এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৭৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩১৫ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। সাগর আর মিনতিদেবী একটা রিক্শা থেকে নামল বত্রিশ এ গ্রে স্ট্রিটের সামনে।
    মিনতিদেবী বললেন , ' এই যে এখানে ... '
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ ... চলুন ভেতরে যাই ... '
    কি জানি কি কারণে সদর দরজা খোলাই ছিল। দুজনে ভিতরে ঢুকল। বাঁদিকে পরপর তিনটে ঘর।তিনটে ঘরেই তালা মারা। মিনতি মাঝখানের ঘরটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। দেখা গেল তার আঁচলে একটা চাবি বাঁধা আছে। চাবিটা দিয়ে তিনি তালা খুলে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলেন। সাগরকে বললেন, ' আসুন ... '
    ঘরে ঢুকতেই একটা ভ্যাপসা গন্ধ পেল সাগর। একটা পচা গন্ধও নাকে এল। আশেপাশে কোথাও ইঁদুর মরেছে নিশ্চয়ই। মৃতদেহ ক্রমশ বাসি হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দশ ফুট বাই আট ফুট ঘরে একটা তক্তাপোষ রয়েছে। তার ওপর একটা তেলচিটে পাতলা তোশক উঁকি দিচ্ছে ছেঁড়া ময়লা চাদরের তলা থেকে। ওয়াড় ছাড়া ময়লা একটা বালিশ রয়েছে। এক কোণে সেলাই খুলে তুলো বেরিয়ে আসছে। ঘরে দুটো দেয়াল আলমারি, একটা ছোট টেবিল, একটা মান্ধাতার আমলের চেয়ার আর একটা পুরণো দরকচা মারা বেতের মোড়া আছে। বিবর্ণ দাগধরা দেয়াল। ঘরে কতদিন ঝাঁট পড়েনি তার ঠিক নেই।
    মিনতি বললেন, ' বসুন ... '
    কিন্তু ঘরে এত দুর্গন্ধ আসছে যে এখানে বসা খুব কঠিন। মিনতি ঘরের জানলাটা খুলে দিল।
    সাগর বলল, ' না ... বসবার দরকার নেই। ওদের ডাকি ... '। বলে, মিনতি কিছু বলবার আগেই ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে সিঁড়ির কাছে গিয়ে হাঁক দিল ----- ' কে আছেন ... নেমে আসুন ... তাড়াতাড়ি নেমে আসুন ... '
    ওপর থেকে কে জবাব দিল , ' যা...ই ... '
    তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে তিন ছেলে, তিন বৌ হুড়মুড় করে নেমে এল। বাড়িতে পুলিশ পড়েছে এই উৎকন্ঠাতেই যে তাদের এই তৎপর প্রতিক্রিয়া তাতে কোন সন্দেহ নেই।
    সেই বড় ছেলেটা , ' ও আপনি এসেছেন ... খোঁজ পেলেন কিছু ... ' বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে নামছিল। একদম নীচের ধাপে এসে চোখ পড়ে গেল তার মা-র দিকে। সে মাতৃদুগ্ধপিপাসু গাভীর মতো ধাবিত হয়ে মিনতিদেবীর কাছে পৌঁছে তাকে জড়িয়ে ধরল। করুণ স্বরে বলতে লাগল, ' মা ... মাগো ... তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে মা তোমার কোলের সন্তানদের ছেড়ে .... '
    তিনটে বৌও নেমে এসেছে। এদের ছেলেপুলে আছে কিনা কে জানে। দুটো বৌ ছুটে গেল মিনতির কাছে। একটা বৌ প্রায় কেঁদে ফেলে বলতে লাগল , ' আমাদের ছেড়ে থাকতে পারলে মা ... জান কিভাবে আমাদের রাতটা কেটেছে ... '
    অন্য আর এক বৌ মিনতির কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে দাঁড়িয়ে রইল।
    সাগর ভাবল , নাটক ভালই জমেছে। এসব ভ্যানতাড়া কতক্ষণ চলবে কে জানে।
    মিনতিদেবীর দিক থেকে বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। তিনি আস্তে আস্তে এদের যন্ত্রণাদায়ক স্নেহপাশ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলেন। বললেন, ' বড্ড গরম পড়েছে ... একটু সরে দাঁড়াও ... '
    তারপর সাগরের দিকে তাকালেন।
    সাগর মিনতিদেবীর ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বলল, ' অনেক হয়েছে ... এবার শুনুন ... '
    একটা ছেলে বলল, ' হ্যাঁ , বলুন স্যার ... '
    ---- ' আমি কোন স্যার ট্যার না ... এমনকি পুলিশের লোকও নই ... '
    ---- ' তবে ? '
    ---- ' আর পাঁচজনের মতো সাধারণ লোক একজন ... '
    ওরা ছ জন , এমনকি মিনতিও কথাটা শুনে বেশ অবাক হয়ে সাগরের দিকে তাকিয়ে রইল। কি উত্তর দেবে ঠিক ভেবে পাচ্ছে না।
    একটুখানি ভেবে বড় ছেলে বলল, ' তবে যে কাল থানায় দেখলাম আপনাকে ...মানে, ওসির ঘরে ...'
    ------ ' হ্যাঁ ... ওই একটু আধটু সমাজসেবার কাজ করি তো ... তাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় আর কি ... '
    ----- ' অ ... তা কি ধরণের সমাজসেবা করেন ? '
    ----- ' সেটা পরে জানতে পারবেন। এখন আমার সঙ্গে এদিকে আসুন ... '
    সমাজসেবক শুনে মিনতিদেবীর পরিবার ধন্দে পড়ে গেল। সাগরকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত মনে মনে বোধহয় তার হিসেব করতে লাগল।
    ----- ' কি হল ... আসুন আসুন ... লেট করবেন না ... '
    মেজ ছেলে বলল, ' কোথায় ? '
    ----- ' আরে আসুন না এদিকে ... দেখাচ্ছি। শুধু ছেলেরা আসবেন, মেয়েরা নয়। '
    সাগরের কথা বলার ভঙ্গী সহসা বদলে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা একটা অন্য কিছুর গন্ধ পেল হালচালের মধ্যে। সাগরের কথা অমান্য করার ঝুঁকি নিল না তারা। অপরাধি মন প্রতিকূল আবহাওয়ার গন্ধ ঠিক পেয়ে যায় যথাসময়ে।
    সাগর মিনতির ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ' আপনারা ঘরে গিয়ে বসুন ... '
    ছেলে তিনজন ঘরে গিয়ে ঢুকল। ঘরের ভিতর বিকট গন্ধে গা গুলিয়ে উঠল ওদের। তিনজনেরই নাক মুখ অস্বস্তিতে কুঁচকে গেল নিজের অজান্তে। সাগর চেয়ারটা বার করে এনে বাইরে একটা জায়গায় পেতে মিনতিদেবীকে বলল, ' মাসীমা আপনি এখানে একটু বসুন ... '
    ছেলেগুলো না বসে দাঁড়িয়ে আছে মিনতির ঘরে। ওরা বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য পা বাড়াল সঙ্গে সঙ্গে। সাগর দরজা আগলে দাঁড়িয়ে ধারাল গলায় বলল, ' উঁহু ... বেরোবেন না ... ভেতরেই থাকুন পনের মিনিট। তারপর যদি ঠিক থাকেন, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে রান্নাঘরের হালটা দেখব। ওটা দেখা হয়নি ... '
    ছোট ছেলে বলল, ' এঃ ... এখানে দাঁড়ান যাচ্ছে না ... '
    ----- ' সে কি ! আপনার মা তো এখানেই থাকে। এ ঘরে বোধ হয় এই প্রথম পা পড়ল আপনাদের, তাই না ? '
    বড় ছেলে বিজন বলল, ' না , ঠিক তা না ... মা তো নিজের মতো থাকে , তাই ... '
    ----- ' ঠিক আছে আপনারা এখন একটু নিজের মতো থাকুন ... মাসীমা চাবিটা একটু দিন তো ... দরজায় তালা লাগিয়ে দিই ... '
    বিজন এবার বাহ্যিক পালিশের খোল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে আসল রূপে দেখা দিল।
    ----- ' দেখুন মশাই... আপনি কিন্তু হেবি বাড়াবাড়ি শুরু করেছেন ... লিমিট ক্রস করে যাচ্ছেন ... যা বোঝার পুলিশ বুঝবে ... আপনাকে ফপরদালালি করতে কে বলেছে ... এখানে কি সমাজসেবার চাষ করতে এসেছেন ? কোন পাড়ার মাল আপনি শুনি ... '
    মেজ ছেলে বলল, ' শালা বোধহয় থানার দালাল। এখানে মাস্তানি করতে এসেছে টাকা খাওয়ার জন্য। সব বাঁধা হিস্যার ব্যাপার। আমি এক্ষুণি কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলছি। এমন টাইট দেবে না ... বাবার নাম খগেন হয়ে যাবে ... '
    সাগর এতটুকু উত্তেজিত হল না। সে ঠান্ডা গলায় বলল, ' চলুন না ... আমিও যাই ... অনেকদিন দেখা হয়নি কাউন্সিলরের সঙ্গে ... '
    ------ ' তুই কোন হরিদাস পাল রে ... যে কাউন্সিলরের কাছে যাবি ... ' বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে যাচ্ছিল ছেলেটা।
    সাগর ওকে হাল্কা ঠেলা মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দিল আবার।
    বলল, ' উঁহু ... একদম নয়। অন্তত পনের মিনিট ঘরে থাকতেই হবে। মাসীমা দিন ... চাবিটা দিন ...'
    একটা হাল্কা ঠেলায় এত জোর থাকতে পারে মেজ ছেলে অসীমের ধারণা ছিল না।
    কিন্তু গায়ে হাত পড়তে আর পাঁচটা দুর্জনের মতো তার এতক্ষণের সংযমের বাঁধ ভেঙে গেল।
    সে তেড়ে মেরে এসে ' শালা ... দালালের বাচ্চা ... চল হাট ... ' বলে সাগরের গায়ে ধাক্কা মারার চেষ্টা করল। মিনতি ভীত উৎকন্ঠিত চোখে নির্বাকভাবে তাকিয়ে এসব দেখতে দেখতে উদ্বেগে কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলেন।
    সাগর অসীমের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটা আগেই আন্দাজ করে নিয়েছিল।
    সে অসীমের হাত তার শরীর পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই বৈদ্যুতিক তৎপরতায় সেটা ধরে ফেলল। অসীমের হাতের কব্জি তার লোহার মতো আঙুল দিয়ে মুচড়ে ধরল। অসীমের চোখ মুখ যন্ত্রণায় কুঁচকে গেল। যন্ত্রণাবিদ্ধ অবস্থায় তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল --- ' উঃ .... মাগো .. '
    মিনতিদেবীর বুক তোলপাড় করে উঠল। তিনি চেয়ার থেকে উঠে সাগরের পাশে এসে বললেন , 'ছেড়ে দাও বাবা .... ছেড়ে দাও ... ছেলেমানুষ ভুল করে ফেলেছে ... আমার যা হয় হোক ... আর ক'দিনই বা বাঁচব ... '
    সাগরের হাতের মুঠি আলগা হয়ে গেল এক নিমেষে। সে মিনতির মুখের দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে রইল।
    তারপর বাইরের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল,
    ' চলে আয় রে ... ভিতরে চলে আয় ... '
    পাঁচটা কড়াক ছেলে ভিতরে ঢুকল। তার মধ্যে কানু আর মাণিকও আছে।

    বিভূতিবাবু অনেকদিন থিয়েটার দেখতে যাননি। রঙমহলে পরপর দুটো নাটক নামছে , চন্দ্রগুপ্ত আর মিশরকুমারী। অহীন্দ্র চৌধুরী , নরেশ মিত্র , রাধিকানন্দ মুখোপাধ্যায় , নীতিশ মুখার্জি সবাই আছে। মিশরকুমারীতে নাকি ছবি বিশ্বাসও থাকবে শোনা যাচ্ছে। তবে বিভূতিবাবু লক্ষ করেছেন এইসব সাবেকি ঐতিহাসিক নাটকের আর আগের মতো চাহিদা নেই। ভাঁটার টান শুরু হয়েছে জনপ্রিয়তায়। এখনকার যুবকেরা একদমই যায় না এসব নাটক দেখতে। যায় বেশির ভাগই তার মতো বয়স্ক লোকেরা।
    গতকাল রবিবার দীনবন্ধু এসেছিল নিতাইবাবুর বাড়ি। এখন পনের দিন অন্তর বাড়ি যায়। বিভূতিবাবুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।
    ----- ' কি ভায়া কেমন আছ ? শ্যামবাজারের মেসে কেমন লাগছে ?'
    ---- ' খুবই ভাল লাগছে। আপনার জন্যই তো হল ... '
    -----' না ... এ আর কি এমন ব্যাপার। সিট খালি ছিল তাই ... কোন অসুবিধে হলে বোল , ওদের সঙ্গে আমার অনেক কালের আলাপ। থিয়েটার দেখার আগ্রহ আছে নাকি ?'
    ----- ' কি বললেন জেঠু ... থিয়েটার ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... নাটক ... '
    ----- ' ওসব দেখার কোন সুযোগ পাইনি কখনও... আমাদের ওদিকে তো ওসব দেখার কোন সুযোগ নেই। ওসব কলকাতার লোকেদের জন্য ... '
    ----- ' তা চল না ... আমরা একসঙ্গে একটা থিয়েটার দেখি ... '
    ----- ' কোথায় ? '
    ------ ' এই তো ... রঙমহলে ... কাছেই। পরপর দুটো নাটক নামছে ... চন্দ্রগুপ্ত আর মিশরকুমারী ... বড় বড় আর্টিস্ট আছে ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... ঐতিহাসিক নাটক। তা গেলে হয়। বিখ্যাত নাটক ... অনেক নাম শুনেছি ওগুলোর ... '
    ----- ' ঠিক আছে ... আমি টিকিট কাটাচ্ছি। দুটো শো-ই রবিবারে। তোমার অসুবিধে হবে না ... '
    ------ ' আমি তা'লে সেদিনই ... '
    ------ ' আরে দূর .... ওটা নিয়ে ভেব না। তুমি হলে আমার গেস্ট। আমাকে সঙ্গ দেবে এটাই অনেক। আজকাল তো আর আগের মতো লোকজন পাই না। কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। সব কিছু কেমন যেন বদলে যাচ্ছে ... '
    ------ ' মন খারাপ করবেন না জেঠু ... আমি আপনার সঙ্গে আছি ... '
    বিভূতিবাবুর মুখে খুশির আলো এসে পড়ল।
    তিনি বললেন, ' কথাটা যে বললে, এই যথেষ্ট ভায়া। আজকাল তো এসব কেউ বলে না আমাদের মতো বুড়োদের ... '
    ------ ' কে বলে আপনি বুড়ো ... আপনি চিরতরুণ।আমরা সকলে যেন আপনার মতো হতে পারি ... '
    নির্মল হাসিতে ভরে উঠল বিভূতিবাবুর মুখ।

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন