এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১২ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৪৫২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কানাই সিকদার করিতকর্মা লোক। সে বিয়ের ঘটকালি থেকে শুরু করে মিউনিসিপ্যালিটির পারমিট বা ছোটখাট মামলার জন্য উকিলের জোগান দেওয়া সব কাজেই সে বেশ দড়।
    সুমনাদের বাড়িতে কানাইবাবুর যাতায়াত অনেকদিনের। আসলে কানাই হল সুমনা, চন্দনা, বন্দনার মামারবাড়ির দিককার চেনাশোনা লোক। মানে, সুমনাদের মা বাসন্তীদেবীর চেনা লোক বিয়ের আগে থেকেই। তার বাবার সঙ্গে বেশ খাতির ছিল। এ বাড়িতেও মাঝে মাঝেই আসেন কানাইবাবু। গৃহকর্তা অলোকেন্দুবাবুর সঙ্গেও কানাইয়ের সম্পর্কটা বেশ ভাল জমেছে। অলোকেন্দুবাবুর সঙ্গে কানাইয়ের অবশ্য খুব কমই সাক্ষাৎ হয়। কথাবার্তা যা হয় ওই সুমনার মায়ের সঙ্গে। বাসন্তীদেবী কানাই সিকদারের কাছে তার সালকিয়ার বাপের বাড়ির খবরও পান।
    বলতে গেলে তার বাপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ির মধ্যে একটা সাঁকোর কাজ করে কানাই।
    কানাই সেদিন সকাল এগারোটা নাগাদ এসে হাজির। অলোকেন্দুবাবু ' অ ... কানাই এসেছ .... বস বস ... আমার তো বেরোবার সময় হয়ে গেছে ... আমি এগোচ্ছি... তুমি কথা কও ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে জামাইবাবু ... দুগ্গা দুর্গা ...'

    কাপের চায়ে বিস্কুট ভিজিয়ে একটা কামড় দিয়ে কানাই বলল, ' আর ... দিনকাল যা পড়েছে, করে খাওয়া মুশ্কিল হয়ে যাচ্ছে ... বাসন্তীদি ... '
    ----- ' কেন ... কি হল ? '
    ----- ' এখন তো আত্মীয়স্বজনরাই সম্বন্ধ আনছে .... আমাদের আর দরকার কি ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... তা ঠিক। আজকাল আর ঘটকালির কাজ তেমন নেই ... তা তোমার তো অন্য কাজের অভাব নেই.... '
    কানাই চায়ের কাপে একটা চুমুক মারে।
    ----- ' তা ... তোমাদের আশীর্বাদে ... চলে যাচ্ছে ... '
    সুমনার মা একটু চুপ করে থাকলেন। তারপর বললেন, ' আমার মেয়েগুলোর তো মেঘে মেঘে বেলা হল .... এবারে দেখাশোনা করতে হয় ... '
    কানাইয়ের চোখ আগ্রহে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সে চায়ে সড়াৎ করে আর একটা চুমুক মারল।
    বলল, ' এই কথাটাই অনেকদিন ধরে বলব বলব ভাবছিলাম ... মানে, ঠিক ভরসা পাচ্ছিলাম না আর কি ... তা কথাটা যখন বললেন আমি তা'লে দেখি ... কি বলেন ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... আমার বড় মেয়ের ব্যাপারটা আগে ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... সে তো নিশ্চই ... সে তো নিশ্চই ... তবে আপনার কোন মেয়েরই পাত্র পেতে অসুবিধে হবে না এটা বলতে পারি। বাসন্তীদি যাই বলেন আপনার ছোট মেয়ে কিন্তু সবচেয়ে সুশ্রী .... '
    ----- ' হুঁ ... তা ঠিক। কিন্তু বড়দের আগে পার না করে ... ছোটর কথা তুলি কি করে বলতো ... '
    ----- ' না না ... দিদি ... আমি তা বলছি না ... তা বলছি না ... কথার কথা বললুম আর কি ... '
    ----- ' কিন্তু কানাই, কথাটা তুমি ভুল বলনি ... সুমনা বোনেদের মধ্যে সবচেয়ে সুশ্রী। সেই জন্যেই ওর জন্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তা আমার ... '
    ------ ' চিন্তা করবেন না দিদি, আমি থাকতে একদম চিন্তা করবেন না ... সব উতরে দেব একেবারে রাজযোটক করে। যখন বলবেন তখন। শুধু মুখের কথা খসান একবার .... '
    আরও প্রায় ঘন্টাখানেক ওই বাড়িতে কাটিয়ে গা তুললেন কানাই সিকদার।
    বললেন, ' আজ তা'লে উঠি দিদি .... আমি বেস্পতিবার আসব'খন ছবিগুলো নিয়ে। আপনার বড় মেয়েরও একটা ছবি দেবেন ... আসি দিদি ... '
    কানাইবাবু বিদায় নিলেন বেলা বারোটা নাগাদ।

    বেলা বারোটা। বেথুন কলেজে পাসের একটা ক্লাস করে মেয়েরা বেরোচ্ছে। এরপর ম্যাথ অনার্সের একটা ক্লাস আছে।
    কাবেরী বলল, ' কাল বিকেলে শ্যামবাজার কফিহাউসে যাবি ? '
    ----- ' কেন ? '
    ----- ' চল না ... একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাব ... তোকে কিছু করতে হবে না, জাস্ট সঙ্গে থাকবি ... '
    ------ ' না না ... আমি কোথাও যেতে পারব না ... মা জানতে পারলে একেবারে ... '
    কাবেরী কথাটা সহজভাবে নিল। বলল, ' আচ্ছা ঠিক আছে ... তোর অসুবিধে আছে যখন ... ছেড়ে দে ... আমি একাই যাব ... '
    সুমনা চুপ করে রইল। কিন্তু তার মনে প্রচন্ড কৌতূহল মাথা চাড়া দিতে লাগল।
    সে বলব না বলব না করেও বলে বসল।
    ----- ' কার সঙ্গে দেখা করতে যাবি রে ওখানে ? '
    ----- ' ওই একটা কবিতা পত্রিকা বেরোবে ... তাই ...'
    ----- ' কবিতা পত্রিকা বেরোবে...মানে লিটল ম্যাগ ?'
    ----- ' হ্যাঁ ... '
    ----- ' তাতে তোর কি ? ওরকম তো কতই বেরোচ্ছে, তুই এসবে ইন্টারেস্টেড তা তো জানতাম না ! '
    ----- ' না মানে ... এখন ইন্টারেস্ট পাচ্ছি। কবিতা শুনতে শুনতে আগ্রহ তৈরি হয়ে গেল। বেশ একটা মাদকতা আছে কিন্তু .... ' কাবেরী বেশ আপ্লুত।
    সুমনা আনাড়ির মতো বলল, ' কার কবিতা ... জীবনানন্দ দাশের ? '
    ----- ' না না এখনকার ... নতুন, নতুন ছেলে ...'
    ----- ' তাই নাকি ! কি করে দেখা হল ? '
    ----- ' ও..ই হল এক জায়গায় ... পরে শুনবি। দেখা অনেকবারই হয়েছে লাস্ট একমাসে। কবিতা কালকেই পড়ল ... একটা কবিতা আমাকে দিয়েছে ... দেখবি ? ওদিকটায় চল ... '
    বলে সুমনার হাত ধরে কলেজের পাঁচিলের দিকে
    নিয়ে গেল। ওখানে গিয়ে কাঁধের ঝোলা থেকে একটা বই বার করে সেই বইটা খুলে সযত্নে একটা কাগজ বার করল। কাগজে কোন ভাঁজ পড়েনি এখনও। কাগজটা সুমনাকে দিয়ে বলল ...
    ----- 'এই দেখ ... '
    সুমনা কাগজটা নিয়ে দেখল নীল কালিতে ঝকঝকে হাতের লেখায় লেখা একটা কবিতা।
    সুমনা সলভ করা কোন অঙ্ক বুঝে নেবার মতো খুব মন দিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ নীচে নামতে লাগল -----

    এখন আর আগুন জ্বেল না তুমি
    রক্তিম আভা দাবানল লেলিহান,
    সবুজ বরণ আম্র শাখার বাতাসে
    ঘন ঘোর কোন নিদ্রার মাদুর একখানা,
    পার তো দিও বিছিয়ে।
    পেরিয়ে এসেছি হল্কা তাপিত
    হাপর টানার বেলা,
    ছিল অবারিত খোলা .....
    বেহিসেবি বুকের আগল
    মারন কাঁকড়া অশোকের মতো রাঙা .....
    উত্তাপ রসে উথলে ওঠা কানা।

    রৌদ্র ভরা ফুটিফাটা পথ
    কাঁকর পাথর রাশি রাশি মরু বালি,
    রক্ত কনায় কনায়
    ক্ষেপা অদম্য ষাঁড়, নাসারন্ধ্র ঝরায়
    ঘোর উৎকট শীৎকার খালি খালি।
    কামনার গাছে উঁচু উঁচু সব ডাল
    মরীয়া আঁকশি উঁচিয়ে পেঁচিয়ে
    অধরা ফল বৃন্তে
    অবুঝ আছড়া আছড়ি,
    বারবার হয় ভুল,
    ছিটকে পড়ে অবাঞ্ছিত
    গুচ্চের বুনো ফুল।

    এখন ওসব বিগত ক্যানভাস
    অসার অাঁকি বুকি,
    রাস্তা থেকে বিদ্রোহ গেছে সরে
    ফুটপাথে পড়ে ছাড়িয়ে খাওয়া
    চিনেবাদামের খোলা,
    তোমাকে ডাকার আর কোন নেই
    ঝুঁকি।

    তাই তো বলছি ....
    এখনই তো পার আসতে
    সপ্তপর্ণী ফুলের গন্ধ নিয়ে
    হয়ে কালো দীঘির শান্ত ভরাট জল
    থেক নির্বাক ... কারণ বাক্য অর্থহীন, এস বোগেনভোলিয়ার ছায়ায় ছায়ায়
    শুধু স্নেহ সাজিয়ে দিয়ে।

    এখন বাতাসে ঘোর বসন্ত ছোঁয়া
    দুপুর দুটোর অলস নীরব রাস্তা
    দোকানের ধারে ঝিমোয় রিক্শাওয়ালা, দোকানিদের দুপুরের বিশ্রাম।
    আমিও তো জান,
    বড় আলস্যে ঘেরা, অপেক্ষারত অকৃত্রিম প্রাণপণ
    এখনই তো তুমি এসে পড়তে পার
    সঙ্গে নিয়ে নিরালা একটা ক্ষণ।

    সুমনা এটা চারবার পড়ল। বলল, ' সব জায়গা ঠিক বুঝলাম না। কিন্তু সব মিলিয়ে কি সুন্দর...
    না ? বেশ একটা ফিলিং হয় ... '
    এই পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু সুমনা আবার একটা নাদানের মতো প্রশ্ন করল, ' কিন্তু ছেলেটা তোকে এটা দিতে গেল কেন ? '
    ---- ' কেন, সেটা সেই জানে .... '
    সুমনা ভাবল, তাই তো ... এ পৃথিবীতে ম্যাথামেটিক্সের উপপাদ্য ছাড়াও আরও অনেক উপপাদ্য আছে। সেগুলোও তার শেখার দরকার।
    যেমন ধরা যাক, কবিতাটা পড়ার পর থেকে তার ভীষণ ইচ্ছে হতে লাগল হেদুয়ায় গিয়ে দেখে আসে একটা বেঞ্চে বসে কেউ ফিজিক্সের অঙ্ক কষছে কিনা। কিন্তু কাবেরীর হেদুয়ায় ঘোরার টান গেছে কেটে। কঠিন উপপাদ্য।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৫১522760
  • চলুক 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন