এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • ধর্মাধর্ম - প্রথমপর্ব / ২য় ভাগ

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ১২ মার্চ ২০২২ | ১৯৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ১.২ আগুনের সীমিত ব্যবহার
     
    দুটো পাথরে ঠোকাঠুকি করলে ছোটখাটো যে আগুনের ফুলকি দেখা যায়, তা দিয়ে কিন্তু আগুন জ্বালানো যায় না। আগুন জ্বালানোর জন্য অনেক বড়ো ফুলকির দরকার হয়, আর যে দুটো পাথর ঘষে আগুন জ্বালানোর মতো ফুলকি তৈরি করা যেত তারা প্রধানতঃ হল ফ্লিন্ট (Flint) আর পাইরাইট (Pyrite) পাথর। এই পাইরাইট যদি লোহা মিশ্রিত হয়, তবে তার ফুলকি হয় সবচেয়ে জোরদার। চক বা চুণাপাথরের (Lime stone) মধ্যে কেলাসিত (crystallized) একটি বিশেষ কোয়ার্জ (Quartz) পাথরকে ফ্লিন্ট বলে। 
     

     
    উপরের ছবিটি প্রস্তর যুগের একটি ফ্লিন্ট পাথরের অস্ত্র[1]।  এই ফ্লিন্ট পাথরের বিশেষত্ব হল, একটা বিশেষ দিক থেকে আঘাত করলে, বেশ পাতলা, মসৃণ অথচ শক্ত স্তরে ভেঙে যায়। তারপর একটু ঘষাঘষি করলে, পাথরের ধারালো অস্ত্র বানিয়ে তোলা যেত সহজেই। প্রস্তর যুগের মানুষেরা যখন পাথরের অস্ত্রশস্ত্রই বহুল ব্যবহার করত, তাদের কাছে ফ্লিন্ট পাথরের অস্ত্র ছিল সব থেকে কাজের জিনিষ। আর পাইরাইট একধরনের খনিজ পাথর, প্রধানত লোহা বা তামার সালফাইড; পাললিক (sedimentary) পাথরের স্তরে মাঝে মধ্যেই পাওয়া যায়। বহুদিন পরে মানুষ যখন লোহা আবিষ্কার করতে পেরেছিল, তখনও লোহা আর এই ফ্লিন্ট পাথরের ঘর্ষণে আগুনের ফুলকি ব্যবহার করেই আগুন জ্বালাত। সত্যি বলতে... 
     
    "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থাকারে প্রকাশিত। প্রকাশক - গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন।  
     
     
    আলোচনা করা যাবে এই আবিষ্কারের আশ্চর্য ফলাফলের।

    ১.২.১ দাবানলের অভিজ্ঞতা
    এবার আমি পৌঁছে গেছি আজ থেকে পঞ্চাশ - পঞ্চান্ন হাজার বছর আগের এক রাতে। ছোট্ট এক পাহাড়ের মাথায় বসে, পাহাড়তলির জঙ্গলে আমি ভয়ংকর এক দাবানল দেখছি। আমার সামনে বেশ বড়ো একটা গুহা আর তার সামনে অনেকটা সমতল জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে হোমো স্যাপিয়েন্স প্রজাতির একটি বড়ো দল। ছেলে-মেয়ে, ছোকরা-ছুকরি, প্রৌঢ়া-প্রৌঢ়, বুড়োবুড়ি সবাই বসে বসে নিরীক্ষণ করছে, নিচের অরণ্যের তাণ্ডব দহন। চোখ ঝলসানো কমলা রঙ আর তার সঙ্গে উজ্জ্বল হলুদের লকলকে শিখায় আকাশের গায়েও যেন আগুনের রঙ ধরেছে। ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী বয়ে তপ্ত বাতাস আমাদের শরীরেও মাঝেমাঝে জানান দিয়ে যাচ্ছে ওই আগুনের তীব্রতার আঁচ।
     
    ছোট বড়ো গাছের কাণ্ড আর ডালপালা দাউ দাউ আগুনে ফট-ফট, মটমট শব্দে ফাটছে। তাদের ডালে ডালে বাসা বেঁধে থাকা পাখিরা তীব্র ভয়ে ডাকতে ডাকতে উড়ে পালাচ্ছে। আর কত পাখি যে বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরে পড়ছে আগুনের মধ্যে, তার কোন হিসেব নেই। জঙ্গলের জন্তু জানোয়ারেরাও চিৎকার করতে করতে দিশাহারা হয়ে দৌড়চ্ছে। কত প্রাণী জ্বলতে জ্বলতে পড়ে গেল আগুনের মধ্যে, তারও কোন ইয়ত্তা নেই।  তপ্ত বাতাস বয়ে আনছে তাদের মরণ আর্তনাদের আওয়াজ, আর রোম ও চামড়া পোড়া উৎকট গন্ধ। সে আওয়াজ আর গন্ধ মৃত্যুভয়ের কাঁপন তুলছে মানুষগুলোর পাঁজরেও। ওই আগুন উঠে এসে ছোট্ট এই পাহাড়ের মাথার বসতিকেও গ্রাস করে নেবে না তো? তাঁরাও কী নিচের ওই জন্তু জানোয়ারের মতো চিৎকার করতে করতে ঝলসে পুড়ে মারা যাবেন?
     
    সারারাত পুরো দলটা দু চোখে আতঙ্ক নিয়ে তাকিয়ে রইলেন নিচের আগুনের দিকে। অবুঝ শিশুরা ছাড়া কেউই ঘুমোনোর কথা ভাবতেও পারেননি। এই দলের প্রবীণতম মানুষটিও ঠায় বসেছিলেন গুহামুখের বাইরে। নিঃশব্দে তাকিয়ে ছিলেন নিচের জঙ্গলের দিকে।
     
    তেমন কোন বিপদ অবিশ্যি ঘটল না। শেষ রাতের দিকে আগুন ঝিমিয়ে এল, যদিও অজগর সাপের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠছিল সর্বত্র। মধ্যবয়স্ক এক মানুষ, খুব ক্লান্তির মধ্যেও স্বস্তির সুরে বৃদ্ধকে বললেন, “এবার মনে হচ্ছে, আগুনটা নিভে যাওয়ার মতো হয়েছে, তাই না বাবা?”
    এই বৃদ্ধের পাঁচ পুত্র, সাত কন্যা। তাদের মধ্যে তাঁর বড়ো কন্যাই এই দলের নেত্রী। তিনি রাতজাগা 
     
    "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থাকারে প্রকাশিত। প্রকাশক - গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন।  
     
     তাঁদের। দলনেত্রী কিছুটা অধৈর্য হয়েই জিজ্ঞাসা করলেন, “খিদে পেয়েছিল তো নিচেয় গিয়েছিলি কী করতে?”

    ১.২.২ ঝলসানো মাংসের স্বাদ
     
    কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে থেকে, তরুণ বলল, “ভীষণ খিদে পেয়েছিল, বিশ্বাস করো মাসি। কিন্তু চারদিকে কিচছু ছিল না খাবার মতো। একটা ফল, একটা কন্দ, এমনকি এতটুকু শাকপাতাও নয়। এধারে ওধারে পড়ে আছে অজস্র পশুর দেহ - পোড়া, ঝলসে যাওয়া। তাদের গায়ে লোম নেই, চামড়া নেই। 
     
     
    মেয়েদুটির কাঁধে ভর রেখে গুহার দিকে হাঁটতে হাঁটতে সেই বৃদ্ধ তখনো বলে চললেন, “ওই ছোঁড়াকে দূর করে দে দল থেকে! দলের ভালো চাস তো এরকম দুরাচারকে প্রশ্রয় দিস না। হতভাগাকে শেয়ালে শকুনে ছিঁড়ে খাক, ওই হবে ওর সঠিক শাস্তি। তা নাহলে এই দলের প্রত্যেকে মরবে - জ্বলে ছাই হয়ে যাবে সব্বাই...”।
    বৃদ্ধ পিতার গুহার ভেতরে না যাওয়া পর্যন্ত, দলনেত্রী কোন কথা বললেন না। তারপর বোনপোকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুই ওই পোড়া মাংস খেলি? তোর ভালো লাগল?  কাঁচা টাটকা রক্ত মাংস ছাড়া অন্য কোন মাংস খাবার কথা আমি তো ভাবতেই পারি না”! প্রৌঢ়া নেত্রীর কথা সব্বাই সমর্থন করল, অনেকে সেই যুবককে উপহাস করে বলল, “তাই না বটে, পোড়া মাংস আবার কেউ খায় নাকি? থুঃ থুঃ। কোন পশুকেও কোনদিন পোড়া মাংস খেতে দেখিনি। তুই তো পশুরও অধম হয়ে গেলি!”।
     
    প্রৌঢ়া নেত্রী হাত তুলে সবাইকে চুপ করার আদেশ দিলেন, সবাই থামলে তিনি বললেন, “আমি অবশ্য অতটা বিরুদ্ধে যেতে চাইছি না। কারণ, আমরা এখন ভীষণ সংকটে, জঙ্গল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, জ্যান্ত পশুরা পালিয়ে গেছে দূরের কোন জঙ্গলে। নতুন জঙ্গল খুঁজে আমাদের সকলের বেঁচে থাকার মতো যথেষ্ট খাবার যোগাড় করতে বেশ কদিন সময় লাগবে। ততদিন, যদি একদম অখাদ্য না হয়, আমরা সবাই নিচেয় গিয়ে ব্যাপারটা 
     
    "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থাকারে প্রকাশিত। প্রকাশক - গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন।  
     
     
     এবং তাঁর বোনেরা, দলের অন্য সকলের দিকেই লক্ষ্য রাখছিলেন। তাঁরা দেখলেন, শিকার করে আনা বড়ো একটা হরিণকে শেষ করতে যে সময় লাগে, তার অর্ধেক সময়েই দু দুটো প্রমাণ সাইজের আধপোড়া হরিণ শেষ করে দিয়েছে তাঁর দলটা। তার মানে ঝলসে যাওয়া এই পশুর মাংস ছাড়িয়ে খেতে অনেক কম সময় লাগছে। এই মাংস শিশু এবং নড়বড়ে দাঁত বৃদ্ধদের পক্ষেও অসুবিধের হবে না।
     
    প্রৌঢ়া নেত্রী সবাইকে নির্দেশ দিলেন, যতগুলো সম্ভব এমন ঝলসানো পশু নিয়ে উপরে গুহার মধ্যে সংগ্রহ করতে, তারপর তরুণ বোনপোর কাঁধে হাত রাখলেন, বললেন, “তোর থেকে আমরা এ এক নতুন শিক্ষা পেলাম। বিপদের সময় জীবন ধারনের জন্যে প্রচলিত ভাবনা চিন্তাগুলোকে সরিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর এ কথাও ঠিক,  আগুনে ঝলসানো পশু খাবার পক্ষে খুবই সুবিধের।  কিন্তু এমন তো রোজ হবে না। আর একবার আগুন লাগলে পুরো জঙ্গলই তো সাফ হয়ে যাবে! মাংস ছাড়া আমাদের আর কোন খাবারও জুটবে না। কাজেই এমন সুবিধে আমাদের ভাগ্যে রোজ রোজ না আসাই মঙ্গলের”।
    “কিন্তু, মাসি, আমাদের দরকার মতো আমরা তো 
     
     
    "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থাকারে প্রকাশিত। প্রকাশক - গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন।  
     
    মানুষ আগুনে ঝলসে, পুড়িয়ে, সেঁকে - শুধুমাত্র মাংস নয়, কন্দ, মূল, নানান আনাজও খেতে শুরু করেছিল। শিখে গিয়েছিল ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করে খাবার বানানোর অজস্র প্রণালী। যাকে আমরা বলি রন্ধন। মানুষ এই রন্ধন প্রক্রিয়ায় যত সড়গড় হয়েছে, ততই প্রকৃতি থেকে আবিষ্কার করেছে নিত্য নতুন খাদ্য সম্ভার। তার মেনু ততই সমৃদ্ধ হয়েছে সুদীর্ঘ খাদ্যতালিকায়।          
     
    ১.২.৩ আগুনই সভ্যতার মূল অনুঘটক

    নৃতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, আদিম হোমো স্যাপিয়েন্স থেকে আধুনিক সভ্য মানুষ হয়ে ওঠার মূল অনুঘটক হল রান্নাতে আগুনের ব্যবহার। এ কথার তাৎপর্য স্পষ্ট হবে নিচের বিষয়গুলিতে নজর দিলে।  

    ক. ভয়কে জয় ও আত্মবিশ্বাস
    আগেই বলেছি কয়েক লক্ষ বছর ধরে ইরেক্টাস এবং নিয়াণ্ডারথাল প্রজাতির মানবেরা এবং আদিম মানুষেরাও আগুনের তিনটে ব্যবহার জানত। আলো, উত্তাপ আর রাতের অন্ধকারে হিংস্র পশুদের দূরে রাখা। আগুনের আলোয় রাতের অন্ধকার আর নিশ্ছিদ্র রহস্যময় এবং ভয়ংকর রইল না। জনসংখ্যা বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাল রেখে যেহেতু প্রাকৃতিক গুহার সংখ্যা বেড়ে ওঠা সম্ভব নয়। অতএব পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা গুহার বাইরে, খোলা আকাশের নিচে ডালপালার কাঠামো আর পাতার ছাউনি বানিয়ে – সেটাকেই নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে তুলতে শিখে ফেলল। সে ছাউনি যতই দুর্বল হোক, রাতে আগুন জ্বাললে পশুদের সহজের ঠেকিয়ে রাখা যেত। তিন দেওয়ালে ঘেরা গুহায় শীতের বাতাসের প্রকোপ কম হত। সেই অভাবটুকুও অনেকটাই দূর করল আগুন। শীতের রাতেও খোলা আকাশের নিচে, আগুন ঘিরে গোল হয়ে বসে গা হাত-পা সেঁকে নিলে শীতের কামড়কে অনেকটাই হার মানানো যায়। অতএব আগুনের সামান্য এই তিনটে ব্যবহারই মানব প্রজাতি এবং মানুষকে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের অনুকূলে আনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলল।
      
    খ. দৈহিক পরিবর্তন
    বিজ্ঞানীর বলেন আমাদের দেহে শক্তির (Calorie) উৎপাদন কেন্দ্র হল আমাদের উদর। আর এই উৎপন্ন শক্তির অধিকাংশই খরচ হয় আমাদের খাদ্য হজম করতে আর আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়ায়। অতএব আমরা যত বেশি খাদ্য গ্রহণ করি, সেই খাদ্য হজম করতে আমাদের উদরকে তত বেশি শক্তি ক্ষয় করতে হয়।

    ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধে হবে, আমাদের প্রত্যেকের জীবনে প্রায়শঃ যে ঘটনা ঘটে থাকে তেমনই একটি উদাহরণ দিলে। যেদিন কোন পার্টিতে বা নেমন্তন্নে গিয়ে আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য (একগাদা junk food) উদরস্থ করি, সেদিন আমরা পেটে আর শরীরে নানান অস্বস্তি অনুভব করি। আমাদের 
     
     
    "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থাকারে প্রকাশিত। প্রকাশক - গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন।  
     
     
    রোমের ঘনত্ব কমিয়ে আনল!                       

    আমাদের পূর্বপুরুষেরা এতগুলি সুবিধের কী কী সদ্ব্যবহার করেছিলেন, সে কথা আলোচনা করব পরের অধ্যায়ে।

    চলবে...

    গ্রন্থঋণঃ

    1. Sapiens – A Brief History of Humankind – Yuval Noah Harari.
           

    [1] চিত্র ঋণ Wikipedia

    [2] শহরের মানুষেরা আলুপোড়া খাওয়ার ব্যপারটা হয়তো জানেন না। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে আমাদের বাল্যে এবং কৈশোরে, শীতের শেষে ক্ষেতের থেকে কাঁচা আলু তুলে, ওই মাঠেই আগুনে পুড়িয়ে খাওয়াটা একটা দারুণ আনন্দময় অ্যাডভেঞ্চার ছিল। অবিশ্যি সঙ্গে থাকত একটু নুন-গোলমরিচের ছিটে – সেটুকু যোগাড় করতে আদিম মানুষদের আরও তিরিশ চল্লিশ হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল! অবিশ্যি এখানে বলে রাখা ভাল, ভারতীয় উপমহাদেশে আলু আমদানি করেছিল পোর্তুগিজ বণিকেরা, আজ থেকে পাঁচ-ছশ বছর আগে। অতএব আমাদের দেশের আদিম মানুষেরা আলুর স্বাদ চেখে যেতে পারেননি।   

    [3] যাঁরা একটু অতিরিক্ত খাদ্যোৎসাহী মানুষ তাঁরা ওই সময়েই এত বেশি ক্যালোরি সংগ্রহ করে ফেলেন, যে তাঁদের আবার সেই অতিরিক্ত ক্যলোরি ঝরাতে অনেকটা সময় অপব্যয় করতে হয়!  

    [4] মস্তিষ্কের জেগে ওঠা কথাটাই আমার উপযুক্ত মনে হল, কারণ আগুনের ব্যবহার শিখেও মানব প্রজাতিগুলি কয়েক লক্ষ বছর ধরে, প্রাণী হিসেবে একেবারেই তাৎপর্যহীন হয়ে প্রকৃতিতে বাস করত। কিন্তু মানুষ রান্নার সূত্রপাত করেছে আজ থেকে হয়তো পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন হাজার বছর আগে। মাত্র এই কটা বছরেই প্রাণী জগৎ তো বটেই, পৃথিবী নামের এই সুন্দর গ্রহটিকেও মানুষ “ত্রাহি মাম্‌” অবস্থায় দাঁড় করিয়ে ছেড়েছে!    
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১২ মার্চ ২০২২ | ১৯৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১২ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৬504852
  • বাহ 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:b8d2:1393:53fc:ba4d | ১৩ মার্চ ২০২২ ০৫:১৯504857
  • চলুক
  • kk | 2600:6c40:7b00:1231:91bb:7efa:1be1:d19e | ১৩ মার্চ ২০২২ ০৫:৪৪504859
  • ভালো লাগছে পড়তে।
  • Kishore Ghosal | ১৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৩504864
  • সকলকে জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা - পড়ার জন্যে আর ধৈর্য রাখার জন্যে। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ মার্চ ২০২২ ১২:০৭504865
  • চমৎকার ঝরঝরে স্বাদু গদ্য,তথ্য  পরিবেশন‌ও বেশ কুশলী উপায়ে করা হয়েছে।আগের পর্বটাও পড়লাম,এমনিতেও আপনার অন্য লেখাগুলোও বেশ ভালো লেগেছিল আগে।এই সিরিজটা চলুক।heart
  • Kishore Ghosal | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৪:১৭504879
  • এমন আন্তরিক উৎসাহের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রত্যয়বাবু।  
  • a | 110.174.180.49 | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৮504880
  • এটা কি হারারিবাবুর লেখার অনুবাদ? 
  • Subhra Halder | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৬:৫৮504881
  • বাহ্  খুব সুন্দর |
  • Banerjee Arup | ১৫ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৩504891
  • ধর্ম যে আগুনের ব্যবহার থেকেই উদ্ভুত, জানা ছিল। কিন্ত গল্পের সাহায্যে অপূর্ব উপস্থাপনা পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিল। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তীর জন্য। 
  • Kishore Ghosal | ১৫ মার্চ ২০২২ ১১:১৩504893
  • Subhra এবং অরূপ অনেক ধন্যবাদ। enlightened
     a - আপনার এটা হারারিবাবুর অনুবাদ মনে হলে, আমি হার মানলাম। smiley
     
  • Banerjee Arup | ১৫ মার্চ ২০২২ ২২:৫৯504914
  • a- হারারি মোটেই এসব লেখেননি। আবার একটু দেখে নিন। হারারি যেমন মজার ছলে লিখেছেন, কিশোর তেমনি নিজস্ব স্টাইলে লিখছেন ধর্ম নিয়ে, যা মামুষেরই তৈরি। 
  • hu | 129.1.127.109 | ১৬ মার্চ ২০২২ ০০:০০504915
  • খুব ভালো লাগছে পড়তে
  • Prajna Paromita | ১৬ মার্চ ২০২২ ১৫:২৮504926
  • অনবদ্য লাগছে। স্বাদু সাধু।
  • Madhuri Hazra | ১৭ মার্চ ২০২২ ১৪:০৪504939
  • নমস্কার নেবেন। নানান জায়গা থেকে মানুষ এবং মানবের টুকরো টুকরো নতুন নতুন খবর আমার মস্তিষ্কটি সংগ্রহ করে চলেছিল। আপনার লেখায় একই জায়গায় এবং তুলনামূলক ভাবে আমাদের ক্রমবিকাশের কথা জানতে পেরে খুব ভাল লাগছে। 
    ইতিহাসে চিরকালই পাতিহাঁস ছিলাম। তার কারণ এইভাবে ইতিহাস পড়ানো হয়নি আমাকে কখনোই। 
    সাগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। 
  • Kishore Ghosal | ১৭ মার্চ ২০২২ ২১:৪৭504945
  • @ Prajna Paromita : অনেক ধন্যবাদ, ম্যাডাম, পড়ার জন্যে ও উৎসাহ দেওয়ার জন্যে। 
     
    @ Madhuri Hazra:  আমাদের স্কুল লেভেলে, ইতিহাসের মতো বিরক্তিকর বিষয় খুব কমই ছিল। যে ইতিহাস বইটি পড়ে প্রথম  অবাক ও শিহরিত হয়েছিলাম সেটি 'ডঃ নীহার রঞ্জন রায়ের  "বাঙ্গালীর ইতিহাস"। সে প্রায় চল্লিশ বছর আগের কথা। 
    আশা করি আপনাকে হতাশ করবো না।   
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন