এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৩৮ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ৩১২ বার পঠিত
  • বিবেকানন্দ রোড পেরিয়ে ব্রাহ্মসমাজের বাড়ি। ভিতরের হলে বিশ্বজাগরণ মঞ্চ বলে একটা প্রগতিশীল অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে আজ। অপরেশ তাকে সকালবেলায় বাজারে বলল, ' আমাদের সমিতির একটা অনুষ্ঠান আছে আজকে ব্রাহ্ম সমাজে , পাঁচটার সময় ... আসুন না ... ভাল লাগবে ... '
    অপরেশ বিভূতিবাবুর চেয়ে অনেক ছোট। রামদুলাল সরকার স্ট্রিটেই থাকে। খুব যে ঘনিষ্ঠতা আছে তা নয়। বাজারে মাঝেমধ্যে দেখা হলে ঘাড় নেড়ে হাসি বিনিময় হয়। ব্যাস এইটুকুই। অপরেশের সম্ভবতঃ বিভূতিবাবুর রঙ্গজগতের প্রতি আকর্ষণের কথা জানা আছে। তাই বোধহয় এই আমন্ত্রণ।
    বিভূতিবাবু বললেন , ' কি হবে ওখানে ? '
    ------- ' গান আর আবৃত্তি হবে। শম্ভু মিত্র মশায়ের আসার কথা আছে। পঙ্কজ মল্লিককে আনার ব্যবস্থা হয়েছে ... '
    ------ ' তাই নাকি ... বাঃ ...। শম্ভু মিত্র মানে বহুরূপীর শম্ভু মিত্র তো ... ওই যারা নবান্ন করেছিল ... '
    ------ ' হ্যাঁ ... উনি আবৃত্তি করবেন '
    ------ ' ও ... তা ভাল। যাব যাব। তা, বক্তৃতা টক্তৃতা হবে না তো ? ওগুলো ঠিক আমার মাথায় ঢোকে না ... '
    ----- ' না না ... ওসবের কোন ব্যাপার নেই , হলেও বড়জোর দশ পনের মিনিট। আপনার অসুবিধা হবে না ... আপনি এসব ভালবাসেন , তাই আপনাকে বললাম। আমি গেটে থাকব , অসুবিধা হবে না ... '

    অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে শম্ভু মিত্র মশায়ের আবৃত্তি হল। রক্তকরবী নাটকের নাকি মহড়া চলছে , তাই আসতে দেরি হয়ে গেল। দেরি করে আসলেও তিনি উদ্যোক্তাদের নিরাশ করলেন না।
    রবীন্দ্রনাথের তিন তিনটি কবিতা আবৃত্তি করলেন।
    প্রথমে ধরলেন 'বিলম্বিত' , তারপর 'নিমন্ত্রণ' আর শেষে 'দুঃসময়'।
    শম্ভু মিত্রের মন্দ্র কন্ঠের স্নায়ুবিবশকারি স্বরতরঙ্গ আচ্ছন্ন করে ফেলতে লাগল শ্রোতাদের।
    তিনি বিলম্বিত-এর ' .... বসন্তের সে মালা/ আজ কি তেমন গন্ধ দেবে নবীনসুধা ঢালা/ আজকে বহে পুবে বাতাস,মেঘে আকাশ জুড়ে,/ ধানের খেতে ঢেউ উঠেছে নব-নবাঙ্কুরে ,/ হাওয়ায় হাওয়ায় নাইকো রে হায় হাল্কা সে হিল্লোল , / নাই বাগানে হাস্যে গানে পাগল গন্ডগোল। / অনেক হল দেরি,/আজও তবু দীর্ঘ পথের অন্ত নাহি হেরি .....
    হল কালের ভুল ,/ পুবে হাওয়ায় ধরে দিলেম দখিনহাওয়ার ফুল .... '
    শেষ করে 'নিমন্ত্রণ' ধরলেন।
    .......... তাম্রথালায় গোড়েমালাখানি গেঁথে / সিক্ত রুমালে যত্নে রেখেছ ঢাকি ,/ ছায়া-হেলা ছাদে মাদুর দিয়েছ পেতে /কার কথা ভেবে বসে আছ জানি না কি/ আজি এই চিঠি লিখিছে তো সেই কবি / গোধূলি ছায়া ঘনায় বিজন ঘরে / দেয়ালে ঝুলিছে সেদিনের ছায়াছবি/ শব্দটি নেই, ঘড়ি টিকটিক করে / ওই তো তোমার হিসাবের ছেঁড়া পাতা/ দেয়ালের কোণে পড়ে আছে আধুলিটি/ ....
    শেষে 'দুঃসময়' ধরলেন ------
    যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে/ সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,/ যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে / যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া/ মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে/ দিক দিগন্ত অবগুন্ঠনে ঢাকা/ ওরে বিহঙ্গ , ওরে বিহঙ্গ মোর / এখনই, অন্ধ , বন্ধ কোরো না পাখা ...
    শম্ভুবাবু যখন থামলেন একটা নীরব গুঞ্জন অনুরণিত হতে লাগল ব্রাহ্মসমাজের ছোট প্রেক্ষাগৃহে। কেমন ঘোর লেগে গেল সকলের। সেটা কাটিয়ে ওঠার পর সমস্বরে 'আফ্রিকা' এবং 'এক গাঁয়ে' বলার জন্য আবেদন পেশ হতে লাগল। কিন্তু শম্ভুবাবু ততক্ষণে দ্রুতবেগে অন্তর্হিত হয়েছেন। তিনি বোধহয় রিহার্সালের কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে এসেছেন। ফিরে গিয়ে আবার ধরবেন।
    বিভূতিবাবু ভালভাবে কোনদিনই কারো আবৃত্তি শোনেননি , শম্ভু মিত্র তো দূরের কথা। না, বলা ভুল হল ... তিনি একবার শিশির ভাদুড়ির মুখে
    দেবতার গ্রাস কবিতাটা শুনেছিলেন। মনে তেমন দাগ কাটেনি। কেমন যেন যাত্রার ঢঙ।
    কিন্তু এখন শম্ভু বাবুর আবৃত্তি শুনে তিনি আবেশে বিভোর হয়ে গেলেন। বাড়ির দিকে হাঁটতে হাঁটতে তার কানের কাছে গুঞ্জরিত হতে লাগল নানান তরঙ্গ পেরিয়ে গানের সমে ফিরে আসার মতো প্রতি স্তবকের শেষের ঐন্দ্রজালিক স্বরক্ষেপন----- ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর , এখনই অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা .... '
    বাড়িতে ফিরে আসার পর তার অর্ধাঙ্গিনী বললেন,' চা খাবে নাকি ... জল চড়ানো হয়েছে ...খাবে তো বল, নইলে কেটলি নামিয়ে নিচ্ছি ... '
    বিভূতিবাবু শম্ভুবাবুর অনুকরণে তরঙ্গায়িত স্বরনিক্ষেপ করে দু হাত প্রসারিত করে বললেন , ' ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর ... এখনই অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা ... '
    রমাদেবী বললেন , ' এই মরেচে , আবার পেঁচোয় ধরেছে। সবই আমার কপাল .... '

    সিটি সিভিল কোর্টের মুহুরী গগনচাঁদ হাজরা অলোকেন্দু মিত্রের খুব বশংবদ। সে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে হাজির হল। প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরে একদম ফাঁকা এই মুহুর্তে। বাইরে টুলে একজন বসে আছে। বোধহয়
    প্রিন্সিপাল স্যারের আর্দালি হবে।
    তাকে গিয়ে বলল, 'স্যারের সঙ্গে একটু দেখা করব... '
    ----- ' কি ব্যাপারে ? '
    ----- ' ওই... একটা অ্যাডমিশানের ব্যাপারে ...'
    ----- ' অ্যাডমিশান তো ক্লোজ হয়ে গেছে' বিজ্ঞের মতো বলল সে। 'কোন স্ট্রিমে ? '
    -----' আর্টস ... ইকনমিক্স অনার্স ... '
    ------ ' আচ্ছা ... ইকনমিক্স অনার্স চলছে এখনও। '
    ----- ' যাব তালে ? লাস্ট ডেটটা তো চলে গেছে ... সেজন্যে ... '
    ------ ' দাঁড়ান জিজ্ঞেস করছি ... ' , বলে ভিতরে চলে গেল।
    বেরিয়ে বলল, ' ঘরে একজন আছে। উনি বেরোলে আপনি যাবেন ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে। আমি দাঁড়াচ্ছি ... '
    আর্দালি আবার টুলের ওপর এসে থিতু হল এবং নির্বিকারভাবে সামনের দিকে তাকিয়ে রইল।
    মিনিট দুই পরে গগন বলল, ' আচ্ছা ... কলেজের সবকিছুই তো তোমরা জান। ইকনমিক্স ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধার্থশঙ্কর সেনকে চেন ? উনিই আমাকে পাঠিয়েছেন ... '
    ----- ' সিদ্ধার্থ ... শঙ্কর সেন ? ' বলে সে মনে করার
    চেষ্টা করতে লাগল। তারপর বলল ----
    ------ ' নাঃ ... ঠিক মনে করতে পারছি না ... পার্টটাইম, না ফুলটাইম ? '
    ------ ' ফুলটাইম ফুলটাইম... '
    ----- ' কিন্তু ফুলটাইম স্যারদের তো আমি সবাইকেই চিনি। ওই নামে তো কাউকে মনে পড়ছে না। ঠিক আছে , আপনি প্রিন্সিপাল স্যারের সঙ্গে কথা বলুন ... '
    আরও মিনিট দশেক পরে ঘর থেকে ফাইলপত্তর নিয়ে একজন বেরিয়ে গেল। আর্দালি গগনের দিকে তাকিয়ে বলল, ' যান ... '
    গগন ঘরে ঢুকে দেখল সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরা গৌরবর্ণ, পক্ককেশ, চোখে মোটা লেন্সের চশমা পরা স্থূলকায় এক সৌম্যকান্তি ব্যক্তি বসে আছেন। দেখে মনে হচ্ছে রিটায়ারমেন্টের পরে এখনও কিছুদিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
    গগন ঘরে ঢুকে হাতজোড় করে বলল, ' নমস্কার স্যার ... '
    স্যারও একটুখানি হাত তুললেন গগনের নমস্কারটা
    গ্রহণ করার ভঙ্গীতে।
    মৃদু কন্ঠে বললেন, ' বসুন ... '
    গগন বলল, ' আপনার সময় নষ্ট করব না স্যার ... সরাসরি আসল কথায় আসি ... আমি একটা বিয়ের সম্বন্ধের ব্যাপারে পাত্রের খোঁজখবর করতে এসেছিলাম। পাত্রী অ্যাডভোকেট অলোকেন্দু মিত্রের মেয়ে। সুতরাং ওজনটা বুঝতে পারছেন ... '
    প্রিন্সিপাল স্যার কোন কথা না বলে গগনের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    গগন বলতে থাকে , ' পাত্র আপনার কলেজের ইকনমিক্সের প্রফেসর ... অপরাধ নেবেন না স্যার ... তার সম্বন্ধে একটু জানতে চাই... বুঝতেই তো পারছেন ... দিনকাল ভাল না ... একটু খোঁজখবর করতেই হয় ... '
    প্রিন্সিপাল স্যার আবার মৃদু গলায় বললেন ----
    ' কি নাম ? '
    ------ ' সিদ্ধার্থশঙ্কর সেন ... '
    ------ ' সি..দ্ধার্থ... শঙ্কর .... ইকনমিক্সে ! '
    ----- ' হ্যাঁ স্যার... যাদবপুরে বাড়ি ... '
    ------ ' ওই নামে তো ইকনমিক্সে কেউ নেই। আমি নিজে এইচ ও ডি ছিলাম গত বছর পর্যন্ত ... '
    তারপর উনি আর্দালির মতো একই প্রশ্ন করলেন ---
    ------ ' ফুলটাইম না ,পার্টটাইম ? '
    ------ ' আমাদের তো বলেছে ফুলটাইম ... '
    ------ ' না না ... আপনারা মিসইনফর্মড হয়েছেন ...ওদের নেবারহুডে গিয়ে খোঁজখবর নিন। আচ্ছা দাঁড়ান পার্টটাইমে ওই নামে কেউ আছে কিনা দেখে নিচ্ছি। '
    বলে, তিনি বাইরে টুলে বসা লোকটিকে ডেকে বললেন, ' সমরবাবুকে একটু আসতে বল তো ... '

    সমরবাবু কলেজ অফিসের কোঅর্ডিনেটর। তিনি এসে হাজির হলেন।
    প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, ' সমরবাবু ... ইকনমিক্সের পার্টটাইম প্যানেলে ওই ইয়ে ... কি যেন নামটা বললেন ... '
    গগন বলল, ' সিদ্ধার্থশঙ্কর সেন ... '
    ----- ' সিদ্ধার্থশঙ্কর নামে কেউ আছে ? '
    ------ ' হুঁ ... আছে। ক্লাসের ডেটগুলো দেখে বলতে হবে ... '
    ------ ' না ঠিক আছে ... তার কোন দরকার নেই... আপনি আসতে পারেন।
    সমরবাবু বিদায় নিলেন। অধ্যক্ষ মহাশয় গগনচাঁদের দিকে তাকিয়ে মৃদুকন্ঠে বললেন,
    ' বুঝে দেখুন তা'লে ... নেবারহুডে গিয়ে আর কি করবেন ? '

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১৫524882
  • জমে ক্ষীর।
  • Anjan Banerjee | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩১524919
  • হাঃ হাঃ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন