সে ঘাড় দুদিকে নেড়ে নেড়ে বলে ‘তু ডেঞ্জার হ্যায় রে ম্যাডাম নেই নেই ম্যায় আ যাউঙ্গা’। ঠিক আছে বাবা, তাই হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪.১৫তে আবার বেরোই পায়ে হেঁটে এদিক ওদিক ঘুরতে। চারিদিক একেবারে শুনশান, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে শুধু একটা সেলুনের একপাল্লা খোলা। মিনিট চল্লিশেক এদিক ওদিক হেঁটে ফিরি নশরিঙে আবার। কাল খুব সকালে বেরোন তাই আজকেই টাকাপয়সা মিটিয়ে রাখতে হবে। রাতের খাবারে অর্ডার করি ডিমাসা টাইপ ফ্রায়েড রাইস আর চিকেনের ঝোল। এই ফ্রায়েড রাইসে দেখি বেশ কয়েকরকম শাক দিয়েছে কুচিয়ে, পালং ছাড়া বাকী শাকেদের চিনতে পারলাম না।
ভারতের নাগরিকেরা কি তবে আর ভারতীয় গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন না? অন্তত নির্বাচন কমিশনের তথ্য তো তাই বলছে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং তারপরে যে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভোটদানের হার ক্রমশ কমছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মৌ চুক্তি অবধি করেছিল, যাতে সেই সব সংস্থাতে কর্মরত মানুষেরা ভোট দিতে অনীহা প্রকাশ না করেন। যে সমস্ত কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না, তাঁদের নামের একটি তালিকা অবধি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই বন্দোবস্ত তো ‘বাধ্যতামূলক’ ভোটদানের প্রক্রিয়া, কোনও গণতন্ত্রে একজন মানুষ, নানান কারণে ভোট নাও দিতে চাইতে পারেন, তা’বলে কি একজন মানুষকে ভোটদানে অংশ নিতে বাধ্য করা যায়?
ইনশেরিন হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের ছোট একটা দ্বীপ। গল্পটা এই দ্বীপকে ঘিরেই। খুব সহজ সরল জীবন এখানে। নিরুত্তাপ নিশ্চল জীবন এখানে। এই দ্বীপেই বাস করে পদ্রেইচ সুলেভান ও তার বোন সিওভান সুলেভান। পদ্রেইচের তেমন কোন কাজ নাই, গরুর দুধ বিক্রি করে, বন্ধু কমের সাথে আড্ডা মারে বারে, মদ খায় বাড়ি ফিরে। পদ্রেইচের বুদ্ধি একটু কম, বলা চলে সহজ সরল ছেলে পদ্রেইচ, তার তুলনায় সিওভান বেশ সপ্রতিভ, বুদ্ধিমান, বইপত্র পড়ে, দিন দুনিয়ার খোঁজ খবর রাখে। গল্পটা শুরু হয় একদিন দুধ বিক্রি করে যখন পদ্রেইচ কমকে ডাকতে যায় তখন। কম পদ্রেইচের ডাকে সাড়া দেয় না। ঘরে থেকেও সাড়া না দেওয়ার কারণ খুঁজে পায় না পদ্রেইচ। উল্টো দেখে পিছন দরজা দিয়ে কম চলে যাচ্ছে দ্রুত পায়ে। পদ্রেইচ বারে গিয়ে খুঁজে পায় কমকে। কম কোন কথাই বলতে রাজি না পদ্রেইচের সাথে। কী দোষ করল, কোথায় ভুল হল জানতে চায় পদ্রেইচ। কিন্তু কম কথাই বলবে না। চাপাচাপির পরে কম বলে এক অদ্ভুত কথা, জানায় ওর বয়স হয়ে যাচ্ছে, জীবনের বাকি যে সময় টুকু আছে তা সে সংগীতের পিছনে দিতে চায়, এমন কিছু সুর সৃষ্টি করে যেতে চায় যা আজীবন মানুষ মনে রাখবে। মোজার্ট বেটোফেন মত কিংবদন্তীর সুরকার হতে চায় ও। এ জন্য পদ্রেইচের সাথে সময় নষ্ট করতে কম রাজি না! কম শর্ত দেয় এক অদ্ভুত শর্ত, যদি এরপরে কখনও কমের সাথে কথা বলে তাহলে সে তার নিজের একটা আঙুল কেটে ফেলবে! আবার কথা বললে আরেকটা আঙুল কাটবে।
আরতুরোস বললে, ‘দেখতে থাক। পাঁচ মিনিটের বেশি যদি লাগে, হোটেলে ফিরে গিয়ে আমার পয়সায় বিয়ার খাওয়াব। কৌতূহল বেড়ে গেল। বিয়ারের জন্য নয়। সপরিবারে পরায়া গাড়িতে কারো লিফট পাওয়া অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তিরিশ বছর আগে জার্মানিতে হাত দেখিয়ে লিফট জোগাড় করার ভীষণ চল ছিল। নিজে করেছি। তবে সেটা অটোবানে। শহরে নয় -সেখানে সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা আছে, আমেরিকার মতন নয়। কথ্য জার্মানে বলা হয়, বুড়ো আঙ্গুল (প্যার দাউমেন) দেখিয়ে সফর করা। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার কারণে হয়তো জার্মানিতে এই যানযাত্রার পদ্ধতি প্রায় বিলীন এখন।
আগুন জ্বললো পরের দিন, সম্পূর্ণ নতুন আবহে। এমনটা কাজি দেখেনি আগে; দোলের আগের দিন, সন্ধ্যে পেরিয়ে তখন রাত অনেকটাই। পরের দিন পূর্ণিমা, আজই আকাশ ভেসে যাচ্ছে আলোর বন্যায়। নানারকমের কাঠকুটো যোগাড় করে গ্রামের ছেলেরা এসে জমিদারবাবুর প্রাঙ্গনে আগুন জ্বালাল। ছেলের দল বলল নেড়াপোড়া, কিরণশঙ্কর বললেন চাঁচর। তারপর বললেন, ওদের নেড়াপোড়া কথাটাও কিন্তু বেশ যুক্তিযুক্ত। ধানকাটা হয়ে গেছে, পিঠেপায়েসের উৎসবও শেষ। এখন নতুন করে জমিতে কাজ শুরু হবে, তার আগে ক্ষেতে পড়ে-থাকা শস্যস্তম্ব, মানে, শস্য কেটে নেবার পর ক্ষেতে পড়ে থাকে যেটুকু, যাকে গ্রাম্য ভাষায় নেড়া বলে, তা পোড়ানো হবে।
টাকা ডবলের পুজো হল সাঙ্গ ... এবার তবে...
আমি তো সিংহরাশি, মাংস খাচ্ছি বাসি, তোমরা বদ্ধ পাগল, খাচ্ছ কচি ছাগল
গতদিনের মেঘ আর কুয়াশার পর এই দৃশ্য যে দেখব, আমরা কেউ-ই ভাবিনি, আনন্দে আত্মহারা হয়ে ক্যামেরা বের করতেও ভুলে গিয়েছিলাম প্রায়! ডানদিক থেকে আলোর একটা সরু রেখা হঠাৎ আকাশকে রাঙিয়ে দিতেই সম্বিৎ ফিরল! তখনো এভারেস্ট দেখার কথা ভাবিনি। তার জন্যে আমাদের আর-ও একটু বাঁদিকে সরে যেতে হবে ফালুটের রাস্তায়। এরপর শুরু হয়ে গেল আশ্চর্য অপার্থিব রঙের খেলা, একেবারে টুকটুকে লাল থেকে কমলা হয়ে উজ্জ্বল স্বর্ণাভ হয়ে ওঠার পালা, ডানদিক থেকে একে একে পান্ডিম, কাঞ্চনজঙ্ঘা, শিমোভো, গ্যেচা বা গ্যোচা, কাবরু ডোম, কাবরু উত্তর ও দক্ষিণ, রাথোং, আর সবশেষে কুম্ভকর্ণ ১ ও ২ – দিগন্তজোড়া তথাগত-শরীর, শায়িত এবং নিদ্রিত। ‘Sleeping Buddha’। সবচেয়ে আশ্চর্য হল, একটুকরো মেঘ ঠিক কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখরের উপরে জমে রয়েছে যেন যুবরাজ সিদ্ধার্থের রাজছত্র হয়ে। আমরা এসে দাঁড়িয়েছি সেই রাজদরবারে, একেবারে যথার্থ রাজদর্শন বটে!
সমস্যা শুধু এবছরের বা মধ্যপ্রদেশের নয়। এই পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রায় আমি ৭টি রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। একেক জায়গার সমস্যা একেক রকম। কিন্তু একটি যন্ত্রণা দেশের প্রত্যেক কৃষককে এক করে দেয়: বাজারে ফসলের সঠিক দাম পাওয়া যায় না। পেঁয়াজ এবং রসুনের মত শাকসবজি বা ফলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নেই, তবে যে সব ফসলের সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে তাও পাওয়া যায় না। মুগ, ছোলা, অড়হরের মত ডালের জন্য কাগজে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয় কিন্তু বিক্রি হয় না। ফলে বাজারে ঘোষিত ন্যূনতম মূল্য থেকে এক হাজার বা দুই হাজার টাকা ক্ষতি হয় কৃষকের। ধান ও গমের সরকারি ক্রয় সত্ত্বেও অধিকাংশ জায়গায় কৃষক লোকসানের মুখে পড়ে ব্যবসায়ীর কাছে ফসল বিক্রি করেন।
না, যা ভাবছেন ঠিক তা নয়, এটা দার্জিলিং বা মসালা চা নয়। এই "এক কাপ চা" লেখাটা ক্যালিফোর্নিয়ার, স্যান ডিয়েগোর একটি হাই স্কুলে বিশেষ ভাবে সক্ষম (স্পেশাল এডুকেশন) নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের যৌন শিক্ষার ক্লাসের বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে। এখানে হাইস্কুলে ঢুকেই যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক। অন্য ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে শিক্ষাদান অনেকটাই সহজ, কিন্তু এদের? যারা অটিস্টিক, বা ADHD (মনোযোগ ঘাটতি) কিম্বা ডাউন সিনড্রোম এ আক্রান্ত, অথবা প্রায় অন্ধ ও বধির তাদের কী করে এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যাবে? অথচ দিতেই হবে, কারণ যৌন নিগ্রহের আশঙ্কা এদেরই সব থেকে বেশি, কয়েকজন তো শিশুকালেই তাদের সৎ বাবা অথবা মায়ের পুরুষ বন্ধুর দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য প্রায় হারাতেই বসেছে।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমি এক আবাসন কারখানায় বসবাস করছি। যেখানে তাকাই সেখানেই আবাসন ব্যবসা, প্রতি মুহূর্তে জন্ম নিচ্ছে এই ব্যবসা। যাঁরা বাপ-দাদার কাছ থেকে সম্পত্তি পেয়েছেন, তাঁরা তো আছেনই, পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, উকিল, ইমাম, আমলা—সবাই নেমে পড়ছেন এই ব্যবসায়। কিছুদিন আগে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে একটি প্লট কিনেছেন দুই বছর আগে, ফ্ল্যাট বানানোর জন্য এখন গৃহঋণ চাই তাঁর, বিস্তারিত শুনে বললাম, ‘স্যার, এসব ক্ষেত্রে তো গৃহঋণ হয় না, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার হলে করে দেওয়া যেত।’ প্রধান শিক্ষক মহোদয় উৎসাহের সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘আমি তো ডেভেলপারই, আপনি আমাকে রিয়েল এস্টেট লোনই করে দিন।’
আজ আকাশের গায়ে অন্ধকার একটুও বসতে পারছে না। সুপারি বাগানের মাথায় বসে থাকা চাঁদটা এরইমধ্যে আরোও বড় হয়ে উঠেছে। সেই চাঁদের আলো সন্ধ্যা আকাশের গা থেকে ঠিকড়ে পড়ছে আমাদের উঠোনে। উঠোনে এবার পাঁচ প্রদীপ জ্বলে উঠল। কলার মাইজে একমুঠো ধান, একগোছা দূর্বা আর ক’খানা কড়ি রাখল ঠাকুমা। আর কলার খোলে পড়ল তালের ক্ষীর, তালের ফুলুরি, তিলের ক্ষিরশা আর পাতাপোড়া পিঠা।
—বাবা, কীসব ব্যাপার! আচ্ছা মা, তুমি বলেছিলে আমাদের বাড়ির পুজো দুশ বছরের পুরোনো। দশমীতে লোকজন ডেকে খাসির মাংস খাওয়ানোও কী দুশ বছর ধরে চলছে? — সেটা আমি নিশ্চিত নই। অবশ্য আগে তো শাক্ত মতে পুজো হত, বলিও হত, তখন রেওয়াজ ছিল কিনা শুনিনি কখনও। তারিণীপ্রসাদ পুজো বৈষ্ণব মতে চালু করলেন। তখন থেকে দেবীর নিরামিষ ভোগ। মাংস উনি খেতেন না। আর তোর বাবা বলে যে বাড়িতে মাংস ঢোকাও তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন। — তাহলে এই খাওয়াটা কবে থেকে শুরু হল? — তোর ঠাকুরদা অমরেন্দ্রনাথের আমলে। — হঠাৎ এমন কেন হল? — খুব সম্ভবত এর ওপরে আছে ইংরেজ আমলে মেদিনীপুরের সশস্ত্র বিপ্লবের প্রভাব। — সেকী? ব্যাপারটা একটু খোলসা কর তো।
আশেপাশের সব জায়গার থেকে প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু। মাগালা কেপের থেকে উত্তর দিকে, দুটো পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে হ্রদের জল বয়ে যাচ্ছে। এই পর্বতশ্রেণি দুটো আমাদের অবস্থানের প্রায় ত্রিশ মাইল উত্তরের একটি বিন্দুতে এসে মিলেছে। মাগালার রুন্ডিরা খুবই সভ্য ভব্য। অবশ্য নিষ্পলক হাঁ করে তাকিয়ে থাকতেও এদের জুড়ি নেই। তাঁবুর দরজার কাছে ভিড় করে এরা আমাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়েছিল, যেন আমরা অতীব কৌতূহলের বস্তু, আর ঝপ করে উবেও যেতে পারি।
অনেকের সঙ্গে আমিও
সত্তর দশক আর সত্তর দশকের কবিদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না, তাই
না, যা ভাবছেন ঠিক তা নয়, এটা দার্জিলিং বা মসালা চা নয়। এই "এক কাপ চা" লেখাটা ক্যালিফোর্নিয়ার, স্যান ডিয়েগোর একটি হাই স্কুলে বিশেষ ভাবে সক্ষম (স্পেশাল এডুকেশন) নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের যৌন শিক্ষার ক্লাসের বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে। এখানে হাইস্কুলে ঢুকেই যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক। অন্য ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে শিক্ষাদান অনেকটাই সহজ, কিন্তু এদের? যারা অটিস্টিক, বা ADHD (মনোযোগ ঘাটতি) কিম্বা ডাউন সিনড্রোম এ আক্রান্ত, অথবা প্রায় অন্ধ ও বধির তাদের কী করে এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যাবে? অথচ দিতেই হবে, কারণ যৌন নিগ্রহের আশঙ্কা এদেরই সব থেকে বেশি, কয়েকজন তো শিশুকালেই তাদের সৎ বাবা অথবা মায়ের পুরুষ বন্ধুর দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য প্রায় হারাতেই বসেছে।
না, যা ভাবছেন ঠিক তা নয়, এটা দার্জিলিং বা মসালা চা নয়। এই "এক কাপ চা" লেখাটা ক্যালিফোর্নিয়ার, স্যান ডিয়েগোর একটি হাই স্কুলে বিশেষ ভাবে সক্ষম (স্পেশাল এডুকেশন) নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের যৌন শিক্ষার ক্লাসের বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে। এখানে হাইস্কুলে ঢুকেই যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক। অন্য ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে শিক্ষাদান অনেকটাই সহজ, কিন্তু এদের? যারা অটিস্টিক, বা ADHD (মনোযোগ ঘাটতি) কিম্বা ডাউন সিনড্রোম এ আক্রান্ত, অথবা প্রায় অন্ধ ও বধির তাদের কী করে এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যাবে? অথচ দিতেই হবে, কারণ যৌন নিগ্রহের আশঙ্কা এদেরই সব থেকে বেশি, কয়েকজন তো শিশুকালেই তাদের সৎ বাবা অথবা মায়ের পুরুষ বন্ধুর দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য প্রায় হারাতেই বসেছে।
শীতের বিকেলে অবিশ্রান্ত পাতা ঝরছিল - ছাউনির ফাঁক গলে হলুদ পাতা প্রাচীন কূপের অভ্যন্তরে খসে খসে পড়ছে। মাথার ওপরে ঝকঝকে আকাশ আর রোদ , দিন শেষ হতে যেন অনেক বাকি- হাতে যেন অগাধ সময়; এই সব সময়ে ঝরা পাতার সম্পূর্ণ গতিপথ নিরীক্ষণ করার কৌতূহল জাগে। ইঁদারার দেওয়ালে কালচে সবুজ শ্যাওলা- ভেলভেটের মত ; চটে যাওয়া পলেস্তারা, এবড়োখেবড়ো ইঁট কারুকার্য ফর্ম করেছে -যাকে ব্যাকড্রপে রাখলে খসে পড়া পাতাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না; বিভ্রম ঘটে কখনও - পড়ন্ত পাতাকে স্থবির মনে হয়, পরক্ষণেই শ্যাওলাকে পাতার মত লাগে, তারপর নিম্নগতি পাতাকে আবার ঠাহর করতে গেলে, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না, সে' পাতা কুয়োর তলদেশ স্পর্শ করে গেছে ততক্ষণে। পাতা পড়তে থাকে, আরও পাতা, অজস্র পাতা, তাদের গতিপথ সম্পূর্ণ গোচরের আগেই আবার যাবতীয় বিভ্রম পুনরায় ঘটে যেতে থাকে।
আমার মনে হচ্ছিল, অনীক আর আমার সমস্যাটা যেন কিছুটা বুঝতে পারছি- আবছা আবছা- যেন একটা মাকড়শার জালের মতো, গাছের দুটো ডালের মাঝখানে আঠালো সুতোর একটা নকশা হচ্ছিল আস্তে আস্তে । আরো মনে হচ্ছিল, স্বপ্নার নদী পেরোনোর ঐ মোমেন্টটার মত আমরাও একটা মুহূর্তর সন্ধানে আছি- দ্য স্বপ্না মোমেন্ট- আমি আর অনীক, দুজনেই। মুহূর্তটা এসে গেলেই আমরা আর একসঙ্গে থাকতেই পারব না।
আজ একটা বিচিত্র ভ্রমণের গল্প বলবো আপনাদের। প্ল্যান করে তো সবাই ঘুরতে যায়। দুপুরে খেতে বেরিয়ে কখন ঋষিকেশ চলে গেছেন? আমি গেছি।
#একাকী_ভ্রমি_বিস্ময়ে - হাফলং
উৎসব সার্বিক এতে আমার কোনও দ্বিমত নেই, বরং আনন্দ হয়, খুশিই লাগে এটা ভেবে যে প্রান্তিক পরম্পরা সার্বিক হচ্ছে। কিন্তু উৎসব আর রীতি-রিওয়াজ প্রতিপালন এক নয়। মকরপরব বা টুসু পরবের যে রিচুয়াল (নেগাচার) সারা বাংলায় প্রতিপালিত হয় তার সিংহ ভাগই কুড়মি উপজাতির রীতির পরিশীলিত রূপ। কিন্তু কি আশ্চর্য দেখ সবগুলোই আসলে নবান্নকে কেন্দ্র করেই। আদতে কৃষিজীবী মানুষদের। আর সৌব পরবগিলার লে প্রাচীন হল এই মকর পরব। অর্থাৎ একটা সহজ সমীকরণ টানা যায় সব পরবগুলোই মকর থেকে ইনফ্লুয়েন্সড। কারণ মকরের পরের দিন নতুন বছর আর বাকিদের কারুর পালন হয় না। শুধুমাত্র কুড়মিদের বাদে। বাংলায় যারা মকর সংক্রান্তি পালন করে তাদের, সবার নয়।
টাকা ডবলের পোক্কিয়া শুরু হলে বলে, ওফ্ খী উত্তেজনা...
কলেজ স্ট্রিট এলাকার সাড়ে চার দশকের নানা আখ্যান ও স্মৃতি বিষয়ক রচনা
আজ পৌষ বা মকর সংক্রান্তির ভোরবেলায়, ১ মাস ব্যাপী টুসু উৎসবের শেষ দিন রাঢ়বাংলার বিশেষত পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের গ্রামীণ মেয়েরা দলবদ্ধভাবে যখন টুসুগান গাইতে গাইতে টুসুদেবীর ভাসানের জন্য চলেছেন জলাশয়ে বা নদীতে। যখন টুসুর জাগরণের শেষ দুই রাত জেগে গান গেয়ে গেয়ে ঘরে ঘরে তাঁরা তৈরি করেছেন গড়গড়্যা বা বাঁকা বা উধি পিঠা, পুর পিঠা আর নানারকম মিষ্টি । ঠিক এরকমই এক সময়ে আজ থেকে ঠিক ৭দশক আগে মানভূমের আপামর বাঙালি আর বাংলাভাষী ভূমিজনেরা তাঁদের টুসুপরবকে উদযাপন করেছিলেন মাতৃভাষার মর্যাদা আর স্বীকৃতির দাবিতে লেখা অসংখ্য রাজনৈতিক টুসুগানের কথায় সুরে। খেটে খাওয়া গরিব গ্রামীণ মানুষের এই সর্বতোভাবে অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনটির একমাত্র হাতিয়ার ছিল টুসুগান। আর ঠিক এ কারণেই এই আন্দোলন আজও অনন্য হয়ে রয়েছে 'টুসু সত্যাগ্রহ' নামে।
আওয়াজকে অনুসন্ধান করতে মোরসালিনের দিকে প্রশ্নাতুর চোখে তাকায় ছেলেটি। এক সময় সেখানে ফুটে উঠা আস্বাসের উপর ভর রেখে ছুটতে শুর করে… ব্লকের ঢালে গড়িয়ে যেতে যেতে সে পতঙ্গে মিলিয়ে যেতে থাকে। মোরসালিনের চোখ যতই ক্ষুদে বণিকটির পিছু ধাওয়া করতে থাকে, ততই যেন ব্রিজটি সামনে এগিয়ে আসতে থাকে। ছেলেটা যত নীচু হতে থাকে, ব্রিজটা ততই উঁচু হতে থাকে তার দৃষ্টিসীমাকে অদ্ভুত সব কনিক উপহার দিয়ে।
এই সিঁড়ি তৈরির সময় না জানা গেলেও ওই শিলালিপি থেকে এটা জানা যায় যে কোপানের তেরো-তম রাজা তার পূর্বসূরী স্টেলা (৬৩) কে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানাতে এই সিঁড়ি নির্মাণ করেছিলেন। হায়ারোগ্লিফিক সিঁড়িটি একুশ মিটার (৬৯ ফুট) দীর্ঘ, দশ মিটার (৩৩ ফুট) চওড়া এবং এতে মোট বাষট্টিটি ধাপ রয়েছে আর প্রতি ১২তম ধাপের কেন্দ্রে একটি বড় ভাস্কর্যযুক্ত চিত্র রয়েছে। আরেকজন প্রধান মায়া দেবতার নাম কুকুলকান। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্পদেবী মনসার সঙ্গে এই দেবতার বেশ মিল রয়েছে। কুকুলকান হলো মায়ানদের সর্পদেবতা, তার বাবা হলেন সর্পদের রাজা। কুকুলকান মূলত ডানাওয়ালা এক সরীসৃপ, যাকে মায়ারা শ্রদ্ধাভরে পূজা করতো। এই পূজার জন্য নবম ও দশম শতকের মাঝামাঝিতে তারা তৈরি করেছিল ১০০ ফুট উচ্চতার একটি পিরামিডসদৃশ উপাসনালয়। চারদিকে ৯১টি করে সিঁড়ির ধাপ, আর একেবারে ওপরে উঠার জন্যে একটি ধাপ, সব মিলিয়ে ৩৬৫টি ধাপ ছিল এই উপাসনালয়ে।
আগের পর্ব : পর্ব - ১ পর্ব - ২ পর্ব - ৩ মেঘমা থেকে বেরিয়ে ঘন্টাখানেক চলার পর বেশ কিছুটা উঠেই দেখি গাড়ির রাস্তা হাজির। তবে এই সময়ে গাড়ির ঝামেলা তেমন নেই, যারা যাওয়ার, চলে গেছে এতক্ষণে। রাস্তা থেকে দূরে চেয়ে দেখি মেঘের আড়ালে পাহাড়ের লুকোচুরি আর রোদের আলো-ছায়ার খেলা তখন-ও চলছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা আমাদের পাহাড়ের ঠিক উল্টোদিকে, টোংলু পৌঁছনোর আগে তার দেখা পাওয়া যাবে না। গেলেও এত বেলায় এই মেঘ আর কুয়াশায় সে মুখ দেখাবে বলে মনে হয় না। নিত্যম কিছুক্ষণ পরে জানালো, আর ঠিক তিনটে বাঁক পার হলেই টোংলু। প্রথমদিনের টার্গেট শেষ করার আনন্দে আমরা হই হই করে উঠলাম। শেষ বাঁকটা পার হয়ে
আলোচনাটা ছিল এম সি কিউ বা আজকাল মুখের ভাষায় যাকে বলে মাল্টিপল চয়েস – পরীক্ষা বা শিক্ষামূলক সমীক্ষা করার সেই পদ্ধতিটা নিয়ে। গুগল বলছে, এই মাল্টিপল চয়েসের উদ্ভাবক হলেন মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ এবং শিক্ষাবিদ বেঞ্জাবিন ডি হুড। মূলত একযোগে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার এবং ফলাফলের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার লক্ষ্যেই এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে স্ক্যানার এবং ডেটা-প্রসেসিং মেসিন এসে যাবার সুবাদে এই পদ্ধতি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষত আমেরিকা এবং ভারতের মত জায়গায় – যেখানে যেকোনো সরকারী পরীক্ষাতেই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, সেখানে দ্রুত সুসমঞ্জস মূল্যায়নের জন্য এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়। তারই ফলস্বরূপ আজ মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক হোক বা সরকারী চাকরির পরীক্ষা, ন্যাস হোক বা স্যাস, টেলিভিশনে রিয়ালিটি শো হোক বা পাড়ার ক্যুইজ কনটেস্ট – সর্বঘটের কাঁঠালি কলা হয়ে জাঁকিয়ে বসেছে এই এম সি কিউ বা মাল্টিপল চয়েস।
আমি কয়েক বছর আগের একটি সেলফি হামলার কথা ভুলতে পারি না। তখন দুই সন্তানকে নিয়ে দিল্লির বিশ্ব বইমেলায় গিয়েছিলাম। হঠাৎ ছোট সন্তান চোখের আড়ালে চলে যায়, তখন সবে সাত বা আট বছর তার বয়স। চলন্ত ভিড়ের মাঝখানে তাকে খোঁজার সময় আতঙ্ক আমাকে গ্রাস করেছিল। সেই মুহূর্তে আমার কাঁধে একটি হাত অনুভব করলাম, “যোগেন্দ্রজি, এক সেলফি হো যায়ে (একটি সেলফি হয়ে যাক?)”, আমি শুনলাম এবং সেটা উপেক্ষা করে চারপাশে তাকাতে থাকলাম। তখন সেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেলফি শিকারি আমাকে একপাশে টেনে নিয়ে গেল। আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝালাম এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। “অবশ্যই,” তিনি বললেন, “পর এক সেলফি তো বনতি হ্যায়”। আমি ঘুরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এই অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে এমন করলে তার কেমন লাগবে? তিনি সহানুভূতিতে মাথা নাড়লেন এবং তবুও সেলফি তুলতে গেলেন!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কে দায়ী? এইটা আসলেই রয়ের মাস্টার প্ল্যান ছিল? পাকিস্তান সদলবলে ঢুকে পড়েছিল রয়ের চালে? রয়ের নীল নকশা হলে মকবুল বাটের সমর্থনের যুক্তি কী? তিনি খুবই সুপরিচিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কাশ্মীরে ঢোকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আট বছর ধরে বিচার চলে, তিহার জেলে ফাঁসি হয় মকবুল বাটের। কাশ্মীরিদের কাছে মকবুল বাট এখনও শ্রদ্ধেয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত নাম। কাজেই এই দিক দিয়েও আসলে প্রমাণ করার উপায় নাই যে এইটা রয়ের পরিকল্পনা। পরবর্তীতে কেউ কেউ বলেন যে হাসিম কুরেশি মূলত ডাবল এজেন্ট, তিনি মকবুলের সাথে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ভারতে প্রবেশ করে এবং ধরা খান। তিনি তখন দল বদল করে ভরতের পক্ষে কাজ করে। এবং রয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গার মত পুরান একটা বিমান নিয়ে লাহোর নামে। এখানে প্রশ্ন থাকে যে তখন হাসিম কুরেশির বয়স কত? ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের উপরে রয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থা নির্ভর করবে? বিশ্বাসযোগ্য না। আবার রয়ের বেশ কিছু সাবেক কর্মকর্তা পরবর্তীতে দাবী করেছেন পুরোটাই তাদের পরিকল্পনায় হয়েছে, পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়েছে বলে দাবী করে! পাকিস্তান তাদেরকে রয়ের সদস্য বলে বিচার করলেও একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয় কেন জানা যায় না, একজনকেও কয়দিন পরে কেন ছেড়ে দিল কেন তারও কোন উত্তর নাই। দেশদ্রোহীদের এত সহজে কেউ মুক্তি দেয়? তাহলে সত্য কী? কোন দাবীই আসলে নিরঙ্কুশ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
বুড়োবুড়ির স্মৃতি
হাংরি আন্দোলন
গুরুরা সর্বত্র বিরাজমান
আসলে মা দুর্গা তো বাড়ির মেয়ে। মেয়ে যখন বাপের বাড়ি আসে, তখন কিছু না কিছু উপহার আনে। সেই সূত্র ধরে বাড়ির দুর্গার তরফ থেকে গ্রামের প্রাচীন শীতলা মন্দিরে মায়ের জন্য শাড়ি পাঠানো হয়, মানে শাড়ি পাঠিয়ে শীতলা মাকে বাড়ির উৎসবে আসার জন্য নেমন্তন্ন করা হয়। মায়ের সঙ্গে মন্দিরে ছোট গণেশ আছেন। তাঁর জন্য বাড়ি থেকে একটা ছোট কমলা পাড়ের ধুতি যায়। আবহমানকাল থেকে এই নিয়ম মানা হচ্ছে। এখন শাড়িটা ভুল করে পাঠানো হয়নি। বিসর্জন হয়ে গেলে প্রতিমা থেকে মা মুক্ত হয়ে যাবেন। তখন তো আর বাড়ির মেয়ে থাকবেন না। নেমন্তন্নও করা হবেনা। প্রথায় ছেদ পড়বে, তাই হুড়োহুড়ি।
সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি বেশ কটা গ্রাম রয়েছে। সমুদ্রের তীরে লোকের ভিড় দেখলে জায়গাটা কত জনবহুল তা বোঝা যায়। কিসুনওয়ে ও মুরেম্বওয়ে নামের অন্তরীপ দুটোর মাঝামাঝি বিকারি নামের একটা জায়গা আছে - আসলে বেশ কটা গ্রামের সমষ্টি। সেখানকার এক মুটওয়ারের আবার ভারি নজরানার উপর লোভ। বদবুদ্ধিওলা কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে দর কষাকষি করতে পারব না। তাই জিজিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না এমন গ্রামগুলো এড়িয়ে চলছিলাম। কিন্তু আমাদের জিজি পথপ্রদর্শকও পথ ভুল করল আর একাধিকবার আমাদের এইসব বিপজ্জনক জায়গাতে নিয়ে গিয়ে হাজির করেছিল।
ওই যে ভাইপো আর কাকতাড়ুয়াবাবু জন্মদিন ছড়িয়েছেন পোস্টারে
আগের পর্ব ঃ পর্ব - ১ পর্ব - ২ সকাল ৬ টায় উঠে দেখি বাইরে ততক্ষণে রোদ উঠে গেছে বেশ, আলোয় আলোকময় চারদিক! তার সঙ্গে ভয়ানক ঠান্ডা, সুতরাং স্নানের প্রশ্ন-ই নেই। তখন কি আর জানি যে পরের তিন দিন হাতে জল দিলেও ইলেকট্রিক শকের অনুভূতি হবে, স্নান তো দূর অস্ত! ফুলহাতা টিশার্টের উপর একটা হালকা উইন্ড চিটার চাপিয়ে নিলাম, কারণ যতই ঠান্ডা থাক বাইরে, ছোটোখাটো ট্রেকের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এরপরেই পাহাড়ে ওঠা শুরু হলে গরম হবেই আর রোদ-ও বেরিয়েছে বেশ তেড়ে-ফুঁড়ে। এখানে বলে দিই, আমরা আসার দিন পনেরো আগে থেকে আবহাওয়ার খবর রাখছিলাম সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের, তাতে মোটামুট সব দিন-ই দেখাচ্ছিল
#একাকী_ভ্রমি_বিস্ময়ে
কবিতায় ক্যালিপসো নাচাগানা
বৌ ঝিয়ারি লগে লইয়া ঠাম্মা যদি আইন হগ্গলরে খুশি করিয়া ধামাইল চৌতাল গাইন। শীতর রাইত চান্দর গাওত কুয়াশার চাদ্দর শিয়াল ডাকরা আনন্দে ওই বাঁশবাগান আদ্দর। কই গেলা বা রাঙ্গা কাকা কান ছিদ্দিক আলি আলু পুড়া ফুরাই গেল লই লাও ভুট্টার হালি।
জেব্রাদের এখনও কুমিরেরা টেনে নামাতে চায়
আমরা ভারতীয়রা সত্যিই লজ্জাজনকভাবে আত্মবিস্মৃত। কোন দিবস-টিবসের ছলেও আজ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মুসলমান শিক্ষিকা ফাতিমা শেখের ১৯২ তম জন্মদিনটিতে একবারও তাঁকে মনে করিনি আমরা। তার ওপর এদেশের গুগলে ফাতিমা শেখকে খুঁজলে গত ক'বছর ধরে সত্যিই অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের ঠিকুজিকুষ্ঠী বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যবসার তাগিদে হলেও উপভোক্তা দেশগুলোর ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে ভুললে চলেনা মাল্টিন্যাশনাল জায়ান্টদের। তাই গতবছর ফাতিমা শেখের ১৯১তম জন্মদিনে তাঁর এক ডুডল ছবি তৈরি করে এই প্রাতঃস্মরণীয়াকে সম্মান জানিয়েছিল মার্কিনি গুগল। তেমন আজও মার্কিন ফেসবুকই আমায় তাঁর জন্মদিনটি মনে করিয়ে দিল। আর এক ব্যস্ত-শীতল ৯জানুয়ারিতে নতুন করে প্রণম্যা ফাতিমা শেখ ফিরে এলেন আমার কাছে