    ----- ' একদম একদম ... ওটাই। লিখবেন ওরা এসে হামলা চালিয়েছে আপনার বাড়িতে ... এটা থানায় জমা করতে হবে ... '
    ------ ' অ্যাঁ ... থানায় যেতে হবে ! ' বিমলবাবুর মুখ ভয়ে শুকিয়ে গেল।
    সাগর কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করে বলল,
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার যদি অসুবিধে থাকে কমপ্লেনটা লিখে আমাকে দিন। আমি গিয়ে জমা করে দেব। রিসিটটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব'খন ... '
    বিমলবাবু মানবিকতার জীবন্ত দৃষ্টান্ত চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করে আবেগে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। অসংলগ্নভাবে দু চারটে শব্দ তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল ---- ' আমি একজন সামান্য মানুষ ... আপনার অনেক দয়া ... কি বলব আমি ... '
    ----- ' আরে এসব দয়া টয়া কি বলছেন ... আমার আর কতটুকু ক্ষমতা। থাকতে পারি না তাই... আচ্ছা আপনি তা'লে ওটা লিখে দিন ... দেরি করে লাভ নেই... '
    ----- ' হ্যাঁ ... আসুন আসুন ... একটু চা অন্তত খেয়ে যান ... '
    ------ ' হ্যাঁ ... তা খাওয়া যেতে পারে ... আয় রে কানু ...'

    অলোকেন্দুবাবু খুব ব্যস্ত আছেন ক'দিন ধরে কয়েকটা জটিল মামলা নিয়ে। সকালে বিকেলে দুবেলাই মক্কেল আসছে। এর মধ্যেই একদিন রাত্তিরবেলা বাসন্তীদেবী কানাই সিকদারের আনা
    সম্বন্ধের কথা তুললেন। অলোকেন্দুবাবু তখন খাটে বসে একটা মামলার কাগজপত্র সাজাচ্ছিলেন। কাল সিটি সিভিল কোর্টে শুনানি আছে।
    বাসন্তীদেবী ঘরে ঢুকে বললেন, ' তোমার কাজ শেষ হয়েছে ? একটু কথা বলতাম ... ' বাসন্তী খাটের একপাশে বসে পড়লেন।
    অলোকেন্দুবাবু বিলক্ষণ জানেন যে এত সন্তর্পণ গৌরচন্দ্রিকা মানে, নিশ্চিতভাবে মেয়েদের বিবাহ সম্পর্কিত আলোচনা। তার স্ত্রীর জীবনে এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হ্যাঁ বল না ... আর বেশি বাকি নেই ... '
    ----- ' বলছি যে ... চন্দনার জন্য কানাই একটা সম্বন্ধ এনেছে। ছেলে ডাক্তার, বাবাও ডাক্তার। মল্লিকবাজারে তিনতলা বাড়ি। বিশাল অবস্থা। '
    ----- ' বাহ্ ... এতো খুব ভাল কথা। চন্দনার সঙ্গে কথা বলেছ ? ' অলোকেন্দুবাবু কাগজপত্র থেকে মুখ না তুলেই বললেন।
    ----- ' সে বলব ...',বলে চুপ করে রইলেন বাসন্তী। তারপর আবার বললেন, ' তা তুমিও তো মেয়ের সঙ্গে কথা কইতে পার ... সব হ্যাপা কি আমার একার নাকি ? সারা জীবন ধরে এই করছি ... '
    অলোকেন্দুবাবু কাগজপত্র গোটাতে গোটাতে বললেন, ' তা কাজটা খারাপ কি। মহৎ কাজই তো করছ ... মহৎ মায়েরাই তো মহৎ সন্তানের স্রষ্টা ... '
    ------ ' আচ্ছা থাম এবার। এই শুরু হল ... '
    ----- ' হ্যাঁ বল না ... শুনছি তো ... ', অলোকেন্দুবাবু দলিল দস্তাবেজগুলো ব্রিফকেসে ভরে নিলেন।
    ----- ' আমি বরং কানাইকে বলি ওদের সঙ্গে যোগাযোগটা রাখতে। এমন সম্বন্ধ তো ছাড়া যায় না। মাসখানেক পরেই তো চন্দনার ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যাবে। তখন তো আপত্তি থাকার কথা নয় ... '
    অলোকেন্দুবাবু সহধর্মিনীর হাত থেকে আপাতত নিস্তার পাবার জন্য তাড়াতাড়ি বললেন, ' না না ... তখন আপত্তি থাকবে কেন ... তখন আপত্তি থাকবে কেন ? '
    বাসন্তীদেবী মনে হয় কিছুটা আশ্বস্ত হলেন। একটু চুপ করে কি ভাবতে লাগলেন। তারপর বললেন, '
    ফুচাকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে কিছুদিন ধরে ... বুঝলে ... '
    অলোকেন্দুবাবু খাটে হেলান দিয়ে একটু জিরোচ্ছিলেন। তিনি মনে মনে প্রমাদ গনলেন।
    বললেন, ' কেন .. কেন ফুচার আবার কি হল ? '
    ----- ' কি হয়েছে ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে ভাবগতিক সুবিধের ঠেকছে না। কোথায় কি বাধাচ্ছে কে জানে ... বয়েসটা তো ভাল না ... '
    অলোকেন্দুবাবু এ ব্যাপারে আর বেশি কথা বলা সমীচীন বোধ করলেন না। কিন্তু তার স্ত্রীর তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার তারিফ না করে পারলেন না মনে মনে।
    প্রসঙ্গটা তড়িঘড়ি চাপা দেবার জন্য বললেন, ' ওসব তোমার মনের ভুল। ফুচা আবার কি করবে ... ওইটুকু মেয়ে ... '
    বাসন্তীদেবী নিজের জায়গা থেকে সরলেন না।
    ----- ' ওইটুকু মেয়ে বলেই তো চিন্তা। বুদ্ধি সুদ্ধি তো
    পাকেনি এখনও। বন্ধুবান্ধবগুলোও যেন কেমন ধারা ... আমি আমার মেয়েদের চোখমুখ দেখলেই সব বুঝতে পারি ... '
    ----- ' আহা তুমি এসব চিন্তা ছাড় ... এসব আজেবাজে কথা ভেবে মিছিমিছি শরীর খারাপ করছ ... বাদ দাও বাদ দাও... '
    বাসন্তীদেবী ফোঁস করে একটা শ্বাস ছেড়ে বললেন, ' হমম্ ... আজেবাজে হলেই ভাল ... আজেবাজে হলেই ভাল ... চল খেতে বসি, দশটা বেজে গেছে ... '
    ----- ' হ্যাঁ চল ... '
    অলোকেন্দুবাবু মনে মনে একটা পরিকল্পনা ছকে নিলেন প্রতিবিম্বের ব্যাপারে বাসন্তীকে লাইনে আনার জন্য।

    শনিবার বিকেলবেলায় শ্যামবাজার ট্রামডিপোর সামনে আচমকা অমিতাভর সামনে পড়ে গেল কাবেরী। কাবেরী কলেজ ফেরতা শ্যামবাজারে গিয়েছিল বাবার জন্য একটা ওষুধ কিনতে। কাঁধে কলেজের ঝোলা ব্যাগ। আর অমিতাভর আজ কফি হাউসে যাবার দিন।
    অমিতাভ বলে উঠল, ' আরে কাবেরী ... তুই তো একেবারে কর্পূর হয়ে গেলি ... আসিস না কেন ? '
    ----- ' কি বলব ... একদম সময় পাই না। পড়ার চাপ আছে প্রচুর। দেখি, একদিন সময় করে যাবার চেষ্টা করব ... তারপর তোমাদের ম্যাগাজিনের কাজ কেমন চলছে ? ', কাবেরী কফি হাউসে তার উপস্থিতির প্রসঙ্গটা ঘুরিয়ে দিতে চাইল।
    ----- ' সে ব্যাপারেই তো কথা হবে। আমাদের নেক্সট ইস্যু বেরোবে পরের সপ্তাহে, পয়লা জুন। তিনজন বড় কবির কবিতা যাচ্ছে এবারের সংখ্যায়। সেল করতে মনে হয় অসুবিধে হবে না। দেখিস একটু ... '
    ----- ' ঠিক আছে, দিও কয়েকটা ... চেষ্টা করব ... '
    পরের রবিবার যেতে পারি কফি হাউসে ...
    ----- ' আয় আয় ... তোর আর কি খবর বল। '
    ----- ' খবর আর কি ... এই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ই থোড় ... '
    ----- ' তার মধ্যে থেকেই তো রস খুঁজে বার করতে হবে। নইলে বাঁচব কি করে ... ' অমিতাভ বলে।
    ----- ' উঁ ..উ ..উ তাই তো ... '
    ----- ' মাঝে মাঝে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে ... খুব ডিপ্রেসসড লাগে। কাউকে বলা যায় না এসব কথা ... কি আর বলব ... '
    কাবেরী কি আর বলবে, চুপ করে রইল।
    ----- ' এসট্যাবলিশমেন্ট নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। চাকরি একটা পেয়ে যাব। সে সব না ... অনেকের সঙ্গে আছি, তবু কেমন যেন নিঃসঙ্গ লাগে ... ঠিক বোঝাতে পারছি না ... মনে হয় পাশে কেউ থাকলে ভাল হত ... '
    অমিতাভর কথা শুনে ' চিন্তা কোর না ... এটা থাকবে না ... তোমাদের কবিদের এই রকম ভাব জাগে মাঝে মাঝে ... ঠিক সময়ে ইভাপোরেট করে যাবে ... ' গোছের কিছু ব্যাঁকানো কথা প্রত্যাশিত ছিল কাবেরীর মুখ থেকে। কিন্তু কি জানি কি কারণে তেমন ধাঁচের কোন কথা তার মুখে এল না। সে রাস্তার দিকে তাকিয়ে মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগল।
    পিছন থেকে কে একজন বলতে লাগল, ' আরে দিদি ... কানে কালা নাকি ... তখন থেকে হর্ন দিচ্ছি। সাইডে সরে দাঁড়ান ... কি করছেন ... '
    কাবেরী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল একটা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে, আর জানলা দিয়ে গলা বাড়িয়ে ড্রাইভার তাদের দিকে তাকিয়ে চেঁচাচ্ছে।
    অমিতাভ বলল, ' এদিকে সরে এস .. '
    দুজন অন্যমনস্ক যুবক যুবতী ট্রামডিপোর ভিতর দিকে সরে এল। দুজনেরই চলে যাবার কোন গরজ দেখা গেল না।
    কাবেরী থেমে যাওয়া কথার রেশ ধরে বলল, ' আমারও আজকাল একটু একটু ওরকম হচ্ছে... '
    ----- ' একটু একটু ... কি ... কি হচ্ছে ? '
    প্রশ্ন করার আনাড়ি ভঙ্গী দেখে কাবেরীর মন কেমন মেঘলা আকাশের মতো মেদুর হয়ে গেল।
    হেদুয়ার ধারে বসে থাকা প্রতিবিম্বের কথা মনে পড়ে গেল সহসা।
    সে বলল, ' ওই ... যা তোমার হচ্ছে ... ' বলে রাস্তার উল্টোদিকে হোমিওপ্যাথি দোকানদার দিকে তাকিয়ে রইল। কিছু অলস মুহুর্ত পেরিয়ে যেতে লাগল শ্যামবাজারের মোড়ের কাছে।
    অমিতাভ একটু পরে বলল, ' ঠিক আছে ... তুই ওষুধ কিনতে যাবি তো ? আয় তা'লে ... তোকে আর আটকাব না। যদি পারিস তো আসিস কফি হাউসে ... '
    ------ ' কেন ... কফি হাউস ছাড়া অন্য কোথাও আমাদের দেখা হতে পারে না ? '
    ----- ' হ্যাঁ তা পারে ... কোথায় যেতে হবে বল ... '
    ----- ' তুমি আসবে ? '
    ----- ' যদি তুই রাজি থাকিস ... '
    ----- ' হেদুয়ার ধারে ... বেলা চারটের পর বুধবার। '
    ----- ' অসুবিধে হবে না তো ... থাকিস কিন্তু ... '
    ----- ' নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই... তবে আর একটু জোর দিয়ে বললে ভাল লাগত ... চললাম ... ', কাবেরী জোর পায়ে হাঁটা লাগাল।

    নিতাইবাবু বললেন, ' বিভূতিদা ... জানেন তো সব ... '
    ----- ' কি ? '
    ---- ' আরে ... পরশুদিন ডাফ স্ট্রিটের ওখানটায় কি সাংঘাতিক কান্ড হয়ে গেল, টের পাননি ? '
    ------ ' হ্যাঁ ... সে সব তো জানি ... অত বোম টোম পড়ল ... আওয়াজ পাব না ? শুনলাম সাগরের ছেলেরা একদল বদমাশকে খুব ঠেঙিয়েছে। দরকার ছিল ... দরকার ছিল ... '
    ------ ' হমম্ ... শুনলাম, ওখানে বিমল চক্রবর্তীর বাড়িতে এসে কারা নাকি জায়গা জমি নিয়ে জবরদস্তি করতে গিয়েছিল। মগের মুলুক নাকি ! সাগর যা করেছে ঠিক করেছে। আমার ফুল সাপোর্ট আছে ... ' নিতাইবাবু মন্তব্য করেন।
    ----- ' এ পাড়ায় এসব জবরদস্তি কোনদিনও ছিল না ... কি হয়ে গেল সব ... আরও কত কি দেখতে হবে কে জানে ...' বিভূতিবাবু দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
    ----- ' তাই তো ... তাই তো ... '
    ----- ' কিন্তু আমার ভীষণ ভয় করে নিতাইবাবু ... '
    নিতাইবাবু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বিভূতিবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন।
    বিভূতিবাবু চিন্তিত গলায় বললেন, ' আমি জানি সাগরের শত্রুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
    এত লোককে বাঁচাতে গিয়ে শেষে নিজেকেই না বলি দিতে হয় ... ' বিভূতিবাবু আবার একটা বিমর্ষ শ্বাস ছাড়লেন।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন