এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ২৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৬৬ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • প্রতিবিম্ব দাঁড়িয়ে উঠল। সুমনা ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল।
    ----- ' আরে আপনি এখানে ? সেদিন অবশ্য মিস্টার মিত্র বললেন , আপনি বেথুন কলেজে ম্যাথসে অনার্স পড়েন ... '
    সুমনা একটু এগিয়ে এল। বলল, ' অফ পিরিয়ডে মাঝে মাঝে আমরা ঘুরি এখানে। আজ অবশ্য আমি একাই আছি ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... আপনার বস কিন্তু খুব সিনসিয়ারলি আমাদের কেসটা হ্যান্ডল করেছেন। আমরা সত্যি খুব কৃতজ্ঞ এর জন্য ... '
    ----- ' এটা তো ওনার প্রফেশানাল রেসপনসিবিলিটি .... '
    ----- ' সেটা ঠিকই, কিন্তু কজন লইয়ার আর সেকথা মানেন ? তাছাড়া আপনার তো ওখানে বেশ ভাল দাপট আছে দেখলাম। স্যার তো আপনাকে খুবই ফেবার করেন মনে হল .... '
    ----- ' তা একটু করেন বোধহয় ... না করে উপায়ই বা কি ? '
    ----- ' কেন ... উপায় নেই কেন ? '
    ----- ' সম্পর্কটা সেই রকমই... '
    ----- ' মানে ... কি সম্পর্ক ? অবশ্য আমার এসব জিজ্ঞেস করা উচিত না। আচ্ছা ... আপনি আমাদের জন্য অত ইনিশিয়েটিভ নিতে গেলেন কেন ? আপনি তো আমাদের চেনেন না ... '
    ----- ' দ্বিতীয় প্রশ্নটার আগে উত্তর দিই। আপনাকে আমার ভীষণ চেনা চেনা লাগে ... '
    ----- ' চেনা চেনা লাগে মানে ? '
    ----- ' চেষ্টা করুন মানেটা খুঁজে বার করার। আমি বলে দিতে পারব না। '
    প্রতিবিম্ব বেশ মুশ্কিলে পড়ে গেল। থার্মোডায়নামিক্সের কোন থিওরির মধ্যে এ প্রবলেমটা পড়ে না এটা নিশ্চিত .... বেশ ফাঁপরে পড়ে গেল সে।
    সুমনা আবার বলল, ' এবার আপনার প্রথম প্রশ্নটা। অ্যাডভোকেট সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হল যে, তিনি আমার বাবা ... ' সুমনা কোন রাখঢাক করল না।
    ----- ' অ্যাঁ ... বলেন কি ! ' প্রতিবিম্ব আকাশ থেকে পড়ল। সে হাঁ করে ফুচা মানে সুমনার দিকে তাকিয়ে রইল।
    সুমনা এবার বলল, ' আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকুন। আমি আসছি ... আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে ... যদি ভেবে কিছু বার করতে পারেন তা হলে কাল তিনটের সময় এখানে থাকবেন ... কাল তিনটেয় আমার অফ পিরিয়ড ... '
    কথাটা বলে ফেলেই সঙ্গে সঙ্গে হেদোর গেটের দিকে জোর পায়ে হাঁটা দিল সুমনা। তার বুকের ভিতর ধড়াস ধড়াস করছে। আলাভোলা সুমনা নিজের সপ্রতিভতায় নিজেই অবাক হয়ে গেল। প্রাণের দায়ে মরীয়া হওয়া বোধহয় একেই বলে।
    রাস্তা পার হয়ে কলেজের ভিতর ঢুকে গিয়ে সুমনা ভাবল, ছেলেটা চোখে রুমাল চাপা দিয়ে বসে ছিল কেন জানা হল না। পরের দিন জেনে নিতে হবে।

    বিভূতিবাবুর মনটা ইদানীং ভাল যাচ্ছে না। নাটকের রিহার্সালের আমেজ মাখছেন ঠিকই পুরোদস্তুর কিন্তু তবু কেমন একটা বিমর্ষ ভাব তার মনে। খালি মনে হচ্ছে তার ভরা বাড়ি খালি হল বলে। জমজমাট একতলা দোতলা নিঝুম হয়ে যাবে কল্পনা করলেই তার বুকের ভেতরটা খালি হয়ে যায়। কিন্তু কিই বা করার আছে। তার তো বাড়ি ভাড়া ছাড়া আর কোনও আয় নেই। ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে , তার কাছে হাত পাতা ভাল দেখায় না। বৌমা কিছু মনে করতে পারে। তাছাড়া ওদের একটা ঘরও দরকার। পাশের একটা ছোট ঘরে মানিয়ে নিয়ে আছে। ছেলের বউ মাঝেমাঝেই বিরক্তি প্রকাশ করে হাবভাবে।

    বিভূতিবাবু ছাদে এসে দাঁড়ালেন। সাড়ে পাঁচটা বাজে। বেলা ছোট হয়ে এসেছে। চারপাশে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। অনেক বাড়ির ছাদে এখনও ঘুড়ি ওড়ানো চলছে। অনেক দূর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে হাওয়ায় ভেসে আসছে ... 'ভো..ও..ও ... মা.. ড়া .... '। এখান থেকে হাওড়ার ব্রীজ দেখা যায় মোটামুটি পরিষ্কার। ওদিকের আকাশে লালচে রঙ লেগেছে। দিনের আলো আজকের মতো আকাশছুট হতে চলল। পাশের ছাদে সরোজিনী শুকিয়ে যাওয়া জামাকাপড় তুলে নীচে নেমে গেল।

    বিভূতিবাবু পশ্চিমের আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এই বাড়িতেই তার জন্ম। এই গোধূলিবেলায় একা একা চারতলার ছাদে দাঁড়িয়ে ছোটবেলার কত কথা মনে পড়তে লাগল। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের লোকজন , ফাঁকা ফাঁকা রাস্তাঘাট , এখানে ওখানে অগোছালো দোকান বাজার , ইতি উতি গজিয়ে ওঠা পাকাবাড়ি , বিবেকানন্দ রোডের আশপাশের কাঁচা নর্দমার গন্ধ
    কোন অতলান্ত স্মৃতিসমুদ্রের ওপার থেকে ভেসে আসতে লাগল সহসা। বিভূতিবাবু সাঁঝবেলার রাঙা আলোয় ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলেন সব কিছু ভুলে গিয়ে। মনের কোনে বেজে উঠতে লাগল এক অশ্রুত স্বরে পূরবীর বিষণ্ণ সুর। দিনের অবসান হয়ে এল। কিছুই করা হল না আজও এ পড়ন্ত জীবনবেলায় পৌঁছেও।

    এদিকে অলোকেন্দুবাবুর ঘাড়ে এক নতুন মামলার ভার চাপল।
    ব্যাপারটা ঘটল এইরকম ....
    তিনি সন্ধেবেলায় চেম্বারে বসে কোন একটা মামলার কাগজপত্রে চোখ বোলাচ্ছিলেন। কাল শুনানি আছে। এই মুহুর্তে কোন মক্কেল নেই ঘরে। একটু পরে একটা পার্টি আসার কথা আছে।
    তবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই একটা মামলা নিয়ে এক মক্কেল ঘরে এসে ঢুকল আচমকা।
    সুমনা ঘরে ঢুকে উকিলবাবুর উল্টোদিকের চেয়ারে বসে পড়ল। অলোকেন্দুবাবু মুখ তুলে মেয়ের দিকে তাকালেন।
    ------ ' আরে ম্যাডাম ... আপনি হঠাৎ এখানে ! কোন জটিল কেস বুঝি ? '
    ----- ' তা একটু জটিল বলা যায় ... '
    ----- ' কোন কঠিন ক্যালকুলাস নয় তো ? আপনাদের ওসব মামলা কিন্তু আমি বুঝি না ম্যাডাম .... '
    সুমনা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে রইল কোলের দিকে তাকিয়ে।
    অলোকেন্দুবাবু এবার ঠাট্টার মোড়ক ছেড়ে বেরিয়ে এলেন।
    ------ ' কি হয়েছে রে ... কিছু বলবি ? '
    ------ ' বাপি ... আমি একটা সমস্যায় পড়েছি ... '
    ------ ' তা সমস্যাটা কিরকম ... সিভিল না ক্রিমিনাল ? সিভিল হলে আমি আছি। ক্রিমিনাল হলে কেসটা তোর মা দেখবে ... '
    ----- ' বাপি ইয়ার্কি ছাড় .... মাকে এসব বলা যাবে না। '
    ----- ' কেন ? তুই কি অ্যাকিউসড না লিটিগ্যান্ট ? '
    সুমনা রাগত স্বরে বলল, ' বাপি ... আবার শুরু করলে ... '
    ----- ' আচ্ছা আচ্ছা , জোকস অ্যাপার্ট ... বল বল ... লেটস বি সিরিয়াস... '
    ----- ' আমি একটা বন্ধনে পড়ে গেছি ... মানে মানসিক বন্ধন ... '
    অলোকেন্দুবাবু উকিলি ভঙ্গীতে আবার রসিকতা করলেন , ' কেসটা তো মোটেই সিভিল নয় দেখছি ... ক্রিমিনাল কেস হলেও হতে পারে ... তা এ ব্যাপারে তুই কাকে সন্দেহ করিস , মানে ডায়রেক্ট সাসপেক্ট কে ? '
    সুমনা তার বাবার এসব স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা এড়িয়ে গেল।
    বলল, ' অ্যাকিউসড বা সাসপেক্ট বলে কেউ নেই.... বলতে পার, আমি জেনেশুনে বিষ করেছি
    পান ... '
    কথাটা অর্ধসমাপ্ত রেখে সুমনা মাথা নীচু করে আবিষ্ট মুখে নিজের করতল পরীক্ষা করতে লাগল।
    সুমনার বাবা কিন্তু লঘু বাক্যালাপ থেকে বেরোতে চাইলেন না।
    ----- ' অ্যাঁ , বিষপান ! কালপ্যাবল অফেন্স। এতে ডায়রেক্ট অ্যাকমপ্লিস না থাকলেও, ইনডায়রেক্ট অ্যাকমপ্লিস তো কেউ আছে ... '
    সুমনা ভাবগম্ভীর কন্ঠে প্রায় ছলছল চোখে বলল, ' তা হয়ত আছে , কিন্তু আমার এখন কিছু করার নেই ... '
    মেয়ের হাবভাব সুবিধের ঠেকল না অলোকেন্দুবাবুর। তিনি এবার সরাসরি তীর ছুঁড়লেন নিজের মেয়েকে অগাধ ভাবসাগর থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে।
    ----- ' আরে খুলে বল না ...এত চিন্তা করছিস
    কেন ? আর কেউ না থাকুক আমি আছি তোর সঙ্গে ... চিন্তা কি ? তোকে বাঁধা তো সোজা ব্যাপার না ... তা দেবদূতটি কে জানতে পারি ? '
    ------ ' ও ... ওই ... ওই যে ... '
    ------ ' স্কটিশের ফিজিক্সে অনার্স.... তাই তো ? '
    তার বাবার অসাধারণ সূক্ষ্মদৃষ্টির আর একবার প্রমাণ পেল সুমনা।
    সে পরম বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল অলোকেন্দুবাবুর মুখের দিকে।

    কিন্তু আসল সমস্যা অন্য জায়গায় ... বিবি রাজি থাকলেও মিঞা রাজি কিনা সেটাই তো জানা হয়নি এখনও।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন