এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৬০ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৯৭ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
    শীত এখনও গেল না ঠিকমতো, বসন্তের হাওয়া দিতে শুরু করেছে। আজ ফেব্রুয়ারির দশ তারিখ। বেথুনের সামনে রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া হলুদ আর লাল রঙা ছিটেয় গা ছুপিয়ে নিচ্ছে ক্রমে ক্রমে। দুপুরবেলা আজ বেশ গরম লাগছে। এ বছরের মতো বোধ হয় শীতবস্ত্রের পাট চুকল। বিকেলবেলায় এলোমেলো দখনে সমীর থেকে থেকে উন্মদ চামর বুলিয়ে যাচ্ছে কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, হেদুয়ার ওপর দিয়ে।
    এসব রোমান্টিকতা বংশীলালবাবুর ধাতে নেই। তার গায়ে আর কোট নেই। দু সপ্তাহ ধরে তিনি ঘুরে ঘুরে হয়রাণ হচ্ছেন। কাজের কাজ কিছু হল না এখনও। রাগে তার গা জ্বলছে। অথচ কিছু করতে পারছেন না। তিনি তার বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে জেনে এসেছেন, ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না। কিন্তু এখন হঠাৎ তার মনে হচ্ছে, কথাটা বোধহয় সব জায়গায় খাটে না। সাগরের দেখা পেতে তার কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। নিজের প্রয়োজন মেটাতে ভাত ছড়াতে তিনি রাজি থাকলেও কাকের দেখা মিলছে না। তার মনে হচ্ছে এটা নিশ্চয়ই কাক নয়। রাজহংস বা ময়ূর হবে। ওদের দেখা পাওয়া অত সহজ নয়। তবে বংশীবাবু অবশেষে তার অধ্যবসায়ের সুফল পেলেন। ওই পটলের দোকানের সামনেই সাগরের সঙ্গে তার সাক্ষাত হল। পটলই তাকে আসবার দিনক্ষণ বলে দিয়েছিল।
    সাগর দোকানের বাইরে একটা হাতল ভাঙা কাঠের চেয়ারে বসে ছিল।
    বংশীবাবু দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। পটল কাজে ব্যস্ত ছিল। সে মুখ তুলে বংশীবাবুকে দেখতে পেল। তারপর বলল, ' দাদা ... এই যে ইনি ... '
    বংশীবাবু ভাঙা চেয়ারে আসীন সাগর মন্ডলকে দেখে বলল, ' নমস্কার নমস্কার ... দাদাভাই ... কতদিন ধরে ঘুরছি আপনার দেখা পাওয়ার জন্য ... '
    ----- ' কেন, আমি কি কোন মহাপুরুষ নাকি? ' সাগর স্বভাবসিদ্ধ আদতে জবাব দেয়।
    ----- ' তা কিছুটা তো বটেই ... হেঃ হেঃ ... কত লোকের উপকার করেন ... '
    ----- ' না না ... ভুল করছেন মশাই, আমি কাউকে কাউকে বাঁশ দিই বলেও বদনাম আছে আমার ... '
    ----- ' না না ... ছি ছি, এ কি বলছেন ! একথা কে বলবে? ' বংশীবাবু জিভ কেটে বলেন।
    ----- ' যাকগে ... ওসব ফালতু কথা থাক ... কি ধান্দায় এসেছেন বলুন তো? '
    ----- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই ... লোহাপট্টিতে আমার দুটো গদি আছে ... '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ওটা জানা আছে সুমঙ্গল আর দীপ্তি ... আগে বাড়ুন ... '
    ----- ' অ্যাঁ ... আপনি জানেন ! কি করে... মানে? '
    ----- ' ও ... আমার অনেক কিছু জানতে হয়। মানে, খবর এসে যায় আর কি ... আমি আপনাকেও চিনি ... '
    বংশীলালবাবু মনে মনে প্রমাদ গনলেন। ভাবলেন, শালা কি জানে কে জানে।
    মুখে বললেন, ' তাই নাকি? এ তো বিরাট সৌভাগ্য আমার ... '
    ----- ' কি জানি, সেটা এখনই বলা মুশ্কিল ... যাক যেটা বলছিলেন, বলুন ... ' সাগর চোখ মুখ কুঁচকে কান চুলকাতে থাকে।
    ----- ' আপনি হয়ত জানেন পট্টিতে আমি একাই বাঙালী, বাকি সব কালোয়ার... '
    ----- ' তাতে কি? বাঙালী আর কালোয়ার বলে কিছু নেই মশাই। লোক দুরকমের, হারামি আর ইমানদার। হারামি বাঙালির মধ্যেও আছে, কালোয়ারের মধ্যেও আছে। আবার ইমানদারও ঠিক তাই ... '
    বংশীলালবাবু ভাবতে লাগলেন, এই পরিস্থিতিতে কি বলা যায়।
    তিনি আর ধানাই পানাই না করে আসল বক্তব্যে এলেন, ' আপনি এত জানেন, তাহলে নিশ্চয়ই এটাও জানেন সূরযমল পারমার কিভাবে আমার একটা গোডাউন দখল করে নিয়েছে কান্তি সিংহের সাহায্য নিয়ে ... '
    ----- ' আপনি পুলিশের কাছে যাননি কেন? '
    ----- ' গিয়ে লাভ হত না। সূরয অনেক টাকা খাইয়ে রেখেছে ... '
    ----- ' তা যদি হয়, আপনিও তো টাকার কুমীর। আপনিও খাওয়াচ্ছেন না কেন? '
    ----- ' কি যে বলেন .... আমার কি এমন আছে? বাজার খুব খারাপ প্রায় দুবছর ধরে ... '
    সাগর এবার স্বমূর্তি ধরল। বলল, ' এই তো ... আপনি যে পাক্কা মিথ্যেবাদী সেটা বুঝে গেলাম। আপনি মাস তিনেক আগে গড়পার রোডে একটা পুরো তিনতলা বাড়ি কিনেছেন। ওটার দাম কত হতে পারে আমার মতো গরীব লোকের পক্ষে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। '
    ------ ' কি যে বলেন সাগরবাবু ... ওটা আমি কিনব কেন? ওটা আমার অ্যানসেস্ট্রাল প্রপার্টি ছিল ... শুধু একটু রিনোভেট করেছি। '
    ------ ' উঁহু ... একদম না। ওটা বদ্রু পালিতদের প্রপার্টি। আপনি কায়দা করে দখল করেছেন। কায়দাটা আমি ঠিক জানি না। কারণ জানার দরকার হয়নি ... কিন্তু সূরযমলের আপনাকে কাঠি করার ব্যাপারটা আমি একেবারেই বিশ্বাস করছি না ... '
    ------ ' না না ... আপনি বিশ্বাস করুন, আমার এগেনস্টে কান্তিকে লাগিয়ে রেখেছে। আমি খুব ভয়ে ভয়ে আছি। '
    ----- ' বুঝলাম ... তা আমাকে কি করতে হবে? '
    ----- ' না ... মানে, একটা প্রোটেকশানের কথা বলছিলাম ... '
    ----- ' আমি কি কোন ভাড়াটে মাস্তান? কান্তি আর আমি একই? '
    বংশীবাবু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
    ----- ' কি হল? বলুন ... '
    ----- ' এটা কি বলছেন সাগরবাবু ... আমি ওটা বলতে চাইনি। আমি শুধু আপনার একটু হেল্প চেয়েছিলাম যাতে আমি শান্তিতে ব্যবসাটা করতে পারি ... নেহাত বিপদে পড়েই আপনার কাছে এসেছি ... কতদিন ধরে ঘুরছি আপনার দেখা পাওয়ার জন্য। শুধু একদিন গিয়ে দাঁড়ালেই হবে।
    আপনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন তাই .... '
    ----- ' আপনি আগে নিজে ন্যায়ের লাইনে আসুন, তারপর ওসব ভাবব। আমি সব খবর রাখি ... অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে আগে আপনার স্ক্রু টাইট দিতে হয় .... সেটা কি ভাল হবে? '
    বংশীবাবু এর পরেও হাল ছাড়লেন না। পটলের সাবধান বাণী স্মরণে রেখে বংশীবাবু আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন অবশ্য। বললেন...
    ----- ' আমি তা'লে কি করব? '
    ----- ' আপনি কি করবেন,তা আপনিই জানেন ... তবে এখানে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। রাস্তা দেখুন .... পটল এখন উঠি রে ... অনেক কাজ আছে। মায়ের ওষুধ কেনাও বাকি ... চলি আমি। কার্তিক এলে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলিস ... '
    ----- ' ঠিক আছে দাদা ... ' পটল সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়।
    সাগর ঝট করে চেয়ার থেকে উঠে হাতিবাগানের দিকে চলে গেল।
    বংশীবাবু মনে মনে বললেন, ' শূয়োরের বাচ্চা ... দেখা যাবে ... এক মাঘে শীত পালায় না ... '

    তবে শীত বোধহয় এ বছরের মতো পালাল।
    শুধু শেষ রাতের দিকে একটা ছ্যাঁকছ্যাঁকানি ঠান্ডা আছে। দুপুরবেলায় বেশ গরম।
    হেদুয়ায় শিরিষ গাছের নীচে বসে সুমনা বলল,
    ' বাপির সঙ্গে কথা হল? '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' হ্যাঁ হয়েছে ... '
    সুমনার ইতিমধ্যেই অলোকেন্দুবাবুর টেপ রেকর্ডেড ভার্সান শোনা হয়ে গেছে। সুমনার বাপি তার চেম্বারে বসেই শুনিয়েছেন কাল রাত্রে চেম্বার ফাঁকা হয়ে যাবার পর। শুনতে শুনতে গভীর সংরাগে সুমনার চোখের পাতায় জলদ মেঘ জমতে শুরু করল। সে মেঘের ভারে অবশেষে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল গাল বেয়ে।
    অলোকেন্দুবাবু নীরব রইলেন।
    সুমনা ভাঙা স্বরে শুধু তিনটি শব্দ উচ্চারণ করল,
    ' থ্যাঙ্ক ইউ বাপি '
    উকিলমশাই মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে বললেন,
    ' মোস্ট ওয়েলকাম '

    সুমনা বলল, ' কি কথা হল? '
    ----- ' ওই ... কি সব বলছিলেন ... ইউনিভার্সের সবকিছু রিলেটিভ, অ্যাবসোলিউট ফেনোমেনন বলে কিছু নেই ... '
    ----- ' ও বাবা ... এই সব কথা ! তা, তুমি কি বললে? '
    প্রতিবিম্ব নির্বিকারভাবে বলল, ' আমি বললাম ... ওসব বুঝি না স্যার ... আমার আর সুমনার রিলেশানটা হল অনলি অ্যাবসোলিউট ফেনোমেনন ইন দি ইউনিভার্স ... ', প্রতিবিম্ব অকৃত্রিম সরলতায় সুমনার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ঠিক বলিনি? '
    সুমনা হাসবে কি কাঁদবে বুঝতে পারল না।

    সে ঔৎসুক্যমাখা মুখে বলল, ' তারপর ... তারপর? তখন বাপি কি বলল? '
    প্রতিবিম্ব বলে যাচ্ছে ----- ' এর উত্তরে উনি বললেন, আমার একটা কথা আছে। আমি বললাম, কি স্যার ... উনি তখন বললেন, আমাকে আর স্যার বলা যাবে না, কাকু বলতে হবে ... '
    টেপ রেকর্ডার ভার্সানের সঙ্গে প্রতিবিম্বর বাস্তব মৌখিক ভার্সান পুরোপুরি মিলে গেল।
    খুশির উজ্জ্বল আলোয় চোখমুখ ভাসিয়ে প্রতিবিম্বর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল সুমনা।
    তাকিয়ে তাকিয়ে বলল, ' আর একটা সিনেমা দেখতে গেলে হয় না? '
    ------ ' আবার? ভয় করবে না? '
    ------ ' করবে,তবু যাব ...ওই ভয়টাই তো মজা ... ভয় হতে তব অভয় মন্ত্রে নূতন জনম দাও হে ... ' সুমনা নির্ভীক কন্ঠে জবাব দেয়।
    ----- ' ধ্যাৎ ... ওটা পূজা পর্যায়ের গান ... ' প্রতিবিম্ব ফিক করে হেসে ফেলে।
    ----- ' তা হোক ... আমার কাছে যা প্রেম, তাই পুজো ... ' সুমনা তার জায়গায় অনড় রইল।
    ------ ' জিও ... জিও ... '

    দীনবন্ধু একদিন অনিমেষ, শ্রীলেখা এবং আরও কয়েকজনকে নিয়ে টালা পার্কে এগজিবিশান দেখতে গেল। টেলিভিশনের মতো চমকপ্রদ জিনিসের কারিগরি দেখে সকলেই অত্যন্ত চমৎকৃত। এগজিবিশানে আরও অনেক আকর্ষণীয় জিনিস ছিল। সেগুলোও ওরা রীতিমতো উপভোগ করল। ফেরার পথে শ্যামবাজারে নেমে হরিদাস মোদকের দোকানে কলাপাতায় লুচি তরকারি খেল সকলে। বেশির ভাগ টাকাটাই দীনবন্ধু দিল। বাড়ি ফিরে রাত্রে খাওয়া দাওয়াও বেশ জম্পেশ হল। অঞ্জলি, হয়ত দীনবন্ধুর চাকরি পাওয়ার খুশিতেই অনেক রকম রান্না করেছিল। নিতাইবাবু বৌয়ের ফরমায়েশ মেনে বাজার থেকে বড় সাইজের গলদা চিংড়ি এনেছিলেন। দীনবন্ধু শিয়ালদা স্টেশনের কাছে একটা মেসের বন্দোবস্ত করেছে। কাল থেকে সেখানেই থাকবে। খাওয়া দাওয়া নাকি মোটামুটি ভালই। যদি তেমন ভাল না হয়, বিভূতিবাবুর চেনা মেস আছে শ্যামবাজার বাজারের ওপরে। সেখানে চলে যাবে দীনবন্ধু। আসলে শিয়ালদা থেকে তার অফিসটা কাছে হয়, তাই ....

    রাত্রে খেতে বসে অঞ্জলি বলল, ' হ্যারে দীনু ... বাড়িতে মেয়ে টেয়ে দেখছে নাকি ... চাকরিতে তো ঢুকে গেলি ... '
    ----- ' এখনই কি? এই তো সবে ঢুকলাম। কি যে বল ... খাওয়াব কি? '
    ------ ' সে আবার কি কথা ! তুই যা খাবি, সেও তা খাবে ... '
    ----- ' সেদিন আর নেই পিসী ... এখন খাওয়া ছাড়াও আরও অনেক কিছু লাগে ... সেদিন আর নেই... তারপর ফ্যামিলি বাড়লে তো রক্ষা নেই। যুগ পাল্টাচ্ছে। আমাদের গ্রাম গঞ্জেই চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে ... '
    ----- ' ওসব কথা ছাড় ... আমি তো দেখছি সব একইরকম আছে ... চাহিদা আবার কি? ওসব বড়লোকদের কথা বাদ দে। আমরা তো একইরকম আছি ... '
    ----- ' যাকগে, তুমি কি করতে চাইছ? '
    ----- ' বলছি যে, ভাল মেয়ে থাকলে যোগাযোগ করব? '
    দীনবন্ধু একটা দায়সারা উত্তর দিয়ে প্রসঙ্গটা চাপা দিতে চাইল। বলল, ' দেখ দেখ ... তোমার যদি মন চায় দেখ ... '
    নিতাইবাবু বললেন, ' মালাইকারিটা কিন্তু দারুণ করেছ ... দীনুর সুবাদে খাওয়াটা ভালই হল ... '
    এই খাওয়ার সুখের চেয়ে বড় মোক্ষ বোধহয় এদের জীবনে আর কিছু নেই।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন