এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১৮ বার পঠিত
  • জন্মেজয়বাবুর মনটা আজ বেশ ফুরফুরে আছে।
    অখিল তাদের সবাইকে বোটানিকাল গার্ডেনে নিয়ে যাবে শিবপুরে। সে নাকি এক প্রকান্ড বাগান। হেঁটে হেঁটে শেষ করা যায় না।
    ওখানে গিয়ে তারা দেখল ওমা সত্যিই তাই। তাদের কুমিল্লার গ্রামে এরকম গাছগাছালি অনেক আছে। কিন্তু এরকম সাজানো গোছানো নয়। খোলামেলা মাঠ ঘাট, নদী, ধানক্ষেত, পাটক্ষেত,
    জল মাটি গাছপালা সব অযত্নে ছড়িয়ে আছে। এখানে কেমন সব পরিপাটি জঙ্গল। জন্মেজয়বাবু কিন্তু ইতিহাসের গন্ধমাখা বটগাছটা দেখে মুগ্ধ হলেন। তাদের গ্রামে এমন বৃক্ষ নেই, সেটা মেনে নিলেন জন্মেজয়বাবু। শরীরটা ছড়াতে ছড়াতে বিশাল আকার নিয়েছে। কত পুরুষ ধরে দাঁড়িয়ে আছে এখানে। 'শয়ে 'শয়ে ঝুরি নেমেছে কত কাল, কত যুগ ধরে। সেই ঝুরিগুলোই এখন এক একটি বলিষ্ঠ বৃক্ষ। কে যে পিতামহ, কে যে প্রপিতামহ তা আন্দাজ করা মুশ্কিল। তাদের গাঁয়ে এমন গাছ নেই।
    এক জায়গায় বসে তারা লুচি তরকারি খেল। দুটো করে পান্তুয়াও খেল। ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে একটা সিমেন্টের গোলাকার ছাউনির নীচে বসে রইল অনেকক্ষণ। লোকজন তেমন নেই। দু চারজন অলস পায়ে ঘোরাঘুরি করছে। ভাদ্র মাসের এই ঠা ঠা পড়া রোদে কে আর বেড়াতে বেরোবে তাদের মতো গেঁয়ো উদ্বাস্তু ছাড়া। শীত পড়লে নিশ্চয়ই রোদ পোহাতে আসবে কেউ কেউ।

    বিকেল পাঁচটা বেজে গেল। আশ্বিন মাস পড়তে চলল। বেলা ছোট হয়ে এসেছে। আকাশের আলো ধূসর হয়ে এল। হাজারো গাছপালা জড়ানো বাতাসে একটা হাল্কা সিরসিরে ছোঁয়া লেগেছে। বুড়ো বটগাছের ডাল পালায় কূলায় ফেরা পাখির দল কূজনে ভরিয়ে দিচ্ছে উদ্ভিদ উদ্যানের সন্ধ্যাবেলা। এই মায়াবী বিকেলে জন্মেজয়বাবুর মনে আবার স্মৃতিকাতরতার দোলা লাগল। ছায়া ছায়া আমতলা জামতলা নিমগাছ সজনেগাছ নদীর পাড় গোয়ালঘর ধানের মরাই, শ্মশানের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বিষণ্ণ চারটে ঝাউগাছ স্বপ্নমাখা নদীর স্রোতের মতো বয়ে যেতে লাগল সহসা। জন্মেজয়বাবু ওই দূরের অজানা বিদেশী গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলেন বিবশ মনে। মনে মনে তিনি চলে গেলেন অনেক দূর। দেহ বসে আছে বোটানিকালের গোলঘরে।

    অখিল বলল, ' চল বাবা, এবার ওঠা যাক। মেলা দেরি কইরা লাভ নাই ... এদিকে গারি ঘোরা খুব কম। কতক্ষণ দারাইতে লাগব কে জানে ... '
    জন্মেজয়ের ঘোর কেটে গেল আচমকা।
    তিনি বললেন, ' হ চল চল ... আর খাড়াইয়া কাম নাই। সে অনেক রাস্তা ... '
    অখিল বলল, ' হ্যাঁ চল ... আর একদিন আমরা চিড়িয়াখানা দেখতে যাব। কোনদিন তো দেখি নাই.... সে নাকি এক দেখার জিনিস ... '
    ---- ' হ হ ... আমিও তাই শুনসি ... গেলে ভালই হয় ... দিন ঠিক কর ... '

    বৃহস্পতিবার কাবেরী ঠিক সন্ধে সাড়ে সাতটায় পড়তে এল। এসে দেখে যে নীচের তলায় পড়ার ঘরটা বন্ধ। তার ব্যাচের কাউকেও দেখতে পাচ্ছে না। কাবেরী বেশ অবাক হয়ে গেল। কি ব্যাপার কিছু বুঝতে পারছে না। সে ঠিক মনে করতে পারছে না, স্যার কিছু বলেছিলেন কিনা, মানে আজকের বদলে অন্য কোনদিন পড়াবেন বলেছিলেন কিনা।
    এখানে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। একতলায় কেউ থাকে না। কাবেরী এ বাড়ির দোতলায় ওঠেনি কোনদিন। সে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল কি করা যায়। কিছু একটা ভুল হচ্ছে তার। নাহলে কেউই থাকবে না কেন। ভাবল চলেই যাই। এমন সময়ে সিঁড়িতে কারো পায়ের শব্দ শোনা গেল। কাবেরী দেখল দোতলা থেকে প্যান্ট শার্ট পরা এক ভদ্রলোক নামছেন। বয়স বোধহয় নিখিলবাবুর থেকে একটু বেশী হবে। মুখের আদল স্যারেরই মতো। হয়ত স্যারের দাদা
    হবেন।
    কাবেরী বলল, ' স্যার আছেন ? '
    ভদ্রলোক সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে গিয়ে কাবেরীর দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বললেন, ' ও ...বুঝতে পেরেছি। পড়তে এসেছ ? কেন বাপ্পা খবর পাঠায়নি ? আর সবাই তো জানে ... '
    বাপ্পা বোধহয় নিখিল স্যারের ডাক নাম।
    ---- ' কি খবর ... মানে, আমি তো বেথুনে পড়ি ...তাই হয়তো যোগাযোগ হয়নি। কি হয়েছে ...ঠিক ... মানে ... '
    কাবেরী ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে রইল। ভদ্রলোক আবার নামতে থাকলেন সিঁড়ি দিয়ে।
    নেমে এসে বললেন, ' বাপ্পার শরীরটা ঠিক নেই। তেমন সিরিয়াস কিছু নয় ... ওই একটু জ্বর জ্বর ভাব ... আচ্ছা দাঁড়াও দেখছি ... '
    বলে, তিনি ডাকতে লাগলেন --- ' কানাই কানাই...
    দেখ তো বাপ্পা কি করছে। বল, একজন পড়তে এসেছে ... পারবে কি ? '
    ওপর থেকে উত্তর এল, ' দে...খ ছি ... বড়দা ... '
    এক মিনিট পরে কানাই জানাল, ' দাঁড়াতে বলুন ... ছোড়দা আসছে ... '
    ভদ্রলোক বললেন, ' তোমার স্যার আসছে এক্ষুণি... দাঁড়াও তা'লে ... '
    বলে ভদ্রলোক বেরিয়ে গেলেন।
    একটু পরে নিখিল ব্যানার্জী নেমে এলেন।
    ---- ' ও কাবেরী ... আমি ঠিকই ধরেছি। আসলে ক'দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। সকলকে খবর পাঠাতে পারিনি। ওই যারা কাছাকাছি আছে ... এস এস ... '
    নিখিলবাবু পড়াবার ঘরের দরজা খুলে দিলেন।
    কাবেরী বিব্রত বোধ করতে লাগল।
    বলল, ' আপনার শরীরটা যখন ঠিক নেই, আজ না হয় থাক না স্যার ... '
    ----- ' না না ঠিক আছে ... এসেছ যখন ঘন্টাখানেক বসা যাক ... এখন টেম্পারেচার নেই... অনেক বেটার ফিল করছি ... '
    নিখিলবাবু ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দিলেন। পাখা চালিয়ে দিলেন।
    নিখিল স্যার ঘরে ঢুকে নিজের চেয়ারে বসলেন।
    কাবেরী তার টেবিলের উল্টোদিকে বসল। সে একাই পড়ুয়া আজ।
    কাবেরী বই খাতা খুলে টেবিলে রাখল। নিখিল স্যার জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে কি ভাবতে লাগলেন।
    হঠাৎ কাবেরীর দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ' এদেশে আদিবাসীদের দুরবস্থা এখনও ঘুচল না। ভারতের কোন কোন অঞ্চলে কোন আদিবাসীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা বা ধর্ষন করা কোন অপরাধ বলে মনে করা হয় না। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করা হয়। বংশ পরম্পরায় মনুবাদ এমনভাবে গেঁথে আছে ভারতের বিশাল সংখ্যক মানুষের মনে যে তা উপড়ে ফেলা একটা বিশাল বৈপ্লবিক কাজ। অথচ ভারতের সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকার স্যার নিজে আদিবাসী ছিলেন। একটা বিশাল বিপ্লব হওয়ার দরকার এ সব বদলাতে গেলে। কিন্তু হোয়াট অ্যাবাউট পলিটিক্স ? পলিটিক্স তো চালায় এডুকেটেড মিডল ক্লাস পিপল। আপার অ্যান্ড লোয়ার মিডল ক্লাস। আর এই মিডল ক্লাস হল এক চরম সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। পলিটিক্স হল তাদের অ্যামবিশান ফুলফিলমেন্টের সিঁড়ি। দেশের মানুষের মধ্যে ইকনমিক ডিসপ্যারিটি যত বাড়বে পলিটিশিয়ানদের অ্যাডভানটেজ তত বাড়বে ত্রাতা সাজার সুবাদে। এই ডিসপ্যারিটিটা তারা ক্যাপিটালাইজ করে। একটা বিকল্প শক্তির উত্থান খুব দরকার ... বুঝলে ... খুব দরকার ...'
    নিখিল স্যার উদাস দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। এ চোখের ভাষা কাবেরী ঠিক পড়তে পারল না। পারবেই বা কি ক'রে। এসব কথা তার চিন্তা ভাবনার চৌহদ্দির বাইরে। কারও মুখে শোনেনি এখন পর্যন্ত। সে ভাবল স্যার কি জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকছেন ! আবার তার এটাও মনে হল নিখিল স্যার কত আলাদা অন্য সব লোকের থেকে। অমিতাভ, পার্থপ্রতিম, প্রতিবিম্ব এমনকি সুমনার বাবা অলোকেন্দুবাবুর থেকেও আলাদা। কিছুটা অদ্ভুতও বটে।
    সামনে অঙ্কের বইয়ের খোলা পাতা পাখার হাওয়ায় ফরফর করে উড়ছে।
    কাবেরীর মনে হল নিখিল স্যার মনে হয় একটু আগে কোন সমাজতাত্বিক প্রবন্ধ পড়ছিলেন। ওটার প্রভাবেরই আলোড়ন চলছে মনে হয় স্যারের মনে।
    কাবেরী মদুস্বরে বলল, ' স্যার পড়াবেন না ?
    নিখিল স্যার আবার জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    একবার অস্ফূটস্বরে বললেন, ' হুঁ হুঁ ... '
    নিখিল ব্যানার্জীর উস্কখুস্ক চুল এসে পড়েছে তার কপালে।
    সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কাবেরীর ইচ্ছে করতে লাগল চুলগুলো আলতো করে সরিয়ে দেয় স্যারের কপাল থেকে।
    চিন্তার ফুলটা মনের মধ্যে পাপড়ি মেলতেই শিউরে উঠল কাবেরী।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন