এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব একত্রিশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৬ জুন ২০২৩ | ২৮৩ বার পঠিত
  • - আমি রোজ ঐ রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতাম। ইউ নো। তুমি তো জানো। ক্যাথেড্রালের পাশে রাস্তাটা কীভাবে ইউ টার্ণ নেয়। দুপাশে ইউক্যালিপটাস গাছগুলো। আমি সাইক্লিং করতাম। আর কুকুরগুলো আমার পিছন পিছন দৌড়ে আসতো। বিস্কিট, পাউরুটি থাকতো ব্যাগে। ইউ টার্ণটা পার করে আমি সাইকেল থেকে নামতাম। আই ইউস্ড টু ফিড দেম। খাওয়াতাম ওদের। আমাকে দেখলেই ল্যাজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়ে আসতো। একজন ছিল একটু খোঁড়া। বাদামি রঙের। একজন পুরো সাদা। গায়ে কালো ছোপ। দ্য নটিয়েস্ট অব অল। একটা কুচকুচে কালো। লাল চোখ। অ্যান্ড ওয়ান ডে। একদিন কী হল জানো! আমি সাইকেল থেকে নেমে ওদের খাবার বের করছি। ওরা রাস্তার ওপাশে ছিল। দৌড়ে রাস্তা পার করছিল। দে ওয়ের রিয়েলি হ্যাপি টু সি মি। যে খোঁড়া ছিল ওর নাম দিয়েছিল চকোলেট। একেবারে চকোলেট কালারের। মাথা দুলিয়ে দৌড়ে আসতো, জানো?
    দ্যাট ডে, হি গট রান ডাউন বাই আ বাস। আর শেষ চিৎকারটা। আই উইল নেভার ফরগেট অনিল। রক্তে ভেসে যাওয়া একটা রাস্তা আর চিৎকার আমাকে হন্ট করতো। আই ফেল্ট দ্যাট আই ওয়জ রেসপনসিবল ফর হিজ ডেথ। আমার রাতে ঘুম ভেঙে যেত। শ্বাসকষ্ট হত। আই ইউজড টু ক্রাই। ক্রাই আ লট।
    পলির গলা ধরে এলো। এই শীতে দরজা জানালা বন্ধ।
    - অনিল। প্লিজ। দরজা জানালা খুলে দেবে? আই নিড সাম ফ্রেশ এয়ার।
    পলি ছটফট করছেন। ইউটার্ণ, রক্ত আর চিৎকার। কোকিলাবেন। রুম ফ্রেশনার।
    অদিতি এসে বললো, পলি, ইউ লুক সো পেল। চলুন কিছু খেয়ে নেবেন ক্যান্টিনে।
    ক্যান্টিনে ধবধবে পোশাকের ওয়েটার। ডাক্তার, নার্সরাও ওখানেই খান।
    অনিল খুব কোমল গলায় বললেন, ডু ইউ স্টিল সাফার?
    - করি। ভেতরে ভেতরে কষ্টটা থেকে যায়। যারা বলে সময় সবকিছু ভুলিয়ে দেয়, তারা ভুল বলে। কিছু ভোলা যায় না। লেয়ারস পড়ে ওপরে। আস্তরণ। সবকিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। ইউ ক্যাননট সিম্পলি অ্যাম্পিউটেট ইট।
    অনিল পলির হাতদুটি ধরলেন। ইন ফ্যাক্ট, অদিতি পলির সঙ্গেই সময় কাটিয়েছে বেশি।
    - ডোন্ট থিংক দ্যাট ইউ আর রেসপনসিবল। ফাদার বলছিলেন। তুমি নিজেকে দায়ী করো না। সেটা বড় বেশি ইনডিভিজুয়ালিস্টিক হয়ে যাবে। তোমার কোনো অ্যাচিভমেন্টের জন্য যেমন নিজেকে গ্লোরিফাই করবে না, তেমনি কোনো ফেইলিওর, কোনো দুর্ঘটনার জন্যেও নিজেকে দায়ী করবে না।
    কুরিসুমালাতে তখন হাজারো পাইনের নিঃশ্বাসে মিশে যাচ্ছে গরুর গলায় বাঁধা ঘন্টাধ্বনি। ইট ওয়জ দ্য টাইম অব রিভিলেশন। ঘাসের স্পর্শ পায়ের নিচে।
    অনিল হাঁটু মুড়ে বসেছেন।
    আই ফাইন্ড মাইসেল্ফ গিল্টি ফাদার। রেসপনসিবল ফর হার ডেথ।
    ফাদারের চুল উড়ছে। অনেক হাওয়া এই উচ্চতাতে। এই অসীম আদিগন্ত  উপত্যকাভূমি, ঈষৎ ভিজে হাওয়া সকালের। প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিচ্ছেন অনিল। পলি।
    - কী করে বিশ্বাস করি ডেস্টিনি সব কিছু ঠিক করে দেয়? ওয়জ শি ডেস্টাইন্ড টু ডাই? অদিতি লুকড প্রেটি স্ট্রং। ইজ ডেস্টিনি সো পাওয়ারফুল?
    খৃষ্টান সাধু চুপচাপ তাকিয়েছিলেন অনিলের কান্নাভেজা মুখের দিকে। টাইম উইল হিল। হি নোজ।
    এখন মনে হচ্ছে সময় কিছু ভোলাতে পারবে না। বাট টেক সাম টাইম। সরো উইল বি সাবলিমেটেড। সমস্ত দুঃখ অন্তর্লীন হয়ে যাবে তোমার মধ্যে। নোবডি ইজ রেসপনসিবল ফর হোয়াটেভার হ্যাপেনস। উই গিভ আননেসেসারি ইম্পরট্যান্স টু আওয়ারসেলভস। বেশি গুরুত্ব দিও না নিজেকে। কাউকে সারিয়ে তুললেও না। কারু মৃত্যু হলেও না।
    পয়েন্ট অব টোট্যাল সারেন্ডার। যিশুর মূর্তির নিচে পলি বসে আছেন।
    নিজেকে দোষমুক্ত, ভারমুক্ত করে ফেলার তাগিদে মানুষের কত চেষ্টা। কত হাহাকার। যন্ত্রণা।
    - পলি। আপনি কী এখন স্নান করে আসবেন? হসপিটাল থেকে ফিরে স্নান করাই ভালো। গিজারটা চালিয়ে দিই। চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। ইউ উইল ফিল রিল্যাক্স্ড। আমার কাছে ড্রায়ার আছে। ডোন্ট ওয়রি।

    অদিতির ড্রায়ার এখনো পলির কাছে। সাদা রঙের হেয়ার ড্রায়ার। দেওয়া হয়নি মুমতাজকে।
    এই পর্বতমালা, এত সবুজের মধ্যে বাতাস যেন সবুজ। পলি এই প্রথম মুমতাজকে ফোন করলেন। মুমতাজ আহমেদ সেদিন অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন। ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়েছিলেন। মাথার কাছেই ছিল ফোন। যেন গতজন্মের ওপার থেকে ফোন করল কেউ। অচেনা নম্বরের ফোন ধরেন না। মুমতাজ এখন খুব কম ফোন রিসিভ করেন। ঘুমের ঘোরেই তুললেন ফোন।
    অচেনা গলা। সুনি এখন সকালে বাড়ির সব কাজ সুপারভাইজ করে। অনেক চাপ মেয়ের ওপর। কিন্ত মুমতাজ সকালে উঠতে পারছেন না। শরীরে অসম্ভব ক্লান্তি।
    পলির কানে একটা ক্লান্তিভেজা স্বর ভেসে এল।
    - হুজ স্পিকিং।
    - ড্রায়ার। অদিতির হেয়ার ড্রায়ারটা আমার কাছে থেকে গেছে মিসেস আহমেদ।
    - হু আর ইউ? কী বলছেন আপনি?
    মুমতাজ উঠে বসেছেন। দীর্ঘদিন তাঁর সুন্দর হাতের দীর্ঘ নখে কোনো রঞ্জনী নেই। চোখের কোণে কালি। একধাক্কায় বয়স বেড়ে গেছে অনেকটা। তবু সুনি দ্যাখে তার মা' কে কী অসম্ভব সুন্দর লাগছে। কিছুটা যেন ইন্দিরা গান্ধীর মত।আর একটু কোমল আর বেদনাক্লিষ্ট বলে আরো সুন্দর। সুনি বাঈকে দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করাচ্ছিল। দেখল মুমতাজকে একটু উত্তেজিত লাগছে। ওর ইচ্ছে করল মা' কে শিশুর মত কোলে তুলে নেয়। কিন্ত পারলো না।
    - আমি পলি মিসেস আহমেদ। পলি থমাস ফ্রম চেঙ্গালা।
    সময় খানিকক্ষণ  স্তব্ধ হয়ে গেছিল। মুমতাজ হাতড়াচ্ছেন যেন। মনের মধ্যে। তাঁর পায়ের মাঝের আঙুলে একটা রূপোর আংটি থাকতো। এখন নেই। সুনি দেখল মায়ের পায়ের নখ বড় হয়েছে। কাটা হয়নি।
    - সো? হোয়াট ক্যান আই ডু?
    মুমতাজের কন্ঠ নীরস। শুকনো। গভীর ক্ষত আর ক্ষোভ কুরে কুরে খায়। কেন ক্ষোভ, কীসের ক্ষোভ বুঝতে পারেন না। শি হ্যাড চোজেন হার পাথ।
    - ক্যান ইউ ফরগিভ মি মিসেস আহমেদ?
    - হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান?
    পলি দেখলেন যিশুর মুখ দক্ষিণ দিকে ঘোরানো। অবনত। চোখে জল।
    - আই অ্যাম সাফারিং। আই ফিল গিল্টি।ওল দ্য টাইম। বুকের মধ্যে কষ্ট হয়। ঘুমাতে পারি না। কথা বলতে ভালো লাগে না। ইভন আই ক্যাননট কাডল মাই চিল্ড্রেন।
    পলি গড়গড় করে বলে যাচ্ছিলেন। যেন কনফেশন। চোখ বেয়ে জল। ভাগামন জলপ্রপাতের শব্দের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্যেই যেন এই যাত্রা!ফ্রান্সিস আচার্য বলে চলেছেন, যিশু ভালোবাসতেন পাহাড়ের নির্জনতা। এখানে ঈশ্বর অনুভূতি হয়। ঈশ্বর অনুভূতি কী জানেন না পলি। শুধু জানেন মুমতাজের কাছে বড় দীন হয়ে আছেন।
    মাউন্ট অব ট্র্যান্সফিগারেশন! মুক্তি দাও অপরাধবোধ থেকে।
    ফাদার মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, দেয়ারজ নাথিং গ্লোরিয়াস টু সেভ। দেয়ারজ নাথিং টু বি অ্যাশেমড ইন বেয়ারিং দ্য বার্ডেন অব গ্রিফ। দুঃখকে ভালোবেসে বহন করো। তোমার ঘর বেদনার আলোকে আলোকিত হবে। তাকে বলে হিউমিলিটি। পালিও না। ডোন্ট এসকেপ।

    সুনি এসে হাত রেখেছিল মুমতাজের কাঁধে। মুমতাজ সুনির দিকে তাকালেন। হার্ট অপারেশনের পরে আরো যেন রোগা হয়েছে একটু। ও অদিতির মত নয়। তাঁর মতো চেহারা। কাটা কাটা নাক মুখ চোখ। বাঁ হাতে ফোন। ডান হাত দিয়ে সুনির হাত চেপে ধরেছিলেন মুমতাজ। 
    - প্লিজ ফরগিভ। আমি কেবল তখন আমার কথা ভেবেছি। অনিলের কথা ভেবেছি। বাচ্চাদের কথা ভেবেছি। নেভার থট দ্যাট এনিথিংগ কুড হ্যাপেন টু অদিতি। সো ইয়ং। সো ভাইব্র্যান্ট। 
    অচ্যুত এখন বাগানে কাজ করেন না আর। একজন মালী এসে কাজকর্ম করে দিয়ে যায়। বাঈ বেরিয়ে যেতে বাথরুমে ঢুকলেন। অনেক আগে উঠে হেঁটে এসেছেন।
    মুমতাজের মাথার কোষে যত যন্ত্রণা সব বেদনাধারা হয়ে নেমে আসছে বুকে। তোয়ালে জড়ানো ছোট্ট অদিতেকে কোলে তুলে নিলেন।
    অচ্যুতকে বললেন, শি লুকস যাস্ট লাইক ইউ।
    পলি হাহাকার করছেন। 
    - আমি বুঝিনি মিসেস আহমেদ। ভাবিনি। আই থট অ্যাবাউট মাইসেল্ফ। মাই চিল্ড্রেন।  অ্যাবাউট অনিল। আই ওয়জ সেল্ফিশ।
    মুমতাজ সুনির মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন। হার্ট অপারেশনের পর আরো রোগা হয়েছে মেয়ে। তারসঙ্গে কাজের চাপ। মুমতাজ প্রায় কিছুই দেখেন না। সে ছিল তার বাবার মতো দেখতে। সুনি তাঁর নিজের মত। কাটা কাটা চোখ মুখ নাক।
    মুমতাজ অপলকে মেয়েকে দেখছেন।
    - মিসেস আহমদ। আমি ঘুমাতে পারিনা। ভালো করে খেতে পারি না। ইভন আই ক্যাননট কাডল মাই চিল্ড্রেন।  কাজ করতে পারি না। শি ওয়জ সো ইয়ং। ভাইব্র্যান্ট। আই নেভার থট কোভিড উড অ্যাফেক্ট হার। দিস কোভিড নাইন্টিন। আনপ্রেডিক্টেবল মনস্টার।
    সুনির কলার বোন বের হয়ে আছে। মুমতাজ মেয়ের হাত চেপে ধরেছেন ডানহাতে। বাঁ হাতে ফোন।
    -ফরগিভ মি ম্যাম। প্লিজ লেট মি লিভ। শি ওয়জ আ জেম।
    জেম অব আ গার্ল।
    মায়ের চোখের জল বড় সাংঘাতিক। মুমতাজ জানেন। তিনি বাড়ি ছাড়ার সময় আম্মী বড় কেঁদেছিলেন। সেই অশ্রুতে আজো স্নাত তিনি। বাথরুমে জলের শব্দ। ধারাপাত চাই তাঁর। ঘুমের ওষুধ বড় বিষাদ দেয়।
    বহরমপুর থেকে সেই যাত্রাপথ মনে পড়ল তাঁর। দীর্ঘ। নিঃশব্দ। আশংকাময়। অন্ধকারে স্করপিও স্পিড তুলছে। ফ্লাইট নেবার জন্য বসে আছেন। একা। আমজাদ এসে কফিভর্তি ফ্লাস্ক দিয়ে গেছিলেন। মুম্বই ল্যান্ড করেও সে ফ্লাস্ক খোলা হয়নি। প্লেনে অ্যালাউড ছিল না।
    মহাশূন্যে ভাসছেন মুমতাজ। যেন হাত নেই। পা নেই। শুধু দুটি ডানা। সেই ডানা দিয়ে দেবদূত হতে পারবেন কী? বেশিক্ষণ নয়।
    সুনির মুখের দিকে অপলক চোখ। সুনির চোখে অবাকবোধ। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়। মুমতাজ হাত ছেড়ে দিলেন। চশমা পরবেন।
    - ভালো থাকবেন মিসেস থমাস। ওর যতদিন থাকার কথা ও ছিল। অ্যান্ড শি ওয়জ হ্যাপি। ভেরি হ্যাপি। আই হ্যাভ নাথিং অ্যাগাইন্স্ট ইউ। বাচ্চাদের নিয়ে ভালো থাকুন।
    ফোন রেখে দিলেন। আই নিড শাওয়ার সুনি। মে আই হ্যাভ সাম টি?
    আর দেবরূপ কে ফোন করে বলে দাও, আই হ্যাভ নো গ্রিভান্সেস।
    তিনি জানেন অচ্যুত, সুনি দুজনেই যোগাযোগ রাখে দেবরূপের সঙ্গে।
    সুনি আশ্চর্য হয়ে গেল। মুমতাজ বাবল্স নামটা উচ্চারণ করেন না। দেবরূপের নাম আজ এতদিন বাদে এই প্রথম।
    দেবদূত তাঁর ডানা গুটিয়ে নিলেন। ফিরে আসছে হাত, পা, অভিমান। ক্ষোভ।
    তোয়ালে মোড়া শিশুকে বুকের গভীরে রেখে দিলেন মুমতাজ। রেখে দিলেন যন্ত্রণা নামক কীটটিকে।সে খাবে তাঁকে। তিলে তিলে। জানেন। ওরা ভালো থাক।

    পলির হাত ধরে শুয়েছিলেন অনিল। কেউ ক্ষমা করলেই শান্তি আসে না। সো হোয়াই ডিড ইউ আস্ক ফর ইট!
    ফাদার দুহাত শূন্যে তুলেছিলেন। শি লিভড হার ডেজ। দ্যাটস ওল।
    কেরলে জলস্রোতের মত কোভিড। ভ্যারিয়ান্টস। আটকানো যাচ্ছে না। এ মুহূর্তে শুধু বেঁচে থাকা কাজ। বেঁচে থাকো পলি। বাঁচো অনিল। অ্যান্ড সেভ দ্য ডিসট্রেসড।

    সুনির ফোন যখন এল দেবরূপ আমেলিয়ার পাশে বসে টিভি দেখছিল।
    - দা। মম হ্যাজ আস্কড টু কল ইউ।
    - যাস্ট লাইক দ্যাট?
    - যাস্ট লাইক দ্যাট। ভালো আছো  দা?
    - আছি। তুই কেমন আছিস সুনি?
    বড়দিনের পার্টি সেদিন মেহতা হাউসে। লোহরির আগে। খুব কম নিমন্ত্রিত। তবু পার্টি। সুনন্দিতা কাছাকাছি নেই। সারা বাড়ি আলোকিত। 
    আমেলিয়ার চোখে প্রশ্ন।
    - ভেরি আনএথিক্যাল অব মি। বাট হু?
    - সুনি। হার সিস।
    - আর দে ট্রাইং টু হিল? অর স্টিল ইন ট্রমা?

    -এই পৃথিবীর একটা দীর্ঘ ট্রমার ইতিহাস আছে। মানুষ তার জঙ্গল কেটে বিলাসনগরী বানিয়েছে। নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। শব্দদূষণে সারা আকাশ ভরে দিয়েছে। দিস আর্থ হ্যাজ বিন সাফারিং সিন্স আ লং টাইম। মাটির তলা দিয়ে রেল। স্কাইস্ক্রেপার্স। কোথাও নির্জন নেই। দেখলেই রিসর্ট বানাও, পয়সা কামাও। ইট টেকস টাইম টু হিল। অনেক ডিপ উন্ড।
    কখন এসেছে নিকি। নিঃশব্দে। ওর হুইলচেয়ারের শব্দ হয় না।
    - কখন এলে? বুঝিনি তো?
    নিকি পরেছে মভ লং স্কার্ট।  গোলাপি টপ। ওর সরু বাঁকা পা দ্যাখা যায় না।
    - আমি কখন আসি বোঝা যায় না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ জুন ২০২৩ | ২৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন