এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব ১০

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৪ মে ২০২৩ | ৩৭০ বার পঠিত
  • পর্ব বাইশ

    বোলপুর স্টেশন বেশ ফাঁকা। ট্যুরিস্ট তেমন নেই। স্টেশন চত্বরেই গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল হোম স্টে থেকে। শান্তিনিকেতনের রাস্তা ডানদিকে রেখে ওদের গাড়ি ছুটে গেল বাঁদিকে টানা রাস্তা ধরে। দুদিকে চওড়া চাষের জমি। পতিত জমি। তার মাঝে মাঝেই গজিয়ে উঠছে লাক্সারি হোটেল। এগুলো নামেই হোম স্টে। আসলে বিলাস বহুল হোটেল। বহুমূল্য। বিনোদনের কোনো অভাব নেই। যে হারে গজাচ্ছে তাতে আর কিছুদিন বাদে এদিকটাও শান্তিনিকেতনের মত গিজগিজে ভিড় হয়ে যাবে। এইসব রিসর্টে সুইমিং পুল থাকে। মাটির কটেজ থাকে। ভেতরে অবশ্যই এসি ও গিজার থাকতে হবে। অতিথিদের সেইরকম ডিম্যান্ড থাকে। তার সঙ্গে কাঁসার থালাতে বাসন্তী পোলাও। কুড়মুড়ে আলুভাজা। চিংড়ি মালাইকারী। মাটন কষা। গন্ধরাজ ভেটকি। সন্ধের পর চিকেন পকোড়া আর ভদকা বা হুইস্কি নিয়ে বসে বায়না। সাঁওতালি নাচ দেখবো বনফায়ার করে।

    ওরা এইসব দামী রিসর্ট চায় নি। সোজা বেরিয়েছিল দ্বারোন্দার দিকে। মাটির বাড়ির পেছন থেকে গরুর ডাক ভেসে আসে। খড় বিচালির গন্ধ। তার মধ্যে লাফিয়ে ওঠে সাতদিনের বাছুরের অনুসন্ধিৎসা। একেবারে মাটির রাস্তা ধরে যেতে যেতে করোনার কোনো আভাস টের পাওয়া যায় না। দু একটা সাইকেল চলে যাচ্ছে ইতস্তত।বউ ঝিরা কোলে কাঁখে বাচ্চা বা বাসনের পাঁজা নিয়ে রাস্তা পার হয়। ছাগল নিজেদের মত চরে বেড়াচ্ছে।দু চারটে খোকা খুকু আধা পরিস্কার সোয়েটার পরে নাকের জল মুছে ওদের দিকে হাঁ করে চেয়ে দেখছিল।

    হোমস্টের পাশে একটা পুকুর। ব্যবহার হয় না। ঘাট আছে বাঁধানো দুদিকেই। ওদের বারান্দা থেকেও পুকুর দেখা যায়।
    - আমরা কী একটা ঘর নেব না দুটো?
    - দুটো।
    টুপুর খুব স্পষ্ট করে বলেছিল। তার মানে এই নয় যে ও খুব ভন্ডামি করছে। বা ন্যাকামি। রক্তিমের সঙ্গে যখন যেত, একটি ঘরেই থাকত ওরা। রক্তিম ডিক্টেট করতো সব। কী খাবে। কখন খাবে।কখন ভালোবাসবে। কী উপায়ে ভালোবাসবে। আর কী আশ্চর্য! টুপুরের মতো মেয়েও কেমন কুঁকড়ে আত্মসমর্পণ করতো রক্তিমের সমস্ত ইচ্ছের কাছে। কিন্ত সময় মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। এখন ওরা প্রেমিক প্রেমিকা হলেও দুজনেই কিছু নিজস্ব নিভৃত সময় চায়, একেবারে নিভৃত। 
    - আমরা কী বিয়ে করবো কোনোদিন টুপুর?
    - জানি না। এখনো সেইরকম কিছু ভেবে উঠিনি তো। সবেমাত্র একটা এনগেজমেন্ট ভেঙে গেল। এত তাড়াতাড়ি কী অন্য কিছু ভাবা যায়?
    ঈশান মাথা ঝাঁকালো। ঠিক। ভাবা যায় না। এখনো ক্ষত খুব গাঢ়। রক্তপাত হয়। তার নিজের রক্তপাত কিছুটা হলেও বন্ধ হয়েছে কিন্তু ক্ষীণ ধারা চুঁইয়ে পড়ে এখনো। কখনো প্রবল গর্জন করে। সে বুঝতে পারে যে সে রুষ্ট।শরীর বিদ্রোহ করে। সে ডাক্তার। শরীর আর মনের টানাপোড়েন স্পষ্ট বুঝেও কাঁপতে থাকে। কাঁদতে থাকে।

    না। এত তাড়াতাড়ি ডিসিশন নেওয়ার কথা নয় তাদের।
    কেয়ারটেকার একটু টেরিয়ে তাকাল। কাপল রুম আছে স্যর। আলাদা নেবেন কেন?
    এই বাড়িটি সুসজ্জিত।  যথারীতি বাড়ির মালিক কলকাতাতে থাকেন। কেয়ারটেকারের দায়িত্বে সবটাই। এমনকী খাওয়ার মেনুও।
    - ডিমের ঝোল করে দেব স্যর? মাছের মাথা দিয়ে ডাল? কুমড়োর ছক্কা।

    টুপুর খুব রেগে যাচ্ছে। কথাবার্তা তো সেইই বলছিল প্রথম থেকে।তাও লোকটা স্যর স্যর করে যাচ্ছে। ইডিয়ট। এদেশে মেয়েদের কেউ অ্যাডাল্ট ভাবে না। তারপর বিশ্রী একটা মেনু বললো। টুপুর আফটার অল খানেওয়ালা বাড়ির মেয়ে। মালবিকার কিছু না হলেও কিছুটা তার ভেতরে ঢুকেই গেছে। মাছের মাথার ডাল দিয়ে কুমড়োর ছক্কা হয়তো ঈশান ভালোমানুষের মত খেয়ে নেবে, টুপুর ভাবতেই পারে না।
    - চিকেন করো। আলু দিয়ে ঝোল। মাখোমাখো।  আলুভাজা।আর স্যালাড। আর কিচ্ছু না। ঠিক আছে ঈশান?
    ঈশান কিছু না ভেবেই মাঠের ওপারে দেখছিল। এবছর পৌষমেলা হবে না। খৃষ্টোৎসবেও বিশ্বভারতীর বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়ার কথা নেই। বহিরাগত। কেমন একটা দূর করে দেওয়া ভাব। অথচ মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্রে দীক্ষিত ছিল এই উৎসব। ভালোবাসা হারিয়ে যাচ্ছে। পড়ে থাকছে নিয়ম। তাও আবার অর্থহীন।
    - এখন চিকেন খাবেন? আমি ভেবেছিলাম রাতে দেব।
    কেয়ারটেকার কেমন একটা ভ্যালভেলে মুখ করে তাকিয়ে আছে। মানে ওর মর্জিমতো চলতে হবে। টুপুরের রাগ হল। আগের টুপুর উশখুশ করছে। ও মাছ খায় না। তবু  খুব মিষ্টি হেসে বলল,
    - রাতে মাছের কালিয়া দেবেন কেমন? টাকা দিয়ে রাখছি, এইবেলা বাজার করে রাখবেন। ডিম শুধু ব্রেকফাস্টে।
    লোকটি আমতা আমতা করে মাথা নাড়ল।
    - এখানে কোভিড কেস হয়েছিল?
    - না দিদি। একটাও না। তাছাড়া আমরা গেস্ট গেলেই চাদর বালিশের খোল সব কেচে দিই। কোনো চিন্তা করবেন না।

    - ড্রাইভারকে ঘরে খাবার দিয়ে দেবেন। একই মেনু।
    টুপুর ঘরে ঢুকে পড়ল। স্নানে যাবে।
    ও জানে ড্রাইভারকে খেতে দেবার সময় হামলে পড়বে কেয়ারটেকার।

    যতই শীতের হাওয়া আমলকীর ডালে নাচুক, দোয়েল ডেকে যাক, চন্দ্রমল্লিকার হলুদ কুঁড়ি মাথা উঁচিয়ে জানান দিক সে আছে, কেয়ার টেকার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করবে, এরা কী হাজব্যান্ড ওয়াইফ? নাকী লিভ ইন করে? এও জিজ্ঞেস করতে পারে ঈশান ওকে ভাড়া করে এনেছে কীনা। অথবা ও ঈশানকে। আর যদি তাই হয়, তবে আলাদা ঘর কেন। এটা নিয়ে রান্নার মাসির সঙ্গে খিল্লি হবে। অশ্লীল হাসি হবে। আবার নিপাট ভালোমানুষের মত মুখ করে এই লোকটাই বেডটি দিতে আসবে। এইটাই দুনিয়া। 
    স্নান করে উঠে ঈশানের ঘরে ঢুকে টুপুর দেখলো, ও চেঞ্জ না করেই ঘুমিয়ে পড়েছে। গভীর ক্লান্তি ছেলেটার চোখে মুখে।
    থাক। ঘুমোক। লাঞ্চ দেরি আছে। টুপুর সামনে মোরাম বিছানো রাস্তাতে হাঁটছে।

    মালবিকা লেসন প্ল্যান বানাচ্ছিলেন। একটা হাল্কা ভায়োলেট তাঁতের শাড়ি পরেছেন। ছোট করে টিপ। আয়নাতে নিজেকে দেখে ভালো লাগছিল।  অনেকদিন পর। ফোন এল তখন।
    - আমরা বোলপুর এসেছি মা। তোমাকে বলা হয়নি।
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন মালবিকা। গলাটা ধরে এসেছিল। সেটা টের পেতে দিতে চাননি।
    - বাবাকে বলেছো?
    - না। ফোন করে জানাবো।
    - সেটা তাড়াতাড়ি কোরো। যদি জানাতেই হয়।
    - তুমি কেমন আছো মা?
    - ভালো আছি।
    মালবিকার গলায় কেমন ফর্মাল সুর। টুপুরের অস্বস্তি হচ্ছে। মা কতটা বদলে গেল?
    - তুমি কী অফেন্ডেড হয়েছো মা, আমি ঈশানের সঙ্গে এসেছি বলে?
    মালবিকা একটা দীর্ঘশ্বাস চাপলেন। এই সংসারে তাঁর অফেন্ডেড হওয়া কবেই বা পাত্তা পেয়েছে। কে খেয়াল রেখেছে!
    - আমার খুব ক্লসট্রোফোবিক লাগছিল মা।
    - সাবধানে থেকো টুপুর। তোমার নিজের দায়িত্ব তোমার নিজের। আর ভুল কোরো না। ওয়ান রক্তিম ইজ ইনাফ।
    ও কেমন চমকে গেল। অনেকদিন বাদে রক্তিমের নাম উঠে এল। ও একদম চাইছিল না এই নাম আসুক। রক্তিমের সবকিছু মুছে যাক। ব্যস। এইটুকু। মা কেন মনে করিয়ে দিল!
    গলগল করে কষ্ট উঠে এল। মা কেন মনে করিয়ে দিল।
    ফোনে হিসহিস করে উঠল। বাদুড়ের ট্যাটু জেগে উঠেছে।
    - হোয়াই আর ইউ সো ক্রুয়েল মা? হোয়াই? আমি একটু শান্তিতে থাকতে এসেছিলাম! কেন এমন আচমকা রক্তিমের প্রসঙ্গ তুললে?
    মালবিকা ফোন রেখে দিলেন। ক্লান্ত লাগছিল। কখন যে কাকে কীভাবে আঘাত দিয়ে ফেলেন তিনি বুঝতেই পারেন না। অথচ আঘাত লেগে যায়। ক্ষত থেকে যায় দীর্ঘকাল।
    একটা টেক্সট করলেন মেয়েকে।
    - আই ডিডনট ওয়ান্ট টু হার্ট ইউ টুপুর। ভুল হয়েছে। আই ডিডনট মিন ইট।
    সময় পাল্টাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সৎ থাকতে হলে ভুল স্বীকার করতে হবে। মালবিকা নতজানু হচ্ছেন। কাউকে দুঃখ দিয়ে কিছুই হয় না।
    - যদি পারো সুরেশজির সঙ্গে দেখা কোরো। লিখলেন। হি উইল বি হ্যাপি টু মিট ইউ। গুরুপল্লীতে খোঁজ নিলেই জানতে পারবে। ইফ ইউ ক্যান।
    সুরেশ সাভারকার তাঁর নৃত্য শিক্ষক। টুপুর আর ঈশান ওঁকে প্রণাম করলে ভারি ভালো লাগবে মালবিকার। 

    ফের অনলাইন ক্লাসের প্রস্তুতি শুরু। প্রশ্নপত্র তৈরি করছেন। এম সি কিউ। পরীক্ষা চলাকালীন স্টুডেন্টদের সবার ভিডিও অন থাকবে। মাইক্রোফোন অফফ। কোনো ফোন আসতে পারবে না।পাঁচবার ওয়ার্ণিং দেওয়া হবে ভিডিওতে না পাওয়া গেলে। তারপর খাতা ক্যানসেল। কাজেই ইনভিজিলেটরকে তটস্থ হয়ে বসে থাকতে হবে। এত যান্ত্রিক সমস্ত প্রসেসটা যে হাঁপ ধরে যায়।মালবিকা প্রেশারে সেদ্ধভাত বসিয়ে দিয়েছেন। আলু, পটল একসঙ্গে। একটা ডিমভাজা। মাখন দিয়ে খেয়ে নেবেন। অনেকক্ষণ কাজে থাকতে হবে।

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৪ মে ২০২৩ | ৩৭০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন