এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৯৭

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • দুপুর দুটো বাজে। কালীকিঙ্করবাবুর ঘন ঘন হাই উঠছে। কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি। রাত্রে থানাতেই ছিলেন।
    পরপর দুটো চা আনিয়ে খেলেন। এক পেট ভাত খেয়েছেন বেলা একটা নাগাদ। আবার কেমন খিদে খিদে পাচ্ছে কালীবাবুর। চা খাওয়ার পর একটু বাইরে গিয়ে দাঁড়ালেন কালীবাবু। থানার একপাশে এক ছোকরা জামরুল নিয়ে বসেছে। বেশ বড় বড় রসালো জামরুল। দু তিনজন সেখানে দাঁড়িয়ে জামরুল কিনছে বেছে বেছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে দেখে। কালীবাবুও তাদের দলে যোগ দিলেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে চারটে বড় বড় জামরুল কিনলেন। একটা জামরুলে কামড় দিয়ে তার রসাল স্বাদের আবেশে তার চোখ প্রায় বুজে এল। তিনি জামরুল চিবোতে চিবোতে
    থানার গেটের কাছে এসে পৌঁছলেন। ওখানে দাঁড়িয়ে জামরুলে আর একটা কামড় দিলেন। একজন কনস্টেবল বন্দুকের কুঁদো মাটিতে ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
    কালীবাবু দাঁড়িয়ে গেলেন জামরুল চিবোতে চিবোতে। কনস্টেবল তারকনাথের দিকে একটা বাড়িয়ে দিলেন।
    ------ ' এই নে, খাবি নাকি ... খুব মিষ্টি ... '
    তারকনাথ এক গাল হেসে কালীবাবুর উপহার গ্রহণ করল। জামরুলে এক কামড় দিয়ে রসে মুখ ভরিয়ে নির্বাক অবস্থায় হাত এবং মুখের ভঙ্গীতে বোঝাল .... ' আরে বাহ্ ... '
    কালীবাবুও রসপূর্ণ মুখের একটা নির্বাক ইঙ্গিত করলেন। যার মানে হল ---- কি ... কেমন !

    জামরুল খাওয়া শেষ করে কালীবাবু ঘরে ঢুকলেন। ঢুকে দেখলেন এক চমক। সাগর বসে আছে।
    ----- ' আরে ... হোয়াট এ সারপ্রাইজ ! আপনে কখন আসলেন ... খেয়াল করি নাই তো ... তারক তো কিসু কইল না... '
    ------ ' ওই ...আপনি তখন জামরুল বাছছিলেন। আর তারক জামরুল চিবোতে ব্যস্ত ছিল ... '
    ----- ' ও ... তা হবে। তা, আপনের কি খবর বলেন। সব খবর পেয়েছি ... আপনে তো কোন ডায়েরি করাননি না ? '
    ----- ' নাঃ ... ডায়েরি আর কার নামে করব। আগে লোকটাকে বার করি। তারপর ঠিকঠাক ওষুধ দেওয়া যাবে ... '
    ----- ' সে যা ভাল বোঝেন। আমাদের তো অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। দেখুন কি ভাবে কি করবেন। শরীর এখন ভাল আছে তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... এখন অনেক ভাল ... শরীর সেরে যাবে ... চিন্তা করবেন না। কিন্তু একটা বিরাট সমস্যায় পড়েছি। যেভাবে এতদিন জীবন কাটিয়ে এসেছি, সেভাবে বোধহয় আর কাটানো যাবে না ... '
    কথাটা শুনে কালীবাবু একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন।
    ----- ' কেন, মানে ... কোন নেতা জ্বালাতন করত্যাসে নাকি ... ওদের তো আপনে কোনদিন পরোয়া করেন নাই ... এখন হঠাৎ ... '
    ------ ' না না...ওসব ব্যাপার না ... ওগুলো তো লাইনের খেলা। ওসব খেলেই তো এতটা বয়েস
    হল ... ওটা আমার জানা খেলা ... কিন্তু এটা একটা জটিল সমস্যা ... '
    ----- ' জটিল ? কিরকম কিরকম ... একটু খুইল্যা ক'ন দেহি। সব সমস্যারই একটা সমাধান আসে ...'

    সাগর সমস্যাটার কথা কিভাবে প্রকাশ করবে সেটা ভেবে হয়রাণ হতে লাগল।

    সন্তোষ সুচারুভাবে তার দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছে। আজ সকালে রাত্রি এসেছিল তার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর পেয়ে। তাকে দেখে সাগর কোন অতলে তলিয়ে গেল। ওই তরুণ প্রভাতে তাকে দেখে সাগরের মনে এক নিমেষে একটা আলোক উদ্ভাস জেগে উঠল। রাবীন্দ্রিক কথকতায় যাকে বলা যেতে পারে ঊষাময়ী প্রতিমা।
    সাগর বেশ ভালই আছে দেখে সে বিশ্বামিত্রের নির্দোষ সংবাদ পরিবেশনের চাতুর্য কৌশল ধরে ফেলল সহজেই। কিন্তু একটা কথাও বলল না সে ব্যাপারে। প্রায় আধঘন্টা সাগর এবং তার মা সরযূ দেবীর সঙ্গে থেকে এক স্নিগ্ধ মাধুর্যের আবেশে সাগর মন্ডলের ঘরদোর ভরিয়ে দিয়ে সে বিদায় নিল।
    যাবার সময় সরযূকে বলল, ' সাগরবাবু আমাদের প্রচুর উপকার করেছে ... যদি তার কিছুটা শোধ করতে পারি .... আমি দু'একদিনের মধ্যে আবার আসব ... অবশ্য যদি আপনাদের কোন অসুবিধে না হয় .... আসি এখন ... ইউনিভার্সিটি যেতে হবে ... '
    সরযূদেবী বললেন, ' আমাদের অসুবিধে ! কি বলছ মা ... সাবধানে যেও ... আবার এস কিন্তু ... '
    রাত্রি ধীর পায়ে বেরিয়ে গেল। সাগর ভাবল তার মনের কথাগুলো তার মা-ই বলে দিল। সে ভাবছে, আবার কবে রাত্রির উপকার করার সুযোগ পাবে। কিন্তু তার তো উপকার করার একটা রাস্তাই জানা আছে। সেটার কথা ভেবে তার লজ্জা লাগতে লাগল। সে ভেবে বিচলিত বোধ করতে লাগল যে, তার এই সব কাজ কি রাত্রির মতো মেয়ে ভাল চোখে দেখবে। কিন্তু সে আর কিই বা করতে পারে। সে তো আর কিছুই জানে না। খুব বিমর্ষ বোধ করতে লাগল সে। ঘরের মেঝের দিকে তাকিয়ে চিন্তায় ডুবে গেল সে ...
    কালীকিঙ্করবাবু বললেন, ' আরে ... কি হইল কি ?
    কি এত চিন্তা করেন .... আপনে সত্যিই সুস্থ হইসেন তো ? সমস্যাটা কি ... একটু খুলে বললে সুবিধা হয় ... '

    ----- ' সমস্যাটা একটু ঘোরাল। তবে তার সমাধানটা আরো ঘোরাল। মানে, ঠিক বোঝাতে পারছি না ... লেখাপড়া তো শিখিনি ... '
    ------ ' আরে কি যে বলেন ... লেখাপড়া জানা অমানুষ লোক তো কম দেখলাম না। তার থিকা লেখাপড়া না জেনে আপনের মতো মানুষ হতে পারা অনেক ভাল, বোঝছেন ... আর হ্যাঁ, সমস্যাটা জানতে পারলে আমার ছোট বুদ্ধিতে যা আসে কিসু বলার চিষ্টা করতাম ... অবশ্য যদি কোন ব্যক্তিগত ব্যাপার হয়, তাইলে আলাদা ব্যাপার।
    ------ ' না ... ঠিক তা না ... মানে ... বলছি যে ... '
    ---‐- ' কি বলেন, বলেন না ... আমারে বিশ্বাস করতে পারেন ... শুধু নামটা বলেন ... কিভাবে টাইট দেওন যায় আমি খুব জানি ... শুধু নামটা বলেন ... '
    সাগর চুপ করে কি সব ভাবতে লাগল।
    কিছুক্ষণ পরে অসংলগ্নভাবে বলল, ' হাসপাতাল থেকে ফেরার পর একজন রোজ বাড়ি গিয়ে আমার আমার খুব দেখভাল করত ... আমি তার জন্য একটা ছোটখাট অ্যাকশান করেছিলাম ... '
    ----- ' বাঃ বাঃ ... খুব ভাল। দেখসেন তো সবাই কিন্তু বেইমান নয় ... '
    ----- ' না তা নয় ... মুশ্কিলটা সেখানেই। বেইমান হলেই মনে হয় ভাল হত। আমার এই সমস্যাটা হত না ... '
    ----- ' সে আবার কি কথা ! ঠিক বোঝলাম না ... একটু খুলে বলেন না ... '
    ----- ' ওটা একটা মেয়ে ... আমার থেকে অনেক ছোট। ইউনিভার্সিটিতে পড়ে ... কোন কিছু হবার সম্ভাবনা নেই, এটুকু বোঝার ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু মনে একটা ভাবনা সবসময়ে লেগে আছে। ওটা হটাতে পারছি না ... ' সাগর জোড়াতাড়া দিয়ে কোনরকমে তার কথাগুলো পেশ করল।
    কালীকিঙ্করবাবু স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলেন এক অজানা, অচেনা সাগর মন্ডলের দিকে। সাগরের চোখে যেন বাদুলে মেঘের ছায়া পড়েছে। টেবিলের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভেবে চলেছে। কালীবাবু ভেবেছিলেন সমস্যাটা বোধহয় পতিতপাবন কিংবা বংশীলাল সম্পর্কিত, যে ব্যাপারগুলো নাড়াচাড়া করতে তিনি অভ্যস্ত। কিন্তু এখন আচমকা দেখলেন, সমস্যাটা এমন গোত্রের যেটা নিয়ে তার কোনদিন মাথা ঘামাবার অবসরই হয়নি। এটা তার কাছে অচেনা ধূসর জগতের কিস্যা। সাগর মন্ডলকে তার ভীষণ অচেনা লাগতে লাগল।
    কালীবাবু বেশ কিছুক্ষণ পরে ধাতস্থ হলেন।
    বললেন, ' চিন্তা কইরেন না ... আমারে একদিন সময় দেন। কিসু একটা রাস্তা অবশ্যই বার করুম। দরকার হইলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিব। আমরা আপনারে ভালবাসি ... '

    রাস্তায় বাঁশের পাঁজা পড়েছে পাড়ায় পাড়ায়।
    একপাশে তিরপল আর দড়ি জমা হয়েছে রাশি রাশি। পুজো কমিটির সেক্রেটারিরা মিটিংয়ের ডেট ঠিক করতে মাথা ঘামিয়ে চলেছে। বিবেকানন্দ স্পোর্টিং-এর প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা চলছে। রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে বীরেন্দ্রনাথ ঘোষালের বাড়ি জমজমাট পুজো হয়। অন্তত চার পুরুষ ধরে হয়ে চলেছে। প্রত্যেকবার কংগ্রেস পার্টির কোন না কোন নেতা আসে ঘোষালবাড়ির পুজোয়। তাছাড়া সুরেশ্বর মল্লিকও ঘটা করে পুজো করে। সে পুরোহিত কমলাকান্ত ভটচাজ্যিকে বাড়িতে ডেকেছে ফর্দ লিখে নেবার জন্য। চারপাশে ছুটি ছুটি হাওয়া। অনিমেষরা তিন বন্ধু একদিন গেল বাগবাজার সার্বজনীনের মাঠে প্যান্ডেল বাঁধা দেখতে।
    অসিত ভাবল, শ্রীলেখার সঙ্গে কতদিন দেখা হয়নি। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে শ্রীলেখাকে। গতবারের মতো এবারেও নাকি ওরা নাটক নামাবে। বিভূতি জেঠু তাকে দেখা করতে বলেছে। অনিমেষ এসে বলে গেল কাল। একটা একদম অন্য ধরণের নাটক সে জোগাড় করে রেখেছে। বর্তমান সময়ের পটভূমিতে লেখা। তাতে একজন তথাকথিত গুন্ডা হল নাটকের প্রধান চরিত্র, মানে প্রোটাগনিস্ট।
    কাবেরী আর পার্থপ্রতিমের দেখা হবার কথা আছে কাল বিকেলে কলেজ স্কোয়্যারে। সেখানে কিভাবে কি ঘটে তা কে জানে।

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন