কাউন্টার ন্যারেটিভের শক্তিশালী অস্তিত্ব দেশ জুড়েই আছে। সেই ন্যারেটিভের একটা এলিট, স্ট্রাকচার্ড প্রেজেন্টেশন হল জেএনইউ এসইউ নির্বাচনের ফলাফল। এটাকে বামপন্থার জয় বলার থেকে অন্য স্বরের আত্মঘোষণা হিসেবেই সবাই দেখছে, এমনকি গদি মিডিয়াও। এবিভিপি-র প্রতিনিধি
এর মধ্যে শ্রীলেখা কায়দা কৌশল করে চিঠিটা অসিতের হাতে গুঁজে দিতে পারল। ভাগ্যক্রমে আজকে ফাঁকায় পেয়ে গেল অসিতকে রিহার্সালের জন্য ওপরে ওঠার সময়। অসিত বলল, ' কি এটা ? ' ---- ' পরে পড়ে নিও ' বলে ধড়ফড় করতে করতে সরে গেল ঘরের ভিতর। অসিত ভাঁজ করা কাগজের টুকরোটা প্যান্টের পকেটে রেখে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে উঠতে ভাবতে লাগল, এ আবার কিরে বাবা ... এতদিন বাদে আবার নতুন ক'রে চোতা ধরানো কি জন্য ! কি কেস কে ... ...
ছুড়ে দেওয়া পাথরের খবর আর কে রাখে। কোথায় গড়ায় বা চাপা পড়ে। মরে যায় নাকি আঘাতে আঘাতে রক্ত ঝরে।
মহাপরিনির্বাণ .............,....................... রাজগেহ, পাটলিপুত্ত, বৈশালী হয়ে ভোগনগরার পথে পা বাড়ালেন মহাকারুণিক। লক্ষ্য অতি দ্রুত পাবা তে পৌঁছানো। পাবা ও কুশিনর তখন মল্লের দুটি মহানগরী। মল্ল, ষোড়শ মহাজনপদের একটি। মল্লদের বরাবরের অনুযোগ ছিল যে তথাগত তাদের সময় দেননা। তথাগতের প্রিয় জায়গা অবশ্যই রাজগেহ, ইদানিং এই রাজগেহতে বর্ষাবাস কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। দ্বিতীয় প্রিয় জায়গা বৈশালী। আম্রপালি এখানেই ... ...
যদি কিছু তামা'রে শুধাও নরেশ জানা ১ ঠাকুর ঘরের কোষাকুষি, পাইলস দমনের 'অব্যর্থ উপায়' হিসাবে আড়াই প্যাঁচের আংটি আর অম্বল নিবারনের জন্য ছোট্ট কলস অথবা গ্লাস। এর বাইরে গেহস্থলিতে আজকাল আর তামার ব্যবহার দেখিনা সচরাচর। সব তামা যেন সরু কিংবা মোটা তার হয়ে ইনসুলিটার আবৃত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের কাজে কিংবা মোটরে কয়েলবন্দি। আজকের ভারতীয় ... ...
হিমালয়ের গভীর অসুখ আজথার্মোমিটারে তাপমাত্রা অনেক পাড়াপড়শীর বদ্যি ডাকাডাকি অস্ত্রোপচারে সেরে উঠবেন ঋষি। নয়তো সেদিন সাগর টালমাটাল হৃদয় গলবে ঋষির সহিষ্ণুতায় তপোবনে উচ্ছিষ্ট ফেলার খেলা - সংহার হবে ঋষির সাগর স্নানে।
বহুদিন আগের কথা বলছি। যে সময়ের কথা বলছি তখন কলকাতা শহরে চাকরি করতাম। ছুটি পেয়ে গ্ৰামের বাড়িতে ফিরছিলাম।আমি চাকরি পেয়ে কলকাতাতেই থাকতাম। অবশ্য এখনও থাকি। যদিও এখন চাকরি থেকে অবসর পেয়েছি। তো যখনই কাজের ছুটি-ফুটি পেতাম তখনই গ্ৰামের বাড়িতে চলে আসতাম। এখানে আমার বাবা-মা থাকেন। যতই থাকি কলকাতাতে জন্মস্থান আমার গ্ৰামে। কাজেই গ্ৰামকে কি ভোলা ... ...
ঘাটশিলা স্টেশনটিকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। একবারই গেছি ঘাটশিলায়। তবে আশা আছে আরো কয়েকবার যাব।কলকাতার কাছাকাছি এমন সুন্দর পাহাড়ী জায়গা আর দুটি নেই। এখানে নদী আছে ঝর্ণা আছে জঙ্গল আছে ----- আর কী চাই? কোনো কবি যদি এমন জায়গায় আসেন তবে প্রকৃতির মনোহর রূপ দেখে তিনি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। কত কবিতার প্লট যে তাঁর মাথায় আসবে তা তিনি ছাড়া আর ... ...
একেক দিন সে ডাক দেয়। "সে" বলছি, সর্বনাম ব্যবহার করছি বটে তবে তার নাম জানি না। কে সে জানি না, জানতে চাই। অনেক দূর থেকে সে আসে হয়তো অথবা কাছাকাছি কোথাও তার বসবাস। সে আসে, ডাক দেয়। সেই ডাক আমার কানে পৌঁছয়, সাড়াও দিই কিন্তু সাড়া পাই না। মাস তিনেক আগে শীতকাল। ভোর চারটে নাগাৎ সে ডাক দিল। আমাদের ব্লকে নিচের গেটে সবসময় তালা বলে কলিংবেলগুলো একদম বাইরের লোকেদের হাতের ... ...
তোর নামে জিলা হইল গো সই যৌবন ধইরা রাখিস লো সুন্দরী! সব কথা কী খুইল্যা বলোন যায় লো? এমন ভাবে শুইস্যা শ্যা নিলো অরা অহন আর নড়তেও পারি না বুকের ভেতর কচুরিপানা! আকাশের উচুঁয় উইঠ্যা বক গুলান
(বিঃ দ্রঃ জনৈক অতিবাচালের অক্ষরবিন্যাশ। স্বভাব গম্ভীর পাঠক এই অপলিখনী পাঠে বিরত থাকবেন।) আই লাভ ফুলকপি পাড়ায় নতুন একটা মোমোর দোকান হয়েছে। শুনলাম সেখানে নাকি ফুলকপির মোমো পাওয়া যাচ্ছে। সকাল সকাল তারই খবর নিতে যাচ্ছিলাম, রাস্তায় ফুলকপির সঙ্গে দেখা। পাতাশুদ্ধ ডাঁটাগুলো দুলিয়ে দুলিয়ে যাচ্ছে। পকেট থেকে চিরুনী বার করে চুলটা ঠিক করে বললাম - কোথায় চললে?- বিউটি ... ...
ফুলডুংরি পাহাড়। যারা ঘাটশিলায় ভ্রমণ করতে আসেন তারা এই পাহাড়ের মাথায় চড়েন। পাহাড়ের মাথায় চড়ার জন্য নিচ থেকে একটি পাথুরে পথ ক্রমশ উপরে উঠে গেছে। নুড়ি পাথরের পথ। পথের দুই পাশে ঘন গভীর জঙ্গল। মূলত শাল অর্জুন শিশু প্রভৃতি গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এগুলিই তো মালভূমি অঞ্চলের গাছ।পাহাড়টি ছোটো পাহাড়। যারা নির্জনতা ভালোবাসেন তাদের জন্য এই পাহাড় আদর্শ। বা যারা চুপচাপ থাকতে ... ...
জীবনে একবারই গেছিলাম ম্যাসাঞ্জোরে। ঐ একবার গিয়েই তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। তবে আশা আছে আবার একবার যাবো। ম্যাসাঞ্জোরের পাহাড় ম্যাসাঞ্জোরের ড্যাম আর ময়ূরাক্ষী নদী ----- আহা, এক কথায় অসাধারণ! যারা খুব প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের কাছে ম্যাসাঞ্জোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্থান। এখানকার প্রকৃতি এত সুন্দর যে এখানে না এলে বোঝা যাবে না। ম্যাসাঞ্জোর ড্যামটা ঠিক যে জায়গায় অবস্থিত ... ...
মল্লিকবাজারের ওই ডাক্তার ছেলেটার সঙ্গেই চন্দনার বিয়ের ঠিক হল। ছেলের বাবাও ডাক্তার। বাসন্তীদেবী উদগ্রীব ছিলেন বড় মেয়ের বিয়ের প্রাক্কালে ভবিষ্যতদ্রষ্টারূপী প্রতিবিম্বর সঙ্গে একবার পরামর্শ ক'রে তার নিদান নেওয়া। জ্যোতিষীঠাকুরের ওপর তার অগাধ বিশ্বাস। তিনি সেদিন অলোকেন্দুবাবুর কাছে খোঁজ নিলেন, ' হ্যাগা ... সেই জ্যোতিষীবাবা তো আর এল না ...' অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হ্যাঁ আসবে আসবে ... ...
যাঁরা ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন তাঁদের জন্য সুসংবাদ। অধুনা ল্যান্সেট পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণার থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতে টোটাল ফার্টিলিটি রেট ( টিএফআর) যেখানে ১৯৫০ সালে ছিল ৬.১৮, তার মান ২০২১ সালে নেমে এসেছে মাত্র ১.৯১ এ।টি এফ আর অর্থাৎ কিনা একজন মহিলা সারা জীবনে যতগুলি বাচ্চার জন্ম দেন তার গড়।এই হিসেব শুনে আপনি হয়তো মুচকি হাসছেন যে এতদিনে ... ...
পরিকল্পনা তো সবারই থাকে পরতে পরতে আলোছায়ায় পরিকল্পনায় হতে পারে কয় জনা পরতে পরতে আলোছায়ায় সন্ধ্যা নামে টুপ করে ঝরে পড়া ফুলের মতো একগোছা চাবি হাতে লোকটা শুধু
আমি রং ফিরি করি অমিত চট্টোপাধ্যায় প্রকৃতির রং ধার করে আমি রেখেছি নিজের কাছে,তারই কিছু কণা ছড়াবো আজকে পাতাহীন গাছে গাছে। যারা খিল এঁটে মনের দুয়ারে চোখের আড়াল হলো,রং নিয়ে যাব তাদের বাড়িতে, বলব, দরজা খোলো! পাশাপাশি শোয় এক বিছানাতে কথা ফুরিয়েছে কবে,তাদের খুশির আবিরে রাঙাবো বসন্ত-উৎসবে! রংবাজি করি
আমার বেশ মনে আছে ছোটবেলার দোল খেলা। দোলের আগের দিন ভাঁড়ার ঘরের টং থেকে বেরোত জং ধরা পিচকারি। তাতে তেল দিয়ে দিয়ে কোনরকমে চলনসই করা হত। তারপর ছিল রং কেনার জন্য বাবার কোমর ধরে ঝুলোঝুলি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বড়দের পায়ে আবির দিতাম। আর তাঁরা কপালে গালে স্নেহের আবির মাখাতেন। তখন মার্চ মাসে এত গরম পড়ত না। তখন গাছপালা ছিল অনেক বেশী। ফুলে ফুলে তারাও সেজে ... ...
কয়েকটা ঘটনা বলি। প্রথমটা মজার হলেও সচরাচর এমন হয় না বলে লিখেই ফেললাম। বাকিগুলো অজানা একটা জগতের আভাস দেয় তা ঠিক। ব্যাখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।ব্যাপার হল, এক সন্ধ্যায় শ্যামবাজারের চশমা গলির একটি চশমার দোকান থেকে আমাদের বাড়িতে চশমা ডেলিভারি দিতে একটা লোক এসেছিল। তখন সবে মোবাইলের চল হয়েছে। আমাদের পরিবারে কারোরই তখন মোবাইল ছিল না তবে ল্যান্ডফোন ... ...
মমতাশংকরের সাম্প্রতিক শাড়ী মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠা ঢেউ এর সাপেক্ষে স্বগত চিন্তার লিখিত রূপ মাত্র শরীর, শরীর তোমার মন নাই কুসুম? এই প্রশ্ন কুসুমদের চিরকালই করা হয়েছে? আর আজকাল আমরা বলি, শরীর শরীর তোমার মগজ নাই কুসুম? ( এই লাইনটা এক ফেসবুক বন্ধুর দেওয়াল থেকে নেওয়া। তাকে কৃতজ্ঞতা। ) অর্থাৎ শরীর বনাম মগজ। একটা বাইনারি। মগজ বলতে অবশ্য ... ...