এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০৮ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ মার্চ ২০২৪ | ২২৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    গণেশ বলল, ' দাদা পান খাবেন তো ? '
    ----' নাঃ ... একটা সিগারেট দে বরং ... '
    ---- ' কি সিগারেট দেব বলুন ... '
    ---- ' ক্যাপস্টান... ক্যাপস্টান... দারুন লাগে ... তামাকের গন্ধই আলাদা ... '
    ----- ' যা বলেছেন ... গোল্ড ফ্লেক, ফিল্টার উইলস এর কাছে কিছু না ... '
    সাগর সিগারেটে একটা টান মেরে বলল, ' যা বলেছিস ... '
    ----- ' দাদার শরীর এখন ঠিক আছে তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... আছে মোটামুটি। ব্যাথা মরতে এখনও সময় লাগবে। ওষুধ খাচ্ছি। কাটাছেঁড়া হয়েছে ... তার ধকল তো থাকবেই ... '
    ----- ' কিছু বার করতে পারলেন ? '
    ----' কি ? '
    ----- ' কোন হারামি এটা করল ? শালা মাদা ... দ ...
    ----- ' অ্যাই... মুখ খারাপ করিস না ... মুখ খারাপ করিস না ... কে কখন কি যে করে ফেলে সে নিজেও জানে না ... ব্যবস্থা একটা হবে ঠিকই... অত তাড়াহুড়ো করলে হয় না ... অত খার খাওয়া ... মানে, কি বলে ... রাগারাগি করা ঠিক না ... '
    গনেশের বিড়ি বাধায় বাধা পড়ল। সে ' ভমকে' গিয়ে তাকিয়ে রইল সাগরের দিকে। এ আবার কি ? সাগরদা কি বলছে এসব ! এ তো লেখাপড়া জানা ভদ্রলোকেদের মতো কথা বলছে। এ তো আসল সাগর মন্ডল, মানে ... জ্বলন্ত আগুন নয়, স্রেফ ভিজে যাওয়া পোড়া কয়লা ...
    সাগর আপনমনে সিগারেট টেনে যাচ্ছে আর কি সব চিন্তা করে যাচ্ছে।
    গণেশ পাত্রের মনে হঠাৎ একটা কথা উদয় হল।
    সে বলবে কি বলবে না ভাবতে ভাবতে শেষে বলে ফেলল ----- ' দাদা ... উনিই তো আপনাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল না ? '
    ----- ' কে ? '
    ---- ' ওই... রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলছিল ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... তাতে কি হল ? তোর কিছু দরকার আছে ? বেশি বাড়াবাড়ি করিস না ... '
    গণেশ লক্ষ করল, কথাটার ঝাঁঝে আসল সাগর মন্ডলের একটা ঝলক ঠিকরে বেরল। কিন্তু তার অপরাধটা কি সেটা একদম বুঝতে পারল না গণেশ।
    সে কাঁচুমাচু হয়ে বলল, ' না দাদা ... কিছু না ... এমনি ... চেনা চেনা লাগল তাই আর কি ... '
    আবার দুজনে চুপচাপ হয়ে গেল। গণেশ বিড়ি বাঁধতে লাগল। সাগর ক্যাপস্টান টানতে লাগল।
    এই সময়ে প্যান্ট শার্ট পরা মাথায় বড় বড় চুলওয়ালা, অনেকটা ... মতো দেখতে সাঁইত্রিশ আটত্রিশ বছরের এক ভদ্রলোক এসে সেখানে দাঁড়ালেন। সাগর এবং গণেশ দুজনের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' ভাই... দীনবন্ধু সেন স্ট্রিটটা কোন দিকে ? '
    ----- ' ওই তো ওদিকে একটু এগিয়ে যান। তারপর বাঁ হাতের রাস্তাটা .... ' গনেশ বলল।
    ----- ' ও আচ্ছা, ধন্যবাদ.... '
    বলে ভদ্রলোক চলে যেতে গিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ালেন।
    বললেন, ' আচ্ছা ... আপনারা সাগর মন্ডলকে চেনেন ? এই দিকেই কাছাকাছি কোথাও থাকে বলে শুনেছি ... '
    গনেশ বলল, ' না... মানে ... '
    সে সাগরের দিকে তাকাল।
    সাগর সতর্ক দৃষ্টিতে ভদ্রলোকের আপাদমস্তক জরিপ করতে লাগল।
    ভদ্রলোক আবার বললেন, ' জানেন না, না ? আচ্ছা ঠিক আছে ... ', বলে পিছন ঘুরলেন।
    এই সময়ে সাগর বলে উঠল, ' হ্যাঁ ... সোজা ওই দিকে একটু দূরে ... কেন কিছু দরকার আছে ? '
    ---- ' হ্যাঁ, একটু দরকার ছিল ... কথা বলতাম ... '
    ----- ও ... সাগর মন্ডলের নাম আপনি কোথায় শুনলেন ? '
    ----- ' কেন, ওকে তো অনেকেই চেনে। অনেকদিন ধরেই জানি ... দেখিনি অবশ্য কোনদিন ... '
    সাগর বলল, ' আমার সঙ্গেও একটু আধটু পরিচয় আছে। যদি খুব জরুরী দরকার হয় ... আপনি ঠিকানাটা রেখে যেতে পারেন ... আমি বলে দেখতে পারি ... আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিলে চলবে ? '
    এই জায়গায় গনেশ মুখ ফস্কে বলে ফেলল, ' কোন সিরিয়াস ক্যাচাল নাকি ? '
    সাগর গনেশের দিকে কটমট করে তাকাল। গনেশ অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নীচু করে নিল।
    ভদ্রলোক অবশ্য গনেশের কথায় কর্ণপাত করলেন না। সাগরের প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন।
    বললেন, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... কোন অসুবিধে নেই। যদি এক টুকরো কাগজ পাওয়া যায় ... '
    সাগর গনেশকে বলল, ' দে তো ... '
    গনেশ সিগারেটের একটা খালি খোলের ভেতরের কাগজটা বার করে বলল, ' এই যে ... এই যে ...'
    ভদ্রলোক পকেট থেকে কলম বার করে ওতে তার নাম ঠিকানাটা লিখে সাগরের হাতে দিলেন।
    সাগর পাত্তিটায় চোখ বুলিয়ে দেখল, লেখা রয়েছে ----- নিখিলচন্দ্র ব্যানার্জী। ১৯ নং আমহার্স্ট স্ট্রিট।
    ভদ্রলোক বললেন, ' মাড়োয়ারি হাসপাতালের কাছে ... ওখানে গিয়ে আমার নাম বললেই হবে। সন্ধের দিকে গেলে সুবিধে হয়। সকালে সময় পাই না ... '
    গনেশ আবার বলে ফেলল, ' বুঝেছি ... অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে আর কি ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... ওইরকমই আর কি ... আমি একটা কলেজে অঙ্কের মাস্টারি করি ... তাই ... '
    সাগর এখন ভিতর থেকে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। আগেকার সাগর হলে এসব লঘু গুরু ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাত না। কিন্তু এখন রাত্রি প্রভাবে ব্যাপারটা আলাদা।
    সে দোকানের সামনে পাতা একটা বেঞ্চে বসেছিল। অনেকে এখানে বসে চা খায়।
    সাগর বেঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে উঠল এবং যেটা আগে কল্পনাও করা যেত না সেটাই করল।
    আধ খাওয়া সিগারেটটা ফেলে দিল। বলল, ' কোন কলেজে স্যার ? '
    ----- ' সিটি কলেজে। '
    ----- ' ও আচ্ছা। কোন অসুবিধা হলে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ভাল লোক ... যদি বলেন তো দেখতে পারি ... '
    নিখিলবাবু বললেন, ' না না ... ওসব ব্যাপার না। অন্য কথা ... অন্য কথা ... '
    সাগর কিন্তু এখনও সতর্কতা বজায় রাখল। নিজের পরিচয় ভাঙল না। তার ষষ্ঠেন্দ্রিয় তাকে সদা সর্বদা জানান দেয় অচেনা কাউকে চোখ বুজে বিশ্বাস করা বোকামি।
    সে বলল, ' ঠিক আছে স্যার। চিন্তা করবেন না। আমি দেখছি ... আমি দেখছি ... '

    নিখিল ব্যানার্জী আজ মনে হচ্ছে বেশ ভাল মুডে আছেন। তিনি ছাত্রীদের নানারকম চুটকি মানে, জোক শোনাতে লাগলেন। শেষের জোকটা যদিও খুব পুরণো এবং অনেকেরই জানা তবু সেটা শুনে সকলেই খুব হাসতে লাগল।
    চুটকিটা হল এইরকম ---- কোন এক স্কুলে ক্লাসের মাস্টারমশাই বললেন, হাওড়া থেকে দিল্লীর দিকে একটা ট্রেন যাচ্ছে ঘন্টায় ষাট মাইল বেগে, আকাশে একটা চিল উড়ছে ঘন্টায় কুড়ি মাইল বেগে। এবার বলতো আমার বয়স কত ?
    একজন ছাত্র হাত তুলে বলল, ' আমি বলব স্যার ?'
    মাস্টারমশাই বললেন, ' হ্যাঁ বল ... '
    ছাত্র বলল, ' বিয়াল্লিশ ... '
    মাস্টার অবাক হয়ে বলল, ' আরে, তুই কি করে বুঝলি ? '

    ছাত্র জবাব দিল, ' আমাদের পাড়ায় একটা ছেলে আছে স্যার। সে হাফ পাগল আর তার বয়স হল একুশ। '

    শুনে সকলে হো হো হাসতে লাগল। কাবেরীও খুব হাসছিল। তার মনে জমে থাকা নানা ভার হাল্কা হচ্ছিল। নিখিল স্যারের কাছে পড়তে এলে তার মন হাল্কা হয়ে যায়। ব্যাচে অবশ্য অনেকেই আছে যারা বুদ্ধিতে তার চেয়ে অনেক এগিয়ে। সঙ্গে সুমনা থাকলে তার একটু সুবিধে হত। অবশ্য এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই পড়ানোর চেয়ে স্যারের কথা শুনতেই বেশি ভাল লাগে। তার মতো ব্যাচের অনেকেরই মনোভাব যে তাই, এটা কাবেরী বুঝতে পারে।

    দু একটা মজার জোক বলার পর, স্যার হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেলেন। বোধহয় গুরুগম্ভীর কোন বিষয়ের কথা মনে পড়ল তার। বোঝাই যাচ্ছে স্যার এবার কোন ভারি প্রসঙ্গে যাবেন।
    ঠিক সেটাই হল। নিখিল স্যার বললেন, ' একটা কথা খেয়াল করেছ ... এদেশে ইলেকটোরেট মাস-এর প্যাটার্ন কোন স্বাভাবিক গণতন্ত্রের সহায়ক নয়। কারণ বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে আকাশ পাতাল অর্থনৈতিক বৈষম্য। বৈভবশালী শ্রেণী তাদের আর্থিক শক্তির জোরে দেশের সরকারকে তাদের সুবিধাজনক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে। আবার প্রকারান্তরে, শাষকগোষ্ঠী যদি শক্তিশালী হয়, তারা ওই শ্রেণীকে ভয় দেখিয়ে অর্থ দিতে বাধ্য করতে পারে, বাণিজ্যগোষ্ঠী যা উসুল করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল সাধারণ মানুষের পকেট কেটে, মানে শাসকের নীরব প্রশ্রয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে। জনগন কিন্তু ভোট দিয়ে হয় ওই শাষকগোষ্ঠীকেই আবার নির্বাচিত করে কিংবা অন্য কাউকে আনে যারা ক্ষমতায় আসার পর একই কাজ করতে থাকে। এর থেকে জেনারেল ইলেকটোরেটদের পালানোর কোন রাস্তা নেই। কেউই অ্যানার্কি ডেকে আনতে চায় না। কাজেই বারংবার ভোটের লাইনে দাঁড়ায় উইদাউট এনি মোটিভ হোয়াটসোএভার। তোমরা ভিশিয়াস সার্কেল অফ পভার্টি কথাটা শুনেছ .... এ হল ভিশিয়াস সার্কেল অফ কোয়ার্সান অ্যান্ড অপ্রেশান। এছাড়া অথোরিটেটিভ ম্যানিপুলেশানের আরও রাস্তা আছে। শাসক টোটাল মাসের মধ্যে নানা অমূলক গোষ্ঠীস্বার্থের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে তাদের বিভিন্ন ছোট ছোট গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যাবার প্ররোচনা দেয় এবং প্রত্যেকেরই চাহিদা পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনির্দিষ্টকাল তাদের শাসক মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে বাধ্য করে।
    কমন ইলেকটোরেট আবার তাদেরই নির্বাচিত করে। যুগ যুগ ধরে এই সাংঘাতিক গণতান্ত্রিক ধারা প্রবাহিত হচ্ছে পৃথিবীর নানা রাষ্ট্রে। আমরা অবশ্য আমাদের দেশের কথাই চিন্তা করব। এভাবে তো চলতে পারে না। চলতে দেওয়া উচিত নয়।
    এসব কথা এই পড়ুয়াদের বেশির ভাগেরই চিন্তার চৌহদ্দির বাইরে। তারা উসখুস করছে চাপা বিরক্তিতে।

    কাবেরী খুব মন দিয়ে নিখিলবাবুর কথা শুনছিল। তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া থেকে একটা কথা তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল ----- ' তাহলে আর কি উপায় আছে স্যার ? '
    নিখিলবাবু কাবেরীর কথাটা শুনে কেমন আনমনা হয়ে গেলেন। স্বগতোক্তি করতে লাগলেন, ' তাই তো .... উপায় কি আছে ... উই মাস্ট এক্সপ্লোর সাম ওয়ে আউট ... উই মাস্ট ... '
    কাবেরী হাঁ করে তাকিয়ে আছে স্যারের মুখের দিকে। সে এসব কথা কারো মুখে শোনেনি। অন্যরাও শোনেনি। কিন্তু তাদের কোন ভাবান্তর দেখা গেল না। কাবেরীর সঙ্গে স্যারের চোখাচোখি হল একবার। কাবেরী কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে কি জানি কেন চোখ নামিয়ে নিল। নিখিল স্যার তার দিকে তাকিয়ে কোন রাস্তার সন্ধান চাইছিলেন হয়ত। কিন্তু সে যে অতি নগন্য মানুষ। সে কি করে রাস্তা দেখাবে। সে তো প্রায়শ নিজের রাস্তাই ভুলে যায়।

    এই সময়ে বাড়ির সর্বক্ষণের সাহায্যকারী খগেন দরজায় মুখ বাড়িয়ে বলল, ' উল্টোডাঙা থেকে এক ভদ্রলোক আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে স্যার ... '
    নিখিল ব্যানার্জী বললেন, ' ও আচ্ছা ... বুঝতে পেরেছি। একটু দাঁড়াতে বল... আসছি আমি ... '

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন