কবিতা———- সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————গর্ভে তোমায় ধারণ করিনি,- এ কথা সত্য, তবু তুমি আমারই সৃষ্টি,—তোমার জন্ম মনের মাঝারে, মনের ভাবনায়, মনের গভীরে, প্রকাশিত হয়ে তুমি বারে বারে, এনেছো পরম তৃপ্তি ।তোমার জন্মের শুভ লগ্নে, মন ধরা দেয় কাগজে কলমে, যেন হৃদয়ের, যে কোনো গোপন কথাহয়ে যায় লিপিবদ্ধ,- মন কে নিংড়ে বের করে তুমি,শব্দে করেছো রূপান্তর, সৃষ্টি হয়েছে শিল্প !প্রতিধ্বনি তুমি যে কবির,- শব্দরাজি তে সীমিত,কিন্তু শব্দাতীত ! ভাষা ই তোমার পরিচয়,—তুমি চাপা পড়ে থাকা ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ,পরশে জাগাও স্পন্দন প্রাণে,ভাব বিনিময় হয়, অসংখ্য মনে,- প্রাণ থেকে প্রাণে ছড়িয়ে পড়ে,হৃদয়ে মিলে হৃদয় ।ঘুচে যাক্ সব রাগ-অভিমান, বিদ্বেষ, ঘৃণা,— যত বিষণ্ণ স্মৃতি, হৃদয়ে ভরে দাও খুশী-আনন্দ, সুখ-শান্তি ও প্রীতি !তবেই সফল হবে তোমার যাত্রা, আমার সৃষ্টি !গর্বিত হয়ে দেখবো তোমায়, তুমি কবিতা,—তুমি আমার ই সৃষ্টি ! এ এক অপুর্ব অনুভূতি —————————————
ষোলোশো আঠাশের দোসরা ফেবুয়ারি, শহর লাহোরের থেকে কিছু দূরে কেল্লায় এক ঘুপচিতে বেতখত হয়ে যাওয়া বাদশাহ দাওয়ার বক্স দাবা খেলছিলেন ভাই গার্শপের সঙ্গে। সময়? এই তো মুশকিল, সময় নিয়ে কে ভেবেছে সে দিন! গার্শপ কথাটার মানে দানবহন্তা কিন্তু হিন্দুস্থানী প্রথায় দাবাতে রাক্ষস খোক্কস মারার গল্প নেই। দাওয়ার বক্স বাবা শাহাজাদা খুসরুকে প্রায়ান্ধ দেখেছেন বরাব্বর, গার্শপও। তারপর বাবা পেটের ব্যথায় ছটফট করতে করতে মারা যান বুরহানপুরের কেল্লায় ... ...
অনেক সময়ই ছায়াছবি/ সিনেমা দেখাকে 'বই দেখা' বলা হয়। সিনেমার প্রতিশব্দ কীভাবে 'বই' হলো, এর উৎস/ইতিহাস কেউ জানলে যদি আলোকপাত করেন, উপকৃত হই।
স্তম্ভগুলো তো কবেই গেছে ধসে রোগগ্ৰস্ত ব্রিজ তো ভেঙে পড়লো না; নিষ্ঠুর রোদে পদক যাচ্ছে ঝলসে - দাদা আমি, রাজনীতিটা কিচ্ছু বুঝি না!!
আমরা বাঙালী সুপ্রিয়া চৌধুরী মোদের গরব মোদের আশা এটাই ত ছিলো বাঙলা ভাষা? গর্বিত বলেই কি বাঙলা ভাষার বাচ্চারা, আজ, যায় ইংরেজী স্কুলে? বাঙলা যতই কম বলে এরা, ততই মা বাবার বুক ফোলে। “বাঙালী, কিন্তু বাঙলা জানিনা” - ছেলে মেয়ের মুখে এই এক রা
কেন শচিন কেন অমুক কুস্তিগিরদের হেনস্থার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেননা, কেন মনিপুর-কান্ড নিয়ে টুইট করে ফাটিয়ে দিচ্ছেননা, এই নিয়ে হাহাকার করে কোনো লাভ নেই। শচিন-টচিনরা বড় খেলোয়াড়, খুবই মন দিয়ে খেলেছেনও, ব্যস ওই টুকুই। তার বাইরে কিছু ভাবলে যাঁরা আইকন বানিয়ে মাথায় তুলে নেচেছেন, তাঁদের নিজেদের নাচটাকে বরং ফিরে দেখা দরকার। শুধু শচিন কেন, এই কুস্তিগিররা নিজেরাও ... ...
এক জীবনে একটা মানুষ কটা জেনারেশান দেখতে পারে? পাঁচটা, কপাল ভালো থাকলে। ঠাকুর্দার, বাবার, তার নিজের, সন্তানের, এবং সন্তানের সন্তানের... এর বেশি হলে কপাল ভালো বলতে হবে। আমি দেখেছি, একটা সময় পরে মানুষ তার সুখস্মৃতির কাছে ফিরে যেতে চায়, সেই স্মৃতিকে বাস্তবে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখে, বিশেষত বাঙালী হলে তো কথাই ... ...
অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া আজকাল রম্যরচনায় মনোঃসংযোগ করিয়াছি। আমি স্বয়ং রচনা করিতে গিয়া অনুভব করিয়াছি হৃদকম্পিত ভূতুড়ে গল্প, টলটলে প্রেমের অথবা রগচটা রাগের কবিতা, অশ্রুসিক্ত মেলোড্রামাটিক গপ্পো, রাশভারি প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রসব করিবার চাইতে ঢের বেশি বেগ পাইতে হয় রম্যরচনার ক্ষেত্রে। রম্য বড় সত্যপ্রেমী। সেইজন্যই অনুসন্ধান করিলে দেখিবেন, কাতুকুতুযোগে ছ্যাবলা হাসির জোকস, বিকৃত রসে মজ্জিত ভাষায় লেখা টিভি শো, খ্যাঁকখ্যাঁকে ... ...
অপটিক্স, অর্থাৎ কিনা আপনাকে কীভাবে দেখা যাচ্ছে, রাজনীতির একটা বড় ব্যাপার। গত বিধানসভা ভোটের আগে, দলে-দলে তৃণমূল নেতা দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেননা। সব্বাই বিজেপিতে চলে যান। এদের মধ্যে এক-দুজন বাদ দিলে, কেউই বিজেপির বিশেষ কাজে লাগেননি। না নিলেও পারত, তবু নিয়েছিল। কারণ অপটিক্স। তখন মনে হচ্ছিল তৃণমূল ডুবন্ত নৌকো, সব্বাই তৃণমূল ছাড়ছে, পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এই হাওয়াটা তৈরি হয়ে অবশ্য উল্টো ফল ... ...
যজ্ঞ গৃহে প্রবেশিল পদ্মবেশি অলক্ষ্মণ যন্তর-মন্তরে করে সাক্ষী আপ্যায়ন; প্রহরী করে কুস্তি সুধীর ভায়ের মস্তি যৌন স্পর্শেই নাকি নব্য প্রশিক্ষণ!!
ফিমেল হ্যারাসমেন্ট আর ফেইক হ্যারাসমেন্ট কেস দিয়ে মেল হ্যারাসমেন্টের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায়; নেটফ্লিক্স তার অফিসে নিয়ম করে দিয়েছে যে, কোন নারী পুরুষ পরস্পরের দিকে তিরিশ সেকেন্ডের বেশি তাকাতে পারবে না। বসের সঙ্গে কথা বলার সময়েও তিরিশ সেকেন্ড পরে নীচে বা অন্যদিকে তাকাতে
ষোলোশো আটাশের উনিশে জানুয়ারি লাহোরের দরবার কক্ষে শাজাহানের নামে শুত্রুবারের নামাজের আগে খুতবা পাঠ করলেন আসফ খান। পুতুল বাদশাহ দাওয়ার বক্সকে কয়েদ করা হচ্ছে। দোসরা ফেব্রুয়ারি শাজাহানের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী রাজা বাহাদুর ময়দানে নামে। একে একে খুন করে শাহরিয়ার, দাওয়ার বক্স আর ছোট ভাই গার্শপকে, দানিয়ালের দুই ছেলে তাহমুরাস আর হোশাংকে। খুনের লহরের সাক্ষী থাকে লাহোরের কেল্লা। ঠিক তার পরদিনই তেসরা ফেব্রুয়ারি আগ্রায় ... ...
মানুষ আজ মানুষকে চেনেনা, অহংকার তার বাঁচার ভিত্তি। ভুলে গেছে আপন জন, নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত দিবস রাতি। ভুলে গেছে হাসি ভুলে গেছে কথা, ভুলে গেছে পাশাপাশি বসে একটু সময় ব্যয় করা, ভুলে গেছে প্রাণখোলা হাসি বুক ফাটা কান্না, নিজের স্বার্থ গোছাতেই তৈরি সদা। দিন শুরু হয় করে পরচর্চা পরনিন্দা, দিনের শেষে আপন ট্যাঁকে কত কী জমলো - তা নিয়ে শুরু হয় অঙ্ক ... ...
হিটলারের শাসনে ইহুদিদের চেয়েও খারাপ দশা এদেশের সংখ্যালঘুদের! গ্যাস চেম্বারে নিয়ে যাওয়ার আগের দশার কথা বলছি ইহুদিদের ওপর মানসিক সামাজিক সাংস্কৃতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সেদেশ ও বিদেশের বহু লেখক সমাজকর্মী রাজনৈতিক দল সরব হয়েছিলেন। বলবেন, ইহুদিদের মতো হত্যা তো হয় নি। হয়নি। হওয়ার প্রেক্ষাপট
নিরীহ জনগনের ভাত মারে যারাতারা মানুষের জাতে পড়ে না। তাদের শ্বাপদের জাত বললেও-মনের গর্জন মেটে না, তারা দুনিয়ার নিকৃষ্ট বিষধর কীট।ও রা টাকার গোলাম সুদখোর ঘুষখোর, ওরা হিংস্র ওরা শয়তান দুঃশাসন দুর্যোধন। শুধু জানে কেড়ে নিতে সবকিছু-বাড়ি জায়গা টাকা পয়সা সন্তান স্ত্রী সব। ওরা ভোগী ডাকাত কামের ক্ষুধায় আষ্টেপিষ্টে শৃঙ্খলিত ।ওরা চলে 'অর্থ'র বলে, তা দিয়ে পাঞ্জা লড়ে পারে কিনতে ... ...
প্রশ্ন ধর্ম তুই কি হিংসা বন্ধ করতে পারিস, না শান্তি প্রতিষ্ঠা ? তুই আমার এমন কোনো চাওয়া পূর্ণ করতে পারিস, যেটা আমি চাইবো? এগুলো ভাবলে আমার মুখে ঘৃণার থুথু আসে ;এবং পার্লামেন্ট যেদিক আছে সেই দিকে সেটা আমি ফেলে দিই। কিছুটা শান্ত হই । অনেক ক্ষোভের পারমানবিক বিস্ফোরণ থেকে! ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ
- আচ্ছা, এই যে উনি একটা লাঠি হাতে নিলেন, এর মানে কী? মুখপাত্র তথা গোদী মিডিয়ার সঞ্চালকঃ রবীন্দ্রনাথ কী বলেছেন? বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল পোহালে শর্বরী, রাজদণ্ডরূপে। মানে, এর আগে উনি বেওসায়ি ছিলেন, এবার রাজা হলেন। এখানে অবশ্য একটা স্লাইট বানানভুল আছে, ওটা শর্বরী না, শবরী হবে।- বলেন কি? কবিগুরুর বানানভুল? সঞ্চালকঃ এতে আশ্চর্যের কী আছে? উনি হরবখৎ বানানভুল ... ...
নতুন মহলে পুরনো দৈত্য বোতল-বন্দীমধ্যযুগের ধর্মদন্ড অপ্রতিদ্বন্দী;রোম রোমযজ্ঞ হোম পোপের শহরে পাপ বেশি।