এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৮৬

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৬৭ বার পঠিত
  • রাত্রি আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে ইমার্জেন্সিতে খোঁজখবর করে সাগর যেখানে ভর্তি আছে, মানে সেই সার্জিকাল ওয়ার্ডের বিল্ডিং - এর সামনে এসে পড়ল। এখন তিনটে বাজে। ভিতরে ঢুকতে গেলে এখনও একঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

    দু চারজন এদিকে ওদিকে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কি সব আলোচনা করছে। হয়ত আরও অনেকে আসবে। আবার নাও আসতে পারে।

    রাত্রি সামনে তিনকোণা চারাগাছ ঘেরা রেলিং-এর পাশে গিয়ে দাঁড়াল। মিনিট পাঁচেক দাঁড়ানোর পর ভাবল ওই ছেলেগুলোকে জিজ্ঞেস করলে হয়, ওরা সাগরের ব্যাপারে কিছু জানে কিনা, ওটি থেকে বার করে ক'তলায় কত নম্বর বেডে দিয়েছে।

    ওদের কাছে যাবে কি যাবে না ভাবছে, এমন সময়ে একজন পঞ্চাশ বাহান্ন বছর বয়সি ধোপদুরস্ত ধুতি পাঞ্জাবী পরা স্বাস্থ্যবান ভদ্রলোক এবং সঙ্গে রোগা গড়নের একজন উজ্জ্বল গৌরবর্ণা ভদ্রমহিলা এসে তার কাছাকাছি এক জায়গায় দাঁড়াল। খানিকটা বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলেন ওরা। রাত্রির মনে হল, ওনাদের অবস্থা তারই মতো। সাগরের নিকট সম্পর্কের কেউ না। কাকে কি জিজ্ঞাসা করবেন এবং কোন পরিচয়ে বোধহয় ভেবে পাচ্ছেন না। তারা বোধহয় কর্ত্তব্যের টানে এসেছেন সাগর মন্ডলের খোঁজ নিতে। তারা সাগরের ব্যাপারে শঙ্কিত না আপ্লুত তা দেখে বোঝা সম্ভব নয়।

    দুপুরবেলায় ভাত খেতে বসেছেন বিভূতিবাবু। তার এক সম্বন্ধী মনমোহন গাঙ্গুলী এসেছেন ধানবাদ থেকে। বেশ বুঝদার লোক। কোলিয়ারিতে চাকরি করেন। ওরা তিনপুরুষ ধানবাদের প্রবাসী বাঙালী। কলকাতায় বাড়িঘর নেই। মনমোহনবাবু প্রতিবছর একবার করে কলকাতায় এলে এখানেই ওঠেন। দিন তিনেক থেকে ধানবাদে ফিরে যান।

    মনমোহনবাবু ভাতে মাছের কাঁটা দিয়ে রাঁধা মুগের ডাল মেখে এক গাল খেয়ে বললেন, ' ও: ... দারুণ ... গরম মশলা দিয়েছ, না ? '
    রমাদেবী বললেন, ' হ্যাঁ ... দিয়েছি একটু ... '
    মনমোহন বললেন, ' ধানবাদে এস না একবার শীতকালের দিকে ... খুব ভাল লাগবে দেখবে ... বিধান রায় মাস ছয়েক আগে ওখানে গিয়েছিলেন একটা সরকারি কাজে। উনি খুব পপুলার ওখানে ... ধানবাদে তো প্রচুর বাঙালী। বিধানবাবু যেমন ডাক্তার, তেমন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ... আমাদের ওখানে উনি প্রবাসী বাঙালিদের নয়ন মণি ... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... আমি আবার পলিটিক্স টলিটিক্স ভাল বুঝি না ... ' বিভূতিবাবু খেতে খেতে বললেন।
    ----- ' এটা পলিটিক্সের ব্যাপার নয় বিভূদ্দা ... একটা উঁচু মাপের বাঙালীর দৃষ্টান্ত, নেতাজি সুভাষ বোসের পর যা এ জাতির মধ্যে বিরল ... ' মনমোহনবাবু বললেন।
    ----- ' হ্যাঁ, তা ঠিক ... '

    বিভূতিবাবু আর তর্কাতর্কির মধ্যে গেলেন না। এসব কচকচি তার ভাল লাগে না, বরং জন্মেজয়বাবু বা নিতাইবাবুর সঙ্গে তার জমে ভাল। গঙ্গাপদর দোকানে গিয়ে বসে থাকতেও বেশ ভাল লাগে তার। কতরকম সাদাসিধে লোকজন আসা যাওয়া করে। তাদের অনেকেরই জীবনে হয়ত ছোট বড় নানান ঢাকা দিয়ে রাখা সমস্যা আছে। সে সব মাখামাখি হয়ে চলেছে চাল ডাল তেল নুনের দৈনন্দিন বেচা কেনা। বাঙালির উন্নতশিরধারক দস্তাবেজ বা সুভাষ বোস, বিধান রায় সংক্রান্ত অস্মিতা অনুভূতি তাদের ছেঁড়াখোঁড়া মলিন জীবনচর্যায় অবান্তর।

    বিভূতিবাবু তার অকৃত্রিম সরল ভঙ্গীমায় বললেন, ' দেশের যা অবস্থা সাগর মন্ডলের মতো আরও দু চারটে ছেলে থাকলে কাজের কাজ হত ... হারামজাদাগুলো শায়েস্তা হত ... '
    মনমোহনবাবু মাছের কাঁটা বাছতে বাছতে বললেন, ' সেটা আবার কে ? '
    ----- ' সে ... আমাদের এখানে আছে একজন ... অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অনেকের জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে ... '
    ------ ' মানে, সৎ পলিটিক্যাল পার্সোনালিটি ... '
    ----- ' আরে না না ... সে পলিটিক্সের ধারে কাছে থাকে না ... নিজের দল আছে ... ডাকাবুকো ছেলে সব ... '
    ----- ' ও ... বুঝেছি ... রবিনহুড টাইপ হুলিগান আর কি ... '
    ----- ' তা যাই বল ... এরকম হুলিগান আরও দুচারটে থাকলে বেশ হত ... আমাদের মতো ছাপোষা মানুষ একটু শান্তিতে থাকত ... বুঝলে কিনা ... '
    ------ ' কিন্তু এটা তো কোন পার্মানেন্ট সলিউশান নয় ... রাষ্ট্র যদি ঠিক পথে না চলে ... স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকে প্রাণ দিয়েছিল, কিন্তু আসলে আলটিমেটলি ওই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপটাই ... '
    বিভূতিবাবু কথাটা শেষ করতে দিলেন না।
    ----- ' ওসব কচকচি আর শুনতে চাই না ... মোদ্দা কথা হল আমরা তখনও ভাল ছিলাম না, এখনও ভাল নেই ... '

    মনমোহন কি একটা বলতে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে বিভূতিবাবুর ছেলের বউ ঘরে এসে ঢুকল।
    বলল, ' গঙ্গার দোকানে গিয়েছিলাম। ওখানে একটা খবর শুনলাম ... '
    বিভূতিবাবু পুত্রবধূর দিকে তাকালেন,
    -----' কিরকম ? '
    ---- ' সাগর মন্ডল নাকি গুলি খেয়েছে ... '
    তারপর বেদনাহত কন্ঠে বলল, ' শুনে মনটা এত খারাপ হয়ে গেল ... ' বলে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল।
    বিভূতিবাবু সস্নেহে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তার খাওয়া থেমে গেল। তিনি মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগলেন।
    অশ্রুতপ্রায় অস্ফূট কটি শব্দ বেরিয়ে আসল তার মুখ দিয়ে, ' এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম ... '
    মনমোহন বললেন, ' কি হল গো ... শরীর খারাপ লাগছে নাকি ? '
    ----- ' না না ... কিছু হয়নি। আমি বেরোব এক্ষুণি। পটলের দোকানে যাব ... ', বলে তিনি উঠে পড়লেন।

    ধোপদুরস্ত ধুতি পাঞ্জাবী পরা ভদ্রলোক কিছুটা দোনামোনা করে শেষ পর্যন্ত রাত্রির দিকে এগিয়ে গেলেন।
    ----- ' বলছি যে ... আপনি কি সাগর মন্ডলের জন্য... ইয়ে ... '
    রাত্রি সামান্য সময় নিয়ে মৃদৃস্বরে বলল, ' হ্যাঁ ... আপনারা ? '
    ----- ' আমরাও তাই ... আমার নাম ... যাকগে ... ও আমার স্ত্রী ... রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে থাকি ... অনেক উপকার পেয়েছি ওর কাছে ... আপনার পরিচয়টা ... মানে ... '
    রাত্রি আবার একটু সময় নিল। তারপর বলল, ' আমি কেউ না ... আপনাদের মতোই অনেক উপকার পেয়েছি ... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... বুঝেছি বুঝেছি ... '

    চারটে বাজতে চলল। ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ছে বিল্ডিং-এর সামনে।
    ভদ্রলোক বললেন, ' চলুন তো যাই আমরা ... এই এস গো ... '
    ওখানে গিয়ে তিনি একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন,' আচ্ছা ভাই... আপনারা কি সাগর মন্ডলকে দেখতে এসেছেন ? '
    কানু ভদ্রলোকের ওপর আপাদমস্তক চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল, ' হ্যাঁ ... কিন্তু এতজনকে ঢুকতে দেবে না। একটাই কার্ড। বাইরে দাঁড়ান ... খবর পাবেন ... এখন ভাল আছে। কালকেই বোধহয় ছেড়ে দেবে ... '
    ----- ' অ ... তা ভাল ... তারপর বাড়িতেই চিকিৎসা আর কি ... '
    কানু নিজের অজান্তেই একটু অকপট হল, ' ভাল ঠিকই ... কিন্তু বাড়িতে তো মা ছাড়া আর কেউ নেই... সেও অসুস্থ। ওষুধ খাওয়ানো আছে, চোটের জায়গায় রোজ ড্রেসিং করা আছে ... প্রবলেম ... কিন্তু দাদা আর থাকতে চাইছে না হাসপাতালে ... দেখা যাক ... আচ্ছা দাদা আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না ... '
    ----- ' ওই ইয়ে ... আমি রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে থাকি ... আমার নাম সুরেশ্বর মল্লিক ... সাগরবাবু ভালরকম চেনে আমাকে ... '
    ----- ' অ ... আচ্ছা ... ', বলে কানু আবার কি চিন্তা করতে লাগল। বোধহয় সাগরের সম্ভাব্য শত্রুদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে মনে মনে।
    মাণিক আর শম্ভু ওপরে গেছে সাগরকে দেখতে। একটু পরে মাণিক নেমে এসে বলল, ' না: ... রাজি করানো গেল না। কালকেই ছুটি নেবে বলছে ... '
    এই সময়ে কে একজন বলল, ' অসুবিধে হবে না ... আমি করে দেব ... '
    কানু আর মাণিক পাশে দাঁড়ানো রাত্রির মুখের দিকে তাকিয়ে রইল সন্দেহমিশ্রিত বিষ্ময়ের দৃষ্টিতে।
    ঠিক এই সময়ে বিভূতিবাবু আর পঞ্চমীর মা প্রায় ছুটতে ছুটতে সেখানে এসে হাজির।
    বিভূতিবাবু বললেন, ' আচ্ছা ... সাগর মন্ডল কি এখানেই... মানে ... '
    রাত্রি বলল, ' হ্যাঁ ... মেশোমশাই ... আমরা সবাই তার দর্শন প্রতীক্ষাতেই দাঁড়িয়ে আছি ... '

    ( চলবে )
    *******************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন