এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ১৭

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১১ জুন ২০২১ | ২৫৪৯ বার পঠিত
  • পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু দিয়েই আমি কিন্তু অনুভব করতাম রণর মা আমাদের সম্পর্ক টা জানতেন, বা বুঝতেন।কিন্তু আর সকল মানুষের মতই উনিও হয়তো ভাবতেন, সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে, বিয়ের পর সংসারী হলেই এখান থেকে রণ বেড়িয়ে আসবে। এ কথা হয়তো আজও অনেকেই ভাবেন। আবার হয়তো ভাবতেন আমরা আসলে ভাল বন্ধু। কিংবা আমাদের সম্পর্কটা দাদা আর ভাইএর মত। রোমান্স না ব্রোমান্স সেটাও সঠিক অর্থে জানতেন না হয়তো।

    বৌদিভাই কে নিয়ে যখন রণর দিকে আঙুল উঠল তখন উনি ভাবলেন এ ঝামেলা থেকে বেরোনোর একমাত্র রাস্তা রণর বিয়ে দেওয়া। যদিও দাদাভাই এর বিয়ের আগে থেকেই রণর জন্য একটা পাত্রী উনি দেখে রেখেছিলেন

    সে খবরটা আমি জানতাম। ঠিক যেমন আমি ওনার ব্যাংক ব্যালেন্স, সঞ্চয়, ওনার অবর্তমানে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা সব জানতাম,তেমন।

    একদিন আমি বৌদি আর রণর মা মিলে মেয়েটার বাড়িও ঘুরে এসেছিলাম। মেয়েটির সঙ্গে আমার বন্ধুত্বও হয়ে গেছিল। এখন উনি উঠে পড়ে লাগলেন এ বিয়েটা দেওয়ার জন্য। রণ এব্যাপারে জানার পর বলেছিল এ পাত্রী ওর পছন্দ না। এভাবেই প্রথমে বিয়েটাকে আটকাতে চেয়েছিল ও। এমনকি যেদিন মেয়ের বাড়ির লোকজন এসেছিল সেদিনও ও মুখোমুখি হতে চায়নি ওদের। এদিকে বৌদিও অপেক্ষা করতে থাকে দাদাভাইয়ের। শিক্ষিত মানুষ হয়েও বৌদি আর রণর মা বিভিন্ন জ্যোতিষি গণৎকারের কাছে ছুটে চলছিল যদি দাদাভাই ফেরত আসে। আর রণও কিছুতে রাজী হচ্ছিল না বিয়ের জন্য।

    একদিন বিকালে আমায় বৌদি আমাকে বলে বসল, "তুমি রণকে বোঝাও, রণর বিয়ে হলে সত্যিই এ সমস্যা মিটবে।" ওদিকে রণর মাও আমাকে বললেন, " তুই ই একমাত্র পারিস, আমার সংসারটা বাঁচাতে। তোর কথা ও ফেলতে পারবে না "। আমি পড়লাম আতান্তরে। একদিকে রণর হৃদরোগী মা, একদিকে বৌদিভাই। তার ওপর রণর ওপরেও আমি বিশ্বাস রাখতে পারছিনা। আমার ভালবাসার ভবিষ্যৎ কি তাও তো জানতাম না। মনে মনে ভাবি এরকম তো কত হয়। আমিও তো বাবা মায়ের বড় ছেলে। আমাকেও হয়তো বিয়ে করতে হবে ! ভবিষ্যতে হয়তো আমরা দুই মেরুতে জীবন যাপন করব আর সমান্তরাল ভাবে এ সম্পর্ক টা রয়ে যাবে। নানান রকম ভাবনা মনের ভেতর। রণর মাকে জানালাম, আমি কথা বলব রণর সাথে। মনে মনে ঠিক করলাম সেদিন রাতেই রণর সাথে কথা বলতে হবে। রাতে থাকব বলে বাড়িতে ফোন করতে গিয়ে রিসিভার তুলে শুনতে পেলাম,রণ সেই মেয়েটির সাথে দেখা করার প্ল্যান করছে। আর এই প্ল্যানিং এর কথা আমার কাছে গোপন রাখতে বলছে। আরও কিছু কথায় বুঝলাম রণ মুখে যাই বলুক এ বিয়েতে রণর আপত্তি নেই। কি জানি কেন সেদিন অবাক হইনি একটুও।

    নিজেকে নিয়ে তখন হাজার রকম প্রশ্ন আমার। মনে মনে সেদিনও জানতাম ছেলে হয়েও আর একটা ছেলেকে ভালবাসা অন্যায় নয়।তবুও বুঝতে পারিনা, কি করব। কি করা উচিত? সমাজে এটা স্বীকৃত নয়, আইন তো আরও বড় বড় কথা বলে, কিছু দিন আগে বইমেলায় বেরনো " পুরুষ যখন যৌনকর্মী " বইটা থেকে জানি, সংবিধানের ৩৭৭ নং ধারা অনুসারে এদেশে পুরুষ পুরুষে যৌনক্রিয়া অপরাধ। মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারিনা, ভালবাসার আবার নারীপুরুষ কি! এখানে পড়তে পড়তে জানতে পারি, অর্থ বা উপহারের বিনিময়ে যৌনকর্মীরা যৌনক্রিয়া করেন। আমি তো রণকে ভালবাসি। আমি তো রণ ছাড়া আর কারও সঙ্গে কিছুই করিনা, ভালবেসে রণ আমাকে উপহার দেয়। আমিও তো রণকে কত উপহার দিয়েথাকি। আমি কি যৌনকর্মী? এতসব ভাবতে বসলে কেমন যেন হয়ে যাই আজকাল। রণও কোনও উত্তর দেয়না এসবের। কিছু বললেই বলে, "তোর সবেতেই বেশি ভাবনা"। এসব ভাবতে ভাবতে একদিন মনে হল "কাউন্সেল ক্লাব" এ ফোন করলে হয়। এই সংস্হা তখন কোলকাতায় সমকামী মানুষদের নিয়ে কাজ করছে জানতাম । কাউন্সেল ক্লাবের কথা শুনেছিলাম ‘তারাবাংলায়’ রঞ্জনের সমকামিতার ওপর সাক্ষাতকার শুনতে শুনতে। তারও পরে আমার কলেজ যাতায়াতসুত্রে হয়ে ওঠা বিভিন্ন বন্ধু দের সুত্রে তখন হাতে এসেছে " বোম্বে দোস্ত", "নয়া প্রবর্ত্তক" পত্রিকা। সমকামিতা নিয়ে কিছু তথ্য পেলেও আমার প্রশ্নের উত্তর সেখানে মেলেনি। একদিন ফোন করলাম কাউন্সেল ক্লাবের হেল্পলাইনে। কথা মত পার্কস্ট্রীটে এ কফিশপে আলাপ হল "পবন ঢাল" আর সুশান্তর সাথে।অনেকক্ষন কথা বললাম যেন শান্তিপেলাম না।ওরা আমাকে ‘অবনমহলে’ কাউন্সেল ক্লাবের ইভেন্ট -এও যাওয়ার নিমন্ত্রণ করল কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর পেলেও সবটুকু মনোমত হলো না। কোথাও যেন কিছু একটা মিসিং। বুঝতে পারলাম না রণর বিয়েটা নিয়ে আমার কি করা উচিত। রঞ্জনকেই একদিন সরাসরি ফোন করলাম।

    আজও মনে আছে রঞ্জনের সাথে আলাপ হওয়াটা। সারাটা বিকেল দুজনে এসপ্ল্যানেড চত্ত্বরে হেঁটেছিলাম। সোজাসাপটা মানুষটার মতই মানুষটার সোজাসাপটা কথা আমাকে আকৃষ্ট করল। ফেরার সময় রঞ্জন একটা কান্ড করেছিল। দুজনে কথা বলতে হঠাৎ একটা ছেলের সাথে দেখা। ছেলেটার সাথে কথা বলা শেষ করেই রঞ্জন সকলের মাঝখানে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেল। আমি হা হয়ে গিয়েছিলাম। অতগুলো বছর আগে প্রকাশ্যে চুমু নিয়ে আমারও ট্যাবু কম ছিল না। কি জানি মফঃস্বলে বেড়ে ওঠার কারণেই এই মূল্যবোধ কিনা! ছেলেটি চলে যাওয়ার পর আমি রঞ্জনকে বললাম, ও নিশ্চয়ই তোমার অনেক দিনের পরিচিত। উত্তর পেলাম '"নাতো! তবে ওকে ভাললাগে, কাউকে ভাল লাগলে চুমু খেতে পারবনা "

    এই বোল্ডনেস আমাকে মুগ্ধ করেছিল। হুঁ! রণ তো রাস্তায় বেরিয়ে আমার হাত ধরে হাঁটতেই পারেনা। বুঝতে পারছিলাম আগের দিন পবন, সুশান্ত যে কথাগুলো বলছিল সেগুলোতো আসলে ওদের নিজেদেরই আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল।

    রণ যে কখনও বিয়ে করবে না এমন ভাবনা রণ কখনও সেভাবে প্রকাশ করত না। বরং রণর জীবনে অনেক সময় অনেক মেয়েও এসেছে সে গল্পও আমি জানতাম। আমি কখনও রণকে 'সন্তানসুখ" দিতে পারব না সেটা ভেবেও আমার কখনও কখনও খারাপ লাগত। তখন সবে সবে বাজারে সদ্যোজাত বাচ্চার মত দেখতে পুতুল পাওয়া যেত। আজ ভাবলে মজা লাগে আমাদের অ্যানিভার্সারিতে (?) এমন একটা পুতুল আমরা কিনে এনেছিলাম ।

    ভিতরে একটা টানাপোড়েন শুরু হলেও এ বিয়েতে বোধহয় সবচেয়ে উৎসাহ আমার ছিল। কেননা তখনও বুঝতে পারছিলাম না আমার কিছু হারানোর আছে।যেদিন রণর রেজিস্ট্রি আর আশীর্বাদ হল সেদিন প্রথম অনুভব করলাম আমার সবকিছু , আমার সব স্বপ্ন ভাঙতে চলেছে। সেদিন রাতে রণ বুঝিয়েছিল কিছুই পাল্টাবেনা, আমার জায়গা কেউ কোনওদিনও নিতে পারবেনা। তারপরেই আদরে আদরে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার মন খারাপ। সব অভিমান গলে জল হয়ে গিয়ে ছিল আদরের আতিশয্যে।

    এরপরের কটা মাস স্বপ্নের মত। নিজের পছন্দ মত গয়না, শাড়ি কেনাকাটায় মেতে উঠেছিলাম আমি। মনে মনে রণর বৌএর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে সমস্ত রকম কেনাকাটা করতাম। আজ বুঝতে পারি রণর বুদ্ধিমতী মাও সব দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে ভুলিয়ে রেখেছিলেন আমাকে। ক্যাটারারের মেনু থেকে বিয়ের কার্ড পছন্দ সবেতেই আমার কথাই শেষ কথা। এই বিয়েতেও তত্ত্ব সাজানোই নয়, গায়ে হলুদের তত্ত্ব পৌঁছে দিয়েছিলাম ও আমি। এই দায়িত্ব আর অ্যটেনশন এর চক্করে আমিও বুঝতেই পারছিলাম না আমি কি করছি কেন করছি । কেমন একটা নেশায় পেয়ে গিয়েছিল। মনকে বারবার শক্ত করছিলাম, আর বোঝাচ্ছিলাম একটা লোকের তো একাধিক সম্পর্ক থাকে। চেষ্টা করছিলাম প্রতিদিন সব যেন সুষ্ঠুভাবে হয়ে যায়। কোনও অস্বাভাবিকত্ব কেউ যেন না দেখে। জানিনা কোথা থেকে এত মনের জোর পেয়েছিলাম সেদিন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১১ জুন ২০২১ | ২৫৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:171b:c9a7:d3d1:3988:8cc0:fdcc:18fd | ১১ জুন ২০২১ ১৮:১৭494845
  • ভাষা হারিয়ে ফেললাম। তুমি অসম্ভব সাহসী।

  • kk | 97.91.195.43 | ১২ জুন ২০২১ ২১:৩৪494886
  • এই পুরো সিরিজটার জন্যই ধন্যবাদ জয়দীপ। আপনি খুব ভালো থাকুন।

  • π | ১৩ জুন ২০২১ ১৩:১৯494909
  • এই কথাগুলো এভাবেই সামনে আসুক, জয়দীপ! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন