এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৬৮ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮৪ বার পঠিত
  • সুরেশ্বর মল্লিকের দিন একেবারে বিরস কাটছে।

    জীবনটা যেন পানসা হয়ে গেছে। সাগরের দাবড়ানিতে মল্লিকবাবুর বিশাখাদের পাড়ায় যাওয়া বন্ধ হয়ে আছে প্রায় মাস চার পাঁচ। মনটা হু হু করে বিশাখাদের কথা ভাবলে। মনে শান্তি নেই মোটে। বিকেলবেলা হলে মল্লিকবাবুর রোজই মনে হয় আগের মতো ছুটে চলে যান ওই রঙীন মদির সুগন্ধী মহল্লায়। কিন্তু তারপরেই সাগরের কঠিন মুখটা মনে পড়লেই গুটিয়ে যান।
    অপারেশানের পর তার বড় মেয়ে অসীমা এখন ভাল আছে। সুরেশ্বরের বেশ কিছু ইয়ার দোস্ত আছে। তারা প্রায় প্রতিদিনই তার বাড়িতে আসে সন্ধের দিকে। তারা এলে একটা ঘরে দরজা বন্ধ করে স্কচ হুইস্কির বোতল খোলা হয়। চাচার দোকান থেকে মাংসের চাঁট আসে মাঝে মাঝে। অন্যদিনে পেঁয়াজি আর চানাচুর দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হয়। চারজনে মিলে ব্রিজ খেলতে বসে টাকা পয়সা সাজিয়ে নিয়ে। খেলা চলে রাত এগারোটা পর্যন্ত। হৈ চৈ এর একশেষ। সুরেশ্বরের পৈত্রিক এবং পারিবারিক সম্পত্তি যথেষ্ট আছে। তার পূর্বপুরুষদের ধারা অনুসরণ করে সুরেশ্বরও কোনদিন কাজকর্ম করেনি। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে, মল্লিকবাবু তার হিসেব রাখুন আর নাই রাখুন। তার মেয়েদের পড়াশোনার ওপর তীব্র আগ্রহ। তারা শিক্ষিত হতে চায়। বিগত যুগের সামন্ততান্ত্রিক আবরণ ঝেড়ে ফেলতে চায়। পুরণো কাল আর নতুন কালের এ এক অদ্ভুত যুগ সন্ধিক্ষণ।

    দুপুরবেলায় পঞ্চানন ঘোষ আসে সপ্তাহে দু তিন দিন। দাবা খেলতে বসে। সারা দুপুর ধরে দাবা খেলা চলে। নাওয়া খাওয়ার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। সুরেশ্বরের স্ত্রী সরমা হা পিত্যেশ করে বসে থাকে। অপেক্ষা করে করে শেষ পর্যন্ত সাড়ে চারটে পাঁচটা নাগাদ কোনদিন খাওয়া হয় কোনদিন হয় না। পিত্তি পড়ে পড়ে ক্ষিধে মরে যায়। কঠিন রোগে পড়ল বলে। স্বামীর জন্য আগে অনেক চিন্তা করত, নিজের ভবিষ্যত নিয়েও খুব দুর্ভাবনা হত। এখন ভাবনা চিন্তার দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সবকিছু ভবিতব্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। বড় মেয়ে অসীমা ক্লাস টেনে পড়ে। এই সৃষ্টিছাড়া সংসারে মানুষ হয়ে সে এই বয়সেই ঝুনো হয়ে গেছে মানসিকভাবে। শুধু লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ তার বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা জাগিয়ে রেখেছে এখনও। তাদের সংসারের এই পরিবেশ সে বদলে দিতে পারবে এই জেদটা সে মনের মধ্যে সযত্নে পুষে রেখেছে। কিন্তু ততদিন কি তার মা বেঁচে থাকবে ? বাবাকে নিয়ে অবশ্য অসীমা মাথা ঘামায় না। তিনি চলে গেলে তার চোখ দিয়ে যে এক ফোঁটাও জল বেরোবে না এ ব্যাপারে সে নিশ্চিত।

    সুরেশ্বর যে স্রেফ সাগর মন্ডলের ভয়ে খারাপ পাড়ায় যাওয়া বন্ধ রেখেছে এটা বুঝতে তার অসুবিধে হয় না।

    অসীমা ভাবে সাগর মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে কিনা। তারপরে ভাবে এ ভাবে নিজের পরিবারের জঞ্জাল অন্য কারো সামনে উপুড় করে দেওয়াটা কি ঠিক কাজ হবে। ডাফ স্ট্রিটের মারামারির ঘটনাটা সে শুনেছে। কিছু বদমাশকে নাকি সাগর শায়েস্তা করেছে। তার পক্ষে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যাই হোক, সে তো আসলে সমাজের অপাংক্তেয় শ্রেণীতে পড়ে, বারবার তার সাহায্য নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা সেটা সে তার সীমিত বুদ্ধি দিয়ে সে বুঝতে পারে না।

    পঞ্চানন ঘোষের বয়স বিয়াল্লিশের মতো হবে। সে কখনও দর্জিপাড়ার ও পাড়ায় যায়নি। কিন্তু ওখানকার ব্যাপার স্যাপার সম্বন্ধে তার অপার কৌতূহল। সে প্রায়ই ভাবে সুরেশ্বরকে বলবে তাকে একটা দিন মহল্লাটা চাখিয়ে আনার জন্য। কিন্তু বলি বলি করেও বলে উঠতে পারে না। আজ এক বোর্ড দাবা খেলে ওঠার পর বলল, ' সুরেশদা তোমাকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বলব বলব ভাবছি ... '
    সুরেশ্বর ভ্রু তুলে পঞ্চাননের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    ----- ' বলছি যে আমার অনেকদিনের শখ ... হেঁ হেঁ ... ' পঞ্চানন সলজ্জ ভঙ্গীমায় নিবেদন করে।
    ----- ' কিসের শখ বল তো ... '
    ----- ' ওই যে ... হেঁ হেঁ ... সেন্ট্রাল এভিনিউয়ে যেখানে আপনি যান ... আমারও খুব ইচ্ছে একটু অভিজ্ঞতা করার ... একদিন যদি একটু ... '
    ----- ' ও-ও-ও ... আচ্ছা আচ্ছা ... বুঝতে পারলাম। তা যা বলেছ, খুব মজলিশি জায়গা যা হোক ... একবার গেলে মন চাইবে আবার যেতে। কিন্তু তুমি তো গেরস্থ লোক ... তোমার কি এসব .... '
    ----- ' সে আপনিও তো গেরস্থ ভদ্দরলোক... '
    ----- ' আরে ... আমি আর গেরস্থ ভদ্রলোক হতে পারলাম কই ? আমি চিরকাল হাফগেরস্ত অভদ্দরলোক হয়েই রইলাম ... হাঃ হাঃ ... বাপঠাকুদ্দার রক্তই তো বইছে শরীরে ... বুঝলে কিনা ... হেঃ হেঃ ... আর তাছাড়া ওখানে এখন আমার নিজেরই তো যাওয়া বন্ধ ... ওই শালা ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... সেটা তো শুনেছি ... সে যাক আবার যখন যাবেন আর কি ... ' পঞ্চানন আবার সলজ্জ নিবেদন রাখল।
    সুরেশ্বর কোন উত্তর দিলেন না। তিনি আনমনা হয়ে মাথা নীচু করে কি যেন ভাবতে লাগলেন। বোধহয় দূর্গাচরণ মিত্রের কারো কারো কথা মনে পড়ে গেল হঠাৎ।

    সুরেশ্বরবাবুর ঘরের দেয়ালে এক মানুষ সমান
    উচ্চতায় একটা একনলা গাদা বন্দুক টানানো আছে। টোটাভরা বন্দুক। কি এক সংষ্কারবশত ওতে টোটা ভরা থাকে।
    পঞ্চানন ঘোষ উন্মাদনার বশবর্তী হয়ে কথাটা বলে ফেলে চুপ করে রইলেন। বিশেষত, সুরেশ্বরের নীরবতা কারণে বেশ সংকোচ বোধ করতে লাগলেন।
    পঞ্চাননবাবু একটু পরে বললেন, ' ঠিক আছে মল্লিক, আমি এখন উঠি ... এখন আর খেলতে ভাল লাগছে না। এসব বললাম বলে কিছু মনে করো না যেন ... '
    সুরেশ্বর বললেন, ' হুঁ হুঁ ... না না ঠিক আছে ... দেখবখ'ন ... '
    সুরেশ্বর কি দেখবেন ঠিক বোঝা গেল না।

    সেদিন সন্ধেবেলা সুরেশ্বরের ঘরে যথারীতি সান্ধ্য আসর বসেছে। তাস খেলা আর মদ্যপান একসঙ্গে চলেছে। নেশার ঝোঁকে আদিরস মিশ্রিত
    খিস্তি খেউড়ও চলছে বিক্ষিপ্তভাবে। অন্য ঘরে মেয়েরা পড়াশোনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে দেখতে দেখতে তাদের এসব গা সওয়া হয়ে গেছে। এসবে তাদের মনোযোগ এখন আর এতটুকুও ব্যহত হয় না। এসব অস্বাভাবিকতা তাদের জীবনের স্বাভাবিক অংশ হয়ে গেছে। সরমারও তাই। এই কন্টক বিকীর্ণ জীবন মানিয়ে নিতে নিতে এই জীবনধারাতেই তার নিজস্বতা লীন হয়ে গেছে।
    সরমাকে দেখলে বোঝা যায় এককালে কি অপরূপা ছিলেন তিনি। এই কর্কশ মাধুর্যহীন জীবনযাপনের মধ্যেও তার জন্মগত রূপের রশ্মি বয়সের আবরণ ভেদ করে লোকের চোখে এসে লাগে এখনও।
    রাত প্রায় সাড়ে দশটা। সান্ধ্য আসর সাঙ্গ হল। সুরেশ্বরের চার স্যাঙাৎ ঘর থেকে বেরোল। সুরেশ্বরও বেরোল। সকলেরই কিছুটা নিয়ন্ত্রণহারা অবস্থা অ্যালকোহলের প্রভাবে।
    ঠিক সেই সময়ে সরমা কি একটা কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল। ভ্রমর কালো দুচোখ পড়ল একদম সামনের মৃদু টলায়মান বিশ্বপতি রায়চৌধুরীর দিকে। তার ধমনীতেও বইছে পূর্বপুরুষের সামন্ততান্ত্রিক রক্ত।
    ঘটনাক্রমে তার সঙ্গে সরমার এক পলকের চোখাচোখি হয়ে গেল। সরমার রূপের পড়ন্ত রশ্মি এসে আচমকা ঠিকরে পড়ল বিশ্বপতির চোখে। বংশগত প্রভাবেই হয়তো তার কেমন ঘোর লেগে গেল। স্থান কাল পাত্র ভুলে রায়চৌধুরীবাবু সরমার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং কেউ কিছু বোঝার আগেই তার একটা হাত ধরল খপ করে। সামান্য জড়ানো আওয়াজে বললে উঠল ---- ' আমাদের সঙ্গে তাস খেলতে আস না কেন তুমি ? কাল আসবে তো ... '। সরমার গা ঘিনঘিন করতে লাগল।
    এই সময়ে একটা অভাবনীয় ঘটনা ঘটল। সেই রাতে সোনাগাছিতে যেমন সাগরের হাতে থাপ্পড় খেয়ে মুহুর্তের মধ্যে সম্বিত ফিরে এসেছিল, ঠিক সেই রকমভাবে মস্তিষ্কে নেশার পর্দা খুলে পড়ে গেল সুরেশ্বর মল্লিকের। বিদ্যুৎ চমকে উঠল মাথার ভিতর।
    বাড়ি কাঁপানো এক প্রকান্ড চিৎকার ঠিকরে বেরিয়ে এল সুরেশ্বর মল্লিকের গলা দিয়ে ...
    ----- ' আ- আ-আ ... আ ..ই... ই শালা ... '
    কেঁপে উঠল সকলে। সুরেশ্বরের মেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখল সুরেশ্বর বিদ্যুৎবেগে তার ঘরে ঢুকে গেল।
    কয়েক মধ্যে সেকেন্ডের বেরিয়ে এল ঘর থেকে। দুচোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে। হাতে দেয়ালে টানানো সেই একনলা বন্দুকটা যাতে টোটা সবসময়ে ভরাই থাকে।
    সুরেশ্বর মল্লিক ক্ষিপ্ত বাঘের মতো ছুটে এসে বিশ্বপতি রায়চৌধুরীর মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধরল। তার চোখ জ্বলছে।
    ------ ' শালা রেন্ডির বাচ্চা ... আমার সহধর্মিনীর গায়ে হাত ... শালা বেজন্মা কুত্তা ... এক্ষুণি খতম করে দিচ্ছি তোকে ... চিনিস না আমাকে ... যা সোনাগাছিতে বেশ্যা চটকাগে যা ... একদম খতম করে দেব ... শুয়োরের বাচ্চা ... '
    বিশ্বপতিবাবুর মুখ ভয়ে শুকিয়ে গেছে। সুরেশ্বরের এমন রূপ সে কখনও দেখেনি। ক্রোধের তাপে যদি ট্রিগার টেনে দেয় তাহলে কি হবে ! প্রাণভয়ে সে কুঁকড়ে গেল একেবারে।
    ওপরে দুহাত তুলে কাতর কন্ঠে বলল, ' ভুল হয়ে গেছে সুরেশ .... বুঝতে পারিনি ... মাফ করে দাও আমাকে ... আর কোনদিন হবে না ... '
    সুরেশ্বর বিশ্বপতির মাথা থেকে বন্দুক সরায়নি এখনও।
    ----- ' আর কোন কোনদিন হবে না কিরে ! তুই আর কোনদিন কিছু করার সুযোগ পাবি নাকি ? আজকেই তুই খরচা হয়ে যাবি ... '
    ------- ' না না সুরেশ ... শোন শোন .... আমি ক্ষমা চাইছি .... এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দাও ... ক্ষমা করে দাও ... ', রায়চৌধুরী মশাই বলির পাঁঠার মতো কাঁপছেন প্রাণভয়ে।
    সুরেশ্বর বলল, 'আমি তোকে ক্ষমা করার কে রে শালা .... আমার কি যোগ্যতা আছে ? '
    ------ ' তবে কার কাছে .... '
    আমার সহধর্মিনীর কাছে ক্ষমা চা তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে। ও যদি তোকে ক্ষমা করে দেয় তা'লে বেঁচে গেলি ... বস শালা ... '
    সেখানে উপস্থিত কুশীলবদের বিষ্ফারিত চোখের সামনে প্রখ্যাত রায়চৌধুরী বংশের সন্তান বিশ্বপতি বাবু সরমা মল্লিকের পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন।
    নিজের অজান্তেই সুরেশ্বরের বড় মেয়ে অসীমার চোখ থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল তার গালের ওপর।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন