এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • দূরে কোথায় ৩৬ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৯ জুলাই ২০২২ | ১২০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • দূরে কোথায় ৩৬

    জানেওয়ালে সিপাহি সে পুছো

    মার্চ মাসের এক বিকেলে কলকাতায় বই মেলার আড্ডায় বসে ক্ষীণাকৃতি কাগজের কাপে চা খাচ্ছি । এমন সময়ে রোদিকার ফোন পেলাম – আমরা কি ইউক্রেনের জন্য দান সংগ্রহ ও বণ্টনের উদ্দেশ্যে  আমাদের বাড়িটা উন্মুক্ত করে দিতে পারি ? আমি বলেছিলাম , কেন আর ভিসা বা পাসপোর্ট লাগবে না ? রসেলিনির রোমা,  চিতা আপেরতা ছবির  মতন রাসটন লজ , ওপেন হাউস?

    দেশে ফিরে দেখলাম ঘরের দশ দিক নানা আকারের প্যাকেজে আচ্ছন্ন ।
     
    মার্চ ২০২২
     

    জুলাই ২০২২
     
     
    লভিভ গামী প্রথম ট্রাক সাজানো হয়েছিলো মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে । শিগগির সহায়তার মুখ ঘুরলো - বরিস জনসন সরকার মোট বাইশ হাজার ভিসা দেবেন , তার মধ্যে অন্তত দু হাজার সারেতে । অতএব প্রয়োজন ইংল্যান্ডের সারে জিলাতেই।  তাঁদের আশ্রয়দাতারা পাবেন সাড়ে তিনশ পাউনড মাসিক ভাতা , আপাতত
    ছ মাসের জন্য। স্থানীয় পৌর সভা গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হল নবাগত বালক বালিকারা যেন কাছাকাছি স্কুলে ভর্তি হতে পারে । ডাক্তারখানা বা জি পি রা এই শরণার্থীদের তন্দুরুস্তির দায়িত্ব নেবেন । চাকরি পেলে নিতে পারেন, বাধা নেই।

    শরণার্থীরা এলেন শূন্য হাতে , অনেকে এক বস্ত্রে । উদ্যোগী ইরিনা ( আদি বাড়ি খারকিভ )  তাঁর স্বামী সাইমন এমনি আরও কয়েকজন মিলে গড়ে তুললেন ইউক্রেনিয়ান হাব – প্রতি সোমবার উওকিং শহরের  নিকটবর্তী  শরণার্থীগণ সেখানে  সমবেত হন : এ দেশের কায়দা কানুন, হাল হকিকত , চাকরির সম্ভাবনা ,  স্কুলের আসন,  ইংরেজি শিক্ষা , বাসের ট্রেনের খবর ,  তৈল লবণ তণ্ডুলের সুলুক সন্ধান ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন ।

    সেখানে তাঁরা রোদিকার নাম নম্বর এবং রাসটন লজ নামক এক অখ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অবগত হন । এ ছাড়া অবিশ্যি নানান ওয়েব সাইটে আমাদের উল্লেখ থাকে।  কোন কোন শরণার্থীকে নিয়ে আসেন  তাঁদের আশ্রয়দাতা কিন্তু তাঁদের নিজের কাজকর্ম  ব্যবসাপাতি আছে । অতএব আমরা কিছু শরণার্থীকে  নিয়ে আসি , তাঁরা নিজেদের মতন জিনিসপত্র খুঁজে জড়ো করলে আবার বাড়ি পৌঁছে দিই ।

    পাঁচ মাস কেটে গেলো । শরণার্থীদের সঙ্গে চেনা জানা হয়েছে । একদিন তাঁরা এসে জামা জুতো খুঁজেছেন । তাঁদের সঙ্গে আজ নিত্যি যোগাযোগ – তাঁদের প্রয়োজনের চেহারা বদলাচ্ছে।  ফিরিস্তি লম্বা । ছেলে মেয়েরা  স্কুলে যায় -   তাদের ইংরেজি,  অঙ্কের বই , আরও ছোটদের জন্য শিক্ষামূলক খেলার বোর্ড , এমনকি লেগো , আসা যাওয়ার সুবিধের জন্য বাইক এবং সম্ভব হলে আই প্যাড, ল্যাপটপ ! আমাদের সাধ্য সীমিত – ভিক্ষার বাসনা সীমাহীন ।  চেয়ে চিন্তে এ যাবত দুটি আই প্যাড এবং তিনটি ল্যাপটপ পাওয়া গেছে

    আমাদের কাহিনি শুনে  নিকটবর্তী গ্রাম ফ্রিমলির এক পৌর পিতা ফোন করলেন। ‘ “ দেখুন এল সালভাদরের শরণার্থীদের জন্যে যদি কিছু করা যায় ।  এঁদের অ্যাসাইলাম পেতে সময় লাগবে । ব্রিটিশ সরকার তাদের কেস ছানবিন করে ঠিক করবেন  তাঁরা  এর যোগ্য কিনা , তাঁদের  দেশে বেজায় অরাজকতা জীবন ধারণ করাটাই অসম্ভব এই সব গল্প ধোপে টেকে কিনা
     
     
    এল সালভাদরের শিশুরা 
     
    ততদিন এঁরা খানিকটা খাঁচার বন্দির মত বাস করবেন , কাজ করে আয় করার অনুমতি নেই ‘। সালভাদরিয়ানদের বাইরে বেরুনোর ব্যাপারে কড়াকড়ি -তাই ফোনে তাদের যা কিছু প্রয়োজন জেনে সাধ্যমত পৌঁছে দিয়ে আসি।

    উওকিং কাউনসিল আরেক শরণার্থীর সংবাদ দিলেন।  আফঘান যুবক শামস- দশ বছর আগে প্রাণের তাগিদে কান্দাহার থেকে ইউক্রেনের খারকিভে  আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি ইলেকট্রনিকের ব্যবসা গড়ে তোলেন, বিয়ে করেন।  এবার আবার যুদ্ধ আবার ধ্বংস ।  আজ তিনি আবার গৃহহারা , এখন সঙ্গে স্ত্রী পুত্র কন্যা।   অভাগা যেদিকে চায়!

    ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ফ্রাঙ্কফুর্টে আমার এক সহকর্মী ছিলেন দিতরিখ লেমান । তাঁর আদি  বাড়ি  গ্লাতস ,  শ্লেজিয়েন ( সাইলেসিয়া ), জার্মানি  -সেটা আমার দেখা। পূর্ব ইউরোপের ডায়েরিতে তার উল্লেখ করেছি ।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে  গোটা  সাইলেসিয়া পোল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত হলে পর সকল জার্মানকে নোটিস জারি করা হল – অবিলম্বে দেশত্যাগ করুন । যাবার সময়ে অবশ্য বাড়ি,  গাড়ির চাবি  স্থানীয় পৌরসভা অফিসে জমা দিয়ে যাবেন । গায়ের গয়না আর গোয়ালের গোরু সঙ্গে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না।

    দিতরিখের পিতা মাতা দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভুক্তভোগী । তাঁরা স্থির করলেন এই পোড়া দেশে আর নয় , পশ্চিম জার্মানির প্রলোভন ভুলে অনেক দূর দেশের জাহাজ ধরলেন – গেলেন পূর্ব আফ্রিকায় , মোজাম্বিক!  সে দেশ তখন পর্তুগিজ উপনিবেশ,  আফ্রিকানদের অবস্থা যাই হোক না কেন পর্তুগিজ সহ অন্য ইউরোপীয় সুখে স্বচ্ছন্দে বসবাস করেন । গোয়া থেকে আগত ভারতীয়রা  দোকানে বসেন । সাগর কিনারের শহর লরেনসো  মারকেস  (আজকের রাজধানী মাপুতো,  পেরি পেরির জন্মভূমি – আমার আফ্রিকা বইতে এর গল্প পাবেন ) গিটারের সুরে আর  মাছের রান্নার গন্ধে গমগম করছে ! বিশ বছরের মধ্যেই সেখানে শুরু হলো রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম , চলল দশ বছর । সালাজার মারা গেলে মোজাম্বিক মুক্ত হলো।

     
    দিতরিখ লেমান ( সাদা শার্ট )  এস বি আই অফিস পারটি  ১৯৮১
     
    লেমানের বাবা ততদিন মারা গেছেন । তাঁর মা বললেন দিতরিখ , লড়াই এড়াতে এতো দূর দেশে এসেছিলাম কিন্তু কি ভাগ্য দেখো আবার সেই খুনোখুনি ! মোজাম্বিক ছেড়ে লেমানরা গেলেন পাশের দেশ – দক্ষিণ আফ্রিকায় । কয়েক বছর ভালো কাটল কিন্তু বাদ সাধলেন নেলসন ! কালো মানুষরা স্বাধীনতার দাবি জানালেন- অশান্তি, স্যাঙ্কশন , নিরাপত্তার অভাব । দিতরিখ পর্তুগিজ শিখেছিলেন মোজাম্বিকে এখন ইংরেজি শিখতে হলো জোহানেসবুরগে ! একদিন দিতরিখ মাকে বললেন অনেক হলো,  চলো যাই আপন দেশে ! ১৯৮০ নাগাদ লেমান পরিবার এলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট , জার্মানি - যেখানে আসার কথা ছিল ৩৫ বছর আগে।

    কে বলেছিল  লাইটনিং স্ট্রাইকস টোয়াইস ?

    সারের স্কুলে যখন বিভিন্ন বয়েসের ইউক্রেনিয়ান ছেলে মেয়েরা ভর্তি হয়েছে-  মায়েদের আশঙ্কা ছিল কতদিন লাগবে এই বিদেশি ভাষায় সড়গড় হতে।  আমরা অনেককে বলেছি , আপনাদের সময় লাগবে কিন্তু এদের নয় ! ছ মাস বড়জোর !
    আমাদের মেয়ে মায়া আড়াই বছর বয়েস অবধি বাড়িতে শুধু রোমানিয়ান বলেছে।  কিনডার গারটেনে তিন মাস কেটেছে কি কাটেনি, দিব্যি সায়েবি উচ্চারণে যে ইংরেজি বাক্যি বলা শুরু করলো ,  চল্লিশ বছরে সে অ্যাকসেন্ট আমার আয়ত্ত হয় নি !  বারো বছরের ছেলে ব্রানিস্লাভ ডিনামো কিভ আর শাখতার দনেতস্ক নিয়ে ইংরেজিতে পাঁচ মিনিট আলোচনা করতে পারে,  এমনকি এডুর গল্পটাও জানে !

     
    ডানদিকে ফুটবলের ভক্ত বনিস্লাভ  
     
     
    এডু নামে আর্সেনালের এক প্রাক্তন খেলোয়াড় শাখতারের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় এমিরেটস মাঠে  পুরনো দলের  বিরুদ্ধে গোল করলে সমর্থকরা তাকেই  সম্বর্ধনা জানায় – আহা, আমাদেরই মাঠে তৈরি খেলোয়াড় তো !

    ইউক্রেনের স্কুলে গরমের ছুটি পুরো তিন মাসের।  কিছু মায়েরা চিন্তিত ছিলেন – ছেলে মেয়েরা এতদিন বাড়িতে থাকলে তাদের সামলাবেন কিভাবে ! জেনে আশ্বস্ত হয়েছেন ইংল্যান্ডে স্কুলের  ছুটি এই দেশের গ্রীষ্মের মতন সীমায়িত , মাত্র ছ সপ্তাহের।

    ষোল বছর অবধি বয়েসি ছেলে মেয়েদের নিয়ে এ  দেশে এসেছেন ইউক্রেনিয়ান মায়েরা,  কোন কোন পরিবারে দাদু  দিদিমা সহ। আঠারো থেকে ষাট বছরের পুরুষেরা থেকে গেছেন দেশ রক্ষার দায়িত্বে। বিগত  মাস চারেক ছেলে মেয়েরা এবং স্ত্রীরা পিতা ও স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন মোবাইল ফোন , হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্কাইপের মাধ্যমে। ইউক্রেন যুদ্ধে ( রাশিয়ান মতে বিশেষ সামরিক অভিযানে) ওয়াই ফাই নামক নিখরচায় যোগসাধনের সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে নি-  আমরা অনেকের সঙ্গে তাঁদের ইউক্রেনিয়ান টেলিফোন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলি।


     
    রাতারাতি সপরিবারে দেশ ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন কোটি কোটি  মানুষ , দুনিয়াতে তার উদাহরণ অজস্র । আমি এই বাংলার ঘটি। পদুমা গ্রামের ভিটে আমার পূর্ব পুরুষের মতো আমিও আবাল্য এসেছি , অন্য লোকে চলে যাবো একদিন , সে ভিটে থেকে যাবে।  দেশ ভাঙ্গা বা দেশ ছাড়ার বিষয়ে মন্তব্য করার কোন  হক আমার নেই । তবু  মনে হয় দেশ ছাড়তে যারা বাধ্য হন তাঁরা হয়তো আর পিছন ফিরে দেখেন না।  যা গেছে তা যাক । প্রবাসীরা সবসময় মুড় মুড়কে দেখেন – তাঁরা স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করেছেন ।

    ইউক্রেনের শরণার্থীরা অন্য রকম - এঁরা সপরিবারে বা স্বেচ্ছায় দেশান্তরে আসেন নি ।  আধখানা সংসার রয়ে গেছে ইউক্রেনে । পুরুষেরা আপন দেশে।  কারো বাড়ি ঘর  আছে, অনেকের নেই - দেওয়াল আছে , জানালা উড়ে গেছে বোমায়। প্রসঙ্গ কঠিন কিন্তু  অনেকেই বলেছেন আমরা এ দেশে থাকতে আসি নি।  অবস্থা ভালো হলেই ফিরে যাব।  আজ পাশের গ্রামের ইরিনাকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিলাম।  তিনি বললেন ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও ভাবি নি যুদ্ধ হবে।  যুদ্ধ শুরু হলে ভেবেছি এ আর কতদিন চলবে।  পাঁচ  মাস কেটে গেলো  – সব সময় ভাবি একদিন ফিরে যাবো।

    বুচা শহরের ভিক্টোরিয়া বললেন ছেলে মেয়েকে নিয়ে দু  দিনের জন্যে হলেও ট্রেনে করে পোল্যান্ড যাবেন । ইংরেজ আশ্রয়দাতা বহন  করবেন টিকিটের ব্যয় । তাঁর স্বামী ইয়ারোস্লাভ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছুটি নিয়ে পশ্চিম সীমান্তের লভিভে এসে স্ত্রী পুত্র কন্যার সঙ্গে দেখা করে যাবেন ।  সেই সংক্ষিপ্ত মিলন ও বিরহের  দৃশ্যটি মনে করতে চাই না । শুধুমাত্র চোখের দেখা দেখে পিতা ,স্বামী ফিরে  যাবেন রণাঙ্গনে।

    ইয়ারোস্লাভ বিদ্যালয়ে ভূগোল পড়াতেন । কখনো বন্দুক হাতে ধরেন নি ।  

    অতি অল্প বয়েসে দেখা চন্দ্রধর শর্মা গুলেরির হিন্দি গল্পের ওপর আধারিত  মণি ভট্টাচার্যের উসনে কহা থা ছবিটির কথা মাথার মধ্যে ঘুরে চলেছে সারাদিন । মনে পড়ে রেলওয়ে স্টেশনের সেই দৃশ্য- স্ত্রী পুত্র কন্যাকে প্লাটফরমে একবার দেখেই ফ্রন্টের ট্রেনে উঠছেন সৈন্যেরা। পটভূমিকায় বাজে  মান্না দের কণ্ঠে সেই অমর  গান – জানেওয়ালে সিপাহি সে পুছো , ওহ কহাঁ যা রহা হ্যায় ।

    ২৮শে জুলাই  ২০২২

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৯ জুলাই ২০২২ | ১২০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kishore Ghosal | ২৯ জুলাই ২০২২ ২৩:৪৬510560
  • Khushwant Singh এর একটা বই পড়েছিলাম - Train to Pakistan - সেও শরণার্থী পাচারের কাহিনী - বইটা পড়ে  মনে হয়েছিল মানুষের মতো এত কদর্য জীব আর কেউ হতে পারবে না - মনে হয়েছিল মিথিক্যাল রাক্ষস-খোক্কস-পিশাচরাও মানুষের তুলনায় বেশ নরম সরম এবং বিবেকবান।  
    বলা হয়, মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ- সে কথা টের পাই - আপনার লেখা পড়ে। 
      
  • Ranjan Roy | ৩০ জুলাই ২০২২ ০০:৩১510563
  • আমেন!
  • guru | 103.175.62.116 | ৩০ জুলাই ২০২২ ০৮:৫৩510564
  • একদম জীবন্ত ছবি এঁকে ফুটিয়ে তুলেছেন হীরেনবাবু |
  • dc | 2401:4900:1f2b:e6cf:d9f1:bc3c:6904:3030 | ৩০ জুলাই ২০২২ ১০:০৪510568
  • হীরেনবাবুর লেখাগুলো পড়তে পড়তে বারবার সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের ডকুমেন্টারিগুলোর কথা মনে আসতে থাকে। সেই নাজি ওয়ার মেশিনের একের পর এক দেশ আক্রমন, ওয়ার ফ্রন্টে দুপক্ষের লাখ লাখ সৈন্যের হতাহত হওয়া, আরও লাখ লাখ পরিবারের রিফিউজি হওয়া, শেষে নাজিদের সম্পূর্ণ পরাজয়। সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পুটিনের আগ্রাসন আর ইউক্রেনিয়ানদের নিজেদের দেশ রক্ষার জন্য মরিয়া লড়াই, রাশিয়ান সৈন্যবাহিনী ইউক্রেনের একেকটা শহর, একেকটা রিজিয়ন ধ্বংসস্তুপে পরিনত করছে আর ইউক্রেনিয়ানরা সেখানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই করছে। সেই ব্যাটল অফ স্ট্যালিনগ্রাড, সেই ব্যাটল অফ ক্রিট ফিরে ফিরে আসে। হয়তো পুটিনের পরিনতিও হিটলারের মতোই হবে, তবে এই যে লাখ লাখ ইউক্রেনের শরণার্থির স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হয়ে গেল সেটা আর তাঁরা ফিরে পাবেন না। তার থেকেও খারাপ, রাশিয়ানদের প্রতি ইউক্রেনিয়ানদের মনে এই যে ঘৃনা তৈরি হলো, এর দীর্ঘমেয়াদি ফল হবে। 
  • ইমানুল হক | 203.171.246.55 | ৩০ জুলাই ২০২২ ১৪:০৪510572
  • ঘরহারা মানুষ ঘর ফিরে পান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন