এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব পঁচিশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৭ জুন ২০২৩ | ৩৩৫ বার পঠিত
  • - তুমি হঠাৎই দিল্লি চলে গেলে?
    মালবিকার গলার স্বর বেশ তীব্র। ইদানীং এই তীব্রতা, ঝাঁঝ থাকে না সাধারণত তাঁর কন্ঠে।
    ত্রিদিবের একটু অসুবিধে হল। আবার কেন যেন ভালোও লাগল। ঔদাসীন্য বা নিরাসক্তির চেয়ে ঝাঁঝ ভালো।
    - এমনিই। বাবুকে দেখতে ইচ্ছে হল।
    - বাবা!! ছেলের ওপর এত টান দেখিনি তো আগে!
    - আগে তো ওর কোনো সমস্যা ছিল না। ট্রমা ছিল না।
    - তুমি কী সুনন্দিতার বাড়িতেই উঠেছো?
    একটু ম্লান হাসলেন ত্রিদিব। মালবিকা তাঁকে কী ভাবে? অবশ্য তিনি মেহতা হাউসে উঠতেই পারেন। ঘরের এবং আতিথেয়তার অভাব নেই। সুনন্দিতা যেমন মালবিকার বন্ধু, পরম আর ত্রিদিব একসময়কার জিগরি দোস্ত ছিলেন। সেইসব যুবকবেলার বন্ধুত্ব কখনো ফুরোয় না। হালকা হয়। ফিকে হয়। কিন্ত আবছা কুয়াশার মত কোথাও না কোথাও থাকে। পরম বলেছিলেন তাঁর বাড়িতে থাকতে। ত্রিদিব থাকেননি। তাঁর অসুবিধের জন্য নয়। বাবুর ভালো লাগতো না। মুখ দেখেই বুঝেছেন। তাও ত্রিদিব একবার করে মেহতা হাউসে আসেন। সন্ধেটুকু কাটিয়ে হোটেলের নিঃসঙ্গ ঘরে ফেরেন চূড়ান্ত বেকুবের মত।
    - তুমি অতো ভেবো না। আমি হোটেলে উঠেছি।
    মালবিকা একটা শ্বাস আটকালেন। কলকাতা শহর এখন একটি বৃহৎ গ্রাম যেখানে সবরকমের কূটকাচালি অ্যাভেইলেবল। গ্র্যান্ড ফর্ম টু দ্য মিনেস্ট ফর্ম। রীণা যোশি বিয়ে করছে খুব শিগগিরই, এই খবরটা মালবিকার কানে এসেছে। যে বলেছে সে বেশ সাজিয়ে গুছিয়েই বলেছে, গয়নাগাটি পরিয়ে। মালবিকা অলংকার খুলে সার সত্যটি বুঝে নিয়েছেন। ত্রিদিবের সঙ্গে উদ্দাম ফূর্তির দিন শেষ। রীণা এবার সোশ্যাল সিকিউরিটি খুঁজছে। কাজেই ত্রিদিবের ঘর শূন্য।হাতের ও ঝোপের উভয় পাখিই অদৃশ্য। এখন ত্রিদিব হাঁসফাঁস করছেন। ছেলে বা মেয়ে হচ্ছে আবেগের সুতোর সেই অদৃশ্য, অমোঘ টান যেটা দিয়ে বউয়ের সমস্ত রাগ, অভিমান চুরমার করে দেওয়া যায়। বেশির ভাগ মানুষ সেরকমই ভাবে। চেষ্টা করে। ত্রিদিব সম্ভবত সেই পথেই হাঁটছেন। বাবুকে দিয়ে শুরু হল কী?
    মালবিকা দাঁতে দাঁত চেপে খুব সন্তর্পণে একটা পড়তে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস আটকালেন। এত সহজে ত্রিদিব তাঁর হৃত সাম্রাজ্য ফিরে পাবেন ! বাবু। তারপর টুপুর। তারপর মালবিকা। কান ধরে টানলে মাথা আপনিই আসে।
    - বাবুকে ডিস্টার্ব কোরো না। ওকে নিজের মত থাকতে দাও।
    - তুমি আমাকে এতটা ইনসেনসিটিভ ভাবছো কেন বলোতো?
    মালবিকার খুব বিরক্ত লাগল। ত্রিদিবের মুখে ইনসেনসিটিভিটির ফিরিস্তি মানায় না।
    রবিবারের দুপুরটা মালবিকা কোনো অনলাইন ক্লাস রাখেন না। বাড়িতে যান। শ্যামাকে বলা থাকে। সেও মালবিকার সঙ্গেই টুকটাক কাজ সেরে নেয়। ত্রিদিব নিজের ঘরে ল্যাপটপ মুখে বসে থাকেন। কখনো মালবিকাকে বলেননি, আজকের দিনটা থেকে যাও। ভাগ্যিস বলেননি! আরো ঝামেলা বাড়তো। এখন শীত বলে মালবিকা দুপুরের দিকটাতেই আসেন। সারাসপ্তাহের চাল, ডাল, তেল, চিনি, মশলার একটা হিসেব নেন। শ্যামা পোস্ত চেয়েছিল। তাও এনেছেন দু প্যাকেট। চাওমিন। একদম ম্যাগি নয়। শ্যামাকে বলেছেন হাল্কা করে বানাতে।
    একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। মালবিকার খুব নার্ভাস লাগছে। তাঁর কলিগ সুনীতার মা মারা গেছেন। হাসপাতালে ছিলেন দশদিন। পিঠে প্রচন্ড ব্যথা। হঠাৎই মারা গেলেন। গতকাল সুনীতা বলল, মায়ের সমস্ত সিম্পটম কোভিডের ছিল। ডাক্তার কোনো কোভিড টেস্ট করেনি। পিঠ ব্যথা ছিল কিন্ত কাশি গ্রো করেছিল। শ্বাসকষ্ট। গিলতে পারছিলেন না কিছু।
    মালবিকার পুরোনো কথা ফিরে আসছে। তিনি হাসপাতাল গেছিলেন মাসিমাকে দেখতে। পাশে বসেছেন। হাত ধরেছেন। তখন তো জানতেন না কাশি বা শ্বাসকষ্টের কথা! এখন ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। যদি তাঁর নিজের কিছু হয়! কাকে বলবেন এসব কথা? বোকামো করেছেন। ভীষণ বোকামো। চোদ্দ দিন ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে এখন। কী বিশ্রী। ত্রিদিবকে বলার প্রবৃত্তি নেই।
    কী কপাল!
    ফোন ছেড়ে মালবিকা শ্যামার দীঘল শরীরের দিকে চেয়ে থাকলেন। জানালার গ্রিল মুছছে। ঘরের কোণ। জলে ফিনাইল এবং সার্ফ দুইই মেশানো হয়েছে। এককোণে একটা বাটিতে তেজ পাতা পোড়ানো হচ্ছে। সুবাতাস হবে। টিকটিকি বড় অপছন্দের মালবিকার। শ্যামা বলেছে ডিমের ভাঙা খোসা ছড়িয়ে রাখলে টিকটিকি আসবে না। মালবিকা বাড়িতে এসে দুটো ওমলেট বানিয়েছেন। স্প্যানিশ ওমলেট। একটা নিজের জন্য। একটা শ্যামার। স্প্যানিশ ওমলেটে একেকটাতে প্রায় তিন চারটে ডিম লাগে। মালবিকা তিনটে দিয়েছেন। পেট ভরে যায় এত সবজি পড়ে। ডিমের খোলাগুলো সযত্নে ধুয়ে শ্যামাকে বললেন, জানালার কোণে কোণে রেখে দে তো। টিকটিকি আসবে না। তিনি না থাকার দরুণ সব ঘরের জানালা খোলা হয় না। বেডকাভার পাল্টানো নেই। মালবিকা টুপুরের ঘরে ঢুকে কফি আর ওমলেট খাচ্ছিলেন। শ্যামা বলল, ঘরটা একটু গুছিয়ে দেব বউদি?
    টুপুরের ঘর তেমনি হতশ্রী হয়ে আছে। টেবল ও বিছানা সমান নোংরা। মানে মালবিকার কাছে নোংরা। টুপুরের কাছে নর্মাল। বই। ম্যাগাজিন। খবরের কাগজ অতি জঘন্যভাবে ছড়ানো। অ্যাশট্রে ভরা ছাই। সিগারেটের প্যাকেট। ঈশান আসার পরেও মেয়ে এতটুকু পাল্টানো না মালবিকার এটাই দুঃখ। জাংক জুয়েলরি এদিক ওদিক পড়ে আছে। শ্যামা ঘর মুছতে ঢুকলো দেখে বললেন, টুপুরের ঘরটা একটু তো গুছিয়ে রাখতে পারিস!
    শ্যামা খবরের কাগজ গোছাচ্ছিল। বললো,
    তোমার মেয়ের ঘরে ঢুকতে বুকের পাটা লাগে। কখন কী বলে দেবে বাবা! তুমি আছো, তাই ঢুকেছি।
    - করোনা কমে গেছে, তাই না বউদি?
    - জানি না রে। ভোট না হওয়া পর্যন্ত করোনা কমই থাকবে মনে হয়।
    শ্যামা কথাটা ঠিক বুঝলো না। তার প্রতিবেশি বেবির মায়ের জ্বর হয়েছে। শ্বাসকষ্ট। কাশি। কিন্ত কোথাও করোনা পরীক্ষার কথা কেউ বলছে না। হাসপাতাল বলেছে বাড়িতেই থাকুক।
    ওমলেটে লঙ্কা বেশি হয়ে গেছে। ঝাল লাগছে বেশ। মালবিকা শ্যামাকে দেখছিলেন। সুখন নেই বটে কিন্ত শ্যামার চেহারায় কোনো হেলদোল নেই। রুখুশুখু ভাব নেই। বেশ চেকনাই আছে বরং।
    - সুখনের খোঁজ পাস কোনো?
    শ্যামা খুব জোরে মাথা নাড়ল। এলো খোঁপা খুলে চুল গড়ালো পিঠময়।
    - ফোনটোন করে না?
    - করলেই কে ধরছে! শ্যামার উত্তরে বেশ ঝাঁঝ। হরপ্রীত সঙ্গে থাকে এখন। শ্যামা বেশ আছে। বস্তির লোক দুচারটে খারাপ কথা বলে বটে। শ্যামার গায়ে লাগে না।
    - হরপ্রীত তোর সঙ্গেই থাকে?
    শ্যামার মাথা ওপর নিচ। মালবিকার দৃষ্টি অনুসন্ধিৎসু। কী খুঁজছেন শ্যামার মধ্যে? ওর চেহারাতে যে লাবণ্য তার উৎস?
    - ফেশিয়াল করিস নাকীরে?
    শ্যামার নাকফুল চকচক করল।
    - হরপ্রীত করে দেয়। দারুণ ফেশিয়াল করে গো। তুমি একদিন করবে? বাড়ি এসে করে দিয়ে যাবে। পার্লারের চেয়ে অনেক শস্তা পড়বে।
    - না। আমি করবো না। তোর মুখটা বেশ চকচক করছে। 
    শ্যামা কী ভাবলো কে জানে। টুক করে মাথা নিচু করে ঘর মুছতে লাগলো।
    - এই ঘরেও রাখিস তো ভাঙা ডিমের খোলা। টিকটিকির গু দেখতে পাচ্ছি।
    খাওয়ার সময় গা গুলিয়ে উঠলো মালবিকার। শ্যামা ঘর মোছা ফেলে ডিমের খোলা আনতে গেল। টুপুর খড়্গপুর গেছে। উইকেন্ডে ফেরেনি এবার।
    সমস্ত খাট, বিছানা, বিছানার ওপর পাতা হ্যান্ডলুম হলুদ চাদর বলে উঠল, না, না।
    বইয়ের দেরাজ বলল, না।
    কলমকারি টেবিলল্যাম্প বলল, না।
    টেবলক্লথের প্রান্ত দুলে দুলে বলল, না, না।
    অ্যাশট্রে, বই, ম্যাগাজিন, কাগজ, মিউজিক সিস্টেম, দেওয়াল ছবি, ঘড়ি সবাই একযোগে মাথা নাড়িয়ে বলতে লাগল, না। না। না।
    সামনের বাগানের গুলন্চ গুচ্ছ গোলাপি আভা ছড়িয়ে বলল, না আআআআ।
    বিয়ারের বোতলে সাজানো লতানে মানিপ্ল্যান্ট ফিসফিস করে বলল, না, না, না।
    মালবিকা শুনতে পেলেন না। ভীষণ বিষন্ন লাগছে। আবার মনে হচ্ছে এই ভালো। মনে করলে হয় সব ঠিক আছে। ত্রিদিব ট্যুরে গেছেন। মেয়ে হস্টেলে। ছেলে দিল্লিতে। তিনি আর শ্যামা সংসার সাজাচ্ছেন। ঠিক আগের মত। কিন্ত হাওয়াটা সুবিধার নয়। কেমন যেন গোঙাচ্ছে।
    ওমলেট বিস্বাদ মনে হল। আর খাবেন না।
    - টিকটিকির নোংরাগুলো কাগজ দিয়ে ফেলে দে তো। আর ডিমের খোসাগুলো ঐখানে রাখ।
    - ডিমের খোলা রাখলে টিকটিকি থাকবে না বউদি?
    - তাইতো শুনলাম ইউ টিউবে। রেখে দেখি। কী অবস্থা করে ছেড়েছে ঘরের।
    জামাকাপড়ের দেরাজের মাথায় একটা বড় স্যামসনাইট। তার পিছনে বসে একটি বিষন্ন টিকটিকি এই সবকিছুই দেখছিল। শুনছিল। কথোপকথন উড়ে আসছে শীতের বাতাসে। টিকটিকির খসখসে গায়ে কিছুই লাগে না। সে একটি নরম, নিশ্ছিদ্র ব্যঙ্গের হাসি হেসে ঘুমোতে গেল। তারও মন ভালো নেই।

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৭ জুন ২০২৩ | ৩৩৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন