এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৭২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • রাত প্রায় নটার সময় কালীকিঙ্করবাবু বললেন,
    ' শঙ্করী ... এনার ঘরটা একটু দেখিয়ে দাও তো ... একটু পরিষ্কার করিয়ে দিও ... '
    তারপর মিনতিদেবীর দিকে তাকিয়ে বললেন ,
    ' যান মা , ওর সঙ্গে যান। কোন অসুবিধে হবে না ... তারপর কাল সকালে যা হবার হবে ... '
    মিনতিদেবীর হাতে আর কোন উপায় ছিল না। এই রাত কাটানোর ব্যবস্থাটাই তার কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা বলে মনে হল। এই ব্যবস্থাটা না হলে তিনি এখন কোথায় যেতেন। তার নিজের বাড়িতে ফিরে যাবার কথা চিন্তা করলে তার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। সুতরাং তার মনে হল ভগবানই যেন তার জন্য এই আশ্রয়ের ব্যবস্থাটা করে দিলেন।
    মিনতিদেবী চেয়ার থেকে উঠলেন। তারপর ধীরে ধীরে কনস্টেবল শঙ্করীপ্রসাদ সাউয়ের দিকে গেলেন।
    শঙ্করী বলল, ' আসুন মাসীমা .... এই পাশেই ... অসুবিধে হবে না ... '
    এই সুবিধেটুকু যে তার পাশে এসে দাঁড়ানো ওই ছেলেটির কল্যাণে হল সেটা মিনতির বুঝতে অসুবিধে হল না।

    রাত সাড়ে নটা বাজল। কালীবাবু আর সাগর আর এক গ্লাস করে চা খেল। এর মধ্যে দুটো পার্টি এসে জি ডি করিয়ে গেল। ভিতরে লক আপে চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। বোধহয় বদমেজাজি কোন কয়েদি ঝামেলা শুরু করেছে। একজন এস আই এর সঙ্গে উঁচু গলায় কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এস আই এর গলা শোনা গেল , ' বেশি তেল হয়েছে .... মেরে হাড় ভেঙে দেব একেবারে ... '। তার উত্তরে লোকটা কি বলল ঠিক পরিষ্কার বোঝা গেল না। অকুতোভয় ওই অপরাধি বোধহয় কোন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করল। সাব ইন্সপেক্টর আবার ক্ষেপে উঠে তাকে তার বাবা মার সঙ্গে জড়িয়ে একটা বিশ্রী গালাগালি দিলেন এবং বললেন, ' আর একটা কথা বললে হাড় মাস আলাদা করে দেব একেবারে বা.. ত। এমন কেস খাওয়াব না ... শুয়ো... বাচ্চা ... '
    কালীবাবু নির্বিকারভাবে বললেন , ' ওঃ ... এক একটা মাল এমন আসে না , কি বলব ... জ্বালায়ে খায় একেবারে ... '
    ----- 'একেবারে ডেয়ো পিঁপড়ের মতো, কি বলেন ?' সাগর ফুট কাটল।
    ----- ' হ্যাঃ হ্যাঃ .... তা যা কইসেন... '
    ওদিকের গোলমাল থেমেছে মনে হচ্ছে। এস আই প্রকাশ ঘড়াই রাগমাখা মুখে ঝড়ের বেগে হেঁটে এসে বাইরের জায়গাটায় নিজের টেবিলে বসে ফাইল বার করে কি সব কাগজপত্র দেখতে লাগলেন।
    ঠিক এই সময়ে তিনজন ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছরের লোক থানায় এসে ঢুকল।
    একজন বলল, ' আসব স্যার ? '
    কালিবাবু বললেন , ' কোথা থেকে ? '
    ----- ' এই গ্রে স্ট্রিট থেকে স্যার ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... ভিতরে আসেন ... '
    তিনজনই ভিতরে এসে ঢুকল। কালীবাবু বললেন, ' বসেন ... '
    ওদের মধ্যে একজন বসল। বাকি দুজন দাঁড়িয়ে রইল, যদিও আরও দুটো চেয়ার খালি ছিল। সাগর ওখান থেকে উঠে গিয়ে ঘরের একপাশে দেয়ালের ধারে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।
    ----- ' কি হয়েছে কি ? ' কালীবাবু সময় নষ্ট করেন না।
    ----- ' নমস্কার ... আমরা তিন ভাই ... একই বাড়িতে থাকি। আমাদের মা-ও আমাদের সঙ্গে থাকে। সন্ধে ছটার পর থেকে তাকে বাড়িতে দেখতে পাচ্ছি না। প্রথমে ভেবেছিলাম আশেপাশে কোন দোকানে টোকানে গেছে। কিন্তু রাত আটটা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম। কাছাকাছি চেনাজানা লোকের বাড়িতে খোঁজখবর শুরু করলাম। কিন্তু দেখলাম সেখানে কোথাও যায়নি। আমরা খুব ভয় পেয়ে গেলাম ... কি করব বুঝতে পারছি না। তাই এখানে এলাম ... মানে একটা মিসিং ডায়েরি ... বাবা মারা যাবার পর থেকে মার মাথাটাও ঠিক নেই। রাস্তায় এদিক ওদিক চলে গেলে বাড়ির রাস্তা ভুলে যেতেও পারে ... '
    ----- ' হুঁ ... উঁ ... উঁ ... খুব মুশ্কিলের ব্যাপার। বাড়ির রাস্তা ভুলিয়ে দেবার লোকেরও তো অভাব নেই। ঠিক কিনা ? ' কালীবাবু কথাটা বলে সোজা তাকিয়ে রইলেন লোকটার দিকে।
    ----- ' মানে ... স্যার ? '
    ----- ' না, মানে মিসিং ডায়েরি আমরা নিয়ে নিচ্ছি। আপনাদের অ্যাড্রেসটা কি আছে ? '
    ------ ' বত্রিশ এ , গ্রে স্ট্রিট ... ওই বিধূশ্রী সিনেমার পাশে ... '
    ----- ' আপনারা কি বিবাহিত ? '
    ---- ' হ্যাঁ '
    ----- ' জয়েন্ট ফ্যামিলি ? '
    ----- ' না মানে , বাড়ি এক ... হাঁড়ি আলাদা ... '
    ----- ' আই সি ... ক'তলা বাড়ি আপনাদের ? '
    ----- ' দোতলা '
    ------ ' মা ক'তলায় থাকত ? '
    ----- ' মা বয়স্ক মানুষ, ওঠা নামার অসুবিধে ... তাই নীচে থাকত ... '
    ----- ' আপনারা সব ওপরে ? '
    ----- ' নীচে বৈঠকখানার ঘর আছে। তাছাড়া ভাঁড়ার ঘরও আছে। '
    ------ ' আপনার মা তা'হলে একরকম বাড়ির কেয়ারটেকার বলা যায় ... '
    যুবক জিভ কেটে বলল, ' কি যে বলেন স্যার ... '
    ----- ' বাড়ি কে করেছিল , আপনাদের বাবা ? '
    ----- ' হ্যাঁ স্যার ... '
    ----- ' মা খেত কার কাছে ? '
    ----- ' মা কারো কাছে খেতে চাইত না। নিজে রান্না করে খেত। নীচে একটা রান্নাঘর আছে। '
    ----- ' বাঃ চমৎকার ব্যবস্থা তো ? মায়ের সঙ্গে কোন ঝগড়াঝাঁটি বা মনোমালিন্য হয়েছিল সম্প্রতি ... আপনাদের বা আপনাদের বৌদের ? '
    ---- ' না না ... ওসবের প্রশ্নই ওঠে না ... আমরা সবাই মাকে দেবীর মতো দেখতাম। বৌরাও ভীষণ সম্মান করত '
    ----- ' তা'লে মাকে হাত পুড়িয়ে খেতে হত কেন ? নিশ্চয়ই শখ করে নয় ... '
    ----- ' হ্যাঁ একরকম শখ করেই বলতে পারেন। মা স্বাধীনভাবে থাকতে পছন্দ করত ... '
    ------ ' বাড়ির মালিকানা আপনাদের বাবার অবর্তমানে নিশ্চয়ই মার নামেই আছে। '
    ------ ' হ্যাঁ সে তো বটেই ... সে তো বটেই। ওসব মালিকানা টালিকানা নিয়ে আমরা কোন মাথা ঘামাই না। মা-ই আমাদের কাছে সব ... ' পবিত্র জলে ধোয়া নিপাট মুখে বলল যুবকটি।
    ------ ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... তা ভাল , তা ভাল ... এমন সন্তানই তো সব মা বাবা চায়। আপনাদের মা রত্নগর্ভা বলতে হবে ... হাঃ হাঃ ... '
    যুবকটি সলজ্জ ভঙ্গীতে বলল, ' আমাদের লজ্জা দেবেন না স্যার ...।
    কালীবাবু ছেলেটার অসাধারণ চাতুরী এবং ছলনা দক্ষতা দেখে বিস্মিত হলেন।
    তিনি বললেন, ' ঠিক আছে ... আপনাদের মিসিং ডায়েরি আমি নিয়ে নিচ্ছি এবং আপনাদের মাকেও আমরা খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে বার করব এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। তবে আপনার বয়ানের সঙ্গে আপনার মায়ের বয়ান কিন্তু পুরোপুরি মেলা চাই ... নইলে কিন্তু ফেঁসে যাবেন। কড়া কেস খেয়ে যাবেন ... এটা কিন্তু মনে রাখবেন। '
    এবার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিতীয় যুবকটি ঢোক গিলে বলল, ' তাতে অসুবিধে নেই স্যার ... তাতে অসুবিধে নেই ... '
    মায়ের তৃতীয় সন্তানটি এবার হাত কচলে স্তাবক চূড়ামণির মতো বলল, ' হ্যাঁ স্যার ... একদম ... একদম ... '
    ----- ' ঠিক আছে , যান ও ঘরে ওই সাহেবের কাছে যান ... উনি আপনাদের ডায়েরি নিবেন। ডায়েরি করে বাড়ি চলে যান। যদি খুঁজে পাই কাল সকালে আপনার মাকে নিয়ে ওই ভদ্রলোক আপনাদের বাড়ি যাবেন। বয়ান কিন্তু মেলা চাই। উনি খুব কড়া লোক কিন্তু ... '
    তিন ছেলে বাঁদিকে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখল ওখানে বেঞ্চে বসে একটা দোহারা চেহারার লোক দেশলাই জ্বালিয়ে একটা বিড়িতে আগুন ধরাচ্ছে। ----- ' একটু দেখবেন স্যার .... একটু দেখবেন স্যার ... ' প্রথম যুবক আবার বলল।
    কালীবাবু এহেন চাতুরী দেখে আবার অবাক হলেন।

    পরদিন সকালে সাগর আবার থানায় এল। মিনতিদেবীকে একটু আগে কোয়ার্টার থেকে থানায় আনা হয়েছে।
    কালীবাবু বললেন, ' আপনের বয়ানটা, মানে যা যা বলেছেন আমাদের, সেটা এই কাগজে লেখা আছে। এর নীচে একটা সই করতে হবে। আপনে পারবেন সই করতে ? '
    মিনতিদেবী কোন দ্বিধা না করে কঠিন গলায় বললেন, ' হ্যাঁ পারব। অনেক সহ্য করেছি ... ' আবার এক পশলা কান্না উঠে আসছিল তার চোখে। কালীবাবু তাড়াতাড়ি কাগজটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ' নেন ... সই করেন। তারপর ওনার সঙ্গে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিবেন। উনি আপনের পোলাদের বুঝিয়ে বলবে। উনি খুব ভাল বুঝাইতে পারে ... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:২৮527231
  • পড়ছি
  • Anjan Banerjee | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৮527254
  • ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন