এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব বত্রিশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৯ জুন ২০২৩ | ৩৫৩ বার পঠিত
  • এখন আর কাপড়ের মাস্কের দিন নেই। সরকার থেকে বলে দিয়েছে ডাক্তারী মাস্ক সবচেয়ে কাজের। ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়। ঐ মাস্ক নাকী ভাইরাস আটকাতে পারে।
    খবরটা শুনে শ্যামার মন খারাপ। বেশ তো চলছিল কাজকাম। মাস্কের দাম তেমন বেশি কিছু নয়। তাও আবার শৌখিন। তাই লোকে কিনছিলো। বিশেষ করে মেয়েরা। এখন নাকি শৌখিন মাস্কে কোনো কাজ হয় না বলছে।
    - ঐ ডাক্তারী মাস্কে ভাইরাস আটকাতে পারে?
    টুপুর অনেকদিন বাদে উইক এন্ডে আজ বাড়িতে আছে। ভীষণ ভালো একটা চাটনি করেছে শ্যামা। মালবিকা এসেছেন হস্টেল থেকে। কেমন শীতের রোদে চনমন করছে বাড়িটা অনেকদিন বাদে। টুপুর খেজুর টোম্যাটোর  চাটনিটা টকটক শব্দ করে চেটে চেটে খাচ্ছিল। শ্যামার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।
    - তোমার অনেক মাস্ক পড়ে আছে, তাই না?
    এন নাইন্টি ফাইভ একবার পপুলার হল। তারপর আবার বাতিল হল। এখন আবার বলছে একহয় এন নাইন্টি ফাইভ নাহয় থ্রি লেয়ারড সার্জিকাল মাস্ক। দুটোর একটা। ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস নাইন্টি ফাইভ পার্সেন্ট আটকাতে পারবে।
    করুণার কথা ভাবছিল টুপুর। বাড়িতে থাকলে ওর বিয়ে দিয়েই ছাড়বে ওর মা। এই যে কাজকর্ম করছে মেয়েটা, সব বন্ধ হবে। আর তা না হলে নিতাইয়ের লোক তুলে নেবে যে কোনোদিন। এই বাড়ি ফাঁকা থাকে। নাহলে এখানে রাখা যেতো।যদি মালবিকা থাকতেন। ভেবেই অন্যমনস্ক হয়ে গেল টুপুর। কেন ত্রিদিব একা থাকলে করুণাকে এখানে রাখা যায় না? তার মানে তো এই দাঁড়াল যে তার বাবাকে সে বিশ্বাস করে না! মালবিকা নেই। যতদূর টুপুর জানে রিণা যোশি আর কোনও যোগাযোগ রাখে না। অ্যাজ আ সেক্সস্টার্ভড পার্সন ত্রিদিব কী পোটেনশিয়াল রেপিস্ট হতে পারেন? কোনো মেয়েই ভাবতে চায় না বা পারে না যে তার বাবা রেপিস্ট। এসব ভাবতে নেই অথচ ভাবনাটা এসেই যায়। কিন্ত টুপুর যথেষ্ট প্র্যাকটিকাল। বেশ খানিকটা জীবন সে দেখে নিয়েছে। বুঝে নিয়েছে। মালবিকা বাড়িতে থাকেন না। এত বড় বাড়ি ফাঁকা থাকে।ত্রিদিবের খুচরো প্রেমটা কেঁচে গেছে, এও তার কানে এসেছে। বাবা আপাতত দিল্লিতে আছে। কবে ফিরবে বলে নি। টুপুর কেন এইরকম ভাবছে নিজেই বুঝতে পারলো না। করুণা তার থেকেও বয়সে খানিকটা ছোট। সে এই বাড়িতে একটা ঘরে থেকে তার কাজকর্ম করতেই পারে। ত্রিদিব তো যথেষ্ট সোবার, শান্ত, ভদ্র মানুষ। ইভন বাবা মায়ের মধ্যে তেমন কথা কাটাকাটিও হতে দেখেনি টুপুর। যদি তার অনুপস্থিতিতে সেরকম কিছু হয় তাহলে আলাদা। কিন্ত মালবিকা বা ত্রিদিবের ধাঁচ সে বোঝে। এরা চেঁচাবেন না। মারামারির তো প্রশ্নই নেই। ভুল বোঝাবুঝি হলে গুমরে যাবেন কিন্ত চিৎকার করবেন না। করলে বরং বেটার হত বলে তার মনে হয়।
    রক্তিমের সঙ্গে তার হিউজ চেঁচামেচি হত। মারপিট পর্যন্ত। ঈশান বড় নম্র। শান্ত। মেচিওর। তাও যেটুকু চেঁচামেচি টুপুরই করে যায়। কিন্ত বাবাকে নিয়ে সে একরকম ভাবছে কেন?
    - আরেকটু চাটনি দাও শ্যামাদি! ফাটাফাটি করেছো। আমচুর দিয়েছো বুঝি?
    বলেই টুপুর আবার করুণার কথা ভাবলো। কাল খুব কান্নাকাটি করেছে মেয়েটা। এমনিতে যথেষ্ট শক্ত। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে যে। আর পারছে না। ওখানে বাড়ি বসে থাকার কোনো মানে নেই। আবার এখানে কোনো নির্জন রাতে, বা দুপুরে তার বাবা, যিনি সমাজে বেশ ভদ্রলোক বলে পরিচিত, রিণা যোশির সঙ্গে একটা আলগা সম্পর্ক ছাড়া যাঁর আর কোনো দুর্বলতা টুপুরের অন্তত জানা নেই, তিনি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন বলে টুপুর ভাবছে কেন?
    বোধহয় মিডিয়া, খবরের কাগজ, ফিল্ম এইজন্যে অনেকটা দায়ী। আবার সত্যিও কী ঘটে না? দিব্যি ঘটে। প্রতি তিনমিনিটে একটা করে রেপ। পরিসংখ্যান বলে।
    - শুধু রুটি দিয়ে চাটনি খাচ্ছিস টকাস টকাস করে, আমি যে সবজিটা করলাম, খেলি না?
    মালবিকার গায়ে একটা লাল চাদর। অনেক ফ্রেশ লাগছে মা' কে। ভাবল টুপুর। কারণটা খুঁজতে চাইল। সেটা কী বাড়ি থেকে দুরে আছে বলে না অন্য কিছু? বাবা মায়ের সেক্সলাইফ নিয়ে ভাবতে নেই, এটা টুপুর মানে না। তবে কখনো মাথা ঘামায়নি এই ভেবে যে ওরা ওদেরটা বুঝে নেবে। কিন্ত এখন সবকিছুই অন্যরকম।  মালবিকা এত উদাসীন অথচ ঝকঝক করছেন। এটা টুপুরের ভালো লাগছে আবার কৌতুহলও হচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মে যদি ত্রিদিব মালবিকা একসঙ্গে থাকতেন, মানে টুপুর ভাবতে চেষ্টা করলো যে যদি ওঁদের কনজুগাল লাইফ স্বাভাবিক হত, তাহলে তো করুণাকে এখানে রাখাই যেত।
    মা বেচারি এসে বাড়িঘর পরিস্কার করার সঙ্গে সঙ্গে রান্নাও করেছে শ্যামাদির সঙ্গে। একটা সেদ্ধ সেদ্ধ সবজি। আলু, ডিম, বিনস, টোম্যাটো, কড়াইশুটি ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে। তারপর মাখন আর গোলমরিচ দিয়ে স্যতে করা।
    কষ্ট হল মালবিকার জন্য।
    - দাও।
    করুণার কথা কী মালবিকার কাছে বলা যায়? যেরকম ব্যস্ত হয়ে কাজ করছে যে টুপুর ডিসাইড করতে পারছে না। তারপর ত্রিদিব। এই বাড়িতে কোনোকিছু ছন্দে চলছে না। এটা টুপুর ফিল করতে পারে। এদিক ওদিক প্রচুর ডিমের খোসা রেখে দেওয়া। মালবিকার তো জঞ্জাল সহ্য হয় না। তাহলে এত খোসা কেন?
    - তোমার মা টিকটিকি তাড়াবে বাড়ি থেকে। ইউটিউবে দেখেছে ডিমের ভাঙা খোলা ঘরে রাখলে টিকটিকি আসে না। তাই না বউদি? ময়ূরের পালক রাখলেও আসে না শুনেছি। আমিও রেখেছি ঘরে।
    টুপুর হাঁ করে তাকিয়েছিল।
    - তোমরা তো থাকো না কেউ বাড়িতে। দরজা জানালা সারাদিন বন্ধ। টিকটিকির গু আর ডিমে বাড়ি ভর্তি। মা গো! শ্যামা মুখ ভেটকে টিভি চালালো।
    এই চ্যানেলগুলোতে ফার্মার্স মুভমেন্ট নিয়ে একটা কথাও বলে না। আশ্চর্য। সামনে ইলেকশন। শুধু দলবদলের ব্যাখ্যান। এ এই দল ছেড়ে সেই দলে যাচ্ছে। শ্যামা চ্যানেল পাল্টাচ্ছে সমানে।
    শীত বেশ হাল্কা। কলকাতাতে কবেই বা শীত পড়ে আর। অনেকটা রোদ এসে পড়েছে জানালা দিয়ে। টুপুরের মনটা এমনিতে ভালো ছিল কিন্ত করুণাকে নিয়ে একটা চিন্তা আর এই টিকটিকি তাড়ানোর ব্যাপারটা ওর ভালো লাগছে না।
    মানুষ সবকিছু খেদিয়ে, তাড়িয়ে নিজের বানাতে চায়। মাটির কেটে ভাগ করে, এটা আমার। এর মধ্যে আরশোলা, টিকটিকি, ইঁদুর আসতে পারবে না। জঙ্গল কেটে হলিডে হোম। বারান্দায় বসে চেন দিয়ে বাঁধা সিংহ দ্যাখো আর ব্রিজার ওড়াও। জন্তু ধরে চিড়িয়াখানাতে ভরে রাখো। জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করে হাউউ এক্সোটিক বলে দুনিয়ার প্লাস্টিক ফেলে এসো। নদীতে বোটিং করে মদের বোতল আর কুরকুরের  প্যাকেট ফেলে এসো। যেখানে ফাঁকা জমি পাবে বানিয়ে ফেলো কমপ্লেক্স নয় শপিং মল। পাহাড়গুলো আর পাহাড় নেই। কী নোংরা হয়ে গেছে হিলস্টেশনগুলো। এখন ল্যাডেনলা রোড দিয়ে হাঁটলে মনে হয় বড়বাজার দিয়ে হাঁটছে।
    বেলকুঁড়ি মোজাইকের ওপর তেরছা করে রোদ পড়েছে। এইরকম রোদে দার্জিলিঙ যেতে ইচ্ছে করে। সেই যেমন ছোটবেলাতে যেত। নিয়মমাফিক বছরে দুবার দার্জিলিঙ, মুসৌরি, সিমলা, নাইনিতাল।
    অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয় না। সে, দাদা, বাবা, মা। এখন তো উপায় নেই। তাও লোকজন টুকটাক যাচ্ছে না এমন নয়। এমন হয় না, তারা চারজন কোথাও ঘুরে আসতো দুদিনের জন্য? কাছাকাছিই যেত! কত ছোট ছোট ইচ্ছেও কতসময় অলীক থেকে যায়।
    আজকের দিনটা স্পেশ্যাল। সন্ধের পর ঈশান আসবে চেম্বারের কাজ শেষ করে। শ্যামা থাকবে সারাদিন। মালবিকাও। রাতের খাবার অনলাইনে অর্ডার দেওয়া।
    ও কিছু বই এনেছে মালবিকার জন্য আজ।
    সুধীর চক্রবর্তী মশাই মারা গেছেন পনেরোই ডিসেম্বর। এবারও কোভিড নাইন্টিন। ও বেছে মালবিকার রুচিমত বই আনিয়েছে অনলাইনে। এই প্রথম ও মালবিকার পছন্দ নিয়ে ভেবেছে। গভীর নির্জন পথে। লালন। বাউল ফকির কথা। মায়ের পছন্দ হবে। আজ মুখে মুখে তর্ক করেনি। মায়ের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছে। শান্ত হয়ে থেকেছে।
    আজ মালবিকার জন্মদিন।
    মায়ের জন্মদিনে কী মায়ের কাছে কিছু চাওয়া যায়? যেমন করুণার এই বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা?
    টুপুর প্রায়ই এই আবর্জনাভরা পৃথিবীর কথা ভাবে আজকাল।আগেও ভাবত। তখন অনেক নেগেটিভ ছিল ও। বিষাক্ত। বিষন্ন। অবসাদগ্রস্ত। রক্তিমের সঙ্গে ব্রেক আপ ওকে অনেক সাহস দিয়েছে। ব্রেক আপ শব্দটা ওর ভালো লাগে না। খুব অগভীর। একটা চালু হিন্দি গান মনে আসে। একটা টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা অনেক বেশি কঠিন। তখন ওর নিজেকে ঐ আবর্জনার স্তূপের মত মনে হত। পুতিগন্ধময়। এখন ডিটক্স করছে নিজেকে। এই দুনিয়ার যেমন ডিটক্সিফিকেশন দরকার! সম্পর্কগুলো কেমন বিষিয়ে গেছে। যেমন তার আর রক্তিমের ছিল।হয়তো ত্রিদিব আর মালবিকারও তাইই হয়েছে। দেবরূপ তাই এখানে থাকতে চাইল না। পালালো। অদিতিকে মনে মনে ভাবে টুপুর। কেমন ছিল সেই মেয়ে? কেমন ছিল? ঈষৎ বাদামি ত্বক, মোটা নাক। কোঁকড়া চুল? এটুকুই আইডেন্টিটি! সারাটা দুপুর বিছানাতে গড়ালো টুপুর। আনলক চলছে এখনো। লোকজন মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে যাচ্ছে। কোনো হেলদোল নেই। সারাদুপুর কারা যেন ডিজে পার্টি করলো। শব্দ ভেসে এলো কানে।
    করুণার কথা কখন বলবে মালবিকাকে? তার বন্ধুদের ফোন আসছে। সবাইকেই আসতে না করছেন মালবিকা। ভিড় কোনোমতেই নয় এখন। কোনো গেট টু গেদারের মুড নেই তাঁর।কেমন যেন নিজের মধ্যে ডুবে আছেন।
    এই এত বড় একটা পৃথিবীর এক কোণে একজন করুণার কোনো জায়গা হবে না? অবশ্য এমন অনেক করুণা আছে, তাও জানে টুপুর।মেয়েটাকে নিয়ে এলে ভালো হত। চোখে দেখলে ক্রেডিবিলিটি বাড়ে। মায়া পড়তে পারে।
    শ্যামারও অন্য কিছু কাজ দরকার। ছেলেটা বড় হচ্ছে। জহির সিংঘু থেকে ফিরলে আবার ক্যাম্প নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে ওরা। তার আগেই করুণা বা শ্যামার জন্য কিছু করা দরকার! সেকেন্ড ওয়েভ অব করোনা এসে গেছে। এখনো মানুষের মধ্যে কোনো সচেতনতা নেই। হরিবল টাইম ইজ আহেড। টুপুর দুটো সিগারেট পরপর শেষ করে উঠে পড়লো। ঈশান দেরি করছে কেন? চেম্বারে কী খুব ভিড়? এদিক সেদিক তাকিয়েছিল। টিকটিকির দেখা নেই। কোভিডের পর মানসিক নিরাপত্তা কমে যাচ্ছে। নার্ভের নানা প্রবলেম। ঈশান খুব ব্যস্ত থাকছে ইদানীং। সে নিজেও আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে। অতি কষ্টে সংগৃহীত এই দিনটা রেখেছে মালবিকার জন্য।
    সাতটা নাগাদ ঈশান এলো। ছোটো একটা অর্কিড এনেছে মালবিকার জন্য।
    - বাঁচাতে পারবো তো? মালবিকার সতৃষ্ন প্রশ্ন। তিনি কিছুই বাঁচাতে পারেন না, এইরকম একটা ধারণা তাঁকে কষ্ট দেয়।
    টিকটিকি সামনে আসেনি। দুর থেকে চেয়ে চেয়ে সে দেখে। প্রবহমান জীবন দেখে। এই বৃদ্ধ পৃথিবীকে দ্যাখে। তার এখন একটু আরাম দরকার। শুশ্রূষা দরকার। ভালোবাসা দরকার। সেবা। তাহলে সে একটু দম পায়। নয়তো ক্ষেপে উঠতে পারে সেও।
    বেসিল রাইস উইদ প্রন অ্যান্ড চিকেনের একটা ভীষণ মিষ্টি গন্ধ আছে। সঙ্গে লেমনগ্রাস চিকেন। একটা স্যালাড। ক্যারামেল পুডিং। বহুদিন বাদে টেবিল সাজিয়ে একসঙ্গে খাওয়া। ভীষণ ভালো লাগছে মালবিকার টুপুর আর ঈশানকে পেয়ে। সবে পুডিং এ হাত দিয়েছেন।
    বেল বাজল। শ্যামা দেখতে গেল।
    টুপুর খুব হাল্কা মুডে আছে আজ। ইয়ার্কি মারছে ঈশানের সঙ্গে। বই পছন্দ হয়েছে মালবিকার। 
    টিকটিকি অন্যদিকে চোখ ফেরাল।
    শ্যামার হাতে স্যুটকেস।
    পেছনে ত্রিদিব। অবসন্ন। একটু রোগাও যেন।
    মালবিকা চমকে উঠলেন?
    - তোমার জন্মদিন আজ। ফিরতে ইচ্ছে হল।
    কোনো উপহার আনেননি। জানতেন না আজ বাড়িতে সকলে থাকবেন। শুধু ক্লান্ত নিজেকে বহন করে এনেছেন।

    মালবিকা পুডিং সরিয়ে রাখলেন।
    - আগে স্নান করো। শ্যামা, গিজার অন কর। বডি ওয়াশ আছে টয়লেটে? 
    দিল্লিতে সেকেন্ড ওয়েভ ছড়িয়ে গেছে।
    সবাই বলছে এই সেকেন্ড ওয়েভ নাকী আরো মারাত্মক। 
    সে কীরকম মারাত্মক মালবিকা জানেন না। শুনছেন কিছু আলাদা সিম্পটম আছে। তাঁর আর কিছু শুনতে ইচ্ছেও করছে না। তিনি এখন তাঁর পরিবারের সবাইকে নিরাপদ দেখতে চান। স্বার্থপরের মতোই চান। শুধু যদি বাবুটা থাকত!
    ( চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৯ জুন ২০২৩ | ৩৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন