এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • দূরে কোথায় ৪১ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৪৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • দূরে কোথায় ৪১

    পুতিনের  পেটো

    একটি মহাযুদ্ধের কাহিনি আমাদের সবার জানা । তার নিয়মাবলীর কিছু অংশ  ছিল এই রকম: 

    দুই দল আপন পরিচয়সূচক আভরণ পরিধান করবেন আজকের ফুটবল জার্সির মতো । যুদ্ধের প্রারম্ভ এক বাদ্যযন্ত্র দ্বারা  ঘোষিত হবে।  কাল : প্রভাত  থেকে সূর্যাস্ত অবধি। দিনের শেষে দুই দল একত্র বসে গল্পগাছা করবেন মতন। সেদিনের খেলায় কে কোথায় ভুল তীর ছুঁড়েছে বা ঘোড়াকে রাশ মানাতে  পারেনি তার চর্চা চলবে । সেখানে কেউ কটু কথা বললে প্রতিপক্ষ আরও কটু কথা বলতে পারেন, ক্ষেপে গিয়ে অস্ত্র চালনা করতে পারেন না। অস্ত্র এবং বর্মহীন , ভারবাহক, শরণাগত বা দূত অবধ্য । সেই আড্ডা শেষে সবাই আপন শিবিরে ফিরে গিয়ে পরদিনের প্রস্তুতি নেবেন। ( ১ )

    কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের রণ সংহিতা ঠিক কে প্রণয়ন করেন এবং  ছাপাখানা , ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনসটাগ্রাম আসার এতো দিন আগে সংবিধানের ধারাগুলি কি ভাবে সমবেত সৈন্যদের মধ্যে সম্প্রচারিত করা হয়েছিল তা আজ  বুঝে ওঠা অসম্ভব।
     
    যুদ্ধের এমন ধারা ভদ্র   বিধি বিধান  বেশিদিন টেকে নি । কায়দা কানুন বদলেছে যুগে যুগে। আকস্মিক আক্রমণ,  চোরা গোপ্তা হানা দেওয়াটা  ক্রমশ লড়াইয়ের মূল হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে পড়ে ছয়ের দশকের মাঝামাঝি দেখা টাইম ম্যাগাজিনের একটি সাদা কালো ছবির কভার - একটি লড়াকু সৈন্যের ছায়া মূর্তি, তার পাশে লেখা দুটি লাইন:

    হোঅ্যার বরডারস আর লেস গারডেড , দি এনিমি হারডার টু সি ।

    দেশের নাম ভিয়েতনাম। পরের দশকের  আসন্ন বোমাবাজি,  নির্মম হত্যালীলার ইঙ্গিত ছিল সেখানে।

    সার্বিকভাবে না হোক, রণনীতির ভদ্রতা পরেও দেখা গেছে। আমার জানা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ প্রথম বুওর যুদ্ধ। আফ্রিকানার বনাম ব্রিটিশদের এই ম্যাচে সান্ধ্য বিরতি এবং উইকএন্ডে ছুটি থাকতো।  বুওররা বাড়ি ফিরে স্ত্রীর হাতের  রান্না খেতেন , শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেন। আফ্রিকানার স্ত্রী শত্রু লাইনের অপর পারে তাঁর স্বামীকে চিঠি পাঠিয়েছেন - ব্রিটিশ সৈন্য সসম্মানে সে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে অভীষ্ট মানুষটির হাতে। সম্ভব হলে ইউ টিউবে একটি গান শুনবেন – ‘সারি মারে  ( Sarie marais)’। ট্রান্সভালের এক সৈন্যের আকুল আর্তি।  জার্মানের দৌলতে  আফ্রিকানস  খানিকটা  বোঝা যায়, যদিও অনুবাদ পাবেন। সারি মারের মর্ম বুঝতে  অবশ্য কোনো  ভাষার প্রয়োজন হয় না।

    শোনা যায় রঘু ডাকাত আগেভাগে জানিয়ে দিতেন কখন কার বাড়িতে হানা দেবেন। প্রথম বা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সে ধরণের  সৌজন্য মূলক আচরণ অদৃশ্য  – কেউ আগাম জানিয়ে দেয় নি অমুক দিন রাত্রি সাত ঘটিকায় আপনার গৃহে বোমা বর্ষণ করিব,  প্রস্তুত থাকিবেন। অতর্কিত আক্রমণ  সংগ্রামের  অন্তিম সাফল্য নির্ধারণ করেছে।লন্ডন ব্লিতস বা ড্রেসডেনের অনাবশ্যক বিধ্বংসী আক্রমনের নোটিস আগে ভাগে পাওয়া গেলে  অনেক প্রাণ রক্ষা হতো ।  পরে অবশ্য আয়ারল্যান্ডে টাইম বোমার ঘড়ি চালু করে দিয়ে আই আর এ পুলিশকে ফোন করে জানাতো ওইখানে যেও নাকো বাপু।

    সম্মুখ সমর ইউক্রেনের যুদ্ধে নির্বাসিত ।


    ইউক্রেনের শিশুদের প্রতি রাশিয়ান অভিনন্দন 
     
     

     নিখুঁত নেমেছে রকেট 


    পথ হারিয়ে গোশালায়
     
     
    ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে পুতিনের বিশেষ সামরিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছিল । পুবের দনেতস্ক থেকে পশ্চিমে কিভ পেরিয়ে বারোশো  কিলো মিটার দূরের লভিভ অবধি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধেয়ে এসেছিল ।  উত্তরের প্রতিবেশী  বেলারুশ সেই সংগ্রামে  সহযোগিতা করেছে । কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে বুচা শহরে নরহত্যার নিকৃষ্ট উদাহরণ ফেলে রেখে  রাশিয়ান সৈন্য আবার পুব পানে যাত্রা শুরু করে। পথে একবার বেলারুশের পোস্ট অফিসে  থেমে কিভ , লভিভ থেকে যা লুঠ করা  সম্ভব হয়েছিল সেই সব সামগ্রী তারা কুরিয়ার সার্ভিসের হাতে তুলে দেয় রাশিয়াতে প্রিয়জনের ঠিকানায় পাঠানোর আদেশ সহ।

     খ্রিস্ট বন্দনা -রাশিয়ান স্টাইল 
     
    এই সময়ে সারেতে আমরা যে শরণার্থীদের পেলাম তাঁদের অনেকেই এলেন লভিভ , ঝিতোমির, ভিনিতসিয়া, তেরনোপিল এবং কিভ থেকে। মহামান্য সচিব লাভরভ সূচনা দিলেন – এই তো সবে শুরু।  রাশিয়ান ঝটিকা বাহিনী অতি দ্রুত পশ্চিমে পোল্যান্ডের সীমানায় গিয়ে থামবে।

    আদতে দেখা গেলো আরও দ্রুত গতিতে রাশিয়ান বাহিনী পুব মুখো হয়েছে – ফিরে চল আপন ভূমে , মোদের  শক্ত ঘাঁটিতে - লুহান্সক, দনেতস্ক, মারিউপোল , ক্রিমিয়াতে ।

    এবার রাশিয়ান আক্রমণ প্রকট হলো দূর হতে নিক্ষিপ্ত রকেটের রূপে । তার কতগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে  আঘাত হেনেছে  তা সঠিক জানা যায় নি । তবে নিরাপদ আস্তানায় বসে ছোঁড়া রাশিয়ান রকেট বাহী  বোমা দেখা দিয়েছে অসামরিক মানুষের ঘরবাড়ির জানলায়,  দরোজায়,   হাসপাতালে,  গোশালায় । প্রতিদিন,  প্রতি রাতে সশব্দে সেই সব রকেট নাগরিকের প্রাণ ও শিশুর নিদ্রা হরণ করেছে।  এমন অনেক মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে যারা বলেছেন এদেশে  আসবার পরে আমার সন্তান রকেট বা বোমার শব্দ শুনে জেগে ওঠে না। ঘুমুতে পারে। ঝাপরিঝঝিয়া , মিকোলাইভ,  নিপরো ইত্যাদি শহর থেকে যারা এলেন, তাঁদের কাছে শুনি অনেক বাড়ির দেওয়াল দাঁড়িয়ে আছে, জানলা  নেই। যুদ্ধের সঙ্গে  সরাসরি সম্পর্কবিহীন কোনো প্রকারের সামরিক গুরুত্ব হতে  সম্পূর্ণ  বিচ্ছিন্ন সাধারণ নাগরিকের  জীবন এবং জানলা চুরমার দ্বারা  সামগ্রিক গণভীতি উৎপাদনে সক্ষম মহামতি পুতিন দেশছাড়া করেছেন বহু মানুষকে।  অন্য  কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কিনা সেটা তিনিই জানেন। অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে  ।



    খোলা জানালার পাশে 
     
    ছয়ের দশকের শেষে, সাতের শুরুতে উত্তপ্ত উত্তর কলকাতায় বাস করেছি । পেটো টপকে দেব এমন হুঙ্কার শোনা গেছে নিয়মিত। পেটো কথাটা তখন খুব চালু কিন্তু সুনীতি বাবুর অভাবে তার  উৎস জেনে উঠতে পারি নি। হাত বোমা সুলভ এই বস্তুর ব্যবহারে প্রাণহানি এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির বিনাশ সাধন সম্ভব হলেও  জমি ও জনমত দখল করে কোনো  বিশেষ রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে কায়েমি আসন দেবার প্রয়াস কতদূর সফল হয়েছিল দানি না। তবে গত কয়েক মাসের বিরামবিহীন পাঁয়তারা সত্ত্বেও খুব বেশি জমি রাশিয়ানরা দখল করে উঠতে পারেন নি।আমাদের পরিচিত মহিলারা বলেন সেই  অঞ্চলের কত শতাংশ মানুষ পুতিনের নামে মালা জপেন সেটা ক্রেমলিনের গোপন তথ্য । 

    শনৈশনৈ অগ্রসর ? ছ মাসের রিপোর্ট কার্ড 

    মহামতি পুতিনের এলোপাথাড়ি রকেট ছোঁড়ার ছবি দেখে  পেটো টপকে দেবার কথা মনে হলো। এগুলো অবশ্য বড়ো মাপের , বেশি হানিকারক । আর খেলাটা দমদম ঘুঘুডাঙায় নয় ইউরোপের ঘূর্ণায়মান মঞ্চে চলছে- এই মাত্র তফাৎ।   
     
    একটা দুটো রকেট যদি পথ ভুলে ঝাপরিঝঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম আণবিক রিএ্যাকটরের ওপরে পড়ে শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়া রোমানিয়া বুলগারিয়া হাংগেরী সহ অনেক দেশে শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে। 

    দেশ,  তুমি কার ?

    বছর তিরিশ আগে রিগার  লারিসা আমাকে বলেছিল ‘ আমাদের লাটভিয়ার ভাষা শিখতে হবে এমন কথা শুনছি ! ভাবতে পারো ? আমার কাজে সে ভাষা লাগে না , আমার অফিসে কেউ বলে না, আমার সকল বন্ধু বান্ধব , ডাক্তার,  দরজি,  রাশিয়ান । অতিরিক্ত হিসেবে ইংরেজিটা জানি । লাটভিয়ান শিখে কি হবে ?’  ( ২ )

    লাটভিয়ার জনসংখ্যা উনিশ  লক্ষ, এক তৃতীয়াংশের বেশি  নাগরিক রাশিয়ান ভাষা ভাষী, প্রায় পঁচিশ শতাংশ জন্মসূত্রে বা এথনিক রাশিয়ান।

    অন্য দেশে জিনিসপত্রের আদান প্রদান হয় , মহামতি স্তালিনের খেলা ছিল বাড়ি ঘর সংসার থেকে মানুষকে উপড়ে ফেলে এখান থেকে ওখানে  পাঠানো । জার্মানদের রাশিয়া অভিযান শুরু হতেই  পনেরো দিনের নোটিসে পাঁচ লক্ষ ভোলগা জার্মানদের পুব  দিকে পাঠিয়ে দিলেন গবাদি পশুবাহী  ওয়াগনে – এরা যদি নাৎসি জার্মানির  পক্ষে  হাতিয়ার  তোলে সেই ভয়ে !  তেমনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে পশ্চিমে পাঠালেন নতুন উপনিবেশে - পূব পোল্যান্ডে , বালটিকের তিন দেশে।  রিব্বেনত্রপ / মলোটভের চুক্তি মাফিক (চার্চিল রুজেভেলট সানন্দে সেই  চুক্তির  মান্যতা  সহকারে স্তালিনকে বললেন- হিটলার আপনাকে যা দেবেন বলেছিলেন সেটা আপনি অবশ্যই নেবেন ) ওই তিনটে দেশ তাঁর,  কিন্তু সেখানে নেটিভদের সংখ্যা বেশি ,  রাশিয়ান প্রাণী তেমন বাস করে না। তো অব  ভেজো , টেরেন ভরকে রাশিয়ান ভেজো । ঔপনিবেশকরা এমনটা করে থাকে - যেমন স্প্যানিশরা সারা দক্ষিণ আমেরিকায়,  পর্তুগিজরা ব্রাসিলে , ডাচরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘর বেঁধেছে  তেমনি স্তালিন তাঁর নব অধিকৃত দেশে রাশিয়ানদের পাঠালেন, যাও ঘর গেরস্থালী করো।

    যেমন আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের নির্মূল করে  দেশ দখলের  আনন্দে ট্রিনি লোপেজ ঔপনিবেশকদের জয়ধ্বনি করে গান বেঁধেছিলেন ' দিস ল্যান্ড ইজ ইয়োর ল্যান্ড,  দিস ল্যান্ড  ইজ মাই ল্যান্ড'  ।

    ইংরেজ ফরাসি সাম্রাজ্য গঠনের পরে ভেবে চিন্তে দেশান্তরী হয়েছে ।  উপনিবেশের ধন সম্পদ লুঠ করে নিজগৃহে পাচার করায় তাদের  দক্ষতা অপরিসীম।  মশা মাছি ম্যালেরিয়া নিয়ে  যত্র তত্র  জীবন  যাপনের  ভেতরে  কোন  জোয়া  দ্য ভিভর নেই।

    পঞ্চাশ বছর বাদে রাশিয়ান ভল্লুকের আলিঙ্গন থেকে মুক্তি পেলে লাটভিয়ান জাতীয় ভাষা ঘোষিত হলো। প্রসঙ্গত এটি সংস্কৃত ভাষার কোন ফ্যালনা দুহিতা নয়, লিথুয়ানিয়ানকে  বাদ দিলে  সে অতি নিকট পরিজন  – ছটি কারক বিভক্তি নিয়ে হিমসিম খেতে হয়, তবে দ্বি বচনটা নেই এই যা রক্ষে ।

    স্পষ্টত সে দেশে দুটি সমান্তরাল সমাজ গড়ে উঠেছে ,  এ পাড়ায় লাটভিয়ান ও পাড়ায় রাশিয়ান।  লারিসার সঙ্গে রিগায় হেঁটে বেড়ানোর সময় লক্ষ করেছি পালদিয়েস ( ধন্যবাদ ) ছাড়া কোন লাটভিয়ান শব্দ সে ব্যবহার করে নি।

    আজকের ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই সমাজের মাঝে ফাটলটি দৃশ্যমান।  

    এস্টোনিয়ার মতই লাটভিয়া পঞ্চাশ বছরের স্মৃতি -  তিনশ রাশিয়ান মূর্তি,  স্মারক বেদি বিসর্জনের কাজে নেমে পড়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও রাশিয়ান নাগরিকদের মধ্যে উষ্মা ক্রমবর্ধমান। লাটভিয়া রাশিয়ান গ্যাসের কল বন্ধ করেছে অনেকদিন। ঠাণ্ডায় জমে যাই সেও ভালো , তোমাদের গ্যাস চাই না। 

    ইউরোপীয়  চিন্তন শিবিরের মতামতের অপেক্ষা না রেখেই রিগার সরকার ঘোষণা করেছে  রাশিয়া থেকে লাটভিয়া প্রবেশের জন্য কোন ভিসা মঞ্জুর হবে  না ।  শ্রীমতী মেরকেলের মানসপুত্রী , ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইতিহাসে হয়তো সবচেয়ে অকর্মণ্য প্রেসিডেন্ট  শ্রীমতী উরসুলা ফন ডের লাইয়েন বলে উঠলেন,  আহা করো কি,  করো কি ? সাত পাঁচ , গ্যাস , জার্মানি আগে ভাবো বাছা ! তার পরে দেখা যাবে । হমে সোচনা হ্যায় । চ্যান্সেলর ওলাফ শলতস পুনর্বার মৌন ধারণ করে বোঝালেন এটা  নিতান্ত হঠকারিতা  ! শেষ পর্যন্ত এস্টোনিয়া লাটভিয়া লিথুয়ানিয়া ( তিন দেশ মিলিয়ে মাত্র ষাট লক্ষ মানুষের বাস)  কাল যা করেছে , গনমতের ঠ্যালায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আজ তাই করতে বাধ্য হলো । রাশিয়ানদের  ভিসা বণ্টনে  কড়াকড়ি শুরু হবে শিগগির।

    একেবারে গোড়া থেকে ইউক্রেন ত্রাণে আমাদের সহায়তা করেছেন নাতালিয়া হাগেলিন  নাম্নী এক লাটভিয়ান মহিলা । থাকেন পাশের গ্রাম ব্রুকউডে । ব্রিটিশ ভিসার অপেক্ষায় ফ্রান্সে আটকে থাকা চারজন ইউক্রেনীয় মহিলা ও শিশুদের জন্য আশ্রয় এবং বাসস্থান যোগাড় করেছেন পশ্চিম ইংল্যান্ডের  কাছে  ওয়েস্টন -সুপার -মেয়ারের একটি ফার্ম হাউসে । সে বাড়িতে  প্রায় কিছুই নেই- তাই খাট বিছানা সহ সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী একাই বয়ে নিয়ে গেছেন তাঁর পেল্লায় ভ্যানে। নাতালিয়া বিশ বছর যাবত ব্রিটেনের অধিবাসী । নিজেই সেদিন জানালেন  তিনি এথনিক রাশিয়ান, তাঁর লাটভিয়ান ও রাশিয়ান দুটি পাসপোর্ট । পুতিনের কাণ্ড কারখানা সমর্থন করেন না । যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য যতটুকু পারেন সেটি  করেন । আমি জানি সেটা  সামান্য নয়।  রাশিয়ান পরিচিতি  অজানা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ এ কথা উঠল কেন ?


    নাতালিয়ার ভ্যান
     
    নাতালিয়া মৃদু কণ্ঠে বললেন লাটভিয়ানরা দেশের রাশিয়ানদের  আনুগত্যের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছে । রাশিয়ান মানেই পুতিনের সমর্থক এমনটা ভাবা শুরু হয়েছে।  প্রায় লাখখানেক লাটভিয়ানের শুধু রাশিয়ান পাসপোর্ট আছে , তাদের ওপর আদেশ হয়েছে তোমরা বরং সেই দেশে চলে যাও।  তাঁর তো লাটভিয়ান পাসপোর্টও আছে তবে এ শঙ্কা কেন ?  জন্মসূত্রে রাশিয়ান বলে ?  নাতালিয়া সরাসরি জবাব দিলেন না। তবে জানালেন   ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য দরখাস্ত করেছেন । এ দেশে আছেন দীর্ঘদিন, সেটি পেতে তাঁর বিশেষ অসুবিধে বা বিলম্ব হবে না। পরের বার রিগা বিমান বন্দরে লাটভিয়ান পরিচয় বিসর্জন দিয়ে  ব্রিটিশ নাগরিক রূপে  সীমান্ত অতিক্রম করবেন। 
     
    যেমন আমি দমদমে করে থাকি। 

    ১ সেপ্টেম্বর , ২০২২

    (১)              রাজশেখর বসুর মহাভারত -  নিয়ম বন্ধন (ভীষ্ম পর্ব )
    (২)              ‘উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ’ - লাটভিয়া পশ্য
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৪৬৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kishore Ghosal | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:০৭511589
  • স্যার, দুটি প্রশ্ন আছে, 
     
    ১.  ঝাপরিঝঝিয়ার লোকেশান রাশিয়া সীমান্ত থেকে কত দূরে?
     
    ২.  "অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে"।  
    এ বিষয়ে আমার একটি ভাবনা আছে - জানি না ঠিক কিনা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি প্রতিরক্ষা খাতে একটা বিপুল বাজেট খরচ করে - নিত্য নতুন অস্ত্র সম্ভার বানাতে। আবার উন্নয়নশীল দেশগুলিও প্রতিরক্ষা  খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে উন্নত দেশের থেকে তাদের একটু ব্যাকডেটেড রণ সম্ভার কিনতে (তার সঙ্গে যুক্ত হয় দু পক্ষের দালালদের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কাটমানি উপার্জন)। এর ওপর সারা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলিও সেই অস্ত্র কিনে থাকে। উন্নত দেশগুলির এই অস্ত্র সম্ভার বিক্রি করতে পারলে একদিকে বিপুল লাভ, আর বিক্রি না  হলে, তাদের অস্ত্রভাণ্ডারগুলি ভরে উঠবে পুরোন অস্ত্রের জঞ্জালে এবং সমস্যা হবে নতুন অস্ত্র রাখতে। এই কারণেই সারা বিশ্ব জুড়ে আজ  সন্ত্রাস ও যুদ্ধ-যুদ্ধ বজ্জাতি। 
    আমি নিশ্চিত নই , কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানবেন, বিগত কয়েক বছরে রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রি - আমেরিকা, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশের তুলনায় হয়তো অনেকটাই কমে গেছে। সেই কারণেই এই যুদ্ধের উদ্যোগ - এতে দেশের মানুষের দেশাত্মবোধ চাগিয়ে তোলা গেল, আর পুরোনো পচা অস্ত্রগুলিও অস্থানে ব্যবহার করে খরচা করে ফেলা গেল। পরের ফিনান্সিয়াল বছরে, প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় আরেকটু বাড়লেও  দেশের মানুষ ঐ দেশাত্মবোধে হাসিমুখে মেনে নেবে।  
       
  • হীরেন সিংহরায় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:০৯511592
  • ১। ঝাপরিঝঝিয়া থেকে পুব দিকে  রাশিয়ান সীমান্ত হাজার কিলোমিটার , দক্ষিণ পশ্চিমে মলডোভা ৬০০ , রোমানিয়ান সীমান্ত ৭৫০ কিলোমিটার । এটা কোন নিরাপদ দূরত্ব নয়- হাওয়ার গতি এবং লক্ষ্য অনুযায়ী  রেডিয়েশনের বিষাক্ত বায়ু অনেক দূর অবধি ছড়িয়ে পড়তে পারে ।  চেরনোবিল  আণবিক রিঅ্যাকটরের বিস্ফোরন ঘটে  ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল।দু দিন বাদে হাজার কিলোমিটার দূরে সুইডেনের ফরস্মাক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে অস্বাভাবিক রেডিয়েশন লেভেল ধরা পড়ে ।  সুইডেনে  তার কোন সূত্র না পেয়ে  সুইডিশ সরকার সন্দেহবশত   সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা আমতা আমতা করে বলেন একটা কিছু ঘটেছে চেরনোবিলে। ইউরোপের বহু দেশে তখন সেই রেডিয়েশন ছড়িয়েছে।  ইতিহাসে আণবিক রিঅ্যাকটরে সবচেয়ে বড়ো দুর্ঘটনাকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ধামাচাপা দেবার প্রয়াস করে।- প্রায় তিন দিন বাদে তাঁরা স্বীকার করেন ।  ফলে এখন অনেকে ভয় পাচ্ছেন আরেকটি চেরনোবিল হয়তো আসন্ন।   
     
    অনেকের মনে থাকতে পারে ২০১০ সালে আইসল্যান্ডের আইয়াফালাইওকুল আগ্নেয়গিরি থেকে  উদ্গত  ছাই ও ধোঁয়া সারা পশ্চিম ইউরোপের বিমান উড়ানকে কয়েকদিন  স্তব্ধ করে রেখেছিল। ব্রিটেন সহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি থেকে এই আগ্নেয়গিরির দূরত্ব প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার ।  হওয়া কা রুখ -  সে কোনদিকে কোথায় চলে যায় কে জানে ! 
     
    ২। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তী কালে রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ  ( আমেরিকা , রাশিয়া, ফ্রান্স ,  জার্মানি ব্রিটেন )  । কেনে কারা ? টপ লিস্টে আছে ভারতবর্ষ , সৌদি , মিশর , চিন এবং অস্ট্রেলিয়া । সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পরে বিক্রি কমে নি । সর্বশেষ  তথ্য অনুযায়ী  রাশিয়ার বাৎসরিক অস্ত্র রপ্তানির  ১৫ কোটি ডলার । আমি কিঞ্চিৎ ব্যঙ্গ সহকারে বলতে চেয়েছি করদাতার অর্থে নির্মিত এই  রকেট গুলি  আজ ইউক্রেনের হাটে মাঠে বিসর্জন না দিয়ে রপ্তানি করলে দু পয়সা হতো ! 
  • guru | 103.135.229.141 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:১৭511600
  • হীরেনবাবু খুবই ভালো হচ্ছে চালিয়ে যান |
     
    আচ্ছা একটা কথা এই যুদ্ধ চললে ইউরোপের একটি লাভ হবে যেহেতু তারা ইউক্রেইন্ থেকে অনেক সাদা চামড়ার ইমিগ্র্যান্ট পাবেন প্রায় বিনা মূল্যে | আপনার UK তে তো শুনেছি বন্যাক্রান্ত পাকিস্তানী ইমিগ্র্যান্ট দের তুলনাতে উক্রেইনের সাদা চামড়ার নীল চোখের ইম্মিগ্রান্টদের সংখ্যা অনেক বেশি | তাহলে তো যত যুদ্ধ চলবে ইউক্রেইন্ এর মধ্যে UK এর তত বেশী লাভ | কি বলেন আপনি ?
  • হীরেন সিংহরায় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫৫511602
  • শ্রী গুরু 
     
    ইউক্রেনে যুদ্ধ আরম্ভ হলে পর মানবিকতার কারণে বাকি ইউরোপ ছিন্নমূল শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে  । এতে  ইউ কের লাভ কতটা হবে বলা শক্ত । পরিবার পিছু সরকার মাসে সাড়ে তিনশ পাউনড দিচ্ছেন । নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শরণাগতদের  ৯৫ %  মহিলা এবং আঠারো বছরের কম বয়েসি  ছেলে মেয়ে। এরা সত্বর কর্মী বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না । এটার পেছনে কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছিল বলে জানি না। ইউ কে দু লক্ষ শরণার্থীর ভিসা দেবেন বলেছেন , এক লক্ষ এ যাবত এসেছেন। আবার আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি- বেশ কিছু মানুষ ফিরে যেতে চাইছেন। 
     
    বাকি ইউরোপের কতকগুলি সংখ্যা তুলে ধরতে পারি 
     
    দেশ                           গৃহীত ইউক্রেনীয় শরণার্থী 
     
    পোল্যান্ড                        ১১ লক্ষ
     
    জার্মানি                          ৮ লক্ষ
     
    চেক                               ৩.৫ লক্ষ
     
    স্লোভাকিয়া + রোমানিয়া     ১.৫ লক্ষ
     
    ইউরোপের সবচেয়ে গরিব দেশ মলডোভা ( জনসংখ্যা ২৭ লক্ষ) ৫ লক্ষ ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। লাভ লোকসানের কথা না ভেবেই । 
     
     
  • guru | 103.151.156.158 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫২511611
  • হীরেনবাবু আমি নিজে মনে করি পূর্ব পৰিকল্পনা না থাকলে এতো বড়ো একটা যুদ্ধ এতদিন ধরে চলতে পারতোনা |
     
    আপনি নিজে যে সংখ্যাগুলি ইউক্রেইন্ এর শরণার্থীদের দিলেন সেটা প্রায় ৩০ লক্ষ্য এর মোটামুটি বলা যায় | এদিকে পাকিস্তানে গত কয়েকদিনে বন্যাতে প্রায় ৩ কোটি লোক গৃহহীন যে সংখ্যাটি আপনার দেওয়া ইউক্রেইন্ এর শরণার্থী সংখ্যার প্রায় ১০ গুন (খুব রাফ এস্টিমেট করলাম ) আমি পাকিস্তানের বন্যার ব্যাপারে সঠিক বলছি কিনা যাচাই করবার জন্য চাইলে আপনি আপনার পুরোনো সহকর্মী শওকত আজিজের সঙ্গে কন্ফার্ম করে নিতে পারেন | 
     
    এখন ঘটনা হলো যে ইউরোপ ও আম্রিকাতে ইউক্রেইন্ এর শরণার্থীদের দাম একটু বেশি হবে পাকিস্তানের বন্যাপীড়িতদের তুলনায় কারণ চামড়ার রং , চুলের রং চোখের মনির রং ও সর্বশেষ ব্যাপার ধর্ম এটা ঘটনা | 
     
    সেই কারণেই বোধহয় ইউরোপ বা আম্রিকাতে উক্রাইনের যতটুকু গুরুত্ব , পাকিস্তানের বন্যার গুরুত্ব (যদিও তাতে ক্ষতি অনেক বেশি ) আরো অনেক কম | 
     
     
     
     
  • হীরেন সিংহরায় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৫৪511618
  • শ্রী গুরু 
     
    প্রথমেই বলি ইউক্রেনের শরণার্থীদের যে সংখ্যাটি দিয়েছি সেটি সম্পূর্ণ নয় । রাশিয়া বাদে ( তারাই সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে) যে সব দেশ অধিক সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিলো তাদের  কথাই বলেছি। । ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ এবং রাশিয়া যোগ করলে উদ্বাস্তুর মোট সংখ্যা ৫০ লক্ষের বেশি। ইউক্রেনের ভেতরে তার  দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ গৃহ হারা হয়ে পুব থেকে পশ্চিম ইউক্রেনে আশ্রয় খুঁজেছেন। ইউ এন এইচ সি আরের হিসেবে মোট দেড় কোটির বেশি মানুষ ঘর হারিয়েছেন। এই শরণার্থী স্রোত পূর্ব পরিকল্পিত ছিল কিনা সে বিষয়ে আমার কোন মতামত নেই।
     
    পাকিস্তানের বন্যায় দুর্গত মানুষের অংকটি মিডিয়ার যথাযথ বিবৃত করেছে বলে মনে করি। । এখানে কোন দ্বিতীয় অভিমত নেওয়ার কারণ দেখি না। 
     
    গত ছ মাসে ইউক্রেন ত্রাণ সংগ্রহ এবং বণ্টনে  দেড়শো  জন মহিলা এবং  তাঁদের সন্তানদের দেখেছি । মাত্র  তিন জন ষাটের বেশি বয়েসের পুরুষের সাক্ষাৎ পেয়েছি। তাঁদের সকলের গায়ের চামড়া , চুল এবং চোখের মনির রঙ এক নয়। ধর্মেও কিঞ্চিৎ ভেদ আছে।এরা মানুষের সন্তান ।  এই শরণার্থীদের দাম ঠিক কি ভাবে নির্ণীত হয় তা আমার জানা নেই ।জানবার আগ্রহ নেই। 
     
    আমরা একই সঙ্গে  এই অঞ্চলে আগত এল  সালভাদর , আফঘান ও সিরিয়ান শরণার্থীদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি সাধ্যমত । তাঁদের চামড়া চুল ও চোখের মনির রঙ ঠিক লক্ষ্য করি নি । এদের কার কতো দাম তাও জানি না। 
  • guru | 103.211.20.81 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১৪511641
  • হীরেনবাবু আমি আপনি ইউক্রেইন্ এর যুদ্ধপীড়িত শরণার্থীদের জন্য যা করছেন তাকে আগেও অকুন্ঠ সমর্থন করেছি ও এখনো করছি |
     
    আমি আফ্রিকার উপরে আপনার ইতিহাস বইটি পড়েছি আমি আপনার মানবদরদী ভূমিকা নিয়ে ভীষণ ভাবেই সমর্থন করি |
     
    আমি আগের পোস্টটি  আপনাকে নিয়ে নয় আসল আম্রিকা ও ইউরোপের রাষ্ট্রযন্ত্রের আচরণ নিয়েই করেছিলাম তারা ইউক্রেইন্ ও পাকিস্তানের বিপর্যয়ের গুরুত্ব কিভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে সেই ব্যাপারটি নিয়েই |
     
    দেখুননা পাকিস্তানের বন্যাপীড়িত সংখ্যা উক্রাইনের থেকে অনেক বেশী , উক্রেনের দেড়কোটির পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত , উপমহাদেশের সভ্যতার যে সবচেয়ে প্রথম নিদর্শন সেই মহেঞ্জোদড়ো সেটিও প্রায় জলের তলাতে , সম্পূর্ণ ক্ষতি প্রায় ১৩ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার এর মতো , অথচ আম্রিকা ও ইউরোপ সহায়তা করতে চাইছে মাত্র ১০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের | যেইখানে উক্রাইনের জন্য মাত্র ৩ দিন আগেই বিডেন প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের শুধু অস্ত্র সাহায্য ঘোষণা করেছে |  এই বৈষম্য টা আমি মনে করি চামড়ার রং , চুলের রং চোখের রং এবং ধর্ম এই সব কিছুই থেকে এসেছে |
     
    আপনার আফ্রিকার উপর বইটিতে আপনি হেরেরো দের উপরে জার্মান রাষ্ট্রের যে ব্যবহারের কথা বলেছেন তার পরে মনে হওয়া এটাই খুবই স্বাভাবিক যে চামড়ার রং , চুলের রং চোখের রং এবং ধর্ম এই সব দেখেই আম্রিকা ও ইউরোপের রাষ্ট্রযন্ত্রের আচরণ তৈরী হয় | সেই জন্যই বোধহয় বোধহয় ইউক্রেইন্ শুধু মানুষ মারার জন্য ৩ বিলিয়ন ডলার অন্যদিকে মহেঞ্জোদড়োর জন্য কোনো কিছুই প্রায় পাওয়া যায়না |
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:১৯511646
  • শ্রী গুরু 
     
    আপনার ৩/৯ তারিখের বার্তায় আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন 
     
     
    আমি পাকিস্তানের বন্যার ব্যাপারে সঠিক বলছি কিনা যাচাই করবার জন্য চাইলে আপনি আপনার পুরোনো সহকর্মী শওকত আজিজের সঙ্গে কন্ফার্ম করে নিতে পারেন | 
     
    দুনিয়ার কোন সংবাদ মাধ্যম হয়তো সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নয় তবু আমি সাধ্যমত বিভিন্ন সূত্র থেকে খবরাখবর সংগ্রহ করে থাকি । জনাব শাউকত আজিজকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করার যে উপদেশ আপনি দিয়েছেন  সৌজন্যের কারণে আমি তা থেকে বিরত থাকব । বরং আপনাকে পরামর্শ দিতে পারি তাঁর আত্মজীবনী ( ফ্রম ব্যাংকিং টু দি থরনি ওয়ার্ল্ড অফ পলিটিক্স ) পড়ুন । 
     
    এখন ঘটনা হলো যে ইউরোপ ও আম্রিকাতে ইউক্রেইন্ এর শরণার্থীদের দাম একটু বেশি হবে পাকিস্তানের বন্যাপীড়িতদের তুলনায় কারণ চামড়ার রং , চুলের রং চোখের মনির রং ও সর্বশেষ ব্যাপার ধর্ম এটা ঘটনা | 
     
    শরণার্থীদের দাম কিভাবে নির্ণীত হয় সেই ফরমুলা আমি আপনার কাছে জানতে চেয়েছি । এঁরা কেউ স্বেচ্ছায় ইউক্রেন ছেড়ে আসেন নি । আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাকি ইউরোপ আপাতত ৯২% মহিলা ও শিশুদের ভরন পোষণের দায় বহন করছে। বর্তমানে ইউরোপের এখানে ওখানে ৬০  লক্ষ  সিরিয়ান আফঘান শরণার্থী আছেন । এক জার্মানি গত কয়েক বছরে ১৩ লক্ষ সিরিয়ান / আফঘান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে , তাদের চামড়া চুল ও চোখের মনির বর্ণ বিশ্লেষণ করে নি ।ধর্মেরও নয়। 
     
    আমাকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে আপনি লিখেছেন 
     
    আচ্ছা একটা কথা এই যুদ্ধ চললে ইউরোপের একটি লাভ হবে যেহেতু তারা ইউক্রেইন্ থেকে অনেক সাদা চামড়ার ইমিগ্র্যান্ট পাবেন প্রায় বিনা মূল্যে | আপনার UK তে তো শুনেছি বন্যাক্রান্ত পাকিস্তানী ইমিগ্র্যান্ট দের তুলনাতে উক্রেইনের সাদা চামড়ার নীল চোখের ইম্মিগ্রান্টদের সংখ্যা অনেক বেশি | তাহলে তো যত যুদ্ধ চলবে ইউক্রেইন্ এর মধ্যে UK এর তত বেশী লাভ | কি বলেন আপনি ?
     
    সাদা চামড়ার ইমিগ্রানট ইউরোপ কি বিনামূল্যে পেয়েছে বলে আপনি মনে করেন ? প্রতি দেশ তাদের খরচা বহন করছে । এই সব ইমিগ্রানট কর্মী বাহিনীতে যোগ দিতে অক্ষম। আমরা সবাই তাদের খরচা বহন করছি। 
     
    এ দেশে পাকিস্তানি অরিজিনের ১২ লক্ষ মানুষ বাস করেন । এ যাবত এক লক্ষ ইউক্রেনের শরণার্থী ইউ কে তে এসেছেন।সরকারি হিসেব অনুযায়ী  বন্যাক্রান্ত পাকিস্তানির সংখ্যা তিন কোটি । এক লক্ষ শরণার্থী ও তিন কোটি বন্যাক্রান্তের  মধ্যে কোন সংখ্যাটি বৃহত্তর সেটা আমাকে বোঝাবেন ? 
     
    যত যুদ্ধ চলবে ইউক্রেনের মধ্যে ইউ কে এর তত বেশি লাভ 
     
    আমাদের মত করদাতারা লক্ষাধিক শরণার্থীর ব্যয় বহন করছি। এতে ইউ কের  কোথায় কি লাভ হচ্ছে বা হবে সে বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই। 
     
    সবশেষে , যত সামান্য হোক আমাদের মতন সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বন্যা ত্রাণে যে চাঁদা দিয়েছি  তার পরিমাণ গতকাল অবধি তেরো লক্ষ পাউনড ( প্রায় ৩৪ কোটি পাকিস্তানি টাকা)। 
     
    আপনি কি পাকিস্তানের বন্যাত্রানে কোন অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন ? 
     
     
     
     
  • দীপক | 2405:8100:8000:5ca1::2a0:425f | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:০৪511647
  • হীরেন,
    আপনার লেখাগুলি আমি পড়ি, ভাল লাগে। আমিও কর্মসূত্রে প্রায় দেড় দশক কাটিয়েছি পূর্ব মধ্য ইউরোপে, কখনও একটানা, কখনও বিচ্ছিন্নভাবে, আশি-নব্বই এর দশকে। আপনার লেখার সঙ্গে একাত্মবোধ করি।
    ধন্যবাদ।
    দীপক
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪৮511649
  • দীপক
     
    অশেষ ধন্যবাদ। আমার আনাগোনা ১৯৯২ তে শুরু। সে একটা অসাধারন সময় ছিল । আপনি নিজে তা দেখেছেন । যতটুকু মনে আছে ভুলে যাবার আগে লিখে যাই! 
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:৫৯511650
  • সত্যি। ৯০ এর দশকের শুরুটা হয়তো ১স্ট আর ২ন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার বাদ দিলে দুনিয়ার অন্যতম সবথেকে ঘটনাবহুল অধ্যায়। বার্লিন ওয়াল ভেঙে যাওয়া - দুই জার্মানি মিলে যাওয়া , আইরন কার্টেন ভেঙে পড়া , পুরো ইউরোপের ম্যাপ পাল্টে যাওয়া , ইরাকের কুয়েত দখল করা আর তার জবাবে ১স্ট গালফ ওয়ার - যুদ্ধের শুরুতে তেলের দাম আকাশ ছোয়া আবার তার কয়েক বছরের মধ্যে ১০ ডলারে নেমে আসা। হয়তো তখন ও সব বোঝার বয়স হয়নি আমাদের- চাকরি জীবন শুরু করি সেই দশকের মাঝের থেকে। অবশ্য এখনো বুঝিনা কিচ্ছুই ।  :) কিন্তু অদ্ভুত ড্রামাটিক পিরিয়ড একটা সেই চার পাঁচ বছর। 
     
    ছোটোখাটো সব ঘটনা সবসময় ঘটতেই থাকে আমাদের চাদ্দিকে। কিন্তু লেস ইমপ্যাক্টফুল বলে সঙ্গে সঙ্গে হয়তো বুঝতে পারিনা। ৯০ এর শুরুর দশক সেদিক দিয়ে সব মেজর ইমপ্যাক্ট এর সাক্ষী। 
     
    হিরেনবাবুকে অনুরোধ (জাস্ট ব্যাক্তিগতই- আপনি নিজে যেভাবে ভাবেন সেভাবেই লিখুন)। কিছু কিছু নিক এর পোস্ট ইগনোর করলেই  হয়তো ভালো। খোলা পাতায় কাউকে আটকানোর উপায় নেই - দরকারও নেই হয়তো। তাই যে যার মতো মতামত দিয়ে যেতেই পারেন। তবে যে বিশেষ নিক থেকে পুতিন আপলোজিস্ট এর মুখোশ পরে আপনার লেখাগুলোকে সাইড ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে সেই একই নিক থেকে আগে তালিবান দের প্রতি ডাইরেক্ট সমর্থনও দেখা গেছে। সুতরাং তাদের উদ্দেশ্য হয়তো সহজেই অনুমেয়। লোকানোর চেষ্টা থাকলেও ফান্ডামেন্টালিস্ট চিন্তাধারা লোকানো সোজা নয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 2600:8802:5510:cd00:4bc5:5662:4e08:923a | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৩৬511651
  • ইউরোপ রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার জন্য কি কি করছে? 
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:c2cb:ab06:8b15 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৭511653
  • গুরু নিক থেকে যিনি লেখেন তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। ওনার সব কথার জবাব বোধায় না দিলেও চলে। 
  • guru | 146.196.44.136 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৩১511654
  • হীরেনবাবু আমার আপনাকে আহত করার কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা |
     
    আমি আপনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী |
     
    আপনার আর্তের সেবায় যা অনুদান তাতে আমি আগেও সমর্থন করেছি এখনো সমর্থন করছি |
     
    আপনি একজন উদার হৃদয় মানবতাবাদী বিশ্বনাগরিক |
     
    যদি কোনোভাবে আপনাকে আঘাত করে থাকি সেইজন্য আমি আবার বলছি আমি আপনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী |
  • guru | 146.196.44.136 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৩৭511655
  • @ডিসি 
     
    তা ঠিক আমি মানসিকভাবে অসুস্থ |
     
    "বরং জেলেন্সকির সাথে নেলসন ম্যান্ডেলার তুলনা করা যায়, যদিও দুজনের পদ্ধতি ভিন্ন।"
     
    আসলে আপনার জেলেনস্কি ও ম্যান্ডেলাকে এক আসনে বসিয়ে এই পোস্টটি দেখার পর থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি |
  • guru | 146.196.44.136 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:০৭511656
  • @পলিটিশিয়ান
     
    খুব ভালো একটি লিংক পাঠিয়েছেন |
     
    এই নিচের ৩ টি প্যারাগ্রাফ একেবারে স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দেয় ইউরোপের মনোভাব |
     
    In the midst of the Ukrainian refugee crisis, the French news outlet finally ran a story that involved "Arab refugees." However, it did not specify which ones. Nor did it extend the journalistic care or humanizing storytelling given to Ukrainian refugees. Rather, it referred to them as an indistinguishable monolith, tethered to the hateful voice of far-right presidential candidate Eric Zemmour, who said, "If they [Ukrainian refugees] have ties to France, if they have family in France... let's give them visas."

    Zemmour then compared them and continued about "Arab or Muslim immigrants," stating, "There are people who are like us and people who unlike us. Everybody now understands that Arab or Muslim immigrants are too unlike us and that it is harder and harder to integrate them."

    For media outlets, mention of “Muslim immigrants” is relegated to the reoccurring theme of inassimilable aliens – not real humans in need of a safe haven.
  • guru | 146.196.44.136 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:০৯511657
  • হীরেনবাবু আমার আপনাকে আহত করার কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা |
     
    আমি আপনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী |

     
    আপনার আর্তের সেবায় যা অনুদান তাতে আমি আগেও সমর্থন করেছি এখনো সমর্থন করছি |
     
    আপনি একজন উদার হৃদয় মানবতাবাদী বিশ্বনাগরিক |
     
    যদি কোনোভাবে আপনাকে আঘাত করে থাকি সেইজন্য আমি আবার বলছি আমি আপনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী |
  • হুলো | 2405:8100:8000:5ca1::b3:577a | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:২১511660
  • টিপিকাল জামাতি এইটা। এখন ম্যাও ম্যাও করেই যাবে যাতে পরে আবার আস্তে করে লেজ বের করতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন