বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন। বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা ... ...
এখন তো সবই বেদে আছে বললেই সমস্যা মিটে যায়। তবে কুমারী পূজার সমস্যা বোধহয় মেটে না। কারণ বেদে এই প্রথার উল্লেখ আছে বলে জানা নেই। তন্ত্রপুরাণে আছে। তবে বেদ পরবর্তী কালে এর উদ্ভব এতে সন্দেহ নেই। আমাদের পীঠস্থান বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে এর প্রচলন অতি অধুনা। স্বামী বিবেকানন্দ কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে এক মুসলমান কন্যাসন্তানের মধ্যে দেবীভাব দেখেছিলেন ও তাকে পূজা করেছিলেন। তারপর থেকেই মিশনে এই কুমারী পূজা চালু হয়। এখন তো অনেকখানেই হচ্ছে।তবে কখনোসখনো দু একটি ছুটকো খবর উড়ে এলেও আর কারো হিম্মত হয়নি 'বেজাতের' কুমারী এনে পুজোবেদীতে বসাবার। শাস্ত্র বলে কুমারীর জাতধর্মবর্ণ না দেখলেও চলে, কিন্তু পুজোর সময় মিশনসহ সব ... ...
বেনেগাল লিখেছেন, "বোম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়েই ভেবেছে, সত্যজিৎ রায় ভারতের জন্য ঠিক কাজ করছেননা। রাজকাপুরের সঙ্গে তাঁর একবার বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। রাজ কাপুরের সিনেমা 'জাগতে রহো' পরিচালনা করেছিলেন বাংলার বিখ্যাত নাট্যপরিচালক শম্ভূ মিত্র। সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের যা উচ্চতা, নাটকে তিনি তার সমানই ছিলেন। শম্ভূ সিনেমাটা বানিয়েছিলেন, এবং ১৯৬৪তে কারলভি ভেরি উৎসবে সেটা রাজকাপুরকে সেটা একটা পুরষ্কারও জিতিয়ে দেয়। ওই একই বছর ভেনিসে অপরাজিত জেতে স্বর্ণ সিংহ। তারপর রাজকাপুর এবং সত্যজিৎ রায়ের কোনো একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়। সত্যজিৎ বলেন, বাংলা সিনেমার জন্য এটা একটা বিরাট সম্মান। রাজ কাপুর বলেন, 'বাংলা কেন, আপনি ভারতীয় না? আপনি কেন বলেন, আপনি একজন বাঙালি চিত্রপরিচালক?' সত্যজিৎ বলেন, ... ...
সিপিএম রাজ্যে শূন্য হবার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে তার অবস্থান সম্পর্কে মানুষের ঔৎসুক্যের আর কোনো অভাব নেই। বলা বাহুল্য গোটাটাই পার্টি বিরোধী প্রচার ও শ্লেষাত্মক। তাতে অসুবিধা নেই। তবে সিপিএম সমর্থক রা যাতে নিজেদের মেটেরিয়াল ক্যাটালোগিং করতে পারেন তার একটা ব্যবস্থা বাংলার নতুন সামাজিক মাধ্যমে হল।
শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন ... ...
অন্ধকারের সপক্ষে অথবা তেতো কথার ফুলঝুরি অথবা ভুলেও পড়বেন না ইমানুল হক আমরা যা শিখি ভুল শিখি! অথবা যা শেখাই ভুল শেখাই!সত্যি অথবা সত্যি নয়।আসলে প্রশ্ন করানো শেখানোই যে শিক্ষকের কাজ তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু উত্তর এবং উক্ত উত্তরের জন্য প্রাপ্য উত্তরীয়টি তথা মার্কশিট তথা শংসাপত্র আমাদের লক্ষ্য।শিক্ষা উপলক্ষ মাত্র।দ্রোণাচার্যের নামে পুরস্কার।কেন?উচিত ছিল তো তিরস্কার চালু করা। কারণ এক শিষ্যের স্বার্থে একজন স্বশিক্ষিতর বৃদ্ধাঙ্গুলি কর্তন।ছেলেটি, তথা একলব্যের অপরাধ কী?সে দ্রোণাচার্যকে গুরু পদে মনে মনে বরণ করেছে।তার মনে তো ক্ষত্রিয় বা ব্রাহ্মণের প্রশংসালাভ লক্ষ্য।সেই লক্ষ্য যে ভুল তা তো তাকে কেউ বলে নি।বলে নি। কিন্তু বললেও যে খুব লাভ হতো তা নয়।কারণ তথাকথিত ... ...
১মরমী আত্মধিক সাধক লালন ফকিরকে তার অনুসারীরা সাঁই হিসেবে ডাকেন, তিনি মোটেই মুঘল পদবী ধারী "শাহ্" নন! অজ্ঞতা বশত: এটি একটি বহুল প্রচলিত ভুল। বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক "লালন শাহ্ (?) সেতু" বানিয়ে অজ্ঞতাটিকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। আবার কিছু বাউল নিজেরাই উদাসীনতায় নামের ক্ষেত্রে "শাহ্" কথাটি ব্যবহার করেন, যেমন আরেক বিখ্যাত বাউল "শাহ্ আব্দুল করিম"। কিন্তু বংশ লতিকা খুঁজে তার সাথে মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক বর্গের কোনো যোগসাজস না পাওয়ারই কথা। "সাঁই" কথাটির ভাবার্থ হচ্ছে -- বাবা, কর্তা, গুরু, পথ প্রদর্শক ইত্যাদি। লালন ফকির ছিলেন একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক। \ ... ...
এইসব সময়ে রাজ কাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা যাবার পর বাংলায় টানা শোকজ্ঞাপন চলছে। পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলায়, এপার এবং ওপারে। সামাজিক মাধ্যমে, গণমাধ্যমে। কিন্তু তথাকথিত সর্বভারতীয় মাধ্যমে তার কণামাত্র নেই। কোনো খবর নেই, বলা যাবেনা হয়তো, এক-আধ লাইন কোথাও বলা হয়ে থাকতেই পারে, কে আর টানা টিভি দেখে, বা সমস্ত চ্যীনেল দেখে। কিন্তু মোটের উপর অভ্রংলিহ নীরবতা। যেন কোথাও কিচ্ছু হয়নি। কোনো মহীরূহ পতন? বালাই ষাট। এইসব সময়েই রাজকাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সর্বভারতীয় মাধ্যমের অশ্রুজল ইত্যাদি। সেই আশির দশক থেকে ২০১২। কিছু বদলায়নি। সর্বভারতীয় টিভি দেখে মনে হয়েছে, এঁরা ছিলেন 'ভারতীয়' সিনেমার রূপকার। ... ...
কীটসের 'Beauty is truth, truth beauty -' নিয়ে দুনিয়াজোড়া পাঠকসমাজে মাতামাতি যত বেশি বুঝাবুঝি যেন ততটাই কম। এই পংক্তিটি নিয়ে বাঘা বাঘা ক্রিটিকদের মধ্যে বিংশ-একবিংশ শতকজুড়ে বিতর্কও কম হয়নি। নিচের উইকিপিডয়া লিংকটিতে গোছানোভাবে সেই বিতর্কের বিবরণ দেওয়া আছে। 'Beauty is truth, truth beauty-' নিয়ে বিতর্কের উইকিপিডিয়া নিবন্ধের লিংক: সাধারণভাবে ভেবে দেখলে কীটসের 'Beauty is truth, truth beauty-' কথাটির কোনো অর্থ হয়না। ক্রিটিকদের অনেকেই এই মত পোষণ করেন, যেমন:Bridges believed that the final lines redeemed an otherwise bad poem.Sir Arthur Quiller-Couch responded with a contrary view and claimed that the lines were "a vague observation – to anyone whom life ... ...
আমরা যারা ওনাকে চিনতাম... প্রায় কিছুই চিনতাম না ওনাকে। কেউ পড়েছি ওনার কাছে। কেউ আবার পরীক্ষা দিয়েছি। অনেকেরই আবার বিভিন্ন হাসপাতালে-ক্লিনিকে ওনার হাউসস্টাফ, রেজিস্ট্রার কিংবা Associate Consultant হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। বলা হয় ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের পরে নাকি অমন Clinical Acumen ও অগাধ পান্ডিত্য আর বেশী চিকিৎসকের ছিল না। ক্লাসে পড়াতেন এবং বেডসাইড ক্লিনিকে শেখাতেন এক্কেবারে নিজস্ব ঘরানায় । শ্লেষ-স্যাটায়ার- ব্ল্যাক হিউমার মিলিয়ে-মিশিয়ে যে মেডিসিন পড়ানো যায়.... আর কে জানতো? সক্কলকে "আপনি" বলে সম্বোধন করতেন বলেই হোক বা আপাত-রূঢ় বাক্যপ্রয়োগের জন্যই হোক - ... ...
ভারতবর্ষ কি অখণ্ড একটা অস্তিত্ব? টিভিতে যেমন দেখায়? এই নিয়ে আগেই কথা হচ্ছিল, কিছুতে ছবিতে গল্পও থাকুক। পুং ও নারীর সংখ্যানুপাতঃ লেখাপড়ায় লিঙ্গবৈষম্যঃ সাক্ষরতাঃ জন্মহারঃ তফশিলি জাতির উপর অপরাধঃ অস্পৃশ্যতার মাপজোকঃ এ ছাড়া আরও অনুরূপ তথ্যাবলী আছে। আপাতত এই কটাই থাক। সবকটাতেই দেখবেন সমস্যাজনক এলাকা বলে চিহ্নিত একটিই এলাকা। গোবলয়। তা, পয়েন্ট একটাই। টিভি যখন দেখায়, 'ভারতে অস্পৃশ্যতার অভিশাপ' বা অনুরূপ কিছু, তখন, সেটি মূলত একটি এলাকার অভিশাপ। বাকি এলাকা সমস্যামুক্ত এমন না, কিন্তু অভিশাপটি একটি এলাকারই। টিভি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্য তেমন বলেনা। কারণ, এখন ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত, দ্যাট ইজ হিন্দুস্তান। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান। এবার ভারতবর্ষকে সমতল, সমসত্ত্ব -- এই থিয়োরি আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা আপনার ব্যাপার। গোবলয়ের সংস্কৃতি এখন ভারত রাষ্ট্র শাসন করে। ... ...
বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে রাধাকৃষ্ণ সর্বাধিক পূজনীয়। বৈষ্ণবধর্ম তো রাধাকেন্দ্রিক। আবার সাহিত্যাঙ্গনেও রাধাকৃষ্ণ দখল করে আছে বিস্তর জায়গা। সেই রাধার পরিচয়োদঘাটন করার জন্য এই পোস্টটি। রাধার শাস্ত্রীয় পরিচয়ের পূর্বে কৃষ্ণের শাস্ত্রীয় পরিচয় কিছুটা জেনে নেয়ার প্রয়োজন আছে। ঋগ্বেদের কয়েক জায়গায় কৃষ্ণের উল্লেখ পাওয়া যায় কিন্তু তাঁরা দেবকীনন্দন বা মহাভারতের বা বর্তমানে যাঁর পূজা করা হয় সে কৃষ্ণ নন। তবে, অথর্ববেদে কৃষ্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়। বেদ আরও বেশি অধ্যয়ন করলে কৃষ্ণ নাম পাওয়া না গেলেও কৃষ্ণের বৈশিষ্ট্যধারণকারী বেশ কিছু নামের উল্লেখ আছে। তবে, সেই বৃহৎ শাস্ত্র থেকে খুঁজে বের করে আনা একটু কঠিন। ... ...
বিশ্বের উন্নততম দেশে নির্বাচনের সার্কাস শুরু হয়ে গেল। আজ ছিল প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক। এক মঞ্চে ট্রাম্প-বাইডেন। নির্বাচনের বাজারে প্রথমবার। কী হল? সংক্ষেপে, সে এক কান্ড বটে। উন্নততম দেশের সার্কাসও উন্নততম। খাজনার চেয়ে বাজনা সবসময়েই বেশি। হোয়াইট হাউস, আমেরিকা, সিএনএন, সব গামা-গামা ব্যাপার। তার উপর, টিভিতে প্রাইম-টাইমে দেখায় বিজ্ঞাপন-টন ছাড়া। আমরা হুজুগে পাবলিক, তাই দেখতেই হয়, নইলে সত্যি বলতে কি, এর জায়গায় হনুমান-চালিশা-পাঠের প্রতিযোগিতা করলেও খারাপ কিছু হতনা। ইসু-টিসু, প্রশ্নোত্তরের বালাই নেই, যা হল, তা পাতি ঝগড়া। তাও ভালো কিছু না। সোশাল মিডিয়ার ঝগড়া এর চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। তৃতীয় বিশ্বের ট্রেনে 'তুই-আমার-পা-মাড়িয়ে-দিলি-কেন-রে-ট্রেন-কি-তোর-বাবার' চুলোচুলি অনেক বেশি কুশলী। পাড়ার মোড়ে কলের লাইনের ... ...
শিবপ্রসাদ নন্দিতার বানানো কিছু সিনেমার বিশেষ অংশ বা মূল নির্যাস ।বেলাশেষে : বাবা মার ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করে ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ, জামাই সবাই মিলে বসে দেখছে ।প্রাক্তন : "Adjustment মানেই হেরে যাওয়া নয় "। বিবাহিত মেয়ে চাকুরীজীবী এবং career এ উচ্চাকাঙ্খী হলে তার বিয়ে টিকবে না এবং তার জন্য শুধু সেই দায়ী থাকবে ।পোস্তো : একজন working mother এর পক্ষে বাচ্চা মানুষ করা সম্ভব নয় । মুল কথা হলো এই দুজন মিলে প্রশ্নাতীত ভাবে খারাপ সিনেমা বানান তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে এদের সিনেমা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক । এদের বানানো সিনেমা মানুষকে গুহাবাসী করে তুলতে চাইছে। এদের ... ...
ক্যাঁচকোচ শব্দ তুলে জং ধরা লোহার দরজাটা খুলে গেলো। পুরনো, অতএব শব্দ হবেই। আর শব্দের পেছন পেছন বেরিয়ে এলো হাবু আর ইয়াসিনদের ছোট্ট দল।অর্জুনপুর থেকে বাজপুর হয়ে আরো খানিক দূরে যায় ওরা। পরাণ আর সাবির এই পুরনো লোহালক্কড়ের জিনিস কেনাবেচার কাজে প্রথম থেকেই ছিলো ওদের দুজনের সাথে। সাধারণত ওরা যায় দুই আলাদা দিকে দুজনের দুটো দলে ভাগ হয়ে, কিন্তু আজ ঘটছে কিছু অন্যরকম। কাঁকনতলার বড়ো তরফের বাড়ির উঠোনে বসে বাড়ির পুরনো সব ঢালাই লোহার রেলিং আর লোহার আসবাবের সাথে আরো টুকরোটাকরা ধাতব জিনিস দেখতে দেখতে ওদের চারজনের অভ্যস্ত চোখ যখন বুঝে নিচ্ছিলো যে এগুলো কিনে বেচতে পারলে লাভ মন্দ হবে ... ...
বাজনার আওয়াজের এমন প্রয়োগও হয় ! সত্যজিৎ পেরেছেন।
কালকূট ছদ্মনামে লেখক সমরেশ বসু শাম্ব উপন্যাসটি লিখেছিলেন। এটি ১৯৭৮ সালে দেশ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। দু বছর পরে ১৯৮০ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পায়। পুরানের একটি গুরুত্বহীন কাহিনী ও চরিত্র এই উপন্যাসের মূল কাহিনী ও চরিত্র।
শিবপুর প্রেসিডেন্সি ধ্বংস প্রাতিষ্ঠানিক। তাতেও কাঙালিদের সায় । শিবপুর কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে গেলে নাকি ভালো হবে।দেশের আইআইটিগুলো থাকা সত্ত্বেও শিবপুরের নাম ছিল দেশে সর্বোচ্চমানের। দেশের দ্বিতীয় ভালো প্রতিষ্ঠান ছিল।এখন?প্রেসিডেন্সি কলেজ ছিল মানবিক বিদ্যায় দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান।বিজ্ঞানে দ্বিতীয়।কোনওবার সেন্ট জেভিয়ার্স কোনওবার সেন্ট স্টিফেন্স হতো প্রথম বা দ্বিতীয়।লোকে, বললো, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বশাসিত হলে ভাল্লো হবে। এখন ১৫০-র মধ্যেও আসে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যাদবপুর এখনও দেশের চার নম্বর প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ragging বিরোধিতার নামে যাদবপুর ... ...
এই সেই বাড়ি, যেখানে ডায়পার পরে রবীন্দ্রনাথ হামাগুড়ি দিয়ে বেড়িয়েছেন চত্বর থেকে চত্বরে। হাঁটু ছড়ে গেছে, ট্রাইসেপ টনটন করেছে, বেবি ফ্যাট ঝরে গেছে। কিন্তু কালো বলে কেউ তাঁকে কোলে তোলেনি। বড় হয়ে ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে রবীন্দ্রনাথ বাড়ি ছেড়েছিলেন। খালি পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছিলেন শিয়ালদহে, কাটিয়েছেন উদ্বাস্তু জীবন। তখন জায়গাটাকে শিলাইদহ বলা হত। বাংলার ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথই প্রথম উদ্বাস্তু। এক নম্বর প্লাটফর্মে বসে মনের সমস্ত ক্ষোভ উজাড় করে রবীন্দ্রনাথ লেখেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস গোরা। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, যে, ফরসা হলেই ছহী হিন্দু হওয়া যায়না। যতই পুজো কর, আচারবিচারের ভড়ং কর, শেষমেশ জানতে পারবে তুমি বিধর্মী। এখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় আরেক কালোপুরুষের ... ...
তখন ভারত .......১৯৬২তেই চীনের কাছে বেদম অসন্মান হয়েছে। একতরফা জিতে চীনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ফিরে গেছে নিজের দেশে। রেখে গেছে তিক্ততা ও লজ্জা। দু বছর পরেই ভগ্নহৃদয় নেহেরু মারা গেলেন আর প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলেন প্রায় অখ্যাত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।খাদ্য সংকট তখনো চরমে ওঠে নি কিন্তু ভাঁড়ার শুণ্যই। ভুখা মিছিল চলছে রাস্তায়। দক্ষিণ ভারতে ভাষা দাংগা চলছে - ভারত ছাড়বার হুমকী। আর পাঞ্জাবেও গন্ডগোল। অর্থনীতি নিতান্ত ধুঁকিয়ে চলছে। র্যাশন শপ থেকেই খাবার কিনতে হচ্ছে, তার মধ্যে বাজার থেকে প্রায়ই উধাও হয়ে যাচ্ছে দরকারী পণ্য। এবং মুদ্রাস্ফীতি।ভারত, ভালো নেই। আর পাকিস্তান………পাকিস্তানের জন্ম থেকেই সিংহাসন নিয়ে টলোমলো অবস্থা। এর মধ্যে আইয়ুব খান, মিলিটারীর সর্বাধিনায়ক ... ...