এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ মার্চ ২০২৪ | ২০৯ বার পঠিত
  • কালীবাবুর অবশ্য ঘটনাক্রমে এরকম একটা অস্বস্তিকর ঝক্কি নেবার দরকার হল না শেষ পর্যন্ত।

    সাগর সন্ধেবেলা সেদিন সাইকেল চালিয়ে কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট দিয়ে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছিল। হাতিবাগানে নেমে একবার বাজারে ঢুকল সাইকেল নিয়েই। একটু দূর থেকে নিজেকে আড়াল করে নজর রাখল মনোরমা ভান্ডারের দিকে। না, ওখানে দোকানের সামনে টুল চেয়ার কিছু পাতা নেই, মোহিনী টোহিনীও কেউ নেই। জগন্নাথ পাল দোকানে বসে একজন খরিদ্দারের সঙ্গে কথা বলছে। অন্য দোকানদাররাও যে যার কাজে ব্যস্ত। সাগরকে কেউ দেখতে পেল না।

    সাগর একটা জায়গায় সাইকেলটা দাঁড় করিয়ে চাবি দিয়ে পিছনের দিকে গেল। একটা হোসিয়ারির দোকান আছে ওখানে, অভ্র হোসিয়ারি। একটা গেঞ্জি আর একটা রুমাল কেনার দরকার সাগরের। অভ্র হোসিয়ারির দোকানদার বিশ্বনাথ চেনে তাকে। মনে মনে সাগরকে সমর্থন এবং সমীহ দুটোই করে।
    ----- ' বলুন দাদা ... অনেকদিন পরে এলেন। মনোরমা ভান্ডারের কেসটা জানা আছে। নীরিহ লোকের পেছনে লাগা অনেকদিন ধরে চালাচ্ছিল। ভাগ্যিস ব্যাপারটা আপনি হাতে নিলেন ...'
    ----- ' ভদ্রলোক থানায় গিয়েছিল। আমি ওখানেই শুনলাম ... '
    ----- ' ভাগ্যিস ... ওই মোহিনী আর সুবীর দুটোই জাত হারামি ... ওদের টাইট দেবার দম আপনি ছাড়া আর কারও হত না ... '
    সাগর চুপ করে রইল। এই সব একঘেয়ে কথা শুনতে তার আর ভাল লাগে না। সে বিড়বিড় করে বলল, ' দম আর কোথায় ? একটা ছোট কথাই সোজাসুজি বলার হিম্মত নেই তার ... শেষে কিনা কালীবাবু ....। তবে এসব বাদ দিয়েও বলতেই হবে ... কালীবাবুর মতো লোক হয় না ... নেহাত পুলিশের চাকরিতে হাত পা বাঁধা, নইলে কালীবাবুও হয়ত তার দলে যোগ দিত ... কিন্তু আলো আঁধারির মাঝে এভাবে আর কতদিন হয়রাণ হব ... '
    শেষের কথা ক'টা বোধহয় বিশ্বনাথ বড়ালের কানে গেল। সে বলল, ' অ্যা...ই ... একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন দাদা। এভাবে আর কতদিন ! প্রতিবাদ আমাদের সকলেরই করতে হবে ... শুধু আপনার ঘাড়ে চাপালে হবে না ...এই হল মোদ্দা কথা ... যে যাই মনে করুক হ্যাঃ ... '
    সাগর কিছু বলার না পেয়ে বলল, ' হুঁ ... তাই তো.... '
    বিশ্বনাথ একটা স্যান্ডো গেঞ্জি আর দুটো রুমাল একটা প্যাকেটে ভরে দিল।
    বলল ' মাঝে মাঝে যেন আপনার দর্শন পাই। আপনাকে দেখলে বুকে একটু বল পাই। বাজারে যা চলছে সে আর বলার নয় ... যদি সুযোগ সুবিধে হয়, বলব আপনাকে সব একদিন ... নচ্ছাড় লোকে ভরে গেছে একেবারে ... সবাই হারামে খেতে চায় ... কি বিপদ বলুন দিকিনি ... '
    ----- ' আচ্ছা ... ঠিক আছে। আমি সময় করে আসব'খন একদিন। চিন্তা ক'র না .... চলি ... সাইকেলটা ওদিকে রয়েছে। একটু শ্যামবাজারের দিকে যাব। ওষুধ কেনার আছে ... চলি ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... আসুন দাদা ... '
    বিশ্বনাথ ভাবল, দাদার হাবভাব যেন কেমন কেমন হয়ে গেছে। কি একটা চিন্তায় যেন ডুবে আছে মনে হল ...। তারপর ভাবল, এটা অবশ্য হতেই পারে ... কতরকম ঝামেলার যে মোকাবিলা করতে হয় ওকে সে বলার নয় ...

    সাগর সাইকেলের লক খুলল। সে জানে, বাজারের অনেকে তাকে দেখছে কৌতূহলের দৃষ্টিতে। অনেক দোকানদারই তাকে চেনে। শুধু দোকানদারই নয়, অনেক ক্রেতাও তাকে চেনে, তা সে ভয়েই হোক, ভক্তিতেই হোক। তারাও আড়চোখে দেখছে তাকে।

    সাগর সাইকেল নিয়ে বাজারের গলি দিয়ে বেরোচ্ছিল কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটের দিকে। তার মনে হঠাৎ আলো ছায়ার খেলা শুরু হয়ে গেল। সে ভাবল, কত কিই তো এখানে ওখানে ঘটছে ... যদি এমন হত পিছন থেকে কেউ তাকে হঠাৎ ডেকে উঠল। মানে, স্বপ্নে যেমন হয়। তারপর ভাবল, তাকে স্বপ্নের মতো কেউ ডাকতেই বা যাবে কেন। সে একটা ডাকার মতো লোক নাকি ... যত উদ্ভট চিন্তা !

    কি আশ্চর্যের ব্যাপার ঠিক সেই সময়ে প্রকৃতির কোন খেয়ালে কে জানে সাগরের পিছন দিক থেকে একটা নারীকন্ঠ ভেসে এল ....
    ' এই যে শুনছেন .... শুনছেন ... '
    সাগরের হৃৎপিন্ডের পাম্পিং স্টেশনে একটা বিট মিস হল আচমকা।
    সাইকেলটা তার আলগা হাত থেকে পড়ে যাচ্ছিল। সামলে নিল। পিছন ঘুরে দেখল অকপট হাসিতে মুখ ভরিয়ে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে।
    কোন স্বপ্ন টপ্ন নয়, একদম বাস্তব ঘটনা।
    রাত্রি ধীর পায়ে এগিয়ে এল।
    ----- ' মাছের একটা অ্যাকোয়ারিয়াম কিনতে এসেছিলাম ... ওই পিছন দিকে ... অনেক দাম বলছে ... মাণিকতলায় দেখতে হবে ... যাক, আপনার কি খবর ? অনেকদিন পর দেখা হল ... আমি একদিন যাব ভাবছিলাম আপনাদের বাড়ি .... যাক দেখা হয়ে গেল কেমন ... মাসীমা ভাল আছেন তো ? আপনার শরীর এখন একটু ফিট হয়েছে তো ... আসলে একদম সময় পাচ্ছি না ... এত কাজ না কি বলব ... '
    এই অনর্গল বাক্যস্রোতের সামনে সাগর মন্ডল হাবুডুবু খেতে লাগল। তার এই মুহূর্তে কি বলা উচিত সে ঠিক করতে পারছে না। কিন্তু সাগর জানে মুহূর্তগুলো একবার বেরিয়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনা যায় না। এটা ধরে ফেলতে হয় সঙ্গে সঙ্গে।
    স্বাভাবিক প্রতিবর্তীক্রিয়াবশত তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল ---- ' তাহলে আবার কবে ... '
    বলেই ভাবল, এটা কি বলছে সে ! কোন মানেই হয়না।
    সাগরের অসম্পূর্ণ কথার জবাব এল কিন্তু সম্পূর্ণ এবং পরিপাটি বিন্যাসে।
    ------ ' হ্যাঁ সত্যি, আমারই দোষ ... কতদিন যাওয়া হয়নি। রবিবার সকালে গেলে হবে ? ' রাত্রি অনুমতি চাইছে।
    সাগরের বুকের পাম্পিং মেশিনে আর একটা বিট ড্রপ হল।
    সে অসংলগ্নভাবে বলল, ' হ্যাঁ, তা হলে তো ভাল হয় ... অসুবিধে হলে কানুকে বলে দিতে পারি ... ও নিয়ে আসবে, আবার দিয়েও আসবে ... '
    ----- ' আরে না না ... আমি কি বাচ্চা নাকি ? আমি অত ভীতু নই ... সাগর মন্ডলের সঙ্গে মিশে কি শিখলাম তবে ! এইটুকু সাহস আমার আছে ... '
    সাগর ভাবতে লাগল, এসব কি সত্যিই ঘটছে, নাকি তার কোন স্নায়ুভ্রম এবং দৃষ্টিবিভ্রম হয়েছে।
    তবে এবারে আর তার হৃৎস্পন্দনের তালবাদ্যে কোন ফাঁক গেল না। সে ভাবল, হায় রে ... কেন যে লোকে তাকে সাহসী বলে ! তার থেকে ভীরু আর কেই বা আছে ....

    সঞ্চারীর আজ বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি হল। ক্লাসের এক বন্ধু সাত্যকির জন্মদিন ছিল। রাত্রিও গিয়েছিল।
    ওদের ব্যাচের বন্ধু বিদ্যুৎ বোস বড় দুমদাম কথা বলে। রাত্রি আর সঞ্চারীর সঙ্গে একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। বলল, ' বাবার পয়সা থাকলে এরকম বুড়োবয়স পর্যন্ত জন্মদিন করা যায় ... হাঃ হাঃ ... পয়সা কিভাবে ওড়াবে বুঝতে পারছে না ... '
    রাত্রি বলল, ' আসতে তো ভুলিসনি। খাওয়ার লোভ আছে ষোল আনা, এদিকে আবার পাঁচাও করবি মেয়েদের মতো ... খুব ব্যাড হ্যাবিট তোদের
    .... যাই বল ... '
    সঞ্চারী বলল, ' ঠিক বলেছিস ... বিদ্যুৎ তুই এসব বন্ধ কর তো ... একদম ভাল লাগে না ... মনটা তেঁতো হয়ে যায় ...'
    ----- ' আচ্ছা, ঠিক আছে ... ঠিক আছে ... ভারি সব একেবারে ... হুঁ : ... আমি আসতাম নাকি ? তোরা বললি তাই ... ' বলে ওখান থেকে সরে গেল।

    সঞ্চারী বলল, ' রাত্রি তুই সেদিন ঠিকমতো পৌঁছেছিলি তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ট্রামে গেলাম। এইটুকু তো রাস্তা। কি আর অসুবিধে হবে ? তুই একদিন আয় না আমাদের বাড়ি ... আমি অবশ্য আচার খাওয়াতে পারব না ... আমার তো মা নেই ... '
    ----- ' এই, ওরকম ক'রে বলিসনা। খাওয়াটা আবার কোন ব্যাপার হল ? আমরা মিডল ক্লাসের লোকরা রাতদিন খাওয়া নিয়ে চিন্তা করি। ওপরদিকের শ্রেণী কিন্তু খাওয়া নিয়ে মোটেই মাথা ঘামায় না ... ' সঞ্চারী তার মত প্রকাশ করে।
    ----- ' তা হবে হয়ত। আসলে খাওয়াটা তাদের জীবনের একমাত্র বিনোদন নয় ... '
    ---- ' তোদের দুজনে কিন্তু প্রথম সাক্ষাতেই দারুণ পারফর্ম করেছিস ... ' সঞ্চারী বলল।
    রাত্রি ভ্রু কুঁচকে সঞ্চারীর মুখের দিকে তাকাল।
    ----- ' মানে ? '
    ----- ' মানে তোর আর আমার দাদাভাই অমল চ্যাটার্জির কথা বলছি ... '
    ----- ' ওঃহো .... তাই বল ... কেন কি হয়েছে ? কিসের পারফরমেন্স ? '
    ----- ' তা ঠিক বলতে পারব না। তোদের ব্যাপার তোরাই বুঝবি ... '
    ----- ' তোদের ব্যাপার তোরাই বুঝবি ... মানে ? কার কি ব্যাপার ? আর বুঝবেই বা কে ? ' রাত্রি বিস্ময় প্রকাশ করে।

    বাড়ি পৌঁছে সঞ্চারী সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠল। দেখে, ঘরের সামনের বারান্দায় অমল পায়চারি করছে।
    তাকে দেখে বলল, ' কিরে, এত দেরি হল
    আজকে ?
    ----- ' এক ক্লাসমেটের জন্মদিনের নেমন্তন্ন ছিল ...বললাম তো বেরোবার সময় ... '
    ----- ' ও হ্যাঁ, ঠিক ঠিক ... তুই তো বলেছিলি ... সবাই এসেছিল ? '
    ----- ' না, অনেকে যায়নি ... '
    ----- ' ও ... আচ্ছা ... সবাই যায়নি ... না না সবাই কি আর যায় নাকি ? তোর বুজম ফ্রেন্ডও যায়নি নিশ্চয়ই... '
    ------ ' কে, রাত্রি ? হ্যাঁ হ্যাঁ ... রাত্রি গিয়েছিল। ও আর আমি তো একসঙ্গেই বেরোলাম ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... আমাদের বাড়ি সেদিন এসে কেমন লেগেছে কিছু বলল ? '
    ----- ' হ্যাঁ, বলছিল ... মায়ের বানানো আচারটা খুব ভাল লেগেছে। আমাকে ওদের বাড়িতে যেতে বলেছে একদিন ... ' সঞ্চারী জানাল।
    ----- ' ও আচ্ছা .... আর কারও সম্বন্ধে কিছু বলল না, না ? '
    ----- ' না না ... কি আর বলবে ? কে আর অত মাথা ঘামায় অন্য কাউকে নিয়ে ... সকলেরই তো নিজের নিজের কাজ আছে ... '

    নিশুত রাতে ঢিমে আলোয় ভরা অমলের ঘরে ঝিরঝিরে পুবে হাওয়া ঢুকছে খোলা জানলা দিয়ে। অমলের আঙুলে হাওয়ায়িন গীটারের তারে সুর গড়িয়ে পড়তে লাগল ----- যখন এসেছিলে ... অন্ধকারে চাঁদ ওঠেনি ... সিন্ধুপারে চাঁদ ওঠেনি ... যখন এসেছিলে ... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 223.235.115.15 | ০৯ মার্চ ২০২৪ ২০:১৮529151
  • পড়ছি
  • :|: | 174.251.162.96 | ১০ মার্চ ২০২৪ ১২:২১529195
  • এইখানে একটু বাজি রাখা খেলা হলে কেমন হয়? রাত্রি সেশ পজ্জন্ত কার গলায় মালাটি দেবে -- সাগর, অমল, অন্যকেউ (আত্মীয়র আনা সম্বন্ধ স্মর্তব্য), কেউ পাবেনা রাত্রিকে --কারণ সে স্বাধীন ভাবে থাকবে। 
    আমার ভোট চার নং অপশনে। নতুন দশকের নতুন চিন্তাধারার নায়িকা। 
  • রঞ্জন | 2401:4900:706e:8ffe:ec99:ac8f:68a1:4a8f | ১০ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৪529200
  • আমিও চার নম্বরে বাজি  রাখলাম।
    আমার সন্দেহ,  লেখক বাঁড়ুজ্জে মশাই  এসব দেখে খেলা পালটে দিয়ে আমাদের বোকা বানাবেন।
  • Anjan Banerjee | ১০ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৮529202
  • হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ .... তওবা তওবা 
  • যোষিতা | ১১ মার্চ ২০২৪ ০৪:৩৬529231
  • আমি চাই সাগরকে রাত্রি পছন্দ করুক।
  • যোষিতা | ১১ মার্চ ২০২৪ ০৪:৩৯529232
  • একটা তথ্য দিয়ে যাই অতুল্য ঘোষের লেখালেখি এবং পড়াশুনোর সমস্ত করে দিতেন রাজলক্ষ্মীদেবীর স্বামী। তিনিই ছিলেন অতুল্য ঘোষের সমস্ত বইয়ের অনুলেখক।
  • Anjan Banerjee | ১২ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫২529296
  • হ্যাঁ শুনেছি । মাথায় রাখলাম । স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ  । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন