প্রচলিত একটি ধাঁধা এবং সেই ধাঁধার সমাধান, আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু তাসত্ত্বেও যেহেতু আমরা একে অন্যকে ততটা বুদ্ধিদীপ্ত বলে মনে করি না, তাই সুযোগ পেলেই নিজেকে যথেষ্ট চালাক প্রতিপন্ন করার জন্য সাদা কাগজে কলম দিয়ে একটা ছোট সরলরেখা টেনে বা মেঝেতে চক দিয়ে অনুরূপ রেখা টেনে প্রশ্ন করি, বলুন তো এই রেখাটির বিন্দুমাত্র অঙ্গহানি না করে কীভাবে রেখাটিকে ছোট করা যায়? যাকে প্রশ্নটা করা হলো, তিনি যদি মোটামুটি অভিনয়কলা রপ্ত করে থাকেন, তাহলে প্রথমটা না জানার ভান করে বিস্ময় প্রকাশ করবেন। তাই তো, তাই তো, এটা কী করে সম্ভব! তারপর কিছুক্ষণ বগল চুলকে সমাধান বের করার ভঙ্গিতে বলবেন, ধরে ... ...
তেলেঙ্গানার সুরাইয়াম্মা ৩৬ বছরের হাসি খুশি একজন যুবতী। স্বামী ও দুটি সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। স্বামী যথেষ্ট কেয়ারিং এবং প্রতিষ্ঠিত, নিজেও অনলাইনে জব করে ভালোই আয় করেন। হঠাৎ করেই সুইসাইড করলেন। কারণ খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা পরিবার যখন অথৈ জলে তখনই ক্রেডিট কার্ডে প্রায় নয় লক্ষ টাকা ধারের স্টেটমেন্ট এলো বাড়িতে। বিহারের শাশারাম থেকে মুম্বাইয়ে রোড কন্সস্ট্রাকশানে কাজ করতে আসা ভিনীত কুমারের মৃতদেহ পাওয়া গেল ভিরারের একটি চৌল থেকে। তারও ক্রেডিট কার্ডে ধারের পরিমাণ সাড়ে চার লক্ষ টাকার মতো। এমন অনেক ছোট বড় ঘটনা আপনার ব্যস্ত জীবনের নজর এড়িয়ে ঘটে যাচ্ছে। আপনি হয়ত পড়ছেন, কিন্তু গভীরে ঢুকছেন না এবং ভুলে যাচ্ছেন। মোবাইল এ্যাপে লুডো, ... ...
এই বালকই যে আমার আসল গন্তব্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাক্ষসকুলে জন্ম নিলেও সে যে প্রকৃত কৃষ্ণ ভক্ত সেটা বোঝাই যায়। যে বালক শ্রীকৃষ্ণের হাতে মৃত্যুবরণ করে মোক্ষলাভ করার আশায় তপস্যা করতে পারে, দেবতাদের সন্তুষ্ট করতে পারে, তাকে দেবতারাই বা বর না দিয়ে কি করে থাকে আর আমিই বা কি করে তাকে ইষ্ট না মেনে থাকতে পারি? একদিকে যেমন তার ধমনীতে বইছে ক্ষত্রিয় কুলের রক্ত, আর একদিকে বইছে রাক্ষসকুলের রক্ত আর মনে বইছে মোক্ষলাভের অদম্য বাসনা। সেই বালক যে কুরুক্ষেত্রের শ্রেষ্ঠ বীর হবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু সেই বালকের প্রতিজ্ঞা বা সংকল্পের কারণে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অংশ নেওয়া পাণ্ডব ... ...
ত্রিনয়ন = ৩৯ 39 = EPR ( by Gematria)আদ্যক্ষর।(Einstein - Podolsky - Rosen )120 = Psychic Being ! (by Gematria)সুতরাংত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন একটু জিরো = EPR -O-EPR-PSYCHIC-BEING = ৩৯০৩৯১২০ = 39039120 এই কোড টি প্রথম ব্যবহার করেন সত্যজিৎ রায় তাঁর ফেলুদা কাহিনী : ঘুর্ঘুটিয়ার ঘটনা তে ।তবে এখানে সেটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে।১৯৩৫ সনে প্রকাশিত *EPR - PARADOX* paper, যা কোয়ান্টাম তত্ত্বে দিলো নতুন দিশা, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে : Albert Einstein এর পুনর্জন্মের খবর !!আইনস্টাইন এর নবজন্ম হয়েছে , গত ১৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে ! কলকাতায় !!ইতি :Nilanjan Chatterjee = Albert Einstein + Q = 170 ( proof : by ... ...
১মেলায় গিয়েছিলাম, জানো? কতজনের সঙ্গে দেখা হ’ল। মনে আছে তোমার, ওই যে নিশীথ দা গো — যাকে তোমরা “নিষিদ্ধ” ব’লে ডাকতে কলেজে, আর সে বেচারি কী অপ্রস্তুত হয়ে তোতলাত — তার সঙ্গে প্রায় মুখোমুখি। খুব চেনাচেনা লাগছে অথচ মনে পড়ছে না, শেষে ওই থুতনির কাছের কাটা দাগে মনে পড়ল — আমাকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেও কিছুটা থমকে চেনার চেষ্টাতে ছিল মনে হ’ল - সেই চিনতে পারল, মুচকি হেসে বলল - "সুলগ্না না? অঙ্কের?" আমার তো এদিকে আসল নাম মনে পড়ে না শুধু মাথায় "নিষিদ্ধ" ঘুরছে, দাদা দাদা করেই কথা চালালাম। কী করব, যা সব নাম দিয়ে রেখেছ আমাকে ... ...
হিসেব রাখা—বড় দায়।নিজের হিসেব? ধারণা, বক্তব্য, আর যাপনের গরমিলের হিসেব? আরও কঠিন। যদিও আমাদের, বাঙালিদের সুবিধে একটু বেশি। Hypocrisy-র বাংলা নেই যে! ওসব 'কপটতা'-ফপটতা বাদ দিন, কন্সেপ্টটাই ভিনদিশি। যা ভাবি, তা গুরুজনের বা সমাজের কথা ভেবে গিলে/বদলে ফেলবো না? সে আবার কেমন কথা! অতএব, 'যখন যেমন, তখন তেমন'!এর ওপর যদি আবার নিয়ে আসি সামঞ্জস্য বা ধারাবাহিকতার ব্যাপার, সে তো আরও কঠিন! পরশু মোহনবাগানকে নিয়ে যে জ্ঞানবাক্যি ঝেড়েছিলাম, আজ সেই একই কথা বেপাড়ার ছোকরা পাকিস্তানের ক্রিকেট টিম নিয়ে বললে, মেনে নিতে হবে? সমাজে সম্মান বলে একটা ব্যাপার নেই?তা, এমতাবস্থায়, সোশ্যাল নেটওয়র্কে জ্ঞান বিতরণের ঝক্কি অনেক। সাত বছর আগের নিজের পোস্ট/স্ক্রিনশট তুলে ... ...
অনাসৃষ্টি সুব্রতা ঘোষ রায় অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি? বিরোধীকে জেলে ধরে করে দাও ভেলকি! ছুতোনাতা লাগবে না ছোট এক কামড়ে - সাংসদ পদখানা নিয়ে নাও সাবড়ে!
১. আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। বলা হয়েছিল।২. আধার কার্ড প্যান কার্ড সংযোগ তাহলে বাধ্যতামূলক কেন?৩. সংযোগ করার দায়িত্ব তো সরকারের। সংযোগ করতে গিয়ে ১০০/২০০ টাকা দিতে হয়েছে। নাম লিখিয়ে এক মাস অপেক্ষার পর।৪. এখন ১০০০ টাকা জরিমানা। একসঙ্গে যোগ যাঁরা করাবেন তাঁদের ২০০ টাকা । মোট ১২০০ টাকা।৫. বাড়িতে বসে সংযোগ করানো কত কঠিন যাঁরা চেষ্টা করেছেন জানেন।৬. জরিমানার টাকা কারা পাবেন?৭. সেই টাকা কোন খাতে খরচ হবে?৮. পিএম কেয়ার্স তো সমস্ত তদন্তের বাইরে। ক্যাগ নেই। তথ্য অধিকার আইন নেই।এটাও তাই নয় তো?এটা লাখ লাখ মানুষের সমস্যা এ-নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখে কুলুপ কেন? ... ...
ডিলিটেড .
উপল মুখোপাধ্যায়ের গল্প সমগ্র -প্রথম খণ্ডচিন্তা গল্প সিরিজ-১৬দাম- ৬০০ টাকাশ্রী উপল মুখোপাধ্যায়ের ছোটো গল্পের পাঁচটি সংকলন একত্র করে তৈরি হয়েছে এই গল্প সমগ্র-প্রথম খণ্ড। গত বিশ বছর বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন এবং ওয়েবজিনে ২০০৫ থেকে ২০২২ অবধি প্রকাশিত গল্পগুলি কালানুক্রমিক সজ্জিত (সংকলনের প্রকাশকাল অনুযায়ী), এর ফলে সম্ভবত সময়ের সঙ্গে লেখকের ঝোঁক বদলে যাওয়া ধরা যায় । উপলের গল্পগুলি সেই অর্থে কোনো কাহিনী বয়ে আনে না- প্রতিটি গল্পই এক একটি আইডিয়া। একটি মুহূর্ত। একটি দেখা অথবা শোনা। হয়তো স্বপ্ন।কোনো গল্পে কথকের গুরুত্বও কম। কে কথক, কে কাকে অবলোকন করছে- গুলিয়ে যায়- ফলত সর্বদাই একটি কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি হয়ে যায় সেই সব গল্পে।গল্প ... ...
অনেক সময় এমন হয়, কিছু কিছু বই আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে। যেন সে বলতে চায়, পড়ে দেখা দেখি, কেমন দম আছে। এই সমস্ত বইয়ের ক্ষেত্রে দুটো পথ। এক, বইটাকে না পড়া; এবং দুই, বইটাকে ঠেলে গুঁতিয়ে শেষ করে বলে ওঠা, হিপ্ হিপ্ হুররে... তৃতীয় আরেকটা পথ আছে। বইটাকে পড়ার জন্য পড়াশোনা করা। ইংরাজীতে যাকে বলে ‘প্রিপারেশান’। সেই সাথে পড়ার মাঝে মাঝেও পড়াশোনা করা। এবং আস্তে ধীরে, সময় নিয়ে, বইটাকে শেষ করা। তৃতীয় ক্ষেত্রে আপনি পরিশ্রমী, কারণ, বিশেষ করে, যে পর্যায়ে আপনাকে পৌছতে হচ্ছে, সে পর্যায়ে পৌছনোর একটা মানসিকতা থাকা চাই। সেই মানসিকতা না থাকলে এ বই শেষ করতে ... ...
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম চুল গজানোর তেলের নাম চুল পড়া একটি হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে, বিশেষ করে যখন এটি অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে। সৌভাগ্যবশত, এমন প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। সবচেয়ে
পরিষেবা বেসরকারি হলেই, কেমন তার মান হু-হু করে বেড়ে যায়, এয়ার-ইন্ডিয়া তার অব্যর্থ প্রমাণ। কলকাতা থেকে শিকাগো যাচ্ছিলাম এয়ার-ইন্ডিয়ায়, সেই অব্যর্থ প্রমাণ পেয়ে গেলাম। যাচ্ছিলাম, কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে শিকাগো। এমনিতেই কলকাতা শহর থেকে নেতাজি-সুভাষ বিমানবন্দরে এলেই কেমন একটা বিদেশে চলে এসেছি অনুভূতি হয়। নিরাপত্তারক্ষী থেকে বিমান-সংস্থার কর্মী, প্রায় সবাই ফুর্তিতে, হিন্দি বলতে শুরু করে দেন, এবং উত্তরও হিন্দিতেই চান, যেন এটা লক্ষ্নৌ বিমানবন্দর। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেও ঘোষণা থেকে বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত সবই হিন্দি এবং ইংরিজিতে। 'কলকাত্তা হাওয়াই আড্ডে মে আপকা স্বাগত হ্যায়' শুনলেই বলতে ইচ্ছে করে, ই কি হিন্দুস্তানি শহরে চলে এলাম নাকি, যার নাম কলকাত্তা হাওয়াই আড্ডে? ব্রিটিশ আমলে ... ...
দেশ স্বাধীনতার আগে এই বাঙালিরা নাকি মহা তেজস্বী ছিল! বিশ্বাস করতে মনের মধ্যে ভীষণ কষ্ট হয়। কিছুতেই বুঝে উঠতেই পারিনা বা বলা ভাল মেলাতে পারি না। রাস্তার কেলো কুকুরটাকে দেখিয়ে যদি কেউ বলেন, ওটা আগে জার্মান শেফার্ড ছিল। এটা শুনে যেরকম মনে হবে, ঠিক তেমনটাই আমার মনে হয়। মাঝে মাঝে নিজেকেও আয়নার সামনে নিয়ে গিয়ে দেখি, যা ভাবছি তা কতটা সত্যি? আয়না প্রমাণ করে দেয়, আমার ভাবনা নির্ভেজাল সত্যি। নিজের অজান্তেই হাত চলে যায় পিঠে। টের পাই ঈশ্বরদত্ত শিরদাঁড়াটা ক্রমে ক্রমে বিলুপ্তির পথে। এমন দিন বেশিদূর নেই যেদিন এই জাতির সাথে কেঁচো বা কেন্নোর তুলনা করা হবে। আর তাও নাহলে ... ...
তখন সবে স্কুলের বন্দী দশা কাটিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি। আর তাঁরও আবির্ভাব হলো তখনই। হ্যাঁ, এক জোড়া নীল হাওয়াই চপ্পলের সেই মানুষটাতেই চলছিল একতরফা মন কেমনের গল্প।এই লম্বা সে চেহারায়, জুতোর সাইজ পাক্কা নয়। ওপর তলার জানালা দিয়ে এমনটাই ভাবতাম। আমাদের চোখাচোখি হত খুব কম, শুধু পাশ কাটিয়ে সরে যাওয়া টের পেতাম। টের পেতাম, জানালার কাছ ঘেষে তাঁর নিশ্চুপে এগিয়ে যাওয়া।একটা মস্ত সুবিধা ছিল। সে বাড়িতে ঢুকতে তাকে পেরোতেই হত আমার জানালা। বুকের মধ্যে চলত তখন ভীতু চড়াইয়ের ছটফটানি। ও বাড়ির ছোট বড় অনুষ্ঠানে এ বাড়ির নিমন্ত্রণ থাকত। প্লেট হাতে আমি ও সে অনেকবার একসাথে হয়েছি। তবে কথা হয়নি...তারপর হুড়মুড়িয়ে ... ...
অধিক ফ্যাচফ্যাচ করে লাভ নেই। আমরা, বাঙালিরা মাতৃভাষার জন্য বিস্তর ঘাম, রক্ত ইত্যাদি ঝরিয়েছি ঠিকই। তার প্রমাণ, আসামের উনিশ, পূর্ববঙ্গের উনিশ, পশ্চিমবঙ্গের একষট্টি। কিন্তু এত যুদ্ধবিগ্রহের পরও আমরা বহুটুকরো, রাজনৈতিকভাবে, এবং তারচেয়েও বড় কথা মনোজগতে। বঙ্গভাষীরা কেউ বিশেষ কারো খোঁজ-টোজ রাখেনা। আসামে এনআরসি নিয়ে হুজ্জুতি হলে, সেটা যে বঙ্গভাষীদের সমস্যা, এটা আমরা প্রতিষ্ঠাই করতে পারিনি। তা, সে পুরোনো কেচ্ছা, এখন বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেছে আসামে, কঠোর বিকল্পের আর কোনো পরিশ্রম নেই, ফলে ওসব চুকে বুকে গেছে, আমরাও ভুলে মেরে দিয়েছি।পূর্ববঙ্গের ক্ষেত্রেও তথৈবচ। তিনদিন আগে যে রবীন্দ্রমূর্তি চুরি হয়ে গেছে ঢাকায়, পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের মধ্যে দেড়জনও তার খবর রাখেন ... ...