এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব তেইশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৫ জুন ২০২৩ | ২৬৯ বার পঠিত
  • শুকদেব দহলজি পাঁচদিন কোভিডে ভুগে মারা গেছেন। সুনন্দিতার কাছে এটি একটি বড় আঘাত। শুধুমাত্র অ্যাকাডেমির কাজ না। শুকদেব তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন। শুভাকাঙ্খী পরামর্শদাতা। নিকির ব্যাপারে যখনই ভেঙে পড়তেন সুনন্দিতা, শুকদেব সামলে নিতেন। পরমপ্রতাপকে ডেকে কথা বলতেন নিকির মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে। সুনন্দিতাকে কাজে ইনভলভ করতেন। শুকদেব যে এইভাবে আচমকা চলে যাবেন, কেউ ভাবতে পারেনি। চমৎকার স্বাস্থ্যের অধিকারী, খুব সাবধানে থাকতেন। নিয়মিত চেক আপ। দয়ানন্দ কোলের যখন পজিটিভ ধরা পড়ল, শুকদেব তাঁকে কত সাহস জুগিয়েছেন।
    - কুছ নহি হোগা কোলেসাব। ইঁয়ুহি ঠিক হো যাওগে। বাস। লেটে রহো।
    একেবারেই মেন্টর নন। ঐ শব্দে সুনন্দিতার অ্যালার্জি আছে। কোনো গোপন প্রেমিক নন। শুকদেব দহলজির সঙ্গে সুনন্দিতার এক আশ্চর্য সখ্য ছিল। দিল্লিতে বিবাহসূত্রে সেটল করার পর সুনন্দিতা যখন মানসিকভাবে খাবি খাচ্ছেন, একদিকে মেহতা হাউসে অ্যাডযাস্ট করার প্রবল চাপ, অন্যদিকে তাঁর শিল্পীসত্ত্বার অন্তর্লীন হাহাকার, শুকদেব তখন তাঁকে বট বৃক্ষের মত ছায়া দিয়েছিলেন। কোনো বিশেষ সুবিধা নয়, পরকীয়া নয়, সুযোগ দেওয়া নেওয়া নয়, একে নিখাদ সখ্যই বলে । গসিপ করার লোকজন আছে বটে কিন্ত সুনন্দিতা নিজের কাছে এতটাই স্পষ্ট যে কোনো কথাতেই কান দেননি। শুকদেব তো বিচলিত হবার মানুষই ছিলেন না। সকালে চা খেতে গিয়ে শুকদেবের বাড়ির সেই সোনালী বর্ডার দেওয়া সবুজ কাপের কথা বড় মনে পড়ছে। মিসেস দহলজী অতি স্বল্পবাক। ওঁদের কথা শুনতেন। আর হাসতেন।
    এই তো সেদিন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণসভাতে সভাপতিত্ব করলেন শুকদেব। কী সুন্দর একটা সাদা পাঞ্জাবী পরে এসেছিলেন। হলুদ রেশমের সুতোর কাজ করা। মিসেস দহলজীর বানানো। অনেকক্ষণ বললেন সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা, ছবির কথা, আকাদেমির সঙ্গে সৌমিত্রবাবুর যোগাযোগের কথা।
    লম্বা মানুষ। পরিস্কার উজ্জ্বল চোখ। উন্নত নাক। দেখা হতেই সুনন্দিতা বলেছিলেন, ইউ আর লুকিং এক্সট্রিমলি হ্যান্ডসাম টুডে। শুকদেব একটু হেসে বলেছিলেন, যাস্ট টুডে?
    মহাভারতের একটি এপিসোড নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছিলেন সুনন্দিতা। দ্রৌপদী ও কৃষ্ণের সখ্য। এটাই কেন্দ্র হবে। সুনন্দিতা কৃষ্ণা।  রাজেশ অরোরা কৃষ্ণ। কী অপূর্ব সখ্য! প্রেমের অধিক যেন। স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অশোকা বেদি। পড়েই সুনন্দিতার মনে হয়েছিল, এ তাঁর জন্য লেখা স্ক্রিপ্ট।  দ্রৌপদী আর কৃষ্ণের সম্পর্ক তাঁর অধিক কে বোঝে? তবে আজকাল এইসব মিথিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করার রিস্ক আছে। কখন যে পুরাণকে বিকৃত করা হচ্ছে, ধর্মকে অসম্মান করা হচ্ছে বলে নাড়া উঠে যাবে কেউ বলতে পারে না। মূল ব্যাপার তো বুঝবে না, বাজে ঝামেলাতে ফেলে দেবে। রাজনীতি ঢুকে পড়বে।

    শুকদেবের মৃত্যুর পর এখন কোনো প্রজেক্ট নিয়ে ভাবতেই পারছেন না সুনন্দিতা। কোভিডের এতবড় অ্যাটাক তাঁর নিকট পরিসরে এই প্রথম। বিশাল ঝড়ে বটগাছটি পড়ে গেছে। শুকদেব তাঁর শান্তিনিকেতনের ব্যাকগ্রাউন্ড, তাঁর রুচি, তাঁর নাচের বড় ভক্ত ছিলেন। যে কোনো শিল্পের কদরদান প্রয়োজন। পরমপ্রতাপ যথেষ্ট সমাদর করেন সুনন্দিতার শিল্পকলার। বাড়িতে নাচের স্কুলের বড়সড় ব্যবস্থা করেছেন। কখনো কোনোভাবেই সুনন্দিতার নাচের ওপর চাপ তৈরি হয় না। কিন্ত পরম প্রশিক্ষিত অ্যাডমায়ারার নন। সুনন্দিতার প্রতিটি অনুষ্ঠান তিনি অ্যাটেন্ড করেন। বন্ধুদের নিজে নিয়ে যান ভীষণ খুশি হয়ে। সুনন্দিতা যাই করেন তাই তাঁর ভালো লাগে। একটা সময়ের পর এটা ক্লান্তিকর। শুকদেব ছিলেন প্রশিক্ষিত দর্শক। সমঝদার যাকে বলে। উস তরফ দেখতে কে ওয়াক্ত দো সেকেন্ড আউর রুকনা চাহিয়ে। উও মুদ্রা যো হাতকী, অডিয়েন্সকো দেখনে দো। যারা রুকো দো সেকেন্ড। থোড়া আউর বেন্ড করো এলবো। বাস।
    সুনন্দিতা মেহতাকে এইসব বলার সাহস খুব কম লোকের আছে। এক গুরুজি গুরু আম্মা বলতেন। এখন তাঁরা কোথায়? ঐ এক শুকদেব তো ছিলেন। নতুন আইডিয়াজ। কাজ করার অদম্য স্পৃহা। আকাদেমিকে আরো বড় করতে হবে। আরো সমৃদ্ধ। 
    তুম বেঙ্গল সে বুলাও আপনি জানপহচানকি কলাকার। শান্তিনিকেতনসে। কলকাতাসে।
    পরমও খুব পছন্দ করতেন মানুষটিকে। কত সহজে নেই হয়ে গেলেন। স্মরণসভার গ্যাদরিং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনেই হয়েছিল। তার পরেও তিনচারদিন কত গল্প ফোনে। নতুন বছরে নতুন কাজ। কৃষ্ণ ও কৃষ্ণার আখ্যান। সখী। একেবারে নতুন আঙ্গিকে। সখা চলে গেলেন। কৃষ্ণার চোখে জল। যমুনার কালো জলের মত ঘন কাজল তাঁর চোখে। আয়ত নয়নে  থরথর বেদনা। কে কৃষ্ণ? স্বামী নন। ভাই নন। প্রেমিক নন। তবে কে? সখা ! কোনো দাবি দাওয়া নেই। চাওয়া পাওয়ার গল্প নেই। পাশাপাশি বসে চা বা কফির আমেজ। বা কোনো শো দেখা। পর্দা ওঠার অপেক্ষাটুকু। মৃদু সুগন্ধীর আভাস। দুজনে মৃদুস্বরে কথা বলছেন। মিসেস দহলজি আছেন পাশেই।
    ইউ যাস্ট সি সুনন্দিতা। সখী উইল বা ইউনিক ইন এভরি সেন্স। দ্য কনসেপ্ট অব মেল ফিমেল ফ্রেন্ডশিপ অ্যারাউন্ড হুইচ দ্য পলিটিক্যাল ইস্যুজ উইল ওয়র্ক।
    ভারভারা রাওয়ের মুক্তির জন্য পিটিশন। সেও শুকদেব। রাও যখন বেইলের জন্য আবেদন করলেন জুন মাসে, শুকদেব পিটিশন ফাইল করেছেন। ভার্চুয়াল, নন ভার্চুয়াল। সবখানে এগিয়ে গেছেন। বারবার বলেছেন, রাও ইজ হাইলি ভালনারেবল টু কোভিড নাইন্টিন। সরকারি নির্দেশনামা থেকে কোট করেছেন। এলডারলি ইনমেটস উইদ কো মরবিডিটি শুড বি রিলিজড ফ্রম জেইল ইন দ্য লাইট অব কোভিড নাইন্টিন প্যান্ডেমিক। অ্যাপিল গৃহীত হয়নি। উদ্ধত ঠেকরেকে চিঠি লেখার ব্যাপারেও শুকদেব অগ্রণী ছিলেন। ইন ফ্যাক্ট ভারভারা রাও সম্পর্কে সুনন্দিতার কোনো ধারণা ছিল না। কবিকে কেন জেলে যেতে হয়, এটাও তাঁর কাছে এক বিস্ময়বোধক চিহ্ন ছিল। কিন্ত শুকদেব তাঁকে অনেক সচেতন করেছেন। কখনোই তাঁকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করেননি। সেরকম ধাঁচ ছিল না তাঁর। অচেতনে সুনন্দিতার আকর্ষণ বেড়েছে। অজানা পৃথিবীর খবর পেয়েছেন। 
    শুকদেবের চলে যাওয়া একটি বড় গাছের অকালমৃত্যু। সুনন্দিতা বড় ভেঙে পড়েছেন। অথচ পরমের সঙ্গে শেয়ার করতে পারছেন না। পরম অত বুঝবেন না।
    মিসেস দহলজি এখন আরো শান্ত। আরো চুপ। তাঁর যে কোভিড হয়নি এইজন্যই সুনন্দিতা আশ্বস্ত। ভদ্রমহিলা ছেলের কাছেও যাবেন না।দিল্লিতেই আছেন। একা। সুনন্দিতা বসুন্ধরাকে বলেছেন দুজনে একসঙ্গে যাবেন ওঁর কাছে।
    এই সেকেন্ড ওয়েভ নাকী বড় মারাত্মক। প্রথম ওয়েভের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। কে জানে! তাই কী শুকদেবের অমন শক্ত প্রাণ চলে গেল! কী হা হা করে উদার হাসি! স্বতঃস্ফূর্ত। প্রাণবন্ত। কৃষ্ণের মত কূট নয়। অথচ সখা।
    সুনন্দিতার মনে হচ্ছিল, প্রতিটি মেয়ের জীবনে একজন সখা থাকা দরকার। বা পুরুষের সখী। কোনো পজেসিভনেস নয়। অনাবিল সখ্য। এ জীবনে আর হবে না।
    এই মুহূর্তে তাঁর সামনে বসে আছেন তাঁর বন্ধুর স্বামী। ত্রিদিব। ত্রিদিব সেনগুপ্ত। এককালে মালবিকার প্রেমিক। পরে বর। বহুদিন পর ত্রিদিবকে সশরীরে দেখলেন। বিয়ের সময় ছিপছিপে সুদর্শন তরুণটির গালে এখন মেদ। পেটেও। সেটা বড় কথা না। সব মিলিয়ে ত্রিদিবের মধ্যে একটা বিষন্ন, বোকা ছাপ এসেছে। মালবিকার পাশে যেন ঠিক মানায় না। এফ বি তে দুয়েকটা পারিবারিক গেট টু গেদারে হাসি হাসি মুখ ছবি দেখেছেন দু একবার। সেখানে অত বোঝা যায় না। সামনে থেকে থেকেই কী আর বোঝা যায়?
    সুনন্দিতা জানেন মালবিকা বাড়িতে থাকছেন না। স্কুল হস্টেলের দায়িত্ব নিয়েছেন। হস্টেলের সুপার।ফাঁকা হস্টেলের। কিছু একটা বড়সড় গন্ডগোল সুনন্দিতা গন্ধ পাচ্ছেন। কিন্ত মালবিকা নিজে থেকে কিছু বলেননি। তাই সুনন্দিতার জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে হয়নি। আর দেবরূপ বাবা মায়ের কথা কিছুই বলে না। ত্রিদিব কী কিছু বলতে চান? সুনন্দিতা আঁচ করার চেষ্টা করছেন।
    জাহিরের সঙ্গেই এসেছেন ত্রিদিব। কিন্ত জাহির চলে গেছে সিংঘু। ক্যাম্পে। ত্রিদিব হোটেলে আছেন। মেহতা হাউসে ওঠার প্রশ্ন নেই। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন আচমকাই।
    এটা সুনন্দিতার এক্সপেক্টশনে ছিল না। বাবু এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি।
    ত্রিদিবের সামনে ধূমায়িত চা। নানারকম বিস্কিট টোস্ট। পোচ। সুনন্দিতা আতিথেয়তার ত্রুটি রাখেননি। কিন্ত কথা আসছে না। পরম স্নানে গেছেন। তিনি এলে সুনন্দিতা উঠে যাবেন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এই ত্রিদিবের সঙ্গেই কত হাসি ঠাট্টা। মজা। রসিকতা। আর এখন সুনন্দিতা কথা খুঁজে পাচ্ছেন না। পরম এলেই ভালো হয়। সামলে নিতে পারবেন। ত্রিদিবের অবস্থা তথৈবচ। কেন, কীজন্য এসেছেন পরিস্কার। কিন্ত অস্পষ্টও বটে। দিশাহীন।
    একটা হুইলচেয়ারের শব্দ আসছে। ঘষঘষ। কে এল? নিকি না আমেলিয়া? সুনন্দিতার পেছনে শব্দটা।
    - হ্যাভ ইউ কাম ফর লোহরি?
    একটা ফিনফিনে গলা। আমেলিয়া। কোথা থেকে যেন ভেসে এল স্বর।
    - হু ইজ হি সানি? হ্যাজ হি কাম ফর লোহরি?
    মুহূর্তে মুগপুলি আর ক্ষীরের গন্ধ ভেসে এল। সুনন্দিতার মুড অফ উধাও। সামনেই লোহরি। সত্যি। কিছু পারিবারিক আয়োজন তো করতেই হবে। ত্রিদিবের উপস্থিতি নগণ্য এখন। সামনে লোহরি।
    - হি ইজ দেবরূপস ড্যাড মাম্মিজি।
    আমেলিয়া মাথা ঝাঁকালেন। হাসলেন। 
    - গুড। স্টে ফর লোহরি। ইউ হ্যাভ কাম ফ্রম ক্যালকাটা? ইজ মি.বাসু স্টিল দ্য সি এম?
    ত্রিদিব ঘাবড়ে গেছেন।
    সুনন্দিতা চোখের ইশারা করে বুঝিয়েছেন, গন্ডগোল। 
    ভিজে চুল। একটা অসম্ভব ভালো কলোনের গন্ধ। পরম এসে ত্রিদিবকে জড়িয়ে ধরেছেন। কতকাল বাদে দেখা!
    গুড় আর বাদামের গন্ধ অ্যান্টিসিপেট করতে করতে সুনন্দিতা কিচেনে গেলেন। লোহরি আসছে।

    ( চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৫ জুন ২০২৩ | ২৬৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন