এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৭১ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২৪ বার পঠিত
  • সাগর মন্ডল নানা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে সন্ধে সাতটা নাগাদ বটতলায় থানায় এসে পৌঁছল। কালীকিঙ্করবাবু তখন এক ঠোঙা ঝালমুড়ি হাতে ঢেলে ঢেলে খাচ্ছিলেন। টেবিলে এক গ্লাস গরম চা রয়েছে। ঝালমুড়িটা শেষ করে চা খাবেন।
    ----- ' আরে আসেন ... ঝালমুড়ি খাবেন নাকি ? '
    ----- ' নাঃ ... মুড নেই। চা খেতে পারি ... '
    ----- ' শঙ্করি ... একটা চা দেখ তো ... তা মুড নাই কেন ? '
    ----- ' আরে ... শালা পতিতপাবন বহুত ক্যাচাল করছে ... ভাবছে বিরাট শের হয়ে গেছে ... যেদিন টসকে দেব বুঝতে পারবে ... '
    ----- ' না না ... ওসব করতে যেয়েন না ... ও যেমন আছে তেমনই থাকুক। কেন, কি কয় কি ও ? '
    ----- ' ওই সেই এক কথা ... ওর সঙ্গে কাজ করতে বলছে। আমি কি কারো গোলাম নাকি। বলে, যে ওর কাছে নাকি অনেক ইনফরমেশন আছে। ইচ্ছে করলেই আমাকে ফাঁসাতে পারে। আমাকে নাকি খুব পছন্দ করে , তাই কিছু করছে না ... এসব ফাঁসানো টাঁসানো নাকি তার একদম পছন্দ নয় ...কিন্তু তাকে বাধ্য করলে তার কিছু করার থাকবে না ... এইসব ... '
    ----- ' তা'লে তো ভালই ... '
    ----- ' আরে মশাই ... ভাল কি ? এটা যে হুমকি সেটা বুঝতে পারছেন না ? '
    -----' হ্যাঁ হ্যাঁ ... কি যে কন ... এতদিন পুলিশ লাইনে আছি এটা বুঝতে পারব না ? তা আপনে কি কইলেন ? '
    ----- ' ও যেটা বলল সেটাই ঘুরিয়ে ওকে দিলাম ...'
    কালীকিঙ্করবাবু ঝালমুড়ির শেষ অংশটুকু মুখে পুরে ঠোঙাটা পাকিয়ে বাস্কেটে ফেলে দিলেন।
    তারপর বললেন, ' নেন ... চা নেন ... হ্যা ... কি যেন কইত্যাসিলেন ... ও যেটা বলল সেটাই ওকে ঘুরিয়ে দিলেন ... '
    সাগর চায়ের গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে বলল, ' হ্যাঁ .. বললাম ... আমিও ক্যাচাল একদম পছন্দ করি না ... কিন্তু আমাকে ফালতু খোঁচাখুঁচি করলে আমি মাঠে নামতে বাধ্য হই ... তখন আর পিছিয়ে আসার কোন রাস্তা থাকবে না ... '
    ----- ' অ ... তখন পতিতপাবন কি কইল ? '
    ----- ' বলল যে এটাই তোর শেষ কথা ? '
    ----- ' তারপর ? ' কালীবাবু চায়ে আর একটা চুমুক মারলেন।
    ----- ' আমি বললাম , সেটা এখনও বুঝতে পারেননি ? কেয়া তাজ্জব ! যান এখন বাড়ি যান ...
    ও আর কোন কথা না বলে গাড়িতে উঠে গেল ... '
    ----- ' কোথায় দেখা হইসিল ? '
    ----- ' আমার বাড়িতে এসেছিল ... '
    ----- 'ও আচ্ছা ... ' কালীবাবু চায়ে আর একটা চুমুক মারলেন।
    তারপরে বলেন, ' ঠিক আসে ... দেখা যাক কত ধানে কত চাল। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার শঙ্করবাবুকে বলে রাখব আমি। শঙ্কর বাগচির সঙ্গে তো আপনার বেশ ভাল সম্পক্ক ... অসুবিধে হবে না। আমাদের লাইনে অনেকেই চাই না পার্টির দাদারা আপনাকে গিলে ফেলুক। প্রায় সকলেই তো ওদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। দু একজন নয় বাদ রইল .... নইলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় ... '
    কালীবাবু হাল্কাচালে একটা ভারি কথা বলে ফেললেন।
    সাগর চুপ করে বসে রইল রাস্তার দিকে তাকিয়ে।
    ভরাট স্বরে বলল, ' কি আর বলব কালীবাবু ... আপনারা সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু ... '
    ----- ' কিন্তু ... কিন্তু কি ? '
    ---- ' আমি আর কতদিন স্বাধীনভাবে থাকতে পারব জানি না। কারো খাতায় নাম লেখাবার
    আগে আমি এ পৃথিবী থেকে সরে যাব ... কিংবা হয়ত আমাকে সরিয়ে দেওয়া হবে ... আমি কিছু একটা গন্ধ পাচ্ছি ... '
    ----- ' আরে আরে সাগরবাবু ... থামেন থামেন ... এ সব চিন্তা আপনার মাথায় আসত্যাসে কেন ... আপনে না থাকলে কত লোকে বেসাহারা হইব ভাইব্যা দেখসেন ? আপনারে অবশ্যই বাঁইচ্যা থাকতে হইব ... '
    ----- ' হুমম্ .... দেখি কি হয় ... আমি তো এমনি হাল ছাড়ার লোক নই ... লড়ে যাব ... '
    ----- ' হ ... সেইটাই হইল আসল কথা। লইড়্যা যাইতে হইব ... আমরা সগ্গলে একই নৌকার যাত্রী ... বোঝলেন কি না ... '

    ঠিক এই সময়ে একজন দুঃখী মুখের প্রৌঢ়া ঢুকলেন থানায়। জড়সড় ভঙ্গীতে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। কনস্টেবল শ্রীপতি সমাদ্দার বলল, ' স্যার ... এ অনেকক্ষণ ধরে বাইরে বসে আছে আপনার সঙ্গে দেখা করবে বলে। আপনি কথা বলছেন বলে আসতে দিইনি। এখন নিয়ে এলাম। ভেতরে যাবে কি ? '
    ----- ' সেকি ! কথা বলছি বলে ভেতরে আসতে দেবে না ? আশ্চর্যের ব্যাপার ... এগুলি ঠিক কাজ না ... এরকম কইরও না ... আসেন আপনে ভিতরে আসেন ... '
    ভদ্রমহিলা কুন্ঠা এবং শংকাজড়িত পায়ে এগিয়ে এলেন। চেয়ারের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রইলেন। ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে একবার ওদিকে বসে থাকা সাগরের দিকে দেখলেন, তারপর আবার করুণ চোখে কালীবাবুর দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    ----- ' আরে কি হল ... বসেন ... '
    প্রায় পঁয়ষট্টি বছরের ওই ভদ্রমহিলা কালীবাবুর উল্টোদিকের চেয়ারে বসলেন গুটিয়ে সুটিয়ে।
    কালীকিঙ্করবাবু বললেন, ' বুঝতে পারছি ... আপনি থানা পুলিশ কোনদিন করেন নাই। থানা কোর্ট আর হাসপাতাল ... এই তিনটে জায়গায় যেন কাউকে যেতে না হয়। লোকে খুব নিরুপায় না হইলে পুলিশের কাছে আসে না। আপনে সংক্ষেপে বলেন। বেশি বলতে হবে না। আমি বুঝে নেব। বলেন ... আচ্ছা আগে বলেন , আপনের বাড়ি কোথায় ? '
    ভদ্রমহিলা কালীকিঙ্করবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তিনি কোনদিন কোন পুলিশের লোকের সঙ্গে বাক্যালাপ করেননি। পুলিশের লোক যে এইভাবে কথাবার্তা বলে সেটা তার ধারণা ছিল না। কালীবাবুর হাবভাব দেখে তিনি বুকে বল পেলেন। তিনি বললেন, ' আজ্ঞে আমি বিধূশ্রী সিনেমার কাছে থাকি। আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় সাত বছর আগে। সে ব্যবসা করত। পয়সাকড়ির অভাব ছিল না। দোতলা বাড়ি করেছিল। আটটা ঘর। আমার তিন ছেলে। তখন বয়স কম ছিল। এখন সেয়ানা হয়েছে। তিনজনেরই বিয়ে থা হয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকেই ছেলেগুলো কেমন বদলে গেল। তিন ছেলে নানা বাহানায় আমার কাছ থেকে আমার নামে থাকা টাকা পয়সার বেশির ভাগটাই লিখিয়ে নিল। সব আমি, ওরা যদি ভাল থাকে, বৌয়েদের কোন কষ্ট না হয় তা ভেবে আমি ওদের টাকাপয়সা লিখে দিলাম ... ছেলেগুলোর রোজগার তেমন ভাল না।
    ----- ' আপনার নামে কিছু থাকল না ? ' কালীবাবু প্রশ্ন করেন।
    ----- ' হ্যাঁ থাকল ... অল্প কিছু ... '
    কালীবাবু পরিস্থিতি আন্দাজ করে সরাসরি আসল প্রসঙ্গে ঢুকতে চাইলেন।
    ----- ' আর বাড়িটা ? সেখানে ভাগ বসায়নি ? '
    ----- ' হ্যাঁ বসিয়েছে , মানে বসাতে চাইছে ... '
    ----- ' কিরকম ? '
    ----- ' একদিন একজন উকিলকে ডেকে আনল , তারপর কি সব দলিলপত্রে, স্ট্যাম্প পেপারে সই করতে বলল তিন ছেলে মিলে। আমি সই করিনি। ওদের উদ্দেশ্য সুবিধের মনে হচ্ছিল না। বিশেষ করে দুটো বউ হাড় বজ্জাত। ছোট বউটা অত খারাপ নয়। কিন্তু ওই বৌ দুটো সেটারও মাথা চিবিয়ে খেয়েছে। বললাম যে, তোরা একটু সবুর কর। দাদাকে ডেকে পাঠাই , সে এসব বোঝে ভাল ... তার কাছ থেকে সব ভাল করে বুঝে নিই আগে, তারপর ওসব হবে ... আমি এভাবে কোথাও সই টই করব না ... আমি এসবের কি বুঝি ? আমি কি লেখাপড়া জানি ? '
    ----- ' তারপর ? '
    ----- ' এ কথা শুনে বড় ছেলে ক্ষেপে লাল। বলল , তুমি তা'লে তোমার দাদার কাছেই চলে যাও। এখানে আর থাকার দরকার নেই। আমি তো শুনে থ। বলে কি ... এই ছেলেকেই আমি বুকের দুধ খাইয়ে মানুষ করেছি ! হায় ভগবান ... '
    ----- ' এরপর থেকে ওরা আপনার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে , তাই তো ? '
    ----- ' একদম তাই। আপনি কি করে জানলেন ?'
    ----- ' না , আমি জানি না। আন্দাজ করলাম। আমরা পুলিশের লোক তো ... এসব দেখা ওব্যেস আছে ... '
    ---- ' খেতে তো দিচ্ছেই না কাল থেকে ... রান্নাঘরেও ঢুকতে দিচ্ছে না। মেজ ছেলে বলল যে , তুমি এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। নইলে কিন্তু কপালে বিপদ আছে। রাত দুপুরে কবে কি হয়ে যায় বলা মুশ্কিল। তোমার দাদার কাছে গিয়ে থাক গে ...। আমি বললাম , ও মা ...
    আমার বাড়ি থেকে আমাকেই বেরিয়ে যেতে বলছিস ... তোর কি মাথা খারাপ হয়ে হয়ে গেছে ? এই জন্যে তোকে পেটে ধরেছিলাম? তা শুনে সে বলল, কে বলেছিল পেটে ধরতে ? নিজেরা সুখ করবে ... আর দোষ হবে আমাদের ... হারামি মাগী ... '
    শেষের কথাগুলো যন্ত্রণাজর্জরিত কাঁপা কাঁপা গলায় কান্নাভেজা স্বরে প্রৌঢ়ার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল। তিনি মাথা নীচু করে আঁচল দিয়ে চোখ চাপা দিলেন।
    কালীবাবু বললেন, ' আচ্ছা আচ্ছা ... ঠিক আছে। আর বলতে হবে না। বুঝতে পেরেছি। এখন বলেন, আপনি কি করতে চান ... মানে, আপনার ছেলেদের থানায় ধরে এনে তাদের ট্রেনিং দিই। নাকি আমরা আপনার বাড়িতে গিয়ে আপনার সন্তানদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করি সম্পত্তি ভাগ বাঁটোয়ারার ব্যাপারে। কিংবা একজন উকিলবাবুর সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি ... তিনি আপনাকে গাইড করবেন। আপনাকে অবশ্য একটা ডায়েরি করতে হবে ... সে হবে'খন। এখন বলুন, ' আপনি কি চান ... আপনাকে প্রাণে মারার যে হুমকি দিয়েছে ওটা অবশ্য আলাদা কেস। একটা এফ আই আর করতে হবে ... '
    ভদ্রমহিলার নাম মিনতি রায়। তিনি মুখে আঁচল চাপা দিয়ে কান্না চেপে বললেন , ' আমি কিছু বুঝতে পারছি না .... আমার কেউ নেই ... আমি কোথায় যাব ... কি ভাগ্য করে জন্মেছিলাম আমি ... ' মিনতিদেবী কাঁদতে লাগলেন।
    এই সময়ে তার পিঠে কে যেন আলতো একটা হাত রাখল। মিনতিদেবীর পাশে দাঁড়িয়ে সে বলল, ' কে বলল আপনার কেউ নেই ... আমার মা আপনারই বয়সী। আপনি আজ রাতটা থানার কোয়ার্টারে থাকুন। কাল সকালে আমি আপনাকে একজন ভাল উকিলের কাছে নিয়ে যাব। আর রাত দুপুরে কিছু হওয়ার ব্যাপারে আমি আপনার ছেলেদের গিয়ে বুঝিয়ে বলব ... যাতে তারা আপনাকে আর ওরকম কথা না বলে। কি স্যার ভুল কিছু বলছি ? '
    ----- ' একেবারেই না ... একেবারেই না ... আপনার উপর নুতুন দায়িত্ব চাপল তা'লে .... '
    ----- ' কি আর করা যাবে .... জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য কাউকে তো ঝাড়ু হাতে তুলে নিতেই হয় ... '
    ---- ' তা বটে ... তা বটে ... হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ ... '
    মিনতিদেবী সজল দুটি চোখ তুলে পাশে দাঁড়ানো সাগর মন্ডলের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৩১527192
  • চলুক
  • Anjan Banerjee | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৩527195
  • চলুক তা'লে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন