এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৮২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৫০ বার পঠিত
  • নিখিল ব্যানার্জী অঙ্কের অসাধারণ শিক্ষক। কিন্তু কাবেরীর মনে হল তিনি ফিলজফির টিচার হলেই ভাল হত।

    তিনি সেদিন বললেন, ' আমাদের এই ইউনিভার্সের বাইরে আমরা খুব একটা কিছু জানি না। এই মহাকাশে এমন তারা আছে আমাদের এই পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব এক কোটি আলোকবর্ষ। মানে, ওই তারার আলোকরশ্মি ওখান থেকে বেরোবার পর পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে এক কোটি বছর লাগে। নিশ্চয়ই জান, আলোর গতি হল এক সেকেন্ডে প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার। সুতরাং সিস্টেমটার বিশালত্ব অনুমান করতে পারছ নিশ্চয়ই। অবশ্য অনুমান বা কল্পনা করা সম্ভবই না। কারন বিশালত্বটা অকল্পনীয়। কোন মর্টাল আর্থলি এন্টিটি-র চিন্তার বাইরে। আমাদের চিন্তাতরঙ্গ অতদূর পৌঁছয়ই না। এই অকল্পনীয়রকম বিশাল সিস্টেমের মধ্যে থাকা আমাদের এই গ্রহের অস্তিত্ব কতখানি জান ? পুরীর সি বিচের একটা বালির কণার থেকেও ছোট। আর সেই ক্ষুদ্রতার মধ্যে আমাদের অস্তিত্ব কত ক্ষুদ্র সেটাও অকল্পনীয়। এর মধ্যে এত মারামারি কাটাকাটি, ঝগড়া বিবাদ ... চিন্তা কর... '

    কার্ল মার্ক্স থেকে বার্ট্র্যান্ড রাসেল, কাফকা থেকে জাঁ পল সারত্র্ যে কোন ঘরানায় তার অবাধ গতিবিধি। তা সে আধ্যাত্মিকই হোক বা অস্তিত্ববাদীই হোক। শঙ্করাচার্যের নির্গুণ ব্রহ্মতত্ব বা চার্বাকের পার্থিব বাস্তববাদ অতি সহজে মৌখিক ভাষায় বলে যেতে থাকেন তিনি। সবই একসঙ্গে বলে যান দীর্ঘক্ষণ ধরে তা নয় এবং কোন কিছুই অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলেন না। কোন ঘটনা বা প্রসঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলো টেনে আনেন তিনি, খুব সংক্ষেপে এবং দৃঢ় বয়ানে।
    এসব কথা শোনা তার ছাত্র ছাত্রীদের অনেকের হয়ত তেমন পছন্দ হচ্ছে না, উসখুস করছে, একথাও বোঝেন তিনি কিন্তু তিনি তার হৃদয়ঙ্গম করা কথা না বলে থাকতে পারেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ফিরে আসেন অঙ্কের সিলেবাসে। মাঝে মাঝেই বলেন, ' আসলে এই বিশ্বপ্রকৃতি, গোটা সৃষ্টি চক্রই একটা রহস্যময় অঙ্ক, যার পুরোটা মানুষ এখনও সলভ করে উঠতে পারেনি। এর গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির আদিতে নানা আকস্মিক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মনুষ্য প্রজাতি বেশি বুদ্ধির অধিকারি হয়ে গেল অন্যান্য প্রাণী প্রজাতির তুলনায় .... যার জোরে শারীরিক সক্ষমতা কম হওয়া সত্ত্বেও সে এই গ্রহ শাসন করছে, সেটা কেন হল এবং এর পিছনে প্রকৃতির কি উদ্দেশ্য সেটা আজও একটা আনসলভড মিস্ট্রি ...'
    একদিন বললেন, ' লোকে বলে ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হল, কার মঙ্গলের জন্য ? আমার মনে হয় তার নিজের মঙ্গলের জন্য... এই সৃষ্টিচক্র চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তিনি নির্বিকার হয়েছেন ... মানে, বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী নির্গুণ, নিরাকার এবং নির্বিকার হয়েছেন। মানে একটা সিস্টেমে চলা যন্ত্রের মতো। অনাদি অনন্তকাল ধরে চলছে। যন্ত্রের কখনো সুখ দুঃখ বোধ থাকে না। অনেকটা অনন্তকাল ধরে বয়ে চলা সমুদ্রের তরঙ্গের মতো ... '
    এক ছাত্র একদিন ফস করে বলে বসল, ' প্রকৃতিকে নিষ্ঠুর বলছেন কেন স্যার ... '
    নিখিলবাবু বললেন, ' হরিণের সৃষ্টি করা হয়েছে বাঘের খাদ্য হিসেবে। এ না থাকলে ও থাকবে না .... এবার জেনারেল এক্স্ট্রাপোলেশান ক'রে বুঝে নাও এই প্রসেস কন্টিনিউ করতে প্রকৃতি নির্বিকারভাবে আর কি কি নিষ্ঠুরতা করে ... এই বৈষম্য তৈরি করাটা আমার মতে একটা আনস্ক্রুপুলাস মেকানিজম ... এর মধ্যে মঙ্গলের কিছু নেই ... যেমন ওয়াটার লেভেল এক থাকলে সেটা স্ট্যাগন্যান্ট হয়ে যায়, লেভেলের তারতম্য থাকলে তবেই বহমানতা তৈরি হয় ... এইরকম আর কি ... এই চিন্তাধারা থেকেই বোধহয় একটা প্র্যাগম্যাটিক ফিলজফিক্যাল ডকট্রিন ইমার্জ করেছিল... যার নাম চার্বাক দর্শন ... '
    ছেলেটার কিছু হজম হল কিনা বোঝা গেল না, কিন্তু সে চুপ করে গেল। এইসব ভজখট তত্ত্বের মধ্যে সে ঢুকতে চাইল না।
    কাবেরীর এই কোচিং-এ দেড় সপ্তাহ কেটে গেল। মানে, তিনটে ক্লাস হল এখন পর্যন্ত। সে নিখিল স্যারের অনুভব এবং উপলব্ধির কথা কিছু কিছু শুনে ফেলেছে। তার কিন্তু স্যারের কথা বুঝতে বিশেষ অসুবিধে হচ্ছে না। বেশ নতুন ধরণের কথা। এসব কথা সে কোনদিন কারো মুখে শোনেনি। সে কোন প্রশ্ন করে না, শুধু শোনে। বেশ ভাল লাগে।
    বোঝার চেষ্টা করে। ভাবল সুমনাকে বলতে হবে স্যারের কথাগুলো। ও মনে হয় ভাল বুঝতে পারবে। ও যদি স্যারের কাছে পড়ে তা'লে তো আরো ভাল। কি সব জ্যোতিষী টোতিষী বলছিল সেদিন ও আর প্রতিবিম্ব ... কি যে সব বলে ...

    আঁটো চেহারার ধড়িবাজ ঝন্টুবাবু পরদিন সকাল আটটা নাগাদ পাশের বাড়িতে ঢুকে বললেন, ' শিবুদা ... বাজারে যাচ্ছি ... কিছু আনতে হবে নাকি ? '
    তারপর শিবপ্রসাদের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ইশশ্ ... ফাটিয়ে দিয়েছে একেবারে ... হারামির বাচ্চা ... কাউকে ছাড়ব না শালা... '
    রাত্রি বলল, ' ঠিক আছে ... ঝন্টুকাকা ... বাজারের কিছু আনার নেই আজকে ... সব আছে ... আমি এখন রান্নাঘরে ঢুকব ... আর কিছু বলবে ? '
    ঝন্টুবাবু একটু থতমত খেয়ে গেলেন। তার ওপর এখনও সাগর মন্ডল সিনড্রোম কাজ করছে। সে আমতা আমতা করে বলল, ' না ... কি আর বলব ... বাজারে যাচ্ছি। এই ...বলছিলাম যে, সাগর মন্ডলের সঙ্গে তোর কিভাবে পরিচয় হল ... '
    ----- ' সেটা জেনে তোমার কোন লাভ আছে ? এটা জানতে চাইছ কেন ? '
    ----- ' না ... আমার আর লাভ কি ... বলছি যে ওই ধরণের লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল ... কোথা থেকে কি হয়ে যায় ... ওরা তো অ্যান্টিসোশ্যাল ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... তাই ! আর তোমরা হলে সোশ্যাল ? তোমার এই কথাগুলো যদি ওকে বলে দিই ... ' রাত্রি বলল।
    ------ ' এ..ই ... এ..ই এসব কি বলছিস ... আমাদের মধ্যেকার কথা ওকে বলতে যাবি কেন ... ও কি তোর কাছে বেশি আপন হল ? '
    ----- ' দেখ, ঝন্টুকাকা ... তুমি এখন যাও .... আমি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাই না ... '
    ----- ' আরে ... রাগ করছিস কেন ... আমি কি খারাপ কথাটা বললাম ? আচ্ছা ঠিক আছে ... তোর মাথা ঠান্ডা হোক তারপর নয় কথা বলব ... '
    বলে ঝন্টুবাবু বেরিয়ে গেল।

    শিবপ্রসাদ আজ অফিস যাবেন না। কাল যা ধকল গেল ! এখনও আর কি কি কপালে আছে কে জানে ...। রাত্রি দশটা নাগাদ কাঁধে ঝোলা ঝুলিয়ে ইউনিভার্সিটি বেরিয়ে গেল। সে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। যেতে যেতে ওয়ার্ডসওয়ার্থের গোল্ডেন ট্রেজারির নানা রোম্যান্টিক কবিতা মনে পড়ে এক নদীর তীরে খোলা প্রান্তরে ছুটে বেড়ানো হাওয়ার মতো তার মন অকারণেই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কেন কে জানে। রূপবাণীর সামনে থেকে ট্রামে উঠল। ডানদিকের কাটা সিটে বসেছে। বিডন স্ট্রিট হেদুয়ার মুখে ট্রাম দাঁড়িয়েছে। রাত্রি ট্রামের জানলা দিয়ে দেখল সাইকেল মেরামতের দোকান খুলছে পটল। তার ইচ্ছে হতে লাগল ট্রাম থেকে নেমে গিয়ে পটলের সঙ্গে কথা বলে। কি আশ্চর্য ... পটলের সঙ্গে সে কি কথাই বা বলবে ! তার কথা তো কিছুই নেই। সাগরের খোঁজ করা যেতে পারে। কিন্তু অকারণে সে তার খোঁজ করবেই বা কেন। এখন তো কিছু দরকার নেই। সে ভাবল, না না এখন কিছুই দরকার নেই... কিছুই দরকার নেই ... অকারণে সে খোঁজ করবেই বা কেন ?
    ট্রাম ছেড়ে দিয়েছে। ট্রাম বেথুন কলেজের সামনে দিয়ে বিবেকানন্দ রোডের দিকে যাচ্ছে।

    সাগর ভোর ছ'টার সময় উল্টোডাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে ওদিকে যাচ্ছিল সাইকেল চালিয়ে ডাক্তার সরোজ দাসের বাড়ি খবর দিতে। তার মায়ের হাঁফানির কষ্টটা খুব বেড়েছিল কাল রাত্রে। খুব চিন্তায় আছে সে। তার তো এই মা টা ছাড়া আর কেউ নেই দুনিয়ায়।

    আকাশে ভোরের আলো পাপড়ি ছড়াচ্ছে। রাস্তার ধারে গাছের পাতাগুলো নরম আলোয় চিকচিক করছে। সাগর এসব কোনদিন খেয়াল করেনি। কিন্তু এখন তার ভীষণ ভাল লাগতে লাগল। কে যেন মোলায়েম চামর বুলিয়ে দিচ্ছে তার স্নায়ুগুচ্ছে। তার মনে হল এরকম একটা কিছু হচ্ছিল যেন কাল একজনের পাশাপাশি পটলের দোকানের থেকে গোয়াবাগানের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময়। কেন হচ্ছিল কে জানে ....

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২২527602
  • প্রত্যয় স্ট্যাটিস্টিক্সের ছাত্র হয়েও ইংরিজি সাহিত্যের অনেক খবর রাখে!
  • Ranjan Roy | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৯527613
  • বাক্যটি বোধহয় লেখক এরকম লিখতে চেয়েছিলেন:
    গোল্ডেন ট্রেজারির ওয়ার্ডস্ওয়ার্থের নানা রোমান্টিক কবিতার কথা মনে পড়ে গেল।
     
     
  • Ranjan Roy | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১০527615
  • মানে নদীর ধারে ঘুরে বেড়ানোর কথায় লুসি গ্রে , ড্যাফোডিল আরও কিছু কবিতা মনে পড়ল, তাই।
  • Anjan Banerjee | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২৬527616
  • Ranjan Roy 
     
         একদম ঠিক 
  • Anjan Banerjee | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৪২527617
  • প্রত্যয় ভক্ত 
            Golden Treasury of poetry ( edited by Louis Untermeyer )  কথা বলা হয়েছে ,  Golden Treasury of songs and lyrics -এর কথা নয় ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন