এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মেঘে মেঘে খেলা

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬১ বার পঠিত
  • বয়স বাড়ে। কমে না। এটা একটা বাস্তব। তবে বয়সের এই স্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই যতটা পারে নিজের বয়স ততটা কমায়। বয়সের বাড় চাপা দেওয়ার জন্য তাদের বাড়াবাড়ি কখনোই বাড়ন্ত হয় না।

    বয়স কমানো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করব। হয়তো মজার কথা তবে এই সব মারাত্মক চিজের ওপর দয়াও হয়।

    একটি ছেলে আমার সমবয়সী, তার চারটে দিদি। এক সময় ছেলেটি আমার ক্লাসে পড়ত, এক বছর পাস করতে পারেনি। তখন ইস্কুলে পড়ি, এক দিন তার একটা দিদিকে "ও দিদি" বলে ডেকেছিলাম আমি। তাতে তার কী তড়পানি! "দিদি বলছ কেন?" তখন ছেলেমানুষ ছিলাম বলে উত্তর দিতে পারিনি। এখন হলে মেয়েটির বিপদ হয়ে যেত। ওদের পরিবারটা ছিল নষ্ট মূল্যবোধের পরিবার। ওপরের চারটে দিদিকে নিয়ে নোংরা গুজব ছিল। মেয়েগুলোকে ত্রি - ফোরের বেশি পড়ানো হয়নি। ছেলেটাকে অবশ্য যা হো'ক তা হো'ক করে পড়ানো হচ্ছিল।
    এক ভদ্রমহিলার কুড়ি ও বাইশ বছরের দুই মেয়ে। তিনি নিজের বয়স বলতেন চৌঁতিরিশ। সেই নিয়ে হাসাহাসি হত। উনি হয়তো মনে করতেন, লোকজন খুব বোকা।

    এই প্রসঙ্গে আমার শৈশবের একটা টুকরো কলমের মুখে মুখে এসেই গেল। ১৯৭৯-১৯৮০ সালে কাঁকুলিয়া রোডের রেলক্রসিং পার হয়ে ভাড়া থাকতাম আমরা। বাড়িওয়ালার দু'ই ছেলে এবং তখনো অবধি তিনটি নাতিনাতনি। বড় দুই নাতিনাতনি আমারই বয়সী এবং আলাদা আলাদা ইস্কুলে একই ক্লাসে পড়তাম আমরা। আমি নেহাৎ বেঁটে ছিলাম না। এই ছেলেমেয়ে দু'টো ছিল বেঁটে বেঁটে। ব্যাকরণ বই লেখক বাড়িওয়ালা বলতেন, মৌ এদের চেয়ে "বৎসরে" বড় তো! উচ্চতা নিয়েও একটু বলি। আমার উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট চার। তবে যে দিন থেকে অতিরিক্ত ওজন ধারণ করেছি, কাঠামো বেঁটে দেখায়।

    বয়স ভাঁড়ানো নিয়ে প্রতিবেশী এক ভদ্রমহিলার মুখে এই গল্পটা শুনেছিলাম। কোনো সময়ে তাঁদের অফিসে এক মা ও মেয়ে জুড়ি কাজ করত। একবার অফিসের সমস্ত কর্মীর নথি পরীক্ষার সময় দেখা গেল, মা ও মেয়ের বয়সে পাঁচ বছরের পার্থক্য। দু' জনেরই চাকরি চলে গিয়েছিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.251.161.222 | ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:০৬530232
  • "এক ভদ্রমহিলার কুড়ি ও বাইশ বছরের দুই মেয়ে। তিনি নিজের বয়স বলতেন চৌঁতিরিশ।" টেকনিক্যালি বারো বছরে মেয়ে হবার অসুবিধা নেই কিন্তু। সারদা সুন্দরী দেবীর জন্ম সাল দেখছি ১৮৩০ যেখানে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৮৪০।  
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২৩530247
  • বহু বছর আগের যুগের গল্প কি? একটি ছেলের চারটে দিদি শুনে মনে হল। এরকম পাঁচ-সাতটা সন্তান তো বহু আগের যুগের ব্যাপার।
    আশা করি কিছু মনে করলেন না।
  • Suvasri Roy | ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫৪530283
  • একজন জিজ্ঞাসা করেছেন, একটি ছেলের চারটে দিদি কোন সময়ের গল্প। ১৯৮৭ সালে আমি মাধ্যমিক পাশ করি। মুখচেনা ছেলেটি আমার সমবয়সী এবং তার চারটে দিদি। ছেলেটি এক সময়ে আমার সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ত এবং ১৯৮৮ তে মাধ্যমিক দেয়।
    আরেকটা কথা। ১৯৮৫ কী '৮৬ সালের কথা বলেছি - আমাদের চেনা এক ভদ্রমহিলার ২০ ও ২২ বছরের দুই মেয়ে যিনি নিজের বয়স বলতেন ৩৪, তাঁর বিয়ে কিন্তু ১০ বছরে হয়নি যে ১২ বছরে সন্তান হয়েছিল। অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজের মেয়ে ছিলেন না তিনি। তাছাড়া যে সময়ের কথা বলছি তার বহু যুগ আগে শহরের শিক্ষিত সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ উঠে গিয়েছে। এই মহিলার মেয়ে দুটি তাঁর স্বামীর আগের পক্ষের মেয়ে ছিল, এমনো নয়।
    মানুষের মধ্যে বয়স কমানোর প্রবণতা কিন্তু সব যুগেই ছিল, আছে এবং থাকবে। বয়স কমানোর মরিয়া চেষ্টা অনেক সময় যুক্তি-বুদ্ধির সীমা ছাড়িয়ে যায়। এই লেখায় সেই কথাটাই বলতে চেয়েছি আমি। জানি না, সব পাঠক সেই ব্যাপারটা ধরতে পেরেছেন কিনা। এবার থেকে আমাকেও আরো যত্ন নিয়ে লিখতে হবে।
    বিনীতা
    শুভশ্রী রায়
  • প্রতাপ পাল | 2409:40e0:1058:e18f:8000:: | ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৬530505
  • এমনটা অনেক সময় দেখা যায় ... জীবন বীমার চাকরির সুবাদে বীমা করানোর সময় অনেক ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধের মধ্যে পড়েছি ফ্যামিলি হিস্ট্রি লিখতে গিয়ে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন