এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৬ মে ২০২৩ | ৩৬৬ বার পঠিত
  • আমেলিয়ার পুতুলদের সকালবেলা ঘুম ভাঙে না। তারা সারাদিন ঘুমায় আর সারারাত জেগে থাকে। আমেলিয়ার ঘরে তারা ফিসফিস করে কথা কয়। চলাফেরা করে। ঘরে দুয়েকটা ফুলদানিতে সবসময়ই কিছু ফুল রাখা থাকে। এটা আমেলিয়ার আবশ্যিক পরিচর্যার মধ্যে পড়ে। নাহলে তাঁর মন খারাপ হয়ে যায়। জারবারা। ল্যাবারনাম। ক্রিসমথিমাম। বিশেষত হলুদ ও সাদা। আমেলিয়ার পুতুলরা রাতের বেলা যখন হাঁটাচলা করে বেড়ায়, তখন মেয়েরা চুলে, ছেলেরা টুপিতে দুয়েকটা ফুল গুঁজে নেয়। খড়ের রঙের চুল। নয়তো কুচকুচে কালো। লাল জারবেরা বা হলুদ ক্রিসমথিমাম ভারি মানায়। আমেলিয়া ঘুমের মধ্যে ওদের স্বপ্ন দেখেন। খৃষ্টমাস আসছে। এখন সাজগোজ, চলাফেরার বহর একটু বেশি। পঁচিশে ডিসেম্বর একটা ফর্মাল বড়দিনের আয়োজন থাকে। তবে আমেলিয়ার আসল আর্মেনিয়ান খৃষ্টমাসের ব্যবস্থা হয় জানুয়ারির ছয় তারিখে। এপিফ্যানি। আমেলিয়া ঘুমের মধ্যেও উদ্বেল হয়ে থাকেন। এবার কোভিড পরিস্থিতির জন্য বড়দিনে কোনো সেলিব্রেশন হবে না। এটা পরম ও সুনন্দিতার যৌথ সিদ্ধান্ত। তার বদলে তিনদিন সিংঘু বর্ডার কৃষকদের খাওয়ানোর আয়োজন থাকবে। এমনিতে সাপ্লাই তো আছেই কিন্ত ঐ তিনটি দিন সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মেহতা পরিবারের।

    আমেলিয়ার প্রতীক্ষা এপিফ্যানির জন্য। উন্মোচনের দিন। দেবরূপ ছয়ই জানুয়ারি বড়দিন পালনের প্রথা আগে কখনো শোনেনি। কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ বহুদিন নেই। পুনেতে সে পঁচিশে ডিসেম্বর কাটিয়েছে বন্ধুদের সঙ্গেই। সেলিব্রেশনে। গুড ফুড। গুড ওয়াইন। ইউজিক। লং ড্রাইভ। কখনো চার্চে একটা চক্কর মেরে আসা। দ্যাটস অল।
    দি আর্মেনিয়ান অ্যাপোসটোলিক চার্চ। নিকি লল। কেটে কেটে। নিকির মধ্যে অনেকটা আমেলিয়ার ধাঁচ আছে। 
    ইউ নো অ্যাবাউট ইট?
    দেবরূপ ফাইল গোছাতে গোছাতে মাথা নাড়ছে। নো। অ্যাবসলিউটলি নাথিং।
    নিকির চোখ হাসছে।
    আর্মেনিয়ানদের বিশ্বাস আছে যে যিশুর দুই আপোসল বার্থোলোমিউ এবং সেন্ট জুডিয়াস দুজনে মিলে আর্মেনিয়াতে খৃষ্টধর্ম এনেছিলেন।
    অ্যাকচুয়ালি পঁচিশে ডিসেম্বর কিন্তু একটা রোমান হলিডে। সলিস ইনভিচ।
    ইভন দ্যাট ওয়জ ইনটেন্ডেড টু ওভাররাইট পেগান উইন্টার সল্স্টিস সেলিব্রেশনস।
    সবাই আগের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চেয়েছে। খৃষ্টানরা পেগান রিচুয়ালস মুছে ফেলতে চেয়েছে। আর্মানি খৃষ্টানরা অর্থোডক্স খৃষ্চিনিয়াটি মুছতে চেয়েছে। নতুন আইডেন্টিটি তৈরি করতে হবে। আমেলিয়া ভীষণভাবে তাঁর দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর্মেনিয়ানদের বড়দিন মেহতা হাউসে আ বিগ ডে।

    নিকি বলে যাচ্ছে। আজ ওকে কথা বলায় পেয়েছে। চোখমুখ উজ্জ্বল।
    গ্র্যানি স্পেন্ডস আ লট অন খৃষ্টমাস। আ হিউজ অ্যামাউন্ট। হার ওন মানি। ইভন পাপা কনট্রিবিউটস। বাট শি ডাজনট থ্রো পার্টিজ অ্যান্ড অল দ্যাট। একটা গেট টু গেদার হয়। ছোটোমোটো। বাট শি স্পেন্ডস মানি ফর অরফ্যানস অ্যান্ড ওল্ড হোমস। ইউ নো, গ্র্যানি হ্যাজ অ্যাডপটেড ফোর ফ্যামিলিজ?
    খুব অবাক হয়ে যাচ্ছে দেবরূপ। তার পরিবার এবং বন্ধুদের পরিবারে এইরকম চল সে দেখেনি। শুনেছে। কিন্ত দেখেনি।
    - শি হ্যাজ টেকন অল দ্য ফিনানশিয়াল রেসপনসিবিলিটি । ইয়েস। শি লিভস ইন দ্য ওয়র্ল্ড অব হার ডলস অ্যান্ড ফোকটেলস। বাট হার ফিট আর স্ট্রংগলি রুটেড টু দ্য গ্রাউন্ড। 

    এই অতিমারীকালে আমেলিয়া তাঁর দত্তক পরিবারগুলিকে চমৎকারভাবে দেখাশোনা করেছেন। এবার বড়দিন পালন হবে একেবারে অন্যরকম ভাবে। বাড়িতে, ঘরবন্দি, বিছানাবন্দি থেকেও এইসব কাজ চমৎকারভাবে হয়েই যায়। দেবরূপ যত দেখছে তত চমকে যাচ্ছে।
    আমেলিয়ার কোলে আজ একটি রাজা পুতুল। ইয়া বড়াওয়ালা।পাকানো গোঁফ। লাল আপেলের মত গাল।
    নিকি বলছে, ইয়ে কাহানি তো হো বচপনসে শুনতে আয়ে হ্যায়।
    ছোটাসা ক্ষেত। তাতে ছোটো খেতিবাড়ি। কৃষক অনেক খেটেখুটে এক তরমুজ ফলালো। অমন তরমুজ কেউ কোনোদিন চোখে দেখেনি। কৃষক ভাবলো, তরমুজ নিয়ে বাজারে বিককিরি করবে। তারপর ভাবলো, কী লাভ! তারচে বরং তরমুজটি রাজামশাইকে দেওয়া যাক। তিনি ঠিক এর কদর করবেন! ভেবে কৃষক ঘুমালো। ওদিকে রাজামশাই ছদ্মবেশে দেশের হালহকিকৎ দেখতে বেরিয়েছেন।  ঘুরেফিরে এসেছেন কৃষকের জমিতে। রাজার পরনে ছেঁড়া কাপড়। মুখে কালিঝুলি। কৃষককে ডেকে বললেন, হ্যাঁ ভাই, ঐ তরমুজটি আমাকে দেবে? কৃষক নাক শিঁটকে বলল, দুর ব্যাটা ভিখিরী। তোকে কেন দেব? তরমুজ তো দেব রাজামশাইকে!
    রাজা বললেন, আর যদি রাজামশাই এই তরমুজের কদর না করেন? কৃষক বললে, যদি ঐ তরমুজের কদর না করে রাজা, তবে বুঝব সে বেজায় গবেট। গাধা।
    বলে পাশ ফিরে ঘুমিয়েও গেল।
    পরদিন সকালে সে গেল রাজসভাতে। কাঁধে পেল্লায় তরমজু।
    রাজার পায়ে তরমুজ রেখে পেন্নাম করলো।
    - পেন্নাম হই রাজামশাই। এই যে দেখুন। কেমন তরমুজ। কেউ কোনোদিন দেখেনি এমন পেল্লায় তরমুজ। যেমন বড়। তেমন রঙ। স্বাদ হবে আরো ভালো!
    রাজামশাই গম্ভীর হয়ে বললেন, আর যদি এ তরমুজ আমার পছন্দ না হয়?
    কৃষক মহাচালাক। ঘুমের ঘোরে ছিল বটে, কিন্ত কালকের ভিখিরীকে সে ঠিক চিনে রেখেছে।
    সে বললে, যদি এই তরমুজ আপনি কদর না করেন, তবে আমার উত্তর আপনার জানা আছে রাজামশাই! কাল রাতেই বলেছি!
    রাজামশাই দেখলেন এ তো মহা করিৎকর্মা লোক। যেমন কাজের তেমন হুশিয়ার।
    তিনি কৃষকের তরমুজ নিলেন দেড়াদামে। তাকে পুরস্কার তো দিলেন বটেই আবার রাজবাড়ির খানা খাইয়ে বললেন, আজ থেকে তুমি রাজবাড়ির কৃষক।
    কৃষক বললো, তবে আমার জমি, আমার গাঁয়ের কী হবে? আমার পুরস্কার হল, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি আমার নিজের ক্ষেতে ফসল ফলাবো।

    দেবরূপ আশ্চর্যর পর আশ্চর্য দেখছে। শুনছে। নিকি ঠিক তার ঠাকুমার মত গল্প বলে! ইউ টেল স্টোরিজ ইক্জ্যাক্টলি লাইক হার!
    - মাই গ্র্যানি ইজ আ ট্রেজারহাউজ। বাট দিস ইজ নট অ্যান আর্মেনিয়ান স্টোরি। দিস ইজ আ পাঞ্জাবী ফোকটেল। অলসো টোল্ড ইন হরিয়ানা। গ্র্যানি নোজ মেনি অব দেম। শী লাভস পাঞ্জাব। 
    দেবরূপ হাসল। বলল, জানি।

    পাঞ্জাবীবাগ থেকে সিংঘু বর্ডার যেতে সময় লাগে ঘন্টা দেড়েক। ন্যাশনাল হাইওয়ে ফর্টিফোর ধরে ওরা যাচ্ছিল। রুবিনাজী সাধারণত নিজেই ড্রাইভ করেন। ডিপার্টমেন্টে নিজে গাড়ি চালিয়েই আসেন। আজ ড্রাইভার নিয়েছেন। রোহিণী হয়ে ছুটছে গাড়ি। গাড়ি ভর্তি কম্বল। সোয়েটার। শুকনো খাবার। চোদ্দই ডিসেম্বর। অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। যদি সরকার কথা বলেন, তবে কথা হবে। কিন্ত তিনটি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত চলতে থাকবে আন্দোলন। বাট উই উইল ফার্স্ট ডিসকাস দ্য রিপিল অব দ্য থ্রি লেজিসলেশনস। কমলপ্রীত সিং পান্নু বলেছেন। সংযুক্ত কৃষক আন্দোলনের নেতা তিনি।
    ট্র্যাক্টর মার্চ ঘোষিত হয়েছে। সকাল এগারোটা থেকে। রাজস্থানের শাহানাজপুর থেকে জয়পুর-দিল্লি মেইন রোড পর্যন্ত অবরোধ হবে।
    ছাব্বিশ আর সাতাশে ডিসেম্বর। আরো তিরিশ হাজার কৃষক যোগ দেবেন। ছাব্বিশে খানাউরি থেকে আসবেন পনেরোহাজার কৃষক। সাতাশে ডাবয়লি থেকে আসবেন আরো পনেরো হাজার।এইরকম জমায়েত ওর কাছে কল্পনাতীত।এই প্ল্যানিং। এই ঐক্য। ডিসেম্বরের কুড়ি তারিখে মেমোরিয়াল প্রসেশন বের হবে। যাঁরা শহীদ হয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। একুশ, বাইশ, তেইশে ডিসেম্বর গ্রামগুলিতে স্মৃতিতর্পণ হবে শহীদদের উদ্দেশ্যে। তারপর বড় করে ব্লক লেভেলে।
    এপিসেন্টারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সর্বদা ভীতিপ্রদ। বিশেষ করে যেখানে লেফ্টিস্ট বা মাওইস্ট ট্যাগ লেগে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
    - দেবরূপ, আর ইউ নার্ভাস?
    ঠান্ডায় বাড়ে। উনি হাঁপাচ্ছেন। তাই বোধহয় আজ ড্রাইভ করছেন না।
    রুবিনাজী ইনহেলার নিচ্ছেন। ওঁর অ্যাস্থমা আছে। বিশে নভেম্বরের আগে মারা গেছেন তেত্রিশ জন কৃষক। অ্যাক্সিডেন্ট। অসুস্থতা। ঠান্ডা। কুড়ি তারিখ প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানানো হবে। কনডোলেন্স। মানবশৃঙ্খল। মাল্যদান। এই যে চাল, ভাত ফুটিয়ে খাই, যে ভাতের গন্ধ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গন্ধ বলে মনে হয় খিদের সময়, এই যে জোয়ার, বাজরা, আটা, তাদের বিভিন্ন রকম গন্ধ, বিভিন্ন রকম রুটি, এই খাদ্যের জোগান দেন যাঁরা, তাঁদের দেখতে পাচ্ছে চোখের সামনে। কম্বল গায়ে বসে আছেন। মাথার পর মাথা। পাগড়ি এবং পাগড়িবিহীন। প্রাচীন কৃষি যাঁদের উত্তরাধিকার। কৃত্রিম সার, পোকামারা বিষ, জলাভূমি ভরাট করে কৃষি, কর্পোরেট কৃষির বহির্ভূত যে ভারতীয় কৃষি, তার ধারক ও বাহকেরা। অবিশ্বাস্য দৃশ্য । গাড়ি পার্ক করতে হল অনেকটা দুরে। তারপর হেঁটে যাচ্ছেন ওঁরা। অনেক অনেক মানুষের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ওরা। কাঁধে, পিঠে যে যতটা পারে জিনিস নিয়েছে। এই এতগুলো মানুষ রাস্তার মধ্যে থাকার ফলে ডিসেম্বরের হিমশীতলতা খানিকটা যেন মার খেয়ে গেছে। যদিও খুব শীত লাগছে ওর, তবু ক্লান্ত লাগছে না। অনেকটা হাঁটার শক্তি আছে শরীরে। রুবিনাজী ভ্রূ তুলে বললেন বললেন, কোই তকলিফ?
    এই সময়, এইখানে কোনো অসুবিধার কথা মাথায় আসে না। মানুষের উত্তাপ সবচেয়ে শক্তিশালী।
    রুবিনাজি বললেন, তুমহারা ওয়েস্ট বেঙ্গলসে ভি লোগ আয়ে হ্যায়।
    ও চমকে তাকাল। তাই?
    কৃষক আর রাজ দরবারের গল্পটা মনে পড়ল। আজকেই বলেছে নিকি। কেন মনে পড়ল কে জানে!
    - ক্যা হো রহা হ্যায় তুমহারে উঁহা? কিষাণ ক্যা সোচ রহা হ্যায়? পলিটিক্যাল লিডার্স?
    ভীষণ লজ্জিতভাবে মাথা নিচু করল দেবরূপ। ও সত্যিই জানে না। কেই বা জানে!
    তবে আজ রুবিনাজী একদম ইংরেজিতে কথা বলছেন না।এটা খেয়াল হল।

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ মে ২০২৩ | ৩৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন