এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • করোনাকালীন নিউনর্মাল 

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৭৩ বার পঠিত
  • ফার্মার্স ল ইজ নট অ্যাগাইন্স্ট দ্য ফারমার্স। সাম পিপল সে সো।
    এখন সকাল সাড়ে আটটা। ওরা খাবার টেবলে।
    নিকি বলছিল। একটা গাঢ় বেগুনি রঙের পোলোনেক পরেছে মেয়েটা। সারাদিন ল্যাপটপের সামনে বসে থাকে। নাহয় ডেস্কটপ।
    বাট আই ডোন্ট থিংক সো।
    দেবরূপ প্রায় কিছুই জানে না কৃষিবিল সম্পর্কে। সুনন্দিতার সঙ্গে একেবারে ঘরোয়া কথা হয়। মহিলার সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল এই যে উনি একদম নন ইন্টারফিয়ারিং। অথচ জেনুইন । বেশি কথা বলেন না। সকালে ব্রেকফাস্ট টেবলে দেখা হয়। আজ বানিয়েছিলেন একদম বাঙালি ধাঁচে সাদা লুচি তরকারি। দেবরূপ আসার পর থেকে বাঙালি পদ একটু বেশিই করাচ্ছেন সুনন্দিতা। মনে বেশ একটা চনমনে ভাব।
    - ইফ ইউ ওয়ান্ট, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণসভাতে আসতে পারো। কিছু বেশি আয়োজন নয়। স্মৃতিচারণ। গান। পাঠ। আসবে?
    না। বাবু মনে মনে না বলে।
    সুনন্দিতা কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে। এ ছেলেটা এত কম কথা বলে!
    বাধ্য হয়ে ঘাড় নেড়েছিল দেবরূপ। যাবে। সন্ধেবেলা ফিরে চোখ ব্যথা থাকে। এক আধদিন একটু অন্যরকম হোক তবে। সুনন্দিতার খাওয়া হয়ে গেলে উঠে গেলেন। নাচের ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। পরমপ্রতাপ অনেক ভোরে বেরিয়েছেন। সুমন নেই।

    নিকি হুইলচেয়ারে বসেই খায়। আরো লুচি আনো বাঈ। ও চেঁচিয়ে বলল।
    দেবরূপ দেখলো এক মহিলা অনেকগুলো ব্রাউনপেপারের প্যাকেট নিয়ে ঢুকলেন। নিকি বললো, আন্টি উও স্টোরমে রাখ দিজিয়ে। মাম্মি কো বোল দুঙ্গি। আপ আইয়ে টেবলমে। ব্রেকফাস্ট কিজিয়ে হামারে সাথ।
    মহিলা প্যাকেটগুলো নিয়ে স্টোরের দিকে চলে গেলেন। তারপর খালি হাতে এসে বসলেন। হাঁটাচলা, বসাতে বোঝা গেল যে তিনি এই বাড়ির অতি পরিচিত। স্বচ্ছন্দ। এবং পায়ে বাত আছে।
    নিকি দেবরূপের সঙ্গে আলাপ করাচ্ছে।
    বসুন্ধরা আন্টি। বসুন্ধরা মেরহোত্রা। শি ইজ আ পেইন্টার। আ নেক্স্টডোর নেবার।
    অ্যান্ড দিস ইজ দেবরূপ। ফ্রম কলকাতা। মাইক্রোবায়োলজিস্ট। ওয়র্কিং ইন ডেলহি ইউনিভার্সিটি।
    বসুন্ধরার চুল কাঁচাপাকা। কালার করেন নি। হাসলে গালে দিব্যি একটি টোল পড়ে। বললেন, স্রিফ চার ব্ল্যাংকেটস লায়ি আজ। কাল আওর দো।
    ইজ দ্য বিল রিয়ালি হার্মফুল ফর দ্য ফারমার্স? কৃষিবিল কী কৃষকদের পক্ষে সত্যিই ক্ষতিকর?
    বসুন্ধরা টোল ফেলে হাসলেন।
    থিওরিটিক্যালি নয়।
    বসুন্ধরা বাংলা বলতে পারেন কিছুটা। কলকাতাতেও ছিলেন অনেকদিন। হিন্দি বাংলা মিশিয়ে কথা বলেন।
    - শুনে মনে হবে কোনো সমস্যা নেই। ইলেকট্রনিক ট্রেডিং হবে। ই কমার্স। কিন্ত স্টেট গভমেন্ট লেভি ফি পাবে না।
    একটা লুচির মধ্যে আলুর তরকারি দিয়ে রোল পাকাচ্ছেন বসুন্ধরা।
    - অ্যাপারেন্টলি অলরাইট। ইট উইল এক্সপ্যান্ড দ্য স্কোপ অব ট্রেড এরিয়াস। দেয়ার ক্যান বি এনি প্লেস অব প্রডাকশন। কালেকশন। অ্যাগ্রেগেশন।
    বাট রিয়ালিটি ইজ ডিফরেন্ট।

    দেবরূপ বুঝতে পারছে না এখনো ঠিক। কখনোই কোনো থিওরি বাস্তবে সম্পূর্ণ রূপায়ণ হয় না। কিন্ত কিছুই কী হয় না? হোয়াই প্রটেস্ট দেন?
    পাশের হলে ঘুঙুরের শব্দ শুরু হয়ে গেছে।  এই শব্দ বেশ ভালো লাগে ওর।
    নিকি কফি ঢালছে। খুব সরু আঙুল। দেবরূপ বসুন্ধরার দিকে এগিয়ে দিতে গেল মাগটা । হাত তুলে কফি দিতে নিষেধ করলেন। মেরে লিয়ে চায়ে।
    ওর উজ্জ্বল চোখদুটো তুলে নিকি বলল,
    ফার্মার্স লোগোকো কুছ এমপাওয়ারমেন্ট আওর প্রোটেকশন হোতা হ্যায়। সাম লিগাল ফ্রেমওয়র্ক এন্টার দ্য প্রি অ্যারেন্জড কন্ট্র্যাক্টস উইদ বাইয়ার্স। যদি ফার্মিং এর আগেই বাইয়ার আর ফার্মারের মধ্যে এগ্রিমেন্ট করতে হয়, ইট ক্যান বি ডেনজেরাস ফর দ্য ফারমার্স! অ্যান্ড ইট ইজ আ ন্যাশনাল ফ্রেমওয়র্ক। আগর প্রোডাকশন আচ্ছা নহি হুয়া কিসি সাল, ফার্মার তো মর যায়েগা!
    এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টের ব্যাপারটা দেবরূপ জানে। সিরিয়ালস, ডাল, আলু , পেঁয়াজ, তেল আর নিত্য প্রয়োজনের জিনিস নয়। স্টকহোল্ডিং লিমিট তুলে দেওয়া একটা ভয়ানক কাজ। আই অ্যাডমিট।
    - ইয়েস। দ্যাট অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। নাইন্টিন ফিফটি ফাইভ। ইয়েস।
    তীক্ষ্ণ স্বর ভেসে এল। আমেলিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। বাঈ হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে এসেছে। বেশ খানিকটা দুরে।
    বসুন্ধরা মেরহোত্রা দৌড়ে গিয়ে আমেলিয়াকে জড়িয়ে ধরে দুগালে চুমু খেলেন।
    - আমেলিয়ার উদ্ভাসিত মুখে শিশুর হাসি।
    - ইউ নটি গার্ল। কিতনে দিন বাদ আয়ে হো। ইউ লুক রেডিয়ান্ট।
    - মেরে লিয়ে ভি চায়ে।

    বাঈ আমেলিয়াকে ডাইনিং টেবলের কাছে নিয়ে এসে চেয়ারে বসিয়ে দিল। দুরে আমেলিয়ার হাই চেয়ার ফাঁকা এখন। একফালি রোদ এসে পড়েছে। আমেলিয়ার পরণে একটা হাল্কা ভায়োলেট কালারের গাউন। জর্জেট জাতীয় মেটিরিয়াল। একটা শাল জড়ানো গায়ে। হাল্কা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। ব্রেকফাস্টের পর সাধারণত খুব তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যায় ও। আজ একটু দেরিতে যাবে। কেমন একটা ঝিমঝিমে রোদ উঠেছে। তাপ নেই অত। জানালা দিয়ে টবে গুচ্ছ গুচ্ছ ক্রিসমথিমাম। সাদা। হলুদ। পিংক। অবসাদ কাটিয়ে দেওয়া রঙ সব। আমেলিয়ার বেইজ কালারের শালটার ওপর একটা মথ উড়ে এসে বসল। শ্লথ লাগছে। বসুন্ধরার চা এসেছে। পরিষ্কার তাজা দার্জিলিঙ চা। মালবিকার অনুষঙ্গ যেন।

    বসুন্ধরা চা ঢালতে ঢালতে বললেন, কভি আ যানা ঘর পর। কাম টু মাই স্টুডিও। ইফ ইউ আর ইন্টেরেস্টেড ইন পেইন্টিং।
    আমেলিয়ার খাবার এসেছে। আজ টেবলে আসতে দেরি হয়ে গেছে তাঁর। তিনি বলে উঠলেন,
    বসুন্ধরা ইজ আ ভেরি ট্যালেন্টেড বাট আন্ডাররেইটেড পেইন্টার। আই লাইক দ্য সাটলটি অব হার পেইন্টিংস। বাট ভাসু, হোয়াই আর ইউর পেইন্টিংস কনসার্নড  উইদ ডেথ ওনলি? ডীপ অ্যান্ড স্টার্ক কালারস। গুড। বাট মেলানকলিক। হোয়াই ডোন্ট ইউ পেইন্ট লাইফ?

    কথাগুলো ঘুরছে ওর মাথার ওপর দিয়ে। মাথার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। মস্তিষ্কের কোষে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কেমন আছে পুনে শহর অদিতিকে ছাড়া? সেই হলুদ স্কুটি আর ঘোরে না রাস্তাতে! খুব ইচ্ছে করছে অচ্যুত বা মুমতাজকে একটা ফোন করে। কিন্ত মুমতাজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। মুখে কিছু বলেননি। চোখে স্পষ্ট গভীর দোষারোপ। সুনি কেমন আছে! ওর অপারেশন হল?
    আমেলিয়া বলে উঠলেন, গ্রীন রিভোলিউশন উইল নট বি ডিফিটেড।ফার্মার্স ইউনিটি উইল উইন ! তাঁর গলার শিরা ফুটে উঠেছে। ফর্সা চামড়ার নিচে নীল শিরা। লোলচর্ম। অথচ প্রশান্ত। কী দৃঢ়তা গলাতে।

    নিকি ওর দিকে তাকিয়ে বলল, ডু ইউ নো অ্যাবাউট কমিশন এজেন্টস ইন দ্য মান্ডিজ? দে উইল সাফার আ লট।
    দেবরূপ মান্ডি বা কমিশন এজেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানে না। সে ব্ল্যাংক তাকালো। নিকি বুঝতে পারছে। বসুন্ধরা বললেন, আইল গেট আটা বাই টুমরো। কব যা রহে হ্যায় গাড়ি?
    পঞ্চাশ কেজি মত আটা আনবেন বসুন্ধরা। পরজিতের বাড়ি থেকে ট্রাক ছাড়বে। টুওয়ার্ডস সিংঘু বর্ডার। সামনে কঠিন যুদ্ধ।
    দেবরূপ ভাইরাস বোঝে। কমিশন এজেন্ট কী কিছুটা জানে। সেটা যে এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও জানতো না।
    নিকি কফিতে চুমুক দিয়ে বলল, ইন পাঞ্জাব অ্যান্ড হরিয়ানা কমিশন এজেন্টস আর ভেরি অ্যাক্টিভ। ইউভ গট টু হ্যাভ প্লেন্টি অব নলেজ রিগার্ডিং প্রোডাক্ট, ফার্মিং অ্যান্ড সেলস টু বি অ্যান এজেন্ট। শুধু দালালি না। প্যাশন ইজ নিডেড। মার্কেট রিসার্চ করতে হবে, কোল্ড কলিং, ক্রিয়েটিং প্রোপোজালস, সেলস নেগোসিয়েশন। দ্যাট ইজ টাফ। বসুন্ধরা আন্টি নোজ।
    চা শেষ করে বসুন্ধরা হাসলেন। ইয়েস। মাই সান ইজ আ কমিশন এজেন্ট। আই অ্যাম ফর দ্য ফারমার্স। 
    এ পি এম সি ফার্মারদের প্রডাকশন, নেগোসিয়েশন, সেল সব রেগুলেট করে। আচ্ছা কাম করতা হ্যায়। সবকো লাইসেন্স দেতা হ্যায়। বাইয়ার্স। কমিশন এজেন্টস। প্রাইভেট মার্কেট কন্ট্রোল করতা হ্যায়। দে অলসো প্রভাইড উইদ নেসেসারি মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ফিরভি করতে হ্যায় এপি এমসি কাম নহি করতা হ্যায়। ইয়ে ক্যায়সি বাত হুয়ি। আরে বাবা ! আচার কে বিনা ক্যায়সে খাতে হো পুরী? এ নিক্কি!! বাঈ কো বোল আচার লানে কে লিয়ে। খাট্ট্ মিঠা উও যো হ্যায় না? আমকি!

    সুনন্দিতা ক্লাসে একটা রিসেস দিয়েছেন পাঁচ মিনিটের। হাঁপাতে হাঁপাতে এসেছেন। কোমরে লাল বাঁধনির ওড়না। সাদা সালোয়ার কামিজ। বসুন্ধরার কাঁধে হাত দিয়ে আলতো চাপ। তারপর জল খাচ্ছেন।
    - ভাসু! ইউ আর কামিং টু দ্য প্রোগ্রাম, না?
    - সেরটেইনলি।
    বসুন্ধরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি পোর্ট্রেট এঁকে দিয়েছেন। স্মরণ সভাতে সেটিই সজ্জিত হবে। কলকাতাতে সেদিন বিসর্জন ছিল। যেদিন অপু চলে গেলেন। দেবরূপ হাঁটতে বেরিয়েছিল।  একদল ছেলে নাচতে নাচতে যাচ্ছিল বিসর্জনের মিছিলে। বিশ্রী লেগেছিল ওর। সেদিন অন্তত যদি নাচটা বাদ দেওয়া যেত। ঐ মহীরূহ কী এতটুকু সম্মান পেতে পারতেন না সেদিন! বাঙালি কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে গেছে। ইন্টিগ্রিটিহীন। ছন্নছাড়া।

    দেবরূপকে ডাকলেন মালবিকা।
    ভাসু অ্যান্ড মি। বুজুম ফ্রেন্ডস। কী ডিসকাস করছিলে তোমরা?
    নিকি কফি শেষ করে বলল, ফার্মার্স বিল মম। হি ইজ ইন্টেরেস্টেড। 
    মেয়ের পিছনে এসে দাঁড়ালেন সুনন্দিতার। উজ্জ্বল হাসি চোখে। যেমন থাকেন তিনি। চকচকে চোখের নিচে এক কুচি  নিথর কষ্ট জমে আছে। মেয়ে হলে নাচ শিখবে, ভীষণ শখ ছিল তাঁর।নিজে ধরে ধরে শেখাবেন। ভারতনাট্যম। কথ্থক। যে কোনো একটা স্ট্রিম।

    নিকি চার বছর বয়সের পর হাঁটতে পারল না। স্নায়ুরোগ। জটিল থেকে জটিলতর হতে হতে শুকনো পাতার মত প্রাণহীন পা দুটি। সুনন্দিতার প্রতিটি ঘুঙুরবদ্ধ পদক্ষেপে কষ্ট ধ্বনিত হয়। মানুষ কত যন্ত্রণা অতিক্রম করে যে কাজ করে! করেই যায়। সুনন্দিতা সর্বদা উৎফুল্ল।
    আমেলিয়া পরিজ খাচ্ছেন।
    হোয়েন উইল মানি রিটার্ন?
    বিফোর দ্য লার্জ প্রাইভেট প্লেয়ার্স আর ইনটু ফার্মিং আই হোপ!
    আমেলিয়ার গলায় একটা বিব। বাচ্চাদের মত। আয়াটি ভালোই দেখভাল করে। তবু আমেলিয়ার মানিকেই চাই। মানি ওয়জ ভেরি হেল্পফুল।
    - হাউ ইজ মানি?
    দেবরূপ খেয়াল করলো, আমেলিয়ার গলায় একটা শিশু সুলভ মিষ্টত্ব আছে। অনেকটা বুড়ো হলে বোধহয় এমন হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন