এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ৩৪৭ বার পঠিত
  • শ্রী সিনেমার উল্টোদিকে নলিন সরকার স্ট্রিট। প্রতিবিম্বের সহপাঠি সুশোভন সেন এই গলিতে থাকে। গান তাকে খুব টানে। সুশোভন কিছুদিন তবলা শিখেছিল। নানা কারণে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু তার গান শোনার তীব্র আকর্ষণ। ক্ল্যাসিক্যাল বা লঘু যে কোন ধরণের সঙ্গীত। লোকগীতি বা রবীন্দ্রনাথের গান। ভজন, কীর্তন বা ফিল্মের গান, তা সে বাংলা বা হিন্দী যাই হোক। যে কোন ধরণের ভাল মানের গানে তার প্রচন্ড আকর্ষণ। এরকম সর্বধারার সঙ্গীতপ্রবণতা খুব কমই দেখা যায়। সে একটা রেকর্ড প্লেয়ার কিনেছে। অনেক কষ্টে এদিক ওদিক থেকে পয়সা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে ওটা কিনেছে। যদিও তার বাড়ির অবস্থা যথেষ্ট স্বচ্ছল।

    প্রতিবিম্ব আর সুশোভনের স্কুলও একই ছিল ---- স্কটিশ চার্চ। দুজনের কলেজও স্কটিশ চার্চ। পাঠ্য বিষয় অবশ্য আলাদা। প্রতিবিম্বের বিষয় ফিজিক্স আর আর সুশোভনের ইংরিজি সাহিত্য।
    কলেজের মধ্যে দুজনের দেখা খুব কমই হয়। আজ দেখা হয়ে গেল ভিতরের হলে।
    সুশোভন বলল, ' বিম্ব শোন .... তোকেই খুঁজছিলাম ... রবিবার দুপুরে বাড়িতে চলে আয়। নতুন ডিস্ক কিনেছি কয়েকটা। শোনাব .... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে ... দুটো নাগাদ যাব। তোদের বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি স্কুল ছাড়ার পর থেকে। তোদের সেই অ্যাকোয়ারিয়ামটা এখনও আছে? কি দারুন সব মাছ ছিল .... খরগোশ দুটো আছে ? '
    ------ ' হ্যাঁ অ্যাকোয়ারিয়াম আছে। ওটা কাকুর শখের জিনিস। খরগোশ দুটোও আছে। তাদের দুটো বাচ্চাও আছে ... সারাদিন ছোটাছুটি করে বেড়ায়। ওসব কাকুর সম্পত্তি। তার প্রাণ একেবারে .... আচ্ছা রবিবার আয় তা'লে ... '
    ------ ' আচ্ছা ... আচ্ছা ... '

    রবিবার দুপুরে প্রতিবিম্ব সুশোভনের বাড়ি গেল। সুশোভন প্রথমে ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের একটা গান চাপাল ... আলোক লগনে ... আহির ভৈরবীর ওপর হবে সম্ভবত। তারপর বলল, ' রবীন্দ্রনাথের একটা গীতিনাট্য বেরিয়েছে এইচ এম ভি থেকে ... শ্যামা। শ্যামা চলল অনেকক্ষণ ধরে। প্রতিবিম্ব বলল, দারুণ লাগল ...। এবার সুশোভন বলল, একটা নতুন হিট গান শোন বাংলা সিনেমার ... '
    ----- ' চালা ...'
    সুশোভন মেশিনে ডিস্ক চাপাল। বেজে উঠল একটা নতুন হিট গান ... মউ বনে আজ মৌ জমেছে .... হেমন্তবাবুর গলায়।
    এরপরেও গানপাগল সুশোভন নানাধরণের গান বাজিয়ে চলল একের পর এক। এমনকি কৃষ্ণচন্দ্র দে-র ... নবদ্বীপের শোভনচন্দ্র আজিকে অস্তমিত -ও বাদ গেল না। ' মান অভিমান নেই কো আমার তবুও বন্ধু চরণে কেন ... ' -র প্রচলিত কীর্তনী চলনে বিভোর হয়ে সুশোভন চোখ বুজে মাথা দোলাতে লাগল। একজন কলেজ পড়ুয়া সদ্য যুবকের পক্ষে বেশ আশ্চর্যজনক ব্যাপার বটে। সে যাই হোক সুশোভন এইরকমই।

    বিকেল সাড়ে চারটে বেজে গেছে। আকাশ মেঘে ঢাকা। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। বিকেলবেলাতেই মেদুর আঁধারের ছায়া পড়েছে হাতিবাগান জুড়ে। সামনের বড় বারান্দাটায় কটা ছটফটে খরগোশ খেলে বেড়াচ্ছে। বারান্দার একপাশে একটা ঢাউস অ্যাকোরিয়াম। নানাভাবে সাজানো, যেন একটা মিনি সমুদ্রতল। নানা রঙের, নানা গড়নের কত মাছ আপনমনে নিরাপদে ঘোরাফেরা করছে সেখানে। সব সুশোভনের কাকুর পুষ্যি। দোতলার ঘরে বসে বারান্দার ওপারে বিষণ্ণ আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে রইল প্রতিবিম্ব।
    ----- ' আমার কালেকশনগুলো কেমন শুনলি বল ?'
    সুশোভন একটা ইজি চেয়ারে গা ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
    ----- ' সত্যি দারুণ, অপূর্ব ... তোর চয়েসের প্রশংসা করতেই হবে। সময়টা খুব ভাল কাটল ... ', প্রতিবিম্ব বলল।
    ----- ' অনেকদিন পর আমাদের বাড়িতে এলি। আগে কত আসতিস ... নতুন রেকর্ড বেরোলেই শুনতাম আমরা। '
    ----- ' তাই তো ... আমরা হঠাৎ কেমন যেন বড় হয়ে গেলাম ... না ? '
    ----- ' ঠিক বলেছিস .... এই কিছুদিন আগে বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতাম ... আর এখন কলেজে ! '
    ----- ' আমার অবশ্য বাবার হাত ধরে স্কুলে যাবার সৌভাগ্য হয়নি কোনদিন .... বাবা কবে চলে গেছে আমার মনেই নেই। মা-ই ছিল আমার দুনিয়া। গত বছর মাও আমাকে ছেড়ে চলে গেল মাত্র সাতদিনের জ্বরে। কি হয়েছিল ডায়াগনসিসই হল না .... আমি একদম একা হয়ে গেছি রে শোভন...', প্রতিবিম্বর গলা কেমন কেঁপে যায়।
    ----- ' তোর কষ্ট আমি বুঝি রে ... কিন্তু যা চলে গেছে তা তো আর ফিরবে না বিম্ব ... যা আছে তাই নিয়েই তো থাকতে হবে আমাদের ...তুই একটা ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ... কত বড় কেরিয়ার তোর ... চল লক্ষ্মী সাউয়ের দোকানে গিয়ে পেঁয়াজি খাই। এতক্ষণে ভাজা শুরু হয়ে গেছে।'
    ----- ' কোথায়? '
    ----- ' ওই যে.... রঙমহলের উল্টোদিকে .... '
    ----- ' ও হ্যাঁ ... জানি জানি .... ', তারপর পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলল, ' দাঁড়া ... একটু দেখে নিই ... '
    ----- ' আরে দূর .... ছাড় তো ... আজ আমি খাওয়াচ্ছি ... তুই নয় অন্য দিন ... '

    অনিল ঘোষ চাচার দোকানের উল্টোদিক থেকে এক কেজি খাসির মাংস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রবিবারে কচি পাঁঠার ঝোল ছাড়া তার চলে না। গেটের মুখে দাঁড়িয়ে বিভূতিবাবু একটা রোগামতো কাঁচাপাকা দাড়িওয়ালা লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অনিলবাবু দূর থেকে দেখেই তাকে চিনতে পারলেন। লোকটার নাম কার্তিক বেরা। রাজমিস্ত্রি। অনিলবাবু এ বাড়িতে তাকে আগেও বেশ কয়েকবার দেখেছেন। বিভূতিবাবু নিশ্চয়ই বাড়ির কোন একটা অংশ ভেঙেচুরে একটা আলাদা ঘর বার করবার প্ল্যান ফাঁদছে তার ছেলে, ছেলের বৌয়ের জন্য। দু ঘর ভাড়াটেকে তুলতে পারলে তিনি বাঁচেন। কিন্তু সেটা চট করে সম্ভব হচ্ছে না। ভাড়াটেরা শর্ত হিসেবে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বসতে পারে। আর ভয় দেখিয়ে ভাড়াটে তোলার পন্থা তার মতো শান্তিপ্রিয় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তাই তাকে এটা ওটা নানারকম পরিকল্পনা করতে হয় তার নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য।
    অনিলবাবু তার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে মাংসের থলে নিয়ে চট করে ভিতরে ঢুকে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু সেটা হল না।
    বিভূতিবাবু বললেন , 'বাজার করে এলেন ? '
    অনিল ঘোষ হেসে বললেন , ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    ----- ' এ হচ্ছে কার্তিক ... রাজমিস্ত্রির কাজ করে ... আগে দেখেছেন হয়ত .... '
    ----' হ্যাঁ ... দেখেছি মনে হয় ... '
    ----- ' এই তেতলাটা একটু বাড়াব ভাবছি ... মানে, থাকার খুব সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ভাল খর্চা আছে ... বুঝতে পারছেন তো .... সামনের মাস থেকে যদি টাকাটা বাড়িয়ে দেন সুবিধে হয়। পরে তো আপনারা যে যার নিজের বাড়ি করে চলে যাবেনই ... যাক সে যখন হবে তখন হবে ... আপাতত ভাড়াটা যদি ... একদম পেরে উঠছি না .... '
    ----- ' নিতাইবাবুকে বলেছেন ? ', অনিলবাবু বলেন।
    ---- ' বলব বলব .... নিশ্চয়ই বলব ... খবর পেয়েছি উনি জমি টমি দেখছেন .... শিগ্গীর বোধহয় ....'
    অনিলবাবু আর কথা বাড়ান না।
    ------ ' আচ্ছা ঠিক আছে .... আমি দেখছি দেখছি ... ' , বলে অনিল ঘোষ তাড়াতাড়ি ভিতরে ঢুকে গেলেন।
    বিভূতিবাবু আবার কার্তিক বেরার সঙ্গে গৃহনির্মান সংক্রান্ত আলোচনায় রত হলেন।

    পরের দিন কাবেরী ঠিক সময়ে কলেজে এল। তাকে বেশ ঝরঝরে দেখাচ্ছে এখন। সুমনা তার সঙ্গে টিফিনের সময়ে কলেজের বাইরে বেরিয়ে এল। সুমনাকে বলল, ' চল ... বিবেকানন্দ রোডের দিকে একটু হাঁটি ... '
    সুমনা ঢোঁক গিলে বলল, ' হেদুয়ায় ঢুকে ঘুরলে হত না ... ' তার নিজের কন্ঠস্বর নিজের কাছেই কেমন অন্যরকম শোনাল।
    ----- ' না না ... দূর ... কি হবে ওখানে ঘুরে ... একদম ভাল লাগে না হেদোয় ঘুরতে ... ওখানে আর ঢুকবই না ... ঠিক করে নিয়েছি ... '
    সুমনার বুকটা অকারণেই ধক করে উঠল। সে ধীর পায়ে বৈকুন্ঠ বুক হাউস পেরিয়ে কাবেরীর সঙ্গে বিবেকানন্দ রোডের দিকে হাঁটতে লাগল। কিন্তু হেদুয়া পার্ক আনমনা সুমনাকে পিছন থেকে টানতে লাগল।

    আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার। বেশ রোদ ঝলমলে।

    (চলবে)

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন