এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৫৬ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ৪২৪ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    অঞ্জলির মামাতো ভাইয়ের ছেলে দীনবন্ধু, সেই যে কাটোয়া থেকে এসেছিল চাকরির ইন্টারভিউ দিতে, সে হঠাৎ রবিবার বিকেলে এসে হাজির হল।
    অঞ্জলি বলল, ' আরে দীনু যে ... হঠাৎ ! '
    ------ ' হ্যাঁ পিসী ... চলে এলাম ... ওই যে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম, চাকরিটা হয়ে গেছে। কাল জয়েনিং ... '
    ----- ' আরে এ তো দারুণ খবর ... দাঁড়া তোর পিসেমশাই একটু বেরিয়েছে, আসুক ... মিষ্টি আনাচ্ছি ... '
    ----- ' আরে পিসী ... মিষ্টি তো আমারই খাওয়াবার কথা .... তোমরা কেন ... '
    ----- ' তুই তো খাওয়াবিই ... ছাড়ব নাকি ... শুধু মিষ্টিতে চলবে না ... মাংস খাওয়াতে হবে, মাইনে পাবার পরে ... '
    ----- ' নিশ্চয়ই পিসী ... অবশ্যই খাওয়াব ... '
    অনিমেষ আর শ্রীলেখা দুজনে স্কুল থেকে ফিরেছে।
    অনিমেষ বলল, ' ইশশ্ দীনুদা ... তুমি যদি দু এক দিন আগে আসতে ... সিঁথিতে কি দারুণ পিকনিক হল আমাদের ... '
    ----- ' তাই নাকি ! ইশশ্ ... আর একটা করা যায় না ... '
    অঞ্জলি বলল, ' না... এ বছরে আর হবে না ... এসব কি আর এত ঘনঘন করা যায়? যোগাড়যন্ত্রের ব্যাপার আছে না ... এই তাই ... আমাদের বাড়িওয়ালা দত্তবাবু উদ্যোগ নিল তাই ...
    ----- ' হ্যাঁ ... তা ঠিক ... যোগাড়যন্ত্রের ব্যাপার আছে ... '
    অঞ্জলি এবার আসল কথায় এল। বিরাট স্বচ্ছল সংসার তো তাদের নয়। হিসেব করে চলতে হয়।
    ----- ' তা ... তুই কি ঠিক করলি? ' অঞ্জলি কথাটা সেরে রাখতে চাইল।
    প্রশ্নটা ধরতে দীনবন্ধুর কোন অসুবিধা হল না।
    সে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিল, ' কাল প্রথম দিন, তাই সকালে এখান থেকে অফিস যাব ... অফিস থেকে বাড়ি ফিরে যাব ... তারপর থেকে
    ডেলি প্যাসেঞ্জারি করব ... '
    ----- ' ও বাবা ... কাটোয়া থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে পারবি? '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ, কেন পারব না ... কত লোক করছে .... আর নিতান্তই না পারলে পেয়িং গেস্ট-এর ব্যবস্থা করে দেবে বলেছে আমার এক বন্ধুর বাবা ... শিয়ালদার দিকে থাকে, মানে পেয়িং গেস্ট থাকে ... '
    অঞ্জলি মনে মনে দীনবন্ধুর পাকা বুদ্ধির তারিফ না করে পারল না এবং নিশ্চিন্ত বোধ করল।
    বলল, ' এখানেও মাঝে মাঝে থাকিস ... '
    ------ ' হ্যাঁ নিশ্চই ... ' দীনবন্ধু বলল,
    ' ... তারপর ... তোমরা এ পাড়ায় আর ক'দিন? '
    শ্রীলেখা সোৎসাহে বলে উঠল, ' আমরা এখন এখান থেকে যাচ্ছি না গো ... এখানেই থাকব ... '
    ----- ' তা..ই? আমি আগেই বলেছিলাম এত সুন্দর জায়গা ছেড়ে যাওয়ার কোন মানে হয় না ... '
    ------ ' হ্যাঁ ... তা বলেছিলি ... মনে আছে ... ' অঞ্জলি স্বীকার করল।

    অনিমেষ বলল, ' টালা পার্কে বড় এগজিবিশান হচ্ছে ... যাবে নাকি? ওখানে টেলিভিশন না কি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখাচ্ছে ... ওটা নাকি বিদেশে আছে। রেডিওয় যেমন শুধু আওয়াজ শোনা যায়, এতে নাকি বাক্সের মধ্যে সিনেমার মতো ছবিও দেখা যায়। আমার বন্ধু উৎপল দেখে এসেছে। একটা জায়গায় নাচ গান হচ্ছে, আর আর একপাশে একটা বাক্সের মতো জিনিসের বুকের ওপরে সেগুলোই দেখা যাচ্ছে ... কি অদ্ভুত, না? '
    ------ ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... এটার কথা আমিও শুনেছি ... বিদেশে আছে। তা গেলে হয় ....টালা পার্কটা কোথায়? '
    ----- ' ওই তো ... বেশি দূরে নয়। শ্যামবাজারের ওদিকে ... বেলগাছিয়ার কাছে ... দু নম্বর ট্রামে গিয়ে ... তারপর ... '
    ------ ' ঠিক আছে, অফিস থেকে ফিরে যাব একদিন। সেদিন নয় এখানে থেকে যাব ... '
    অঞ্জলি বলল, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '

    সাগর বটতলা থানায় গিয়ে ঢুকল। ভর দুপুরবেলা। ওসি কালীকিঙ্কর ভটচাজ্জি বসে বসে একটা আধপাকা পেয়ারা খাচ্ছিলেন। আধবোজা চোখে পেয়ারা চিবোতে চিবোতে হঠাৎ সাগরকে দেখে বললেন, ' এই যে আসেন ... খুব মিষ্টি ... নেন ... '। একটা পেয়ারা বাড়িয়ে ধরলেন সাগরের দিকে।
    সাগর বলল, ' না... ঠিক আছে। আপনি খান ... '
    ----- ' খায়য়্যা দ্যাখেন ... খুব মিষ্টি ... '
    ----- ' আরে, আমার ওসব চলে না ... আপনি খান ... '
    ----- ' আসসা ... ঠিক আসে। তারপর বলেন, কি খবর ... পতিতপাবন আর আসসিল নাকি? '
    ----- ' না না ... আর আসে ! তবে নতুন কি প্ল্যান করছে কে জানে। কোন বিশ্বাস নেই শালাদের।'
    ----- ' বিধানবাবু তো ক্যাবিনেটে অদল বদল করবেন খবর পাইত্যাসি ... আমাদের কপালে কি নাসত্যাসে কে জানে ... '
    ------ ' আপনাদের আবার কি হবে? পুলিশমন্ত্রী তো একই থাকবে। '
    ----- ' কিছুই বলা যায় না ... আমাদের ডিপার্টমেন্টেও কিসু রদবদল হইব নিশ্চয় ... '
    ----- ' কি আর হবে ... বড়জোর ট্রান্সফার ... '
    ---- ' সেটাই তো মুশ্কিল। এমন জায়গায় থানা আর কোথায় পাব? যাক, হলে তখন দেখা যাবে। অযথা সিন্তা কইরা লাভ নাই ... '
    ----- ' সেটাই হল কথা। যখন হবে তখন দেখা যাবে। শঙ্কর ব্যানার্জীর ব্যাপারে কোন খবর আছে নাকি? '
    ------ ' খবর পাইসি সে চন্দননগরে গিয়া আসে এখন ... শালা যেমন হারামি, তেমন চালাক। কত লোকেরে সর্বস্বান্ত করসে তার ঠিক নাই। তবে, আমি যতদিন এ এরিয়ায় আছি, এদিকে দাঁত ফুটাতে দেব না এইটা বলতে পারি ... আপনার পপুলারিটি সহ্য করতে পারত্যাসে না এটা একদম ঠিক ... আপনে একটু সাবধানে থাকবেন কিন্তু ... সুযোগ পাইলেই উড়ায়ে দিব। তবে আপনার মতো ওরও কোন পলিটিক্যাল গডফাদার নাই ... '

    ----- ' হ্যাঁ সেটা জানি। তবে আমি সাবধানে টাবধানে থাকতে পারব না। মারব কিংবা মরব। অন্যায় সহ্য করতে পারি না আমি ... '
    ------ ' সেই কারণেই তো আপনারে এত ফেভার করি ... আপনার ফ্যানও কইতে পারেন আমারে। কত লোকের উপকার করেন আপনি। আমিও দুর্বল মানুষের পক্ষে থাকার চ্যাষ্টা করি। আপনার কিসু হয়্যা গেলে আমার খুব খারাপ লাগবে ... হমম্ ... '
    সাগর বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইল। ঘন্টি মারতে মারতে সাইকেল চালিয়ে একটা ছেলে গেল সার্কুলার রোডের দিকে। একজন মোটা মতো লোক রিক্শা থেকে নেমে রিক্শাওয়ালাকে পয়সা দিচ্ছে। একজন আইসক্রিমওয়ালা ঠেলা নিয়ে থানার সামনে এসে দাঁড়াল। তিনটে কুকুর দুলকি চালে ছুটে কালীকিঙ্কর বোস লেনের দিকে গেল।
    সাগর ভাবতে লাগল, তার এ অনিশ্চিত জীবনের পরিণতি কি তা কেই বা জানে।
    ------ ' সাগরবাবু চা খাবেন নাকি? ' কালীকিঙ্করবাবু বলে উঠলেন। সাগরের অন্যমনস্কতা কেটে গেল।
    ----- ' আনান একটা ... '
    কালীবাবু হাঁক দিলেন, ' এই রাম ... দুটো চা ... '
    কাঁচের গ্লাসে দু কাপ চা এসে গেল খুব তাড়াতাড়ি।
    কালীবাবু বললেন, ' এই তো পেয়ারা খেলাম, একটু পরে খাব ... ' বলে তার গ্লাসটা ঢাকা দিয়ে রাখলেন।
    সাগর তার গ্লাসে একটা চুমুক দিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে চল্লিশ বিয়াল্লিশ বছরের এক মহিলা উদভ্রান্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন। সঙ্গে একজন চোদ্দ পনের বছরের মেয়ে এবং একজন ষোল সতের বছরের ছেলে। তাদেরও চোখেমুখে ভয়ের চিহ্ন।
    ভদ্রমহিলা কালীবাবুর টেবিলের সামনে গিয়ে হাতজোড় করে প্রবল উদ্বেগজড়িত গলায় বললেন, ' আমাদের বাঁচান স্যার .... '
    ----- ' কি হইসে? '
    ------ ' আমার এই মেয়ে ... মানে ... '
    ভদ্রমহিলা হাঁফাতে লাগলেন। টালমাটাল অবস্থা।
    কালীবাবু বললেন, ' বসেন ... বসেন, ঘাবড়াইবেন না ... '। ছেলে মেয়ে দুটোকে বললেন, ' তোমরা ওই বেঞ্চটায় বস ... '
    ওরা সবাই বসল। কালীবাবু বললেন, ' বিনোদ ... তিন গ্লাস জল দিও ... '
    বিনোদ তিন গ্লাস জল দিয়ে গেল। কিন্তু ওরা কেউই গ্লাসে চুমুক দিল না। জলের গ্লাসগুলো টেবিলের ওপরই রইল।
    সাগর চায়ের কাপে আর একটা চুমুক দিল।
    কালীবাবু বললেন, ' বলেন, কি সমস্যা হইসে? '
    ----- ' ওদিককার কটা ছেলে অনেকদিন ধরে আমার মেয়েটার পিছনে লেগেছে। আমি বেশ কয়েকবার ওদের ধমকেছি। কিন্তু তেমন কাজ হয়নি। কিছুদিন একটু চুপচাপ থাকে। মনে হয় আর কিছু করবে না। তারপর আবার .... এখন একেবারে বেপরোয়া হয়ে গেছে। মেয়ে স্কুলে যেতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে। ঘুমের ঘোরেও ভয়ে আঁতকে ওঠে ... উঃ কি যে করি ... দেখছেন তো কতটুকু মেয়ে ... ' ভদ্রমহিলাকে ভীষণ বিধ্বস্ত দেখায়।
    সাগর চায়ের কাপে আর একটা চুমুক দিল।
    ----- ' আপনার হাসব্যান্ড নাই? ' কালীবাবু বলেন।
    ----- ' না ... সে বছর দুই আগে মারা গেছে ... ক্যান্সারে ... এখন দুই ছেলেমেয়েদের নিয়ে একাই থাকি ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... সরি সরি ... '
    ----- ' না না তাতে কি হয়েছে ... আমার ওই ছেলেকে ক'দিন পাঠাচ্ছিলাম ইস্কুল পর্যন্ত ওকে পৌঁছে দিয়ে আসবার জন্য। তা, সেদিন ওকে ইস্কুলে দিয়ে ফেরার সময়ে ছেলেগুলো ওকে ধরেছিল রাস্তায় ... '
    ----- ' তারপর? '
    ----- ' ওকে ধরে নানারকম অপমানজনক কথা বলেছে ... কি সব ভয় দেখিয়েছে ... ও এত ভয় পেয়ে গেছে যে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করছিল। আমি যে কি করি ... ' ভদ্রমহিলার গলা কাঁপতে লাগল আবার।
    সাগর আর দুটো চুমুক মেরে চায়ের কাপটা নামিয়ে রাখল।
    ----- ' আপনার বাড়ি কোথায়?' কালীকিঙ্কর জিজ্ঞেস করলেন।
    ----- ' নলিন সরকার স্ট্রীটে ... সার্কুলার রোডের দিকে ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে। ছেলেগুলারে সেনেন তো
    আপনি? '
    ----- ' হ্যাঁ ভালভাবে চিনি ... কথা বলেছিলাম তো ... '
    ------ ' ঠিক আসে ... আপনি ওই ঘরে যান .... সতীশবাবু একটা ডায়েরি লিখ্যা নেন তো ... উনারে কপি দিবেন ... যান ওখানে যান ... উনি ডায়েরি নিবেন। যান ... '

    সাগর চেয়ার থেকে উঠে পড়ল। ভদ্রমহিলার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। বলল, ' আপনার বাড়ির ঠিকানাটা একটু দেবেন দিদিভাই ... '
    ভদ্রমহিলা গায়ত্রী হালদার শঙ্কিত এবং সন্দেহ ভরা দৃষ্টিতে ওসি কালীবাবুর দিকে তাকালেন।
    কালীবাবু বললেন, ' দ্যান দ্যান....অসুবিধা নাই ...'
    গায়ত্রী বললেন, ' ছাব্বিশের বি বাই এক ... '
    ------ ' ক'তলায়? '
    ----- ' একতলায়। '
    ------ ' আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যদি চান তো ডায়েরিটা করিয়ে নিতে পারেন। তবে একটা খুব কাজ দেবে না ওতে ... পুলিশ তো আর চব্বিশ ঘন্টা গার্ড দেবে না আপনাদের ... '
    ------ ' তা'লে আমি ... মানে ... কি ... মেয়েটাকে কি করে ... ' গায়ত্রীদেবী আবার কাঁপতে শুরু করলেন।
    ------ ' না না ... ভয়ের কিছু নেই দিদিভাই ... '
    ----- ' মেয়ে তো ভয়ে ইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে .... '
    ------ ' না না ... ছি ছি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা যায় নাকি ... আমি নিজে কাল আপনার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসব .... '
    ------ ' আপনি ... মানে ... যদি ওরা কিছু ... তাছাড়া ফেরার সময় তো ... '
    ----- ' না না ... ফেরার সময় ওগুলো আর থাকবে না ... দেখবেন আপনি। বিশ্বাস করুন, আমি ঝগড়াঝাঁটি একদম পছন্দ করি না ... আমি ওদের বুঝিয়ে বলব এরকম করা ঠিক হচ্ছে না ... '
    ----- ' কিন্তু ওরা কি আপনার কথা শুনবে? ওরা ভীষণ খারাপ ... আপনি বুঝতে পারছেন না ... '
    ------ ' হ্যাঁ, দিদিভাই ... বুঝতে একটু একটু পেরেছি ... আমাকে এইসব লোকদের মাঝে মাঝেই বোঝাতে হয় কিনা ... '
    গায়ত্রী সাগরের কথা কিছুই বুঝতে না পেরে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    কালীবাবু বললেন, ' আপনে চিন্তা কইরেন না ... দ্যাখেন না ... উনি খুব ভাল বুঝাইতে পারে ... '
    গায়ত্রীদেবী তবু ঘোর আঁধারেই রইলেন। কিছুই বুঝতে পারলেন না।
    ভয় আক্রান্ত ছেলে মেয়ে দুটো মায়ের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।
    সাগর বলল, ' কাল বেলা দশটার মধ্যে আপনার বাড়ি পৌঁছে যাব আমি ... যান ডায়েরিটা করিয়ে নিন এবার। '

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২৮526378
  • টিভিতো তখন বিদেশ কেন, স্বদেশেও বর্তমান! দিল্লিতে সেসময়ে আমি নিজে টিভি দেখে এসেছি, যে বাড়িতে ছিলাম, রোজ সন্ধেয় টিভি চালাতো তারা।

     
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৯526379
  • হুবহু এই ঘটনা হেমন মণ্ডলের ব্যাপারে শুনেছি। আমার বন্ধুকেও এমন জ্বালাতো কিছু মাস্তান। গৌরীবাড়ি থেকে বেথুন ইস্কুল অবধি একবার হেমন ও তার চ্যালারা মেয়েটাকে গার্ড করে নিয়ে যায়। ব্যস। আর কোনও দিনও মাস্তানের ঝামেলা হয় নি।
    নলীন সরকার স্ট্রীট অবশ্য নারী শিক্ষা সদনের গলি। আমার ধারণা ছিল ওটা শ্যামপুকুর থানার আন্ডারে।
  • Anjan Banerjee | ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:০৯526382
  • হ্যাঁ ১৯৫৯-এর ১৫ ই সেপ্টেম্বর দিল্লীতে টেলিভিশন চালু হয় । তবে খুব বেশি লোক তা জানত না । তারা এটা বিদেশে আছে বলেই জানত । 
  • Anjan Banerjee | ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৯526383
  • তাছাড়া এখানে এখন চলছে ১৯৫৯-এর একদম প্রথম দিককার কথা । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন