এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৩০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ মে ২০২৪ | ১২০ বার পঠিত
  • সাত সকালে কালীবাবু উত্তেজিত গলায় বললেন, 'আরে প্রকাশবাবু খবর শুনসেন নাকি .... দেশবন্ধু পার্কের ওই দিকে একটা মার্ডার হইসে। মুসিপাড়া থানা থেকে ত্রিদিব বক্সী ফোন করসিল ... '
    প্রকাশ ঘড়াই দ্রুত এ ঘরে এলেন।
    বললেন, ' তাই নাকি ! শুনিনি তো ... '
    ---- ' কাল অনেক রাতে নাকি একটা জওয়ান সেলেরে শ্যুট কইরা মারসে। আমাদের কাছে খবর আসার আগেই নাকি হেডকোয়ার্টারে খবর গেসে। খুন হওয়া পার্টির হাত খুব লম্বা বলতে হবে। আমার খুব সন্দেহ হয় স্বরূপ খাঁড়ারে। হোমিসাইড স্কোয়াড নাকি স্নিফার ডগ নিয়া আসতাসে ... '
    তারপর আপনমনে বিড়বিড় করলেন কালীকিঙ্কর, ' ঘন্টা করব কুকুর আইস্যা... কতই দেখলাম হ্যাঃ ... '
    কথাটা বোধহয় প্রকাশ ঘড়াইয়ের কানে গেল।
    তিনি একটা সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে বললেন, ' যা বলেছেন স্যার ... হেডকোয়ার্টার যদি খুনি ধরতে পারে আমার নামে কুকুর পুষবেন ... '
    কথাটা কালীবাবু সর্বান্তকরণে সমর্থন করলেন।
    ---- ' হ্যাঃ ... অ্যাক্কারে হক কথা কইসেন ... গোরা ডিঙায়ে ঘাস খাওয়া ... '
    বলে কালীবাবু চুপ করে কি চিন্তা করতে লাগলেন।
    এবার বললেন, ' কিন্তু আমার সিন্তাটা অন্য জায়গায়। এই মার্ডারের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক আছে কিনা .... হুমম্ ... সিন্তার বিষয় ... অর লগে একবার দেখা হওয়ার দরকার তাড়াতাড়ি ... '
    প্রকাশবাবু বললেন, ' হ্যাঁ তাই তো ... দেখুন কি করবেন ... ', বলে তিনি উঠতে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে হন্তদন্ত হয়ে রাত্রি এসে ঢুকল কালীবাবুর ঘরে।
    কালীবাবু বলে উঠলেন, ' আরে ... সক্কালবেলায় ম্যাডাম যে ... কি খবর ? '
    ----- ' না মানে ... সাগর এসেছিল নাকি ? '
    ----- ' কেন বলেন তো ... কি হইসে ? বসেন বসেন ... '
    প্রকাশ ঘড়াই ' আমি তা'লে যাই ... কাজ আছে ... '
    বলে উঠে গেলেন।
    রাত্রি সামনের চেয়ারে বসল।
    ----- ' একটু আগে ওর এক সঙ্গী কানু এসেছিল। বলল, সাগর নাকি কাল রাত্রে বাড়ি ফেরেনি। আর ওখানে কোথায় একটা মার্ডার হয়েছে ... আমার খুব ভয় করছে ... কানুরা খোঁজ চালাচ্ছে...'
    ----- ' দিদিভাই আপনের ভয় করছে কেন ? সাগর তো আর মার্ডার হয় নাই। তাহলে সারা এলাকায় হৈ হৈ পইড়া যেত ... আপনে নিশ্চিন্তে থাকেন। আমাদের কাসে খবর আসছে ... একটা চব্বিশ পঁচিশ বছরের ছেলেরে শ্যুট করা হইসে বডির পিসন দিকে। সাগরের কিসু হয় নাই এ ব্যাপারে আমি শিওর। হয়ত কোন কাজে গিয়া আটকায়ে গেসে। চিন্তা কইরেন না। দ্যাখেন হয়ত এতক্ষণে বাড়ি ফিরা গ্যাসে ... '
    ----- ' ওর মার শরীর ভাল না। কানু বলল, ছেলের জন্য খুব চিন্তা করছেন ... রাত্রে বাড়ি ফেরেনি ... '
    ----- ' ম্যাডাম আমি একটা কথা বলি .... আপনে যদি পারেন সাগরবাবুর বাড়িতে একবার খবর নেন। আমি শিওর সে এতক্ষণে বাড়ি ফিরা গ্যাসে.... আচ্ছা, ঠিক আসে, দাঁড়ান আমরা খবর করত্যাসি। আপনি নিশ্চিন্তমনে বাড়ি যান। এক ঘন্টার মধ্যে আপনের বাড়িতে খবর পৌঁসায়ে দিব। নিশ্চিন্তে থাকেন ... '
    রাত্রি কতটা নিশ্চিন্ত হল কে জানে। তবে কালীবাবুর কথামতো সে বাড়ি ফিরে গেল।
    কালীবাবু আপনমনে বললেন, ' হুমম্ ... কেসটা অত সহজ নয় ... সাগরকে কেউ মার্ডার করতে এসে নিজেই মার্ডার্ড হল নাতো ? তার শত্রুর তো অভাব নাই। সবই নিশ্চয়ই জানা যাবে আজকের মধ্যেই ... '
    তিনি হাঁক পাড়লেন, ' পরেশ ... ও পরেশ একবার এদিকে এস তো ... '
    পরেশ জানা বলল, ' আসছি স্যার ... এক মিনিট ... '

    মাণিক আর কানু কাল রাত বারোটা থেকে সরযূদেবীকে পাহারা দিচ্ছিল বাড়ির বাইরে একটা খাটিয়ায় শুয়ে। সকাল ছটা নাগাদ রাত্রির বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করে এসেছে যদি রাত্রির কাছে কোন খবর থাকে। রাত্রি সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল।
    বলল, ' নাঃ ... আমি তো কিছু জানি না ! আচ্ছা আমি একবার থানায় গিয়ে দেখছি যদি ওরা কিছু জানে ... '। কানুরা ফিরে গেল উল্টোডাঙায়।

    সকাল আটটা নাগাদ কানু বলল, ' মাসীমা আমরা এবার একটু খোঁজখবর করি ... দাদা তো এখনও ফিরল না। ফিরে আসবে ঠিক... কোন চিন্তা করবেন না .... দাদার কিছু হলে এতক্ষণে খবর হয়ে যেত। তবে একটু খোঁজখবর করতে হবে। দাদা তো আগে কখনও এরকম না বলে কোথাও চলে যায়নি। শুনেছিলাম কাল বাঙুরে শতদল ভট্টাচার্যের বাড়ি যাবার কথা ছিল।
    ওখান থেকে খোঁজ করা শুরু করতে হবে। আমরা আর দেরি করব না। বেরিয়ে পড়ছি। আপনি খাওয়াদাওয়া করুন, বিশ্রাম নিন মাসীমা। চিন্তা করবেন না, আমরা ঠিক খবর নিয়ে আসব। সন্তোষ দাশকে খবর পাঠিয়েছি। ও এ লাইনে এক্সপার্ট লোক ... আগে ইনফর্মার ছিল ... '
    সরযূদেবী বিমর্ষ কন্ঠে বললেন, ' দেখ যা ভাল বোঝ ... ওর তো শত্রুর শেষ নেই ... তাই চিন্তা ... '
    ----- ' না না না ... মাসীমা .... দাদাকে কেউ ছুঁতেও পারবে না .... বলে দিলাম ... যাক আমরা বেরোচ্ছি ...' মাণিক বলল।
    কানু আর মাণিক দরজার দিকে ঘুরতেই তাদের চোখ আটকে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাগর মন্ডল এবং তার পাশে সাদা পাজামা পাঞ্জাবী পরা এক ভদ্রলোক।
    সবযূদেবী বিষ্ময়ে আনন্দে আকুল হয়ে ছুটে গিয়ে সাগরকে জড়িয়ে ধরলেন।
    বললেন, ' এরকম করতে আছে বাবা ... মায়ের মনে কত কষ্ট হয় ... '
    সাগর কিছু বললে নিখিলবাবু বললেন, ' মা ... ক'টা বিশ্রী হায়েনার দলে আটকে পড়েছিল আপনার ছেলে। বার করে আনলুম। আমরা সকলেই সকলের সঙ্গে আছি মা ... নইলে এগোব কি করে ? এসব ঝঞ্ঝাট তো মাঝে মাঝে হবেই।
    নিখিলবাবুর প্রবল ব্যক্তিত্বময় উপস্থিতির সামনে কানু, মাণিক এবং সরযূদেবী হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
    সাগর একটা চেয়ার টেনে এনে নিখিলবাবুকে বলল, ' বসুন স্যার ... '
    নিখিলবাবু বসলেন। সাগর কানু মাণিকের দিকে
    তাকিয়ে বলল, ' স্যার অঙ্কের প্রফেসার ... '
    কানু, মাণিক এবং সরযূ শ্রদ্ধায় তটস্থ হয়ে উঠল। একজন প্রফেসার তাদের বাড়িতে আজ পর্যন্ত পা রাখেনি।
    নিখিলবাবু বললেন, ' ওসব আমার চাকরির জায়গায় বন্ধু। তার বাইরে আমরা সবাই সবায়ের সাথী। এটাই একমাত্র সত্য। এর বাইরে আর কিছু নেই ... '
    কানু, মাণিকরা কি বলবে ঠিক ভেবে পেল না। বিনীত হাসি হেসে দাঁড়িয়ে রইল। সরযূদেবী খাটে বসে নিখিলবাবুর দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
    নিখিলবাবু কানুদের দিকে তাকিয়ে বলল, ' বস না ... '
    ঠিক এই সময়ে বাইরে থেকে কে যেন বলল, ' সাগরবাবু আছেন নাকি ? '
    সাগর বাইরে গেল। গিয়ে দেখে বটতলা থানার কনস্টেবল পরেশ জানা দাঁড়িয়ে আছে সিভিল ড্রেসে।
    সাগরকে দেখে পরেশ একগাল হেসে বলল, ' ও ... আপনি এসে গেছেন ... যাক নিশ্চিন্দি... যাই গিয়ে খবরটা দিই গে যাই .... কালীবাবু পাঠাল ... '
    ----- ' ও আচ্ছা .... কালীবাবু খবর পেয়ে গেছে ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... মানে, রাত্রি ম্যাডাম এসেছিল খুব সকালে ... খুব চিন্তা করছে ... তাই কালীবাবু আমাকে ... যাই, গিয়ে খবরটা দিই গে ... আর হ্যাঁ, কাল নাইটে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের ওখানে একটা মার্ডার হয়েছে জানেন তো ? '
    সাগর ভ্রু কুঁচকে বলল, ' তাই নাকি ? জানি না তো ... কি কেস কে জানে ... দেখতে হবে ... '
    ------ ' ঠিক আছে, আমি তা'লে আসি ... ওনাকে খবরটা দিতে হবে ... '
    পরেশ জানা বিদায় নিল। সাগর ঘরে ঢুকে দেখল
    তার মা চায়ের জল বসিয়েছে।

    প্রতিবিম্ব আর সুমনা পাশাপাশি বসেছিল হেদুয়ার বেঞ্চে শিরীষ গাছের নীচে।
    সুমনা বলছিল, ' সেদিন রঙমহলের সামনে ওই ব্যাপারটা হবার পর থেকে আমার রাস্তায় চলাফেরা করতে কেমন গা সিরসির করে। সবসময়ে মনে হয় কে যেন ফলো করছে ... '
    প্রতিবিম্ব চুপ করে রইল। তাকেও বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে। একটু পরে বলল, ' লাইফটা কিরকম
    কমপ্লিকেটেড হয়ে গেল। সামনে পরীক্ষা ... কনসেনট্রেট করতে পারছি না ... যদিও সাগরবাবু
    আছেন ... কিন্তু তিনি তো সবসময়ে আমাদের গার্ড দিয়ে বেড়াবেন না .... ওই স্বরূপ খাঁড়া না কে ... লোকটা বিশেষ সুবিধের নয় ... খুব ভিনডিক্টিভ... মহা মুশ্কিল... '
    সুমনা বলল, ' তাই তো ... কথাটা বাপিকে বলেছি, বাপি বলল, কিচ্ছু হবে না ... ভয় পাসনি ... ওদের এত সাহস হবে না যে অলোকেন্দু মিত্রের মেয়ে জামাইকে হ্যারাস করে ... '
    প্রতিবিম্ব হেসে ফেলল।
    ----- ' স্যারের এই সেন্স অফ হিউমারের জন্যই ওনাকে এত ভাল লাগে ... হাঃ হাঃ হাঃ ... গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ... '
    সুমনা চোখ বড় বড় করে প্রতিবিম্বর দিকে তাকিয়ে বলল, ' তার মানে ? তোমার মতলবটা কি বল তো ? '
    ------ ' কিসের মতলব ? '
    ----- ' এই যে বললে, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ... চিমটি খাবে কিন্তু ... '
    ----- ' তা নয় তো কি ? উঃ ... ছাড় ছাড় ... লাগছে ... '
    ওদের এটা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন বলা যায়। নতুন কোন খুনসুড়ির সাময়িক পর্ব শুরু হল বোধহয়। সেটা চলতে লাগল। এরপর নতুন কোন মান অভিমানের পালা শুরু হবার পটভূমি প্রস্তুত হচ্ছে বোধহয়।
    সে হচ্ছে হোক। ওদিকে ওদের বেঞ্চের ডানদিকে প্রায় পনের ফুট দূরের বেঞ্চে দুটো লোক খোলা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে চিনে বাদাম খাচ্ছিল নিশ্চিন্ত ভঙ্গীতে। মাঝে ঝাল নুন মুখে দিচ্ছে পরম তৃপ্তিতে। ওখান দিয়ে একটা আইসক্রিমওয়ালা বারবার আনাগোনা করছে সম্ভাব্য খদ্দেরের আশায়। কলেজের বেশ কিছু ছেলেমেয়ে ইতি উতি ঘোরাফেরা করছে পুকুর ঘিরে।

    প্রতিবিম্ব আর সুমনার খুনসুটি যখন বেশ দানা বেঁধে উঠেছে সেই সময়ে ওই বেঞ্চে দুটো ছেলে এসে বসল। একটা ছেলে বসেছে একেবারে প্রতিবিম্বের গা ঘেঁসে। ওদের খুনসুটি থেমে গেল। কেমন একটা অস্বস্তিতে ওদের গা সিরসির করতে লাগল।
    ছেলেটা বলল, ' একটু মেরে বস ... মেরে বস ... দেখছ না অসুবিধে হচ্ছে ... '
    ব্যাপারটা আচমকা ঘটায় প্রতিবিম্ব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
    সুমনা বলল, ' চল ... চল ... আমরা যাই ... ' সে যেন একটা বদ গন্ধ পেল ব্যাপারটায়।
    প্রতিবিম্বরা বাঁদিকে একটু সরে বসতে পারত। কিন্তু তাতে প্রতিবিম্বর পৌরুষে বাঁধল। সে ভাবল, যাক হয় হোক, সে সরবে না। বেঞ্চ থেকে উঠেও যাবে না।
    সে সুমনার হাতে চাপ দিয়ে বলল, ' দাঁড়াও না ... আমরা যাব কেন ? '
    ছেলেটার দিকে মুখ ঘুরিয়ে ওদিকের একটা বেঞ্চ দেখিয়ে বলল, ' ওটা তো খালি আছে ... ওখানে গিয়ে বসুন না ... '
    ছেলেটা চোখমুখ বিকৃত করে বলল, ' তুই কি আমাকে অর্ডার করছিস নাকি শালা ? পীরিত মাড়াবার শখ মিটিয়ে দেব জম্মের মতো ... তোরা ওখানে যা না ... ওখানে গিয়ে হিরোবাজি করগে যা ... '
    সুমনা এবার খুব ভয় পেয়ে গেল এবার।
    বেঞ্চ থেকে উঠে পড়ে বলল, ' চল ... চল ... '
    প্রতিবিম্বর কিন্তু রোখ চেপে গেছে। সে গ্যাঁট হয়ে বসে রইল। উঠে তো গেলই না, বাঁদিকে সরেও গেল না। তার পাশে বসা ছেলেটা বিশ্রী একটা গালাগালি দিয়ে প্রতিবিম্বর গায়ে একটা ঠেলা মেরে বলল, ' সর বলছি শালা... '
    ওরকম জোরাল একটা ধাক্কা খেয়ে দুবলা পাতলা প্রতিবিম্ব নীচে পড়ে যেতে যেতে কোনরকমে সামলে নিল।
    সুমনা প্রবল আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠল, ' উঃ ... মাগো ! '

    ডানদিকে প্রায় পনের ফুট দূরের বেঞ্চে বসে ঝাল নুন দিয়ে চিনে বাদাম খাওয়া গাট্টাগোট্টা লোকদুটো এবার হাত ঝেড়ে নিয়ে উঠে পড়ল। ব্যস্তবাগীশ ভঙ্গীতে ছুটে এল। লাল জামা পরা লোকটা ধাক্কা মারা ছেলেটার কাঁধে হাত দিয়ে বোঝাবার ভঙ্গীতে জিভ কেটে বলল, ' আই ... আই ... আই ... না না ... ছিঃ, গায়ে হাত দিতে নেই ... মুখে বললেই তো হয় ... মিষ্টি কথায় পাথরও গলে ... বুঝলে না ... '
    এতে যেন আগুনে ঘি পড়ল। ছেলেটা রেগে আগুন হয়ে লাল জামার চুয়াল্লিশ ইঞ্চি বুকে একটা ধাক্কা মেরে বলল, ' ভাগ শালা ...হাওয়া লে পাপী ... জ্ঞানের ভগীরথ শালা ... '
    লাল জামার শরীরটা এক ইঞ্চি সরল না নিজের জায়গা থেকে।
    মুহুর্তের মধ্যে একটা প্রচন্ড চড় এসে পড়ল ধাক্কা মারা ছেলেটার বাঁ গালে। ছেলেটা বোধহয় একটা আন্দাজ পেল যে যার তার হাতের চড় নয় এটা।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন