এর পর লেখালেখির চারমাসের শীতঘুম ... ...
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে শ্রমিকরা আটকে পড়ে আছেন। জীবনসঙ্কট তাঁদের। নিদ্রাহীন তাঁদের পরিবারগুলো। ... ...
আমাদের সমাজের সনাতনী ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্বিত হই। আমাদের সেই সনাতনী ঐতিহ্যই আবার, এমন বহু সৌদামিনীদের ঠেলে দিয়েছিল অনিশ্চিত ভয়ংকর জীবনের দিকে... ... ...
ক্যাম্পসাইট থেকে সকালের নরম আলোয় অ্যালুমিনিয়াম পাতের মত বরফচুড়ার দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে থাকি তাঁবুর বাইরের বসার ঘরে। পাতলা নেট ভেদ করে ঠান্ডা লাগে, কিন্তু কাল রাত্রের মত নয়। রাতে -২ অবধি নেমেছিল তাপমাত্রা। শ্বাস প্রশ্বাসও অনেক স্বাভাবিক আজ। একটু পরেই সুজ্জিমামা হালকা সোনালী রঙ দেয় চুড়ায়, মোটা ব্রাশে স্ট্রোকের পর স্ট্রোক – অ্যালুমিনিয়ামের পাতখানা কাঁসার রঙ ধরে। ক্যাম্পসাইটে ঘুরে বেড়াই এদিক ওদিক। মানসীরা উঠে পড়েছে অনেকক্ষণ, অভিও উঠে ছবি তুলছে এদিক ওদিক। রান্নার তাঁবুতে গিয়ে গরমজলের কথা জিজ্ঞাসা করতে ওঁরা সোলার গিজার দেখিয়ে দেন। একটা মাঝারি জলাধারের সাথে অনেককটা সোলার প্যানেল লাগানো আর একটা কল। ... ...
এই লেখাটির প্রথম পর্বটি না পড়ে - - - দ্বিতীয় পর্বটি পড়া একদমই বাঞ্ছনীয় নয় - - - তাতে ছন্দপতন অনিবার্য ... ...
গত বছর শেষের দিকে হঠাৎ করে একবার লন্ডন যেতে হয়েছিল কয়েকদিনের জন্য, সাথে ছিল আমার ডাচ্ বন্ধু টম। হাতে সময় ছিল না একদম, কেবল একটা দিন খালি ছিল একটু। ইংল্যান্ডে অনেক দিন থাকার জন্য বহুবার ঘোরা এবং থাকা লন্ডনে, আলাদা করে আমার কিছু দেখার ছিল না। টম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কি দেখতে চাস – তাই তোকে ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেব। আমি ভেবেছিলাম চেনা শুনা বিখ্যাত জায়গা গুলো দেখবে বলবে টম! ওমা, কোথায় কি! বলে কিনা হ্যারি পটার মিউজিয়াম (ওই যেটা স্টুডিও ট্যুর আর কি) দেখতে যাবে! আমি ঢোক গিললাম, কিন্তু আর পিছোতে পারছি না – কারণ কথা দিয়ে ফেলেছি। ... ...
জানি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক গুটি কয়েক। কিন্তু আমি সরলীকরণের কারণে এইটা বললাম। আমাদের এখানে ভারত বিরোধিতা কই থেকে আসে এইটা পাগল আর শিশু ছাড়া বাকি সবাই জানে। এত পুরনো ইতিহাস যে বাংলাদেশি না এমন কাওকে বুঝানো মুশকিল যে এখানে আসলে কী চলে! প্রতিনিয়ত বেশ বড় একটা দল বা একটা গোষ্ঠী ইচ্ছামত ভারত বিরোধী কার্ড খেলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, সহজ সরল মানুষ যারা অত প্যাঁচ বুঝে না তারা নিয়ম করে এই ফাঁদে পরে! বুঝে না বুঝে ভারত সব শেষ করে দিল বলে বসে থাকে। পরাষ্ট্রনীতির প- ও জানি না, কিন্তু মন্তব্য করতেছি বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে। এই দেশের রাজনীতিতে ভারতের সমর্থন আর ভারত বিরোধিতা দুইটা বড় একটা অস্ত্র। ভারতের যারা ভারত বিরোধিতা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে তারা বিষয়টা গভীর করে ভাবছে না। এই দেশে সামনে নির্বাচন, এই সময় যে ভারত বিরোধিতা বাড়বে বা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এইটা খুব সহজ হিসাব। কিন্তু ওই যে বললাম যারা বাংলাদেশি না তাঁদের পক্ষে এইটা বুঝা মুশকিল। তবে তাঁদেরও আসলে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই, কারণ আমাদের ভারত বিরোধিতাও ওই মুখে মুখেই। পেট মোচড় দিলেও চিকিৎসার জন্য ভারত যায় এই দেশের বহু লোক। ... ...
এপার বাংলায় পশ্চিম প্রান্তের তিন জেলা মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে বেড়ে উঠেছিল এক রাজনৈতিক আন্দোলন। কিন্তু এই মাওবাদী আন্দোলন হঠাৎ একদিন আকাশ থেকে পড়েনি। কোন পরিস্থিতিতে, কোন প্রেক্ষাপটে জঙ্গলমহলের রুক্ষ মাটিতে এই আন্দোলনের বীজ বপন হয়েছিল, তা নিয়েই রাজনৈতিক উপন্যাস ময়ূরঝর্ণা। ময়ূরঝর্ণা শুধুমাত্র একটা গ্রামের নাম নয়, এক স্বপ্নেরও নাম! ... ...
শীত মানেই খাওয়া দাওয়ার মরসুম। এ মরসুমে শীতের খাবারের কথা না বললে চলে! ... ...
একটি বাংলা টিভি চ্যানেল প্রোগ্রাম করেছে "ভারতবিদ্বেষী" বাংলাদেশের ক্রিকেট টীমকে আইপিএল'এ নিষিদ্ধ করা হোক। ... ...
মেনকা নিশ্চয় হ্যালুসিনেট করছিল। এইসব ডিজিটাল সহকারীদের মাঝে মাঝে গল্প বলতে বললে একদম বানিয়ে বানিয়ে এসব গাঁজাখুরি গল্প বলে। ... ...
আমাদের সমাজের সনাতনী ঐতিহ্যের গৌরবে আমরা উৎফুল্ল হই। আমাদের সেই সনাতনী ঐতিহ্যই আবার, এমন বহু সৌদামিনীদের জীবন নষ্ট করেছিল। তার দায় আমাদের নয়? ... ...
এ্যাঁ! তিনিবাবু! এটা আবার কারুর নাম হয় নাকি? আমি, আপনি, উনি, তিনি এসব তো সর্বসাধারণের যে কেউ হতে পারে, অর্থাৎ সর্বনাম। পরিবর্তনশীলও বটে। যেমন ধরুন, আপনি আমার কাছে আপনি কিন্তু আপনি আপনার কাছে আমি। আমরা তো সেই অর্থে সবাই একই সময়ে আমি, আপনি, উনি, তিনি হয়ে বিরাজ করি। ... ...
অত:পর বিরিঞ্চিবাবা দুই বাহু প্রসারিত করে সূর্যকে নির্দেশ দিলেন, "ওঠ্, ওঠ্, ওওওওঠ্"। সূর্যবিজ্ঞান যাঁর হাতের মুঠোয়, তাঁর আহ্বানে অতএব সূর্যোদয় হল! ঐ বেথারটোলির উপর দিয়েই নন্দাদেবী, বেথারটোলি, নন্দাঘুন্টি, ত্রিশূল, দুনাগিরিকে সাক্ষী রেখে শতসহস্র উজ্জ্বল রশ্মির দ্যুতির সপ্তাশ্বরথে চড়ে তিনি আবির্ভূত হলেন। আর আমরা চন্দ্রশিলায় উপনীত মর্ত্যলোকের কীটপতঙ্গ সমুদয় চর্মচক্ষে সেই স্বর্গীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলাম! ... ...
এই ক্রিকেটের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টরা একটা জঙ্গী, উগ্র দেশপ্রেম তৈরী করেছে, যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো সম্পর্কই নেই। ... ...
অন্য দিকে মুসলিমদের অবস্থা চিন্তা করে দেখেন। মুসলিম ব্রাদারহুড মুসলিম উম্মাহ এগুলা আমার কাছে ভুয়া কথা মনে হয়। কোন কার্যকর ব্যবস্থা এদের দ্বারা আজ পর্যন্ত নেওয়া হয় নাই। মুসলিমরা বর্তমান সময়ে ভাগ্য বিতাড়িত জাতি বলে মনে হয়। কেন? ইয়েমেনে মানুষ মেরে ফিনিশ করে দিচ্ছে অথচ কোথাও কোন টু শব্দ হয়নি। না মুসলিম বিশ্বে না মানবতার, মানবধিকারের আঁতুড়ঘর ইউরোপের কোথাও কেউ কোন প্রতিবাদ করছে, কেউ বলতে পারবে না এই মানুষ মারার জন্য কোন একটা উন্নত দেশে রোড মার্চ হইছে, মানুষ জমায়েত হয়েছে, বিক্ষোভ হয়েছে। এর থেকে সামান্য ঘটনায় সিডনি থেকে বার্লিন নিউ ইয়র্ক থেকে প্যারিসে মিছিল শুরু হয় যেতে দেখছি আমরা। শুধু ইয়েমেন না, সিরিয়ায় যা হয়েছে তার প্রতিবাদই কয় জায়গায় কে করেছে? কেউ না। মুসলিমরাও যখন দেখে ঘাতক এখানে মুসলিম তখন তারাও চুপ! পশ্চিমা বিশ্ব তো বটেই, ডাবল স্টান্ডার্ড দেখাইতে মুসলিমরাও পিছিয়ে নেই। মুসলিমরা যখন এক সাথে একমাত্র ইহুদিদের আকামের সময় চিৎকার করে তখন কেউ কেউ এর ভিতরে অন্য কিছু খুঁজে পায়। কেউ কেউ বলে মুসলিমদের রক্তের ভিতরে জিনের ভিতরে ইহুদি বিদ্বেষ ঢুকে আছে, তখন আসলে কিছু বলার থাকে না। এই বলার অধিকার সম্ভবত মুসলিমরাই দিচ্ছে। ... ...