কাগুজে গুরু কী?
শুনে ঘাবড়ে যাবেন না, শুধু এই সাইটেই রক্ষে নেই, আমাদের একটি ছাপা পত্রিকাও আছে। তারও পোশাকি নাম গুরুচন্ডালি। আদর করে কাগুজে গুরু বলে ডাকা হয়। মাসে একবার প্রকাশিত হয়। এমনিতে নেটে আমরা প্রতি সপ্তাহে একগুচ্ছ করে লেখা প্রকাশ করি, যার পোশাকি নাম বুলবুলভাজা। একটি সাময়িকীও বের করা হয় অনিয়মিতভাবে, যা আমাদের সাইটেই পাওয়া যাবে। কাগুজে গুরু নেটে প্রকাশিত এই সাপ্তাহিক বুলবুলভাজার ছাপা সংস্করণ নয়। গুরুচণ্ডালি সাময়িকীর টুকরোটাকরাও নয়। নেটের গুরুচণ্ডালি এমন এক ভার্চুয়াল স্পেস, যেখানে এক ঘাটে জল খায় তাবৎ গুরু ও চণ্ডাল। গুরুচণ্ডালি মানে শুধুই ফুক্কুড়ি নয়, আবার কেবলই অকাতর গম্ভীর জ্ঞানবিতরণ নয়। গুরুচণ্ডালি মানে শুধু লেখকদের জ্ঞানদান নয়, পাঠকের স্পষ্ট মতামতও। গুরুচণ্ডালি মানে শুধু পত্রিকা নয়, একটি অনলাইন ঠেকও। নতুন কিছু নয়, যাঁরা আমাদের সাইট পড়েন, তাঁরা এসব গপ্পো জানেন। ছাপা গুরুও অবিকল এই চরিত্রেরই জিনিস। শুধু একটি পত্রিকা নয়, সম্পূর্ণ অন্য একটি জিনিস, যেখানে আছে বুলবুলভাজার সাম্প্রতিকতা, সাময়িকীর ছোঁয়া, ভাটিয়ালির ইনফর্মাল ফুক্কুড়ি, গল্পগাছা, লেখক-পাঠক ডায়ালগ। এছাড়াও গুচ্ছের জিনিস আছে, যা লিখে বোঝানো শক্ত। বুঝতে গেলে পড়তে হবে, না পড়লে মিস করতে হবে। কীরকম? একটু চেখেই দেখুন না।
কাগুজে গুরু কেন?
নেটে পত্রিকা তো ছিলই, খামোখা ছাপা কাগজ কেন? আপাতত: উদ্দেশ্য একটাই, আরও বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছনো। আর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল একটি বিকল্প গণমাধ্যম তৈরি করা। এখন এসব শুনলে রসিকতা মনে হতে পারে। ঢাল নেই তরোয়াল নেই, বড় বড় কথা মনে হতে পারে। দ্বিধাহীন চিত্তে হাসুন, ক্ষতি নেই। রাগ-ফাগ করবনা, বরং আমরাও সঙ্গে যোগ দেব। কিন্তু হাসিঠাট্টার কার্নিভ্যাল শেষ হলে মনোগত বাসনা এটা থেকেই যাবে, যে, বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী?
কেন পড়ব?
বলা শক্ত। আমরা একটি কথা বলতে পারি, যে, পড়লে আপনার চাট্টে হাত গজাবেনা। মাথার পিছনে দেখা যাবে না দিব্যজ্যোতি। তবে হ্যাঁ, এমন কিছু মিস করবেন, এমন কিছু হারাইবেন, যা হারাইলেন বলে নিজেই জানবেন না। কী হারাবেন? আপনি হারাবেন নিজের কন্ঠস্বর। গুরুচণ্ডালি শুধু পড়ার জিনিস নয়। অংশগ্রহণ করার বস্তু। যা আপনার নিজের। একাধারে পড়া, লেখা, ফুক্কুড়ি করা, আড্ডা দেওয়া, গাল দেওয়া এবং ভালোবাসা, এই সবকটা থেকেই বঞ্চিত হবেন।
লিখব কীকরে?
নেটে লিখতে পারেন। ভাটিয়া৯ বা টইপত্তরে ক্লিক করে সোজা লিখতে শুরু করুন। হাতে গরম লিখবেন, হাতে গরম মতামতও পাবেন। সেখান থেকে তুলে আমরা লেখা ছেপেও থাকি। অথবা শুধু প্রকাশের জন্য পাঠালে [email protected] - এই ঠিকানায় ই-মেইল করে দিতে পারেন। লেখা ইউনিকোডে লিখবেন, অথবা আমাদের ফন্টে। আমাদের ফন্টে কীকরে লিখতে হবে, জানতে হলে আমাদের সাইটের সফটওয়্যার সেকশনে চলে গিয়ে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। ঝপাঝপ লিখুন, চট করে পাঠিয়ে দিন। আমরা আমাদের লেখা সম্পর্কে মতামত/নিজস্ব লেখা/বন্ধুত্ব/সাহায্য/উষ্ণ হাতের ছোঁয়া পেতে আগ্রহী।
কোথায় পাব?
নেটে গ্রাহক হতে পারেন -- বিশদে জানার জন্য মেল করুন এই ঠিকানায় -- [email protected] । পাবেন বিশ্বের সর্বত্র। কলকাতায় পাবেন অনেকগুলি ঠেকে (কাগুজে গুরুর প্রাপ্তিস্থান অ্যালবাম দেখুন)। পাবেন দিল্লী ও ব্যাঙ্গালোরে। আরও কিছু জায়গায়ও পাবেন। বিশদ বিবরণের জন্য এই পাতায় নজর রাখুন।
আমি যুক্ত হতে চাই। লিখতা চাই পড়তে চাই। সদস্য হতে গেলে কি কি নিয়মকানুন পূরণ করতে হয়? যদি জানান ভাল হয়।
আমি নিয়মিত আপনাদের লেখা পড়তে চাই। কিভাবে পাব ? আপনাদের ফেসবুক পেজ আছে?
আমিও আপনাদের অগুনতি ভক্ত পাঠকদের মধ্যে নগন্য একজন। আপনাদের সফলতা কামনা করি।
ঐ ফন্টে কি করে লেখে তাতো আমি জানি না । আমি গোগোল ইন্ডিকে লিখি । মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখি । প্রচুর লিখি । লিখতে লিখতে হাঁফিয়ে যাই । এখন প্রকাশিত হতে চাই । পথ দেখান ।
মতামত------ভালো লাগছে ।
ব্লগে ধারাবাহিক শুরু করেছি৷ বিশেষ শিশু বিষয়ক৷ সেটি বই আকারে ছাপতে চাই৷ খরচাপাতি নিজস্ব৷ কি করতে হবে?