এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৩৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৬৮ বার পঠিত
  • পার্থপ্রতিমের চোখ শান্ত। গলার আওয়াজে একটা বিদ্রোহী অনুরণন আছে, যেটা কাবেরীর মনকে নাড়া দিল। সে বোধহয় এরকম একজনের দেখাই চাইছিল। কাবেরী অবশ্য এটাও ভাবল, কথা শুনে কি আর সব বোঝা যায়। অনেক ধান্দাবাজ লোকই কথায় ওস্তাদ। মিশলে দেখা যাবে সবটাই ফাঁপা।
    কাবেরী ভাবল, যাক ওসব অদরকারি চিন্তা করে লাভ নেই।  আপাতত এদের খপ্পর থেকে ছাড়া পেলে বাঁচে।
    অমিতাভ বলল, ' এবারে ব্যাপারটা একটু টাফ হবে কারণ গতবারে যারা লিখেছিল তাদের থেকে তো এবারে নেওয়া যাবে না। অন্য  লেখকের লেখা কালেক্ট করতে হবে। খাটুনি আছে। সুনির্মল বরাট বলল, ' আমি চারটে কবিতা যোগাড় করে ফেলেছি। তোরা কাজ শুরু করে দে। কাবেরী তুইও দেখিস, লেখা দেবার মতো কেউ যদি থাকে ... '
    ------ ' আমাকে ওই কাজটা একেবারেই দিও না প্লিজ ... এ লাইনে একেবারেই আনাড়ি ... কোন কবি টবিকে একেবারেই চিনি না ... ' কাবেরী বলে।
    পার্থপ্রতিম পরম উৎসাহে বলে ওঠে, ' আরে দারুণ ... এ তো আমারই ডুপ্লিকেট দেখছি। এরকম একটা পার্টনার পেলে মন্দ হত না। '
    পার্থ অনায়াস এবং নির্বিকার ভঙ্গীতে বলে দিল।
    কাবেরী প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিল, ' এত জানেন আর এটা জানেন না .... পছন্দমতো পার্টনার পেতে কিছু মেটিরিয়াল দরকার ... এমনি  পাওয়া যায় না .... '
    ------ ' কথাটা ভুল জায়গায় ফেললেন। আমি ওসব ন্যাকামির ধার ধারি না। ওসব নেকুপুষু মার্কা জিনিসপত্র আমার জিনিস নয়। '
    কিন্তু কাবেরী কি জিনিস তা পার্থপ্রতিমের জানার কথা নয়। 
    কাবেরী বলল, ' ওরে বাবা .... এ যে বিরাট বিপ্লবী ! লাইফে এর মধ্যেই মনে হচ্ছে অনেক নেকুপুষু ঘাঁটা হয়ে গেছে। নাকি, জোটেনি একটাও। সেই রাগেই ... '
    পার্থপ্রতিম বিদ্রুপে ঠোঁট বেঁকিয়ে বলল, ' এ দুনিয়ায় সকলেই যে যার নিজের স্কেলে কথা বলে ... '
    ----- ' অবশ্যই অবশ্যই .... কিন্তু মুশ্কিলের ব্যাপার হল, অনেকেরই তাদের নিজেদের স্কেল সম্বন্ধেই ধারণা নেই। কূপমন্ডুক আর কাকে বলে ... '
    ----- ' সুযোগ এলে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেব কূপ আর সাগরের তফাৎ ... ' 
    এই সময়ে অমিতাভ হাল ধরল।
    ----- ' আরে ! এটা কি হচ্ছে কি ? আমরা এখানে এসেছি একটা সিরিয়াস ব্যাপার নিয়ে ... এসব কি হচ্ছে এখানে .... '
    তারপর পার্থর দিকে তাকিয়ে বলল, ' তুই আসতে চেয়েছিলি বলেই আমি তোকে নিয়ে এসেছি এখানে। তুই এখানে এসে এইসব কান্ড বাঁধাবি জানলে আমি একদম নিয়ে আসতাম না। সব জায়গায় তোর ওই অ্যারোগ্যান্স চলে না ... একজন অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে তুই এরকম বিহেভ করছিস ... তুই আবার নিজেকে বিরাট রেবেল ভাবিস .... অবনক্সাস ... ' 
    কি জানি কি ভেবে তর্কবাগীশ পার্থপ্রতিম মাথা একটু ঝুঁকিয়ে চুপ করে বসে রইল। আর কোন নতুন তর্কের সূচনা করল না।
    তারপর সবাইকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে ঝট করে একবার মাথা তুলে নীচু গলায় বলল, ' সরি '।
    কার দিকে তাকিয়ে বলল ঠিক বোঝা গেল না। কাবেরীর মনে হল শব্দটা বলার মুহুর্তে এক ঝলক তার সঙ্গে পার্থপ্রতিমের চোখাচোখি হল।

    নিবারণ সাহা সন্ধেবেলা হঠাৎ এসে বাইরে থেকে হাঁক পাড়ল, ' নিতাইবাবু আছেন নাকি ? '
    নিতাইবাবু বললেন, ' হ্যাঁ ... ভেতরে চলে আসুন ...'
    নিতাইবাবু ভিতরে এলেন।
    ----- ' শশীবাবুর সঙ্গে আজ দেখা করে এলাম। ভদ্রলোক খুব আন্তরিকভাবে দেখাশোনা করছেন আপনার বাড়ির কনস্ট্রাকশানের ব্যাপারটা। আজকালকার দিনে এরকম লোক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সিমেন্ট বালি আর এক দফা ফেলতে হবে। এটাই মনে হয় লাস্ট। প্লাস্টারটা শুকোলে রঙের কাজ ধরে নেবে মিস্ত্রি। রঙের মিস্ত্রি ঠিক হয়ে গেছে ... ' নিবারণ জানাল।
    ----- ' টাকা লাগবে তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ সেটা বলতেই এলাম আমি ... '
    ----- ' আপনি কাল পরশু নাগাদ দশ হাজারের মতো দিয়ে আসলে ভাল হয়। রাত্রে শশীবাবুর বাড়িতে দিয়ে আসলেও হবে ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে। তা'লে পরশুই যাব। '
    --‐-- ' অসুবিধে নেই। তা গৃহপ্রবেশ কবে করবেন কিছু ভেবেছেন নাকি ? '
    অঞ্জলি বলল, ' একুশে জানুয়ারি  একটা ভাল দিন আছে .... ভাবছি ওই দিনই .... '
    ----- ' আচ্ছা আচ্ছা .... ঠিক আছে বৌদি ... ওই দিনই তা'লে ... যদি আপনাদের পুরোহিত থাকে তো ভালই,  নইলে যদি বলেন তো আমারও চেনা ঠাকুরমশাই আছে ... বেশি নেবে না ... '
    নিতাইবাবু বললেন, ' আচ্ছা ঠিক আছে সাহাবাবু ... একটু দেখে নিই,  জানাব  জানাব ... '
    অঞ্জলি নিবারণকে চা আর বিস্কুট দিল। নিবারণ সাহা চায়ে চুবিয়ে বিস্কুটে কামড় দিল।
    বলল, ' আ...আ .. আঃ ... বৌদির হাতের চা টা সত্যিই অপূর্ব ... '
    মাণিকলাল চ্যাটার্জি, মানে ওই ঘড়িবাবু নরেন পাল যার বাড়িতে ঘড়িতে দম দিতে যায় হেদুয়ার একপাশে রায়বাগান লেন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিকেলবেলায় আর্দির পাঞ্জাবী আর চওড়া পাড় ধুতি পরে। কোথায় যাচ্ছে কে জানে। ঘাড়ে গলায় প্রচুর পাউডার। ওখানে বিভূতিবাবুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। বিভূতিবাবু গিয়েছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি অশোক দাসের বাড়িতে খবর দিতে। তার পাখাটা প্রচন্ড শব্দ করছে দুদিন ধরে। কাল সকালের দিকে আসবে বলেছে অশোক। 
    মাণিক চ্যাটার্জির সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল।
    ------ ' আরে, চ্যাটার্জিবাবু যে ... কি খবর ... এদিকে কোথায় ? '
    ------ ' এই  একটু যাব ... তারপর কেমন আছেন ? '
    ----- ' এই আছি আর কি ... সবকিছু কেমন বদলে যাচ্ছে ... পুরণো লোক কেউ দেহ রাখছে, কেউ পাড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। মনটা ভাল লাগে না ... '
    ----- ' খাঁটি কথা বলেছেন। চোখের সামনে সবকিছু কেমন বদলে গেল। আমাদের ফ্যামিলিতেই দেখুন না। কত লোক ছিল আমাদের বাড়িটায়। সবসময় গমগম করত। এখন অত বড় বাড়িতে শুধু আমি আর মা। আমি তো বিয়ে থা করলাম না। একতলায় আমার ভাই, ভাইয়ের বৌ আর তাদের ছেলে মেয়েরা থাকত। তারাও এখন আর নেই। কানপুরে চলে গেছে। ছেলে সেখানে চাকরি পেয়ে অফিসের কোয়ার্টার পেয়েছে। মেয়ের তো ... আপনি জানেন বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়ি এখন খাঁ খাঁ করে। শুধু কাজের লোকেরা বাড়িটাকে জাগিয়ে রেখেছে। শুধু মানুষের উপস্থিতি ফিল করার জন্য এতগুলো লোককে ধরে রেখেছি। এখানকার পরিবেশ কানপুরে পাবে বলুন তো ... '
    ------ ' কখনোই না...কখনোই না ... আমাদের এই পরিবেশ, এই জীবন কোথাও পাবে না .... '
    ----- ' আপনার বাড়িতেও তো শুনলাম অনিল ঘোষরা চলে গেছে ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... একতলার নিতাইবাবুরাও চলে যাবে বছর শেষ হলে। সিঁথির ওদিকে বাড়ি করেছে। বাড়িটা কেমন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মনটা মোটে ভাল লাগে না। পুরণো লোকের মায়ার টান যে কতখানি, আগে কোনদিন বুঝতে পারিনি ... ', নিতাইবাবু বলেন।
    ----- ' আসুন না একদিন বাড়িতে। আমি তো সবসময়েই থাকি। একটু কথাবার্তা বলা যাবে। মা-ও চায় লোকজন আসুক। সেই আগেকার দিনগুলো ফিরে আসুক। আপনার সময় মতোই আসুন .... খুব ভাল লাগবে ... '
    ----- ' নিশ্চয়ই যাব ... নিশ্চয়ই যাব। আমাকে অত বলতে হবে না .... আপনিও একদিন আসুন না গরীবের বাড়িতে .... '
    ------ ' গরীব তো আমরা সবাই বিভূতিবাবু ... পৃথিবীতে আর ক'টা দিন বেঁচে থাকার বাসাটায় ঠেকনা দেবার খড়কুটো খুঁজে চলেছি রাতদিন ... '
    বিভূতিবাবুর একটা চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হল। প্রতিবেশীকূলে উন্নাসিক,  দাম্ভিক এবং অসামাজিক বলে পরিচিত মাণিকলাল চ্যাটার্জির মধ্যে যে এমন একটা বেদনাবিধূর, অসহায়, মানুষের সংস্পর্শউষ্ণতাপ্রার্থী এবং দার্শনিক মন আছে তা দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে গেলেন। একসময়ের বাবু কালচারের উত্তরসূরীরা আজ অনেকেই মানুষ খোঁজে হৃদয়ে জড়িয়ে নেবার জন্য।

    ( আর দুটি পর্ব )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪১524685
  • খুবই ভালো লেগেছে. 
  • Anjan Banerjee | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪৯524693
  • অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন