এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৪৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    পদ্মা ঘুমিয়ে পড়েছিল। সাগরের ডাক শুনে ঘুম ভেঙে গেল। বাইরে বেরিয়ে এল ঘুম জড়ানো চোখে। এসে দেখল, সাগর আর তার সঙ্গে পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের একটা ছেলে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাগরের কাছেও একটা সাইকেল। ছেলেটার সাইকেলের কেরিয়ারে একটা বোঁচকা।
    সাগর জিভ কেটে বলল, ' এঃ হে ... ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম .... এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম, ভাবলাম একবার খোঁজ নিয়ে যাই ... '
    ------ ' না না বাবা ... কি যে বল ... তুমি কত বড় উপকার করলে আমার ... '
    ------ ' ইলেকট্রিকের লাইন করে দিয়ে গেছে তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ বাবা ... পরের দিনই ... ভাবতে পারিনি ...'
    ----- ' ওই ওটার খোঁজ নেবার জন্যই আসলাম। মাঝে মাঝে খুব বদমায়েশি করে ওরা ... '
    ----- ' সে ওরা তোমার সঙ্গে করতে সাহস করবে না ... '
    ------ ' যাক .... ', বলে সাগর তার সাগরেদের সাইকেলের বোঁচকা থেকে একটা তাঁতের শাড়ি বার করে বলল, ' এটা রাখুন মাসিমা। প্রত্যেকবার নতুন বছরের শুরুতে আমরা মা মাসীমাদের দিই। মানে, যাদের কেনাকাটার অসুবিধে আছে ... '
    পদ্মার মুখ অদ্ভুত এক করুণ হাসিতে ভরে গেল।
    সে শাড়িটা সাগরের হাত থেকে নিয়ে বুকের কাছে চেপে ধরল। তার বোধহয় বিগতপ্রায় এবং আগতপ্রায় দুই বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সহসা তার পঞ্চমীর কথা মনে পড়ে গেল। সাগরের চোখে পড়ল পদ্মার দু চোখ ছাপিয়ে জল উঠে আসছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে সাগর মন্ডল কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। মোকাবিলা করার মতো কোন শরীরি প্রতিপক্ষ না পেয়ে সে অসহায় বোধ করতে থাকে। পঞ্চমীর মা-র কাছ থেকে পঞ্চমীকে কেড়ে নেওয়ার জন্য দায়ী লৌকিক বা অলৌকিক যে কোন অস্তিত্বের কৃতকর্মের দাম চুকিয়ে দেবার জন্য সে সর্বদাই প্রস্তুত যদি সে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে সে লড়াই করবে কি করে। তার হাত নিশপিশ করতে থাকে বদলা নেবার জন্য। সাগর কোন নাটুকে দৃশ্যের অবতারণা করতে জানে না। সে কোন দুঃখীকে সান্ত্বনা দান করতেও অভ্যস্ত বা সড়গড় নয়। সে যেটা পারে সেটাই করল। সে পদ্মার কাছে এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গীকে দেখিয়ে বলল, ' এর নাম পটল। যদি কোন দরকারে আমাকে খবর দিতে চান ওই মোড়ের পেট্রোল পাম্পের পাশে যে সাইকেল সারাবার দোকানটা আছে ওখানে এর কাছে খবর দিলেই হবে। পটলকে সবসময়ে পাবেন ওখানে .... '

    পয়লা জানুয়ারির দিন অসিতের একটা পরিকল্পনা ছিল শ্রীলেখাকে একটা চমক দেবার। কিন্তু নানা কারণে সেটা সম্ভব হল না। সেটা ভবিষ্যতের জন্য মুলতুবি রইল। অসিতের বাবার একটা ছোটখাট হার্ট অ্যাটাক হল একত্রিশে ডিসেম্বর রাত্রে। তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। নিতাইবাবুরা অনিমেষ মারফত খবরটা পেলেন এবং বিভূতিবাবুকেও জানিয়ে দিলেন। শ্রীলেখা খবরটা শুনে ছটফট করতে লাগল এক অদ্ভুত অস্থিরতায়। শেষ পর্যন্ত থাকতে না পেরে অনিমেষকে বলল, ' তুই একটু খোঁজ নে না বাবু ... কোন হাসপাতালে আছে ... '
    ------ ' শুনলাম শ্যামবাজারে একটা নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছে। আমি আর সমীরণ যাব একটু পরে ... অসিতদা বোধহয় ওখানেই আছে ... '
    বিভূতিবাবু নীচে নেমে এসেছেন। তিনি বললেন, ' হ্যাঁ, যা যা ... তোরা এই বিপদের সময় ছেলেটার পাশে গিয়ে একটু দাঁড়া ... বড় গুণী ছেলে ... '
    শ্রীলেখা একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। সে এগিয়ে এসে বিড়ম্বিত কন্ঠে বলল, ' আমিও গেলে হয় না .... '
    অনিমেষ বোধহয় রাজি ছিল। সে বলতে যাচ্ছিল, ' হ্যাঁ তা ... '
    এই সময়ে অঞ্জলি কথার মাঝখানে ঢুকে গেল ----
    ' আরে না না ... তুই মেয়েমানুষ ওখানে গিয়ে কি করবি ? বাবুরা গিয়ে দেখুক না কি ব্যাপার ... তেমন গুরুতর কিছু তো নাও হতে পারে ... অসিতের একটু বাড়াবাড়িও আছে সব ব্যাপারে ...'
    নিতাইবাবু বললেন, ' আচ্ছা, হয়েছে হয়েছে ... তুমি থাম তো এখন .... সংকটের সময় এখন এইসব .... '
    অঞ্জলি চুপ করে রইল। অনিমেষ বেরিয়ে গেল সমীরণকে ডেকে নিয়ে শ্যামবাজারে নার্সিংহোমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবার উদ্দেশ্যে। শ্রীলেখা ঘরে চলে গেল। নানারকম বাস্তব এবং কাল্পনিক ভাবনার দোলাচলে সে দোল খেতে লাগল।
    কিছুদিন আগে অনিমেষ আর শ্রীলেখার অ্যানুয়াল পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। দুজনই মোটামুটি রেজাল্ট করে ক্লাসে উঠেছে। ওদের মা বাবা এতেই সন্তুষ্ট। তারা ছেলেমেয়েদের থেকে বিরাট কিছু আশা করে না। তাদের প্রত্যাশা প্রাপ্তি সন্তুষ্টি সবই সাধারণ মাপের। তাই দৈনন্দিন ক্লেশ তাদের সহজে কাবু করতে পারে না।

    কানাই সিকদার আবার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছে। চন্দনা এতদিন কিছু বলেনি। সে এবার বলল, ' এখন এসব থাক। আমি জাস্ট নিতে পারছি না। সামনে পার্ট টু পরীক্ষা। একদম কনসেনট্রেট করতে পারছি না ... '
    অলোকেন্দুবাবুও ঘরে উপস্থিত ছিলেন। সবার মতো তিনিও বেশ হকচকিয়ে গেলেন। সুমনার ধরণটা একটু আলাদা। কিন্তু তার বড় মেয়ে চন্দনা একেবারেই নরম এবং বাধ্য প্রকৃতির। মোটেই প্রতিবাদী ধরণের চরিত্র নয়। তাই সকলেই বেশ অবাক হয়ে গেল।
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হ্যাঁ সেটা ঠিক ... সামনে পরীক্ষা ... ওটা একটা ভাইটাল ব্যাপার ... '
    কানাই সেখানে ছিল। সে বলল, ' বিয়েটা নয় পরে হল ... দেখাদেখিটা যদি এগিয়ে রাখা যায় ... '
    সঙ্গে সঙ্গেই চন্দনার দৃঢ় প্রত্যুত্তর এল, ' না কানাই মামা ... এখন সম্ভব নয় ... '
    বাসন্তীদেবী বিশেষ কিছু বললেন না। শুধু বললেন, ' তা'লে কি পরীক্ষা হয়ে গেলে .... '
    চন্দনার থেকে আবার স্পষ্ট উত্তর এল, ' সেটা এখন বলতে পারছি না মা ... যখনকার ব্যাপার তখন দেখা যাবে ... '
    আপাত শান্ত এবং নমনীয় চন্দনার ভিতর যে এমন এক বিদ্রোহিনী লুকিয়ে ছিল তা কে জানত। বাসন্তীদেবী এতখানি বিস্মিত হলেন যে তিনি আর কিছু বলবার মতো কথা খুঁজে পেলেন না। তাই চুপ করে রইলেন। সুমনা অবাক হয়ে তার দিদির দিকে তাকিয়ে রইল। সে ভাবল, এটা কি নেহাতই বিদ্রোহ না কি এর পিছনে অন্য কোন রহস্য আছে। কাল্টিভেট করতে হচ্ছে। ঠিক করল, এ ব্যাপারে প্রতিবিম্বের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিবিম্বের তো নিজেরই তালের ঠিক নেই, সে আবার কি ব্যাখ্যা দেবে। এছাড়া অবশ্য কাবেরী আছে। কিন্তু ঘরের কথা বাইরের লোককে বলাটা সুমনার পছন্দ নয়, তা সে যত প্রিয় বন্ধুই হোক।
    ইদানীং সুমনার মনে হচ্ছে কাবেরী মাঝে মাঝে কেমন অন্যমনস্ক হয়ে যায়। মনে হয় কফি হাউস থেকে আর একটা কারো সঙ্গে কিছু লটর ঘটর ঘটেছে। ওই পার্থপ্রতিম না কি নাম, তার সঙ্গে কি কিছু হল ...। অমিতাভ বোধহয় এখন সিনের আড়ালে। সুমনা ভাবল, এটা নিয়েও কাল্টিভেট করতে হচ্ছে। তবে কাবেরীর পড়াশোনার বহর দেখে, কাবেরীর যে অনার্স কাটা যাবে সে ব্যাপারে সুমনা মোটামুটি নিশ্চিত। তারপর হয়ত অন্য কোন কলেজে গিয়ে পাস কোর্সে ভর্তি হবে। যাক, সে সব পরের কথা। তবে কাবেরী যে তার খামখেয়ালবশতঃ প্রতিবিম্বের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এজন্য সুমনা কাবেরীর প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ হয়ে আছে।

    নতুন বছর পড়ে দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ গড়িয়ে গেল।
    রাধা সিনেমার পিছন দিকে লাহা কলোনির মাঠে নবযুবক সঙ্ঘের বার্ষিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। প্রতি বছরই হয়। এটাকে প্রধানত সঙ্গীতানুষ্ঠানই বলা যায়। সতীনাথ-উৎপলা বা প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দু একজন বড় শিল্পীকে আনা হয়। নবদ্বীপ হালদার বা জহর রায়ের মতো কেউ হাস্যকৌতূক পরিবেশন করেন। বাকিরা সব মাঝারি মাঝারি মানের শিল্পী। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে পাড়ার কুমকুম বৌদির রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং রামধন মিত্তির লেনের প্রতুল মুখার্জির মতো কারও আবৃত্তি হয়। স্টেজের সামনে পাতা চেয়ারগুলো সেই সময়ে প্রায় ফাঁকা থাকে। রাত আটটার পর থেকে চেয়ার ভরতে থাকে। স্টেজে তখন নিখুঁত নোটে গাওয়া হতে থাকে, ' বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই ... '।
    তার আগে আগে প্রাণপণে হেমন্তবাবুর গলা নকল করে এক তরুণ শিল্পী গেয়ে গেল ---- ' মৌ বনে আজ মৌ জমেছে ... ' আর ' ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস '। চটাচট চটাচট হাততালি পড়ল। এইভাবে জলসা এগোতে লাগল। রাত বুড়ো হতে লাগল ক্রমশঃ। সওয়া নটা বাজল। অধুনা খ্যাতনামা দিলীপ সরকার গাইতে উঠেছেন। তবলচি ছোট হাতুড়িটা দিয়ে ঠুকে ঠুকে তবলা রেডি করছে, সেই সময়ে লাহা পরিবারের পঁয়ষট্টি বছর বয়স্ক এক সদস্য তেজেন্দ্রনারায়ণ লাহা অনুষ্ঠানস্থলে এসে সামনের দিকের একটা চেয়ারে উপবেশন করলেন। আভিজাত্যপূর্ণ জৌলুসভরা চেহারা এবং আভিজাত্যপূর্ণ বেশবাস। হাতে একটা ছড়ি টাইপের লাঠি। ওটা ব্যবহার করার উদ্দেশ্য কি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অভিজাত অভ্যাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, না হাঁটুতে গেঁটে বাতের শত্রুতা ঠেকানোর উপায়, সেটা বলা মুশ্কিল। তবে মানসিকভাবে এখনও তিনি অষ্টাদশ বা উনবিংশ শতাব্দীর লাটসাহেবী পরিকাঠামোয় আটকে আছেন। তাদের বংশের পুরণো বোলচালের রেশ যা তিনি চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ বছর আগেও দেখেছেন এখনও পর্যন্ত তার খোলসে ঢুকে বসে আছেন। তার বোধহয় খেয়ালই নেই যুগের পর যুগের সূর্য উদিত এবং অস্ত হয়েছে এর মধ্যে।
    তেজেন্দ্রনারায়ণ চেয়ারে আসীন হয়ে পুরণো অভ্যাস অনুযায়ী এদিক ওদিক ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে লাগলেন কেউ তাকে দেখছে কিনা। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার, তার উপস্থিতি কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করল না।
    সতীনাথ মুখোপাধ্যায় মঞ্চে উঠে গান ধরলেন ---- জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পার ..... সমাধি পরে মোর জ্বেলে দিও .... '
    শ্রোতারা ডুব দিল সতীনাথের গানে। তেজেন্দ্র লাহা উসখুস করছিলেন। তিনি পাশের ভদ্রলোকের দিকে মাথা কাত করে বললেন, ' আমাদের বাড়িতে দোলের সময়ের মেহফিলে গহরজান, ইন্দুবালারা এসে গান গেয়ে যেত ... '
    ভদ্রলোক কোন উত্তর না দিয়ে 'জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পার ' - তে ডুবে রইলেন।
    তেজেন্দ্রবাবু আবার বললেন, ' কি ছিল সে সব গান ... বুইলেন কিনা ...তার কাছে এইসব গান ... পানসে পানসে ... আমার দাদু একবার ... বুইলেন কিনা ... '
    ভদ্রলোক এবার ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। বললেন,
    ' আরে দূর ... থামুন তো মশায় ...গান শুনছি ... কানের কাছে ভ্যাড়ভ্যাড় ভ্যাড়ভ্যাড় ... বয়েস হয়েছে বাড়ি গিয়ে শুয়ে পড়ুন ... বাইরে হিম পড়ছে ... নিউমোনিয়া হয়ে গেলে মায়ের ভোগে চলে যেতে হবে ... '

    অষ্টাদশ, উনবিংশের সামন্ততন্ত্রের উচ্ছিষ্ট তেজেন্দ্রনারায়ণ বোধহয় অনুভব করতে পারছেন যে তার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের সময়তট কাল সমুদ্রের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শব্দ তিনি শুনতে পান আর নাই পান।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন