এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ২৮

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০৫ জুলাই ২০২১ | ২০৪৫ বার পঠিত
  • বিতানের সঙ্গে সম্পর্কটা আমি বাড়ীতে কখনও প্রকাশ করিনি। তুলনায় বিপ্রদাস আমার বাড়ীর সকলের কাছে, অনেক কাছের মানুষ। মনিমা পুষুমার মত বাকীদের কাছেও। বিপ্রদাসের আধ্যাত্মিক চেতনা, স্কুলের শিক্ষকতা, গীতা পাঠ, ভাগবদভাবনা ছাড়াও আরও একটা কারণ আছে। একদিন ঠাকুরঘরে আমার শ্রীগুরুদেব ও দাদাগুরুজীর ছবি দেখে হঠাৎই বিপ্রদাস উৎসাহী হয়ে শ্রীগুরুদেব ও গুরুদেবের আশ্রম সম্পর্কে কৌতুহলী হয়ে উঠলে যথাযথ উত্তর দিতে থাকি। কথাপ্রসঙ্গে জানতে পারি তৎকালীন আমার সাধু গুরুভাই, আশ্রমের বর্তমান মহন্তজীর গর্ভধারীনি ও বিপ্রদাসের বাবা ও মা শান্তিনিকেতনে সহপাঠী ছিলেন। এযেন কলমীশাকের ঝাড়, কোথা দিয়ে যে কখন কোন আত্মীয়তা বেড়িয়ে আসে তা বোধ করি ভগবানই জানেন।

    এখবর বিপ্রদাসের বাড়ীতেও পৌঁছাতে দেরী হয় না। এই আধ্যাত্মিক আত্মীয়তা সুত্রে আমার বিপ্রদাসের বাবা মার কাছে স্নেহের দুয়ার খুলে যায়।

    এখবর বিতানের কাছে গল্প করলে বিতান বলে,চিমটি কাটা স্বরে বলে "তবে আর কি! এমনিতেই তো একমুখে জল ঢাললে দুমুখে পড়ে, কোনও কিছুই তো গোপন থাকেনা, পরকীয়া প্রেমের রাস্তা তো এবার পরিস্কার ।" আমি হাসতে থাকি। মনে মনে ভাবি সত্যিই পরকীয়া! বিপ্রদাসের জ্ঞান গম্যি নৈতিকতা কোনও কিছুর ধারপাশেই বিতান আসে না। তবুও কেমন করে তেলেজলে মিশ খাওয়ার মত আমার আর বিতানের সম্পর্কটা তৈরী হয়ে গেল।

    আমার বাড়ীতে না জানলেও বিতানের বাড়ীতে আমাদের সম্পর্ক গোপন ছিলনা। বিতানের মা আর দাদাভাই প্রথম থেকেই সাদরে মেনে নিয়েছিলেন আমাকে, যদিও ওর বাবার মেনে নিতে অনেক সময় লেগেছিল। রিটায়ার্ড হওয়ার পর থেকে রান্নাঘরের ধারপাশ কাউকে তিনি মাড়াতে দিতেন না। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা বিতানের মা এর ছিল সকালে স্কুল। উনিও মজা করে বলতেন স্কুল থেকে ফিরে এসে তোমার কাকুর হাতের রান্না খাওয়াই ভাল। রান্না ঘরে ঢুকতে না পারার সুখ কজনের কপালে ঘটে বলতো! যদিও বিকালের রান্না উনি করতে গেলে মাঝে মাঝেই রান্নাঘরে ঢুকতাম ওনার সাথে আমিও।

    কোনও এক উইকেন্ডে আমি বিতানদের বাড়ী রাতে ছিলাম। অভ্যাস মত খুব সকালেই উঠেছি। লেটলতিফ বিতান ছুটির দিন বেলা পর্যন্ত নাক ডাকায়। নীচে নামতেই দেখলাম কাকিমা কোথাও বেরোচ্ছে । কাকু যথারীতি চা আর ডিমটোস্ট বানিয়ে দিলেন। কিন্তু মুখটা ভীষণ ব্যাজার। যদিও ওনার এক্সপ্রেশনটাই অমন। তায় আমায় খুব একটা পছন্দ করেন না। চুপচাপ ফুলে ছাপ দেওয়ার মত মুখ করে আমি খাচ্ছি । বিতানের দাদা নাইট ডিউটি সেরে ফিরতে দেরী। কাকু রান্না ঘরে। মিক্সিতে কিছু একটা হতে হতে থেমে গেল। খানিক বাদেই ব্যজার মুখে ভদ্রলোক বেড়িয়ে বললেন, "মিক্সিটা দেহ রাখল"। উনি রসবড়া বানাবেন বলে ডাল বাটছিলেন, তা আধবাটা। শুনে আমি জানালাম উনি যদি চান বাকীটা আমি শিলে পিষে দিতে পারি। খেঁকিয়ে উঠলেন। “তারপর পাটায় ডাল বাটতে গিয়ে শিল নোড়া হাতে পায়ে ফেলো আর তোমার কাকিমা এসে আমায় গালাগাল দিক৷” হেসে ফেলে বললাম, কিছু হবে না উনি পাশে বসুন। ওনার থেকে আমার কম বয়স, আর আমি পারি। বয়সের খোঁটাটা মুখবুজে হজম করলেন। বললেন, "ডালটা আমিই বাটছি, মাংসের মশলাটা তুমি বেটে দিও"। ভাবলাম যাক বুড়োর মন গলেছে। খানিকবাদে রান্নাঘরে ডাক পড়ল আমার। বিতানের ঠাকুমার আমলের বড় শিলনোড়া। উনি আদা রসুন পেঁয়াজ কাঁচা লংকা গরমমশলা সব একসঙ্গে বাটতে দিলেন। মশলাটা তুলতে গিয়ে হল বিপত্তি। বোকার মত হাত দিয়ে তুলতে গিয়ে কাঁচালংকার ঝালে হাত জ্বলতে লাগল, মুখে যদিও কিছু বললাম না। এবার দেখি বুড়ো খেপে উঠল। "করছো কি! এই বুদ্ধি নিয়ে সংসার করবে ! হাত জ্বালা করবে তো, সরো সরো আমি তুলে নিচ্ছি। যা করেছো এই ঢের"। উতরে গেলাম। দাদাভাই নাইট ডিউটি করে ফিরে দেখল, রান্নাঘরে আমি মাংস কষছি আর কাকু ডাইনিং টেবিল এ বসে খবরের কাগজ পড়ছেন। আমাকে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, "করেছ কি! বুড়োকে তো পুরো বশ করে ফেলেছ। ও তো রান্নাঘর কাউকে ছাড়েনা।" আমি হাসতেই আমার দিকে নিচু স্বরে বলল, "কি লজ্জা! কি লজ্জা, বৌমা দেখি শ্বশুর ভাসুর কিছুই মানে না। কোথায় মাথায় ঘোমটা দেবে তা না, স্যান্ডো গেঞ্জি পড়ে রান্না করছে।" আমি হাসতে হাসতে বললাম, "কাকু শুনতে পেলে রক্ষে থাকবে না," আর ফোড়ন দিতেও ছাড়লাম না, "বিতান বলেনি তো তোমাদের বাড়ীর সব পুরুষের পুরুষ দোষ আছে।" হাসতে হাসতে দাদাভাই পালিয়ে বাঁচল।

    রণজয়ের সাথে যখন আমার সম্পর্ক ছিল তখনই বিতানের দাদার বিয়ে হয়েছিল। সে বিয়েতে আমি রণজয় একসাথে নিমন্ত্রণও পেয়েছিলাম, সে আরও কয়েকবছর আগের কথা। কোনও কারনে ওদের বিয়েটা সুখের হয়নি। সেপারেশন হয়ে গেছিল, ডিভোর্সের মামলাও শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে চাকরি, পড়াশোনা আর গীটার শেখায় মন দিয়েছিল মানুষটা । আর পড়াশোনা এত বেশি করত যে মাঝে মাঝেই চাকরি বদল করত। সবগুলোই সরকারি চাকরি। নিজের সম্পর্কটা রাখতে না পারলেও আমাদের সম্পর্কটা নিয়ে বেশ অবসেসড ছিল। খুব চাইত আমরা যেন পরস্পর পরস্পরকে আলাদা করে সময় দিই। ছুটির দিনগুলো ওদের বাড়ীতে থাকলে প্রচুর আড্ডা দিত। মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই আমার লেগপুল করতেও ছাড়তোনা ।

    সেবার যখন কাকিমা তিনজনের জন্য পুজোয় একই রকম শার্ট আর জিনস কিনল, দাদাভাই শয়তানি করে বলে উঠল, মা বৌমার জন্য অন্তত শাড়ী কিনতে পারতে, কাকিমা হেসে উত্তর দিয়েছিল, শোন, আমার বৌমা চাকরি করে, আর একি আমাদের মত যুগ নাকি, যে শাড়ি পড়বে, প্যান্টশার্টের কত সুবিধা। আবার পরক্ষণেই সুর পাল্টে বলেছিল, কে যে বৌমা তাও তো জানিনা বাপু, তোর ভাইও কিন্তু ওর বৌ হতে পারে, তখন শাড়িটা তুই কাকে দিবি ভাব! শয়তানি হেসে দাদাভাই বলেছিল আমি তোমার মত সেফ খেলব না, দুটোকেই সঙ্গে করে নিয়ে যাব, যার যেটা পছন্দ কিনবে, আমি শুধু পেমেন্টটা করে দেব।

    বিতানের মায়ের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ মজাদার ছিল। তথাকথিত শ্বাশুড়ি বৌমা মার্কা না। বরং ওর বাবার সঙ্গে অমন একটা অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল। আজ ভাবলে মজা লাগে এটা হয়ত লিঙ্গগত বৈপরীত্যসুলভ সম্পর্ক। কাকিমা আমায় ভীষণই প্রশ্রয় দিতেন। যেমন তথাকথিত হেটারোনর্ম্যটিভ সম্পর্কে শ্বশুরমশাইরা বৌমাদের প্রশ্রয় দেন তেমন। একদিন কাকিমার সাথে আলমারি গোছাতে গিয়ে চোখে পড়ল কাকু কাকিমার বিয়ের কার্ড। জেনে গেলাম ওদের বিয়ের তারিখটা। এটা ওরা দুজনে ছাড়া বিতান বা দাদাভাই কেউ জানত না। আমিও কাউকে কিছু বলিওনি। আমি যে জানতে পেরেছি কাকিমাও জানত না। চুপচাপ মনেই রাখলাম।

    সে বছর ওই দিনটা কাজের প্রয়োজনে বিতান ছিল কোলকাতার বাইরে। ফলে বিতানের কাজের কিছুটা দায়িত্ব আমার ওপর থাকায় আমারও অফিসে বেশ চাপ ছিল। সন্ধ্যেবেলা কাকিমা কে ফোন করে জানালাম আমি আসছি। ওদের বাড়ীতে আমার যখন তখন যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছিল ততদিনে। কাকিমা স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। রাতে কি খাব জানতে চাইলে বললাম,"দেখি, দাদাভাইকে বলে বাইরেও খেতে পারি।" এদিকে দাদাভাইকে ফোন করে বললাম, তাড়াতাড়ি অফিস থেকে যেন ফেরে। ফাজিলটা শুনেই আওয়াজ দিল, "বিতান তো কোলকাতার বাইরে। রাতে বাড়ীতে সোমত্ত পুরুষ মানুষ দাদাভাই একা থাকবে কিন্তু। আমি হাসতে হাসতে বললাম, "শয়তানি রাখো তাড়াতাড়ি ফেরো আর বাইরে থেকে রাতের খাবার নিয়ে ঢুকো।" অবাক হয়ে বলল, "কি ব্যাপার বলতো! তুমিতো বাইরের খাবার খেতে খুব একটা ভালোবাসোনা, এদিকে বিতানও নেই। ওই তো খুব বাইরের খাবার ভালবাসে।"

    আমিও শয়তানি করে উত্তর দিলাম," ভাসুরঠাকুরকে যা যা আব্দার করব তিনি যেন মুখবুজে তা পালন করেন। নইলে কপালে দুঃখ আছে।"

    অফিস থেকে বেড়িয়েই বুড়ো-বুড়ির জন্য একটা কেক কিনলাম সঙ্গে একগোছা গোলাপ। গিয়ে পৌঁছে বেল বাজাতেই কাকিমা দরজা খুলল আর পিছনে কাকুর গলা, "বিতান তো বাড়ীতে নেই।" আমি দুজনকেই জড়িয়ে ধরে বললাম, "বিতান ছাড়া আমি যেন এ বাড়িতে আসিনা, আর তোমরা বুঝি আমার কেউ নয়।" আর তারপর যখন ওনাদের অবাক করে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানালাম সত্যিই অবাক হয়েছিলেন দুজনেই। দুজনের চোখে মুখে লজ্জা, আনন্দ ভাললাগার মিশেলে যে আলো সেদিন দেখেছিলাম তা আমার জীবনেও সেরা প্রাপ্তি । দাদাভাই ও অবাক হয়েছিল খুব। যে দিনটা ওরা জানত না, জানার কথাও ভাবেনি কোনওদিন সেটা এভাবে উদযাপন হবে কল্পনাও করেনি। আনন্দে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। বিতানকে ফোন করে দাদাভাই সবটাই বলেছিল। আর জীবনে প্রথম বার কেক কাটার আনন্দে চোখে জল এসেছিল কাকুরও, আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন," এভাবে আমাদের জন্য তুমি ভাবতে পার, আমি আগে কোনওদিন ভাবিনি, আমাদের দেখা সম্পর্কের বাইরে ছেলে ছেলের সম্পর্ক মানতে পারিনি, তাই হয়তো তোমাকে নিয়ে অসুবিধা ছিল। তুমি আমার ছেলের থেকেও বেশি।" কাকু কাকিমা দুজনেই চেয়েছিলেন আমাদের সম্পর্কটা যেন অটুট থাকে।

    যদিও ২০০৬ সালে আমার এইচ এই ভি ধরা পড়ার পর আমার আর বিতানের মাঝে সম্পর্কটা আর থাকেনি। তবে কাকু কাকিমার বিয়ের দিনটাতে আজও আমি ওই দিনটাতে ওদের ফোন করতে ভুলি না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৫ জুলাই ২০২১ | ২০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন