এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • কাইজার গান্ধী

    Nabhajit লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৬ মার্চ ২০২৪ | ৩৭০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পাকিস্তানের পশ্চিম দিকের রাজ্য বালুচিস্তান এর রাজধানী কোয়েটা। আজ এখানে মিটিং আছে, খুফিয়া মিটিং। বালুচিস্তানের দু তিনটে আঞ্চলিক দলের নেতাদের সাথে। এই সব দলগুলোর এক শত্রু পারভেজ মুশারফ। ২০০৬ এর ২৬ অগাস্ট। এই ছোট ছোট দলগুলো নিজেরা লড়াই করছে অনেক বছর ধরে, কিন্তু সামান্য মতানৈক্যের জন্য একসাথে লড়াই করতে পারছে না। সকলেই চাইছে বালুচিস্তানের স্বাধীনতা। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি যে বালুচিস্তান ১৯৪৭ এর পর স্বাধীন ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৫০ এ নাজিমুদ্দিনের রাজত্বে পাকিস্তান আর্মি বালুচিস্তান দখল করে নেয়। তার পর থেকে বালোচদের সাথে পাকিস্তানের বৈমাত্রেয় মনোভাব চলতেই থাকে। বালোচরা সে ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করে না, ছেলেমেয়েদের নাম সব সময় আরবি নয়, শুনে কেমন যেন খটকা লাগে। বালোচরা আসলে আদিবাসী। বহু বছর আগে মঘুলরা জোর করে এদের ইসলাম বানিয়েছিলো, কিন্তু মনে প্রাণে আজ এরা বোধহয় মাটির খুব কাছের লোকজন, দরিদ্র, নিরক্ষর। বেশ কিছুদিন ধরে রাশিয়ান, আফগান আর আমাদের ভারত খুব চেষ্টা করছে এই দলগুলোর মিলিত প্রচেষ্টায় বালুচিস্তানের স্বাধীনতা। এই প্রতিবেশী দেশগুলো কেউ ধোয়া তুলসী পাতা নয়, প্রত্যেকের নিজস্ব স্বার্থ আছে। বালুচিস্তান হলো প্রাকৃতিক ঐশর্য্যে ভরা। দক্ষিণে বন্দর গদার। রাশিয়ানের নজর সেই দিকে। আফগান আর ইন্ডিয়ানরা পাকিস্তানের মেরুদন্ডটা ভাঙতে চায় বালুচিস্তানকে পাকিস্তান থেকে কেটে ফেলে। ঠিক যেমন করেছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মানচিত্র থেকে সরিয়ে দিয়ে। এও এক ধরণের যুদ্ধ। পাকিস্তানের ওপর প্রবল মানসিক চাপ সৃষ্টি করা। পাকিস্তান ও চুপ করে বসে নেই। দিনরাত আইএসআই খুঁজে বেড়াচ্ছে অন্য দেশের এজেন্টদের যারা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন মামলায় নাক গলাচ্ছে।

    রাসেল খান ওরফে দীনেশ বাগচী আর কাইzar   গান্ধী, এই দুজন বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ রাখছিলো আকবর খান বুগতির সাথে। বালোচদের কাছে বালোচ পিপল'স লিবারেশন ফ্রন্ট, বি পি এল এফ, এর প্রধান পুরুষ আকবর বুগতি। প্রথম মানুষ যিনি বালোচদের জন্য জীবন দিয়েছিলেন। গল্প তাই, কিন্তু, ঘটনা অন্য।

    আকবর বুগতি অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করা একজন বেক্তিত্ব, যিনি ফিরোজ খান নূন এর মন্ত্রিসভায় বালুচিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু পরবর্তী কালে তৈরী করেন বি পি এল এফ। ঠান্ডা চোখের মানুষ আকবর। এক কথায় পোকার ফেস, চোখ দেখে বোঝা যাবে না কি ঘুরছে ওর মাথায়। কাইজার প্রথম যোগাযোগ করে আকবর এর সাথে, আজ মিটিং কোয়েটা শহরের বাইরে একটা গ্রামে, পাহাড়ে ঘেরা। পাশ দিয়ে একটা রাস্তা চলে গেছে কান্দাহারের দিকে। এই রাস্তা নাকি কিছুদূর গিয়ে হারিয়ে গেছে পাহাড়ে। এই রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি যায় না আজকাল।

    কোয়েটা শহরের বাজারে একটা হোটেল আছে তাজমহল সেখানে ডেরা বেঁধেছে কাইজার। অনেক টুরিস্ট আর ছোট খাটো ব্যাবসায়ীরা থাকে এই হোটেলে। খুব সাধারণ ব্যবস্থা। সস্তার ঘর, নোংরা খাবারদাবার। তাছাড়া কাইজার এর চেহারা দেখে সন্দেহ করা মুশকিল। কাইজার কথা বলে পাঞ্জাবি মেলানো উর্দুতে, বেশ ভালো পাস্তুনও বলতে পারে। ওকে দেখে পাকিস্তানী মনে না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

    মিটিং বসেছে আকবর বুগতি-র বাড়িতে। এটা বাড়ি না কোনো পাহাড়ের গুহা তা বলা মুশকিল। কোনো জানালা নেই, ছাদে একটা ছোট গর্ত তাই দিয়ে বাইরের আলো আসছে। ঘরে দু তিনটে হ্যাজাক আছে এখনো জ্বালানো হয়নি, এই ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার রাস্তা আছে সুড়ঙ্গের মতো, বেশ কিছু সুড়ঙ্গ দিয়ে এই ঘরে এসে জুটেছে পাঁচজন, কাইজার, আকবর সাহেব, ওনার নাতি ব্রহামদাগ, বালোচ লিবারেশন আর্মি র দু ভাই হিব্র্যায়ের আর মেহরান মাররি, এরা দু ভাই খাইর বক্স মাররির ছেলে। খাইর বক্স বালোচদের 'লিবারেশন আর্মি' র প্রতিষ্ঠাতা, দুর্জনে বলে এই দল আতঙ্কবাদী। এই দু ভাইকে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে আই এস আই। এই দুভাইয়ের চেহারায় খুব মিল আছে, দুজনই মাথার মাঝখানে সীতেকাটে, চোখ দুটো বেড়ালের মতো, সুন্দর স্বাস্থ্য আর কথাবার্তা খুব মার্জিত। পাকিস্তান বলে এরা সকলেই নাকি আতঙ্কবাদী কিন্তু এদের দেখে তা মনে হয় না। সকলেই অতন্ত্য ভদ্র এবং শিক্ষিত। ব্রহামদাগ বাচ্ছা ছেলে বয়েস ২৭-২৮, মেহরান ও এক বয়সী। দুজনেই কলেজ থেকে একসাথে রাজনীতি করে। দুজন ভালো বন্ধু, তার ওপর ব্রহামদাগ প্রেমে পড়েছে মেহরানের বোনের। এদিকে ব্রাহামদাগের এক বৌ আছে। এদেশে তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। দুটো বৌ থাকলে ক্ষতি কি? জীবনে একজনকেই ভালোবাসতে হবে সেকথা কে বললো? ব্রহামদাগ যেমন দেখতে লম্বা, টানটান চেহারা, দুদিনের দাড়ি গালে আর চোখ দুটো গভীর, আকবর সাহেবের মতো। যে কোনো মেয়ে দেখলেই পটে যাবে, ব্রহামদাগ বেচারা সামলায় কি করে!

    কাইজারকে দেখে বোঝা মুশকিল ওর বয়েস কত আরও কোন দেশের লোক। চোখের নিচে অনেক দিন সুরমা লাগালে একটা হলুদ রঙের ছ্যাতলা পরে যায়, কাইজার এর চোখের নিচে সেই রকম ছ্যাতলা, চোখ দুটো বাদামি রঙের জ্বলজ্বলে, গায়ের রং আখরোটের খোসার মতো, উজ্জ্বল বাদামি কিন্তু রোদে পোড়া, প্রায় ছফুটের মতো হাইট, চেহারা দেখে যে কেউ মনে করবে কোনো পাঠান। কায়সারের বয়েস ২৬-২৭ কিন্তু দেখে মনে হবে আরো একটু বেশি। আজ কাইজার এসেছে সালোয়ার কামিজ পরে মাথায় বালোচ টুপি। কাইজারকে দেখে সকলেই বালোচ ভাষায় সম্ভাষণ করলো 'জোর পা খ্যার'। আকবর সাহেব কাইজার সাথে সকলের আলাপ করিয়ে দিলেন। আমাদের ভারতীয় বন্ধু। ওর সাথে তোমরা সকলেই উর্দু বলতে পারো বা পাস্তুন, কাইজার বালোচি খুব ভালো বোঝে না। মেহরান ইংরেজিতেই কথা শুরু করলো।

    - আমরা জানি আপনি আমাদের জন্য কিছু বন্দুকের আয়োজন করছেন। কত দিন লাগবে? আমাদের বিপ্লব অনেক দূর এগিয়ে গেছে কিন্তু আমাদের যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে অস্ত্রের অভাবে।
    কাইজার বলে - ঘাবড়াবেন না বন্ধু, আমার এক সহকর্মী কান্দাহারের বর্ডারে অপেক্ষা করছে দু ট্র্যাক কালাশনিকভ নিয়ে। রাশিয়ান বন্ধুদের উপহার আপনাদের জন্য। এখন আমি হামিদভাই কে ফোন লাগাবো আপনাদের উপস্থিতিতে। উনি দু মিনিটের জন্য চেক পয়েন্ট সরিয়ে নেবেআফগানিস্তান বর্ডারআর আমার বন্ধু রাসেল প্যাসেজ পেয়ে যাবে। কিন্তু একটা শর্ত আছে।
    - কৌন সি শর্ত, বলে ওঠে হিব্রয়ার।
    - আপ লোগোকো এক সাথ লড়নে কি শর্ত। আপনারা একসাথে লড়াই চালালে আজাদী আর বেশি দূরে নয়।
    আকবর সাহেব সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ, কোনো কথা বলছেন না, শুধু শুনছেন। হিব্রয়ার আর মেহরান দুজনেই শ্রদ্ধার সাথে আকবর সাহেবের দিকে তাকালো।
    - আপ বোলিয়ে, আমরা তো আপনার কথা শুনেই একসাথে হয়েছি আজ। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক হতে চলেছে। ব্রহামদাগ আমাদের বোন কে বিয়ে করতে চলেছে, আমরা তো এখন এক দলেই আছি, একটু বুঝিয়ে বলুন আপনি কাইজার ভাইকে।
    আকবর এখনো কোনো কথা বললেন না শুধু চোখের ইশারায় বললেন যে সব ঠিক আছে।

    আকবর সাহেবের চোখে চিন্তার ছাপ। কি ভাবছেন এতো বোঝা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝেই তাকাচ্ছেন ঘরের অন্যদিকে যেখানে বাইরে যাওয়ার রাস্তা। কাইজার দেখেছে আরো কিছু লোকজন আছে বন্দুক হাতে পাহারায়। এরা সব আকবর সাহেবের লোকজন। শেষে আকবর সাহেব মুখ খুললেন
    - আজ আই এস আই এর দুজন খোচরকে দেখে গেছে কোয়েটা বাজারে তাজমহল হোটেলের আশেপাশে। কাইজার ওই হোটেলেই থাকে। আমার মনে হচ্ছে কাইজারকে কেউ ফলো করছে।
    কাইজার চমকে ওঠে। ও তো যথা সাধ্য নজর রেখেছিলো। কেউ বাজার থেকে ফলো করেনি। কাইজার ফোন লাগলো হামিদকে, হামিদ মানে হামিদ কারজাই, আফগানিস্তানের এখন ও প্রেসিডেন্ট। কাইজারের সাথে হামিদ কারজাইয়ের  আলাপ হিমাচল উনিভার্সিটির এক রিউনিয়নে।  আলাপ বন্ধুত্বে পৌঁছে যায়। কাইজার এর বিস্বস্ত বন্ধু। ফোন স্পিকারে রাখা আছে।
    - হামিদ ভাই কেমন আছেন?
    - তুমি কেমন আছো কাইজার? তোমার সাথে আর কে আছে এখন? এই লাইনটা সুরক্ষিত তো?
    হামিদ কাইজারের থেকে বয়েসে  বেশি। দুজনের মধ্যে ছিল খুবই শ্রদ্ধার সম্পর্ক।
    - চিন্তা করবেন না, লাইনটা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
    কাইজার ফোনেই পরিচয় করিয়ে দেয় আকবর সাহেব আর বাকিদের। হামিদ বলতে থাকে
    - সালাম আকবর স্যার, সালাম দোস্তো। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। আমি জানি কেন ফোন করেছো তোমরা আমায়। একটা খারাপ খবর আছে তোমাদের জন্য। আমার এজেন্ট রাসেল-কে নজর রাখছিলো গত দুদিন ধরে। ওর হাতে এখনো ট্রাক এসে পৌঁছয় নি কারণ আমি রাশিয়ানদের বলে ওই ডেলিভারিটা রুখে দিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে রাসেল আই এস আই এর লোকদের কাছে পেট খুলে দিয়েছে। প্রথমে আমরা দেখি যে রাসেল নামাজ পড়ার বাহানায় গেছিলো কান্দাহার শহরেরমুই মুবারাক মস্ক, সেখানে ও দুজনের সাথে কথা বলছিলো যারা আই এস আই এর সাথে যোগাযোগ রাখে। বিকেলে হজরত জি বাবা স্টেশনে একটা রেস্টুরেন্টে আবার দেখা গেছে রাসেলকে, এবার দুজন আই এস আইএজেন্টের সাথে। আমার মনে হচ্ছে তোমাদের বিপদ আছে, তাড়াতাড়ি নিজেদের হাইডআউট পাল্টাও। আই এস আই তোমাদের থেকে এক কদম দূরে।
    আকবর সাহেব তৎপর হয়ে পড়েন। হাত তালি দিয়ে নিজের সুরক্ষাকর্মীদের ডাকেন। কিছু কথা হয়। আকবরের মুখ শুখনো দেখায়। হামিদ ভাই এখনো লাইনেই আছেন।
    কাইজার বলে - হামিদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ, যদিও ভাবতেও পারছি না রাসেল কি করে এই কাজ করলো, আমরা একসাথে কাজ করছি আইপিএস এর সময় থেকে একসাথে পোস্টিং, একসাথেই আমরা অনেক মিশনে কাজ করেছি। আমি ওর বৌ কে নিজের বোন এর মতো ভালোবাসি।
    - পয়সা মানুষের ইরাদা পাল্টে দেয়। এখন বলো রাসেল কে নিয়ে কি করবো? - হামিদ জিজ্ঞাসা করে
    - আমি রাসেল কে মারতে পারবো না, আপনিই ওকে সরিয়ে দিন। আমাদের একটা প্যাসেজ চাই আফগানিস্তান দিয়ে যদি আমাদের গা ঢাকা দিতে হয় - কাইজার বলে।
    - সে ইন্তেজাম হয়ে যাবে, কোই ফিকর নেহি। আমাকে কন্টাক্ট করো কোনো সেফ জায়গায় পৌঁছে। ইন্ডিয়ার সাথে কন্টাক্ট করো না। রাসেল নিশ্চই তোমার নামে নালিশ করে ফেলেছে ইতিমধ্যে, যে তুমিই সব পাকিস্তান কে বলেছো। তোমাকে গা ঢাকা দিতে হবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। আমার দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলা থাকবে মনে রেখো।

    কাইজার ফোন কেটে দিলো। সকলের মুখে চিন্তা আর শুরু হয়ে গেলো তৎপরতা। একটা ছোট বাক্স নিয়ে ঢুকলো দুজন। আকবর সাহেব বললেন বাইরের কামরায় ওটা ফিট করতে। এটাএকটা স্ট্রং ডিনামাইট। এই হাইডআউট টা উড়িয়ে দিতে হবে যেন কেউ কিছু খুঁজে না পায়। তাছাড়া আমরা যে রাস্তায় পালাবো সেই রাস্তা শুধু আমরাই জানি। সেই রাস্তা বন্ধ করতে হবে।

    কাইজার জিজ্ঞাসা করে - আপনাদের পরিবারের লোকজন সব কোথায়? তাদের কি হবে? আপনাদের না পেলে তো isi ওদের ধরবে।
    - আমাদের পরিবারের বেশিরভাগ লোকজন এখন লন্ডনে। তুমি কোথায় যাবে ভেবেছো? হিব্রয়ার জিজ্ঞাসা করে কাইজার কে।
    - এখনো কিছু ভাবি নি। আগে গা ঢাকা দি, তারপর ভাববো।

    ঠিক সেই সময় বাইরের ঘরে বন্দুকের আওয়াজ শোনা গেলো। একজনের আর্তনাদ, নিশ্চয় বেচারা গুলি খেয়েছে। গুলি চলছে অনবরত। আকবর সাহেব আর বাকি তিনজন ঘাবড়ে গেছে। কাইজার জিজ্ঞাসা করে
    - এখান থেকে বেরোবার রাস্তা তোমরা নিশ্চই জানো। আকবর সাহেব কে সামনে রেখে এগিয়ে যাও, আমি পেছনে একটু গুছিয়ে আসছি। ডিনামাইটের ট্রিগার কার কাছে?
    ব্রহামদাগ এগিয়ে দেয় একটা রিমোট কন্ট্রোলের মতো মেশিন আর দেখিয়ে দেয় কোন সুইচ টিপতে হবে।
    কাইজার একজন ভারতীয় কমান্ডো। দশ জন লোককে একসাথে খতম করার ক্ষমতা আছে ওর। তার ওপর আছে ওর প্ল্যানিং। কি করে প্রতিপক্ষ কে নাস্তানাবুদ করা যায় তার ট্রেনিং আছে। আকবর সাহেব সেকথা জানেন। আকবর এগিয়ে এসে কাইজার এর কানে কানে কিছু বলেন। কাইজার একটু মুচকি হেসে বলে
    - ফিকর না কিজিয়ে জনাব। যেতে যেতে আপনার হাতের ঘড়িটা আমাকে দিয়ে যান।
    - কেন তোমার পছন্দ? - আকবর বলেন
    - পারভেজ মুশারফের পছন্দ হতে পারে, আপনার লাস তো সনাক্ত করতে পারবে না, আপনার ঘড়ি পারভেজ কে বলে দেবে যে আপনি মৃত। কাল আখবারে আপনার তসবির ছাপা হবে। তাড়াতাড়ি করুন আর এগিয়ে যান। আমি একটু পরে আপনাদের পেছন পেছন আসবো।
    - তুমি তো কামাল করতে পারো হে কাইজার, বলে হেসে ওঠেন আকবর। হাতের ঘড়িটা খুলে দিতে দিতে দুজন দেহরক্ষী ভেতরে এসে ঢোকে আর বলে যে তিন জনের ইন্তেকাল হয়েছে। ওদের দলে অনেক লোক, আমাদের গুলি ফুরিয়ে এসেছে।
    আকবর একজন দেহরক্ষী কে নিজের সাথে নিয়ে যান আর একজনকে বলেন ও যেন কাইজার কে নিয়ে পেছনের রাস্তায় চলে আসে। গাড়ি তোমাদের জন্য ইন্তেজার করবে, তাড়াতাড়ি করো।

    কাইজার এগিয়ে যায় সামনের দিকে, পাশের ঘরে একজন গুলি খেয়ে মারা গেছে, তার হাতে আকবরের ঘড়িটা পড়িয়ে দেয়, গুহার মুখে একটা অটোমেটিক মেশিনগান তাক করে চালিয়ে দেয়, তারপর দেহরক্ষী কে নিয়ে পেছনের দিয়ে চলতে শুরু করে। কিছুদূর গিয়ে রিমোট কন্ট্রোলের সুইচ টিপে দেয়। প্রচন্ড বিস্ফোরণ আর তার সাথে আগুনের হলকা। পেছনের ঘরের ছাদ ধসে পড়েছে, এদিকে আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। দেহরক্ষী আর কাইজার প্রায় দৌড়োচ্ছে ভুলভুলাইয়ার মতো এ গলি সে গলি দিয়ে। প্রায় পাঁচ মিনিট এই ভাবে দৌড়োবার পর গলির শেষে দিনের ম্রিয়মাণ আলো দেখতে পায়। বাইরে এসে দেখে একটা জীপ দাঁড়িয়ে আছে।
    অন্ধকার হয়ে আসছে। জীপে বসে আছে আকবর সাহেব, ব্রাহামদাগ, হিব্র্যায়ের আর মেরহান। আকবর এর দেহরক্ষী ড্রাইভারের সিটে। পেছনে গিয়ে উঠলো কাইজার আর অন্য দেহরক্ষী। গাড়ি অন্ধকারে হারিয়ে গেলো।
    গাড়ির হেডলাইট জ্বলছে কিন্তু শুধু চার হাত রাস্তা দেখা যাচ্ছে শুধু, চারিদিকের অন্ধকার আরো ঘন হয়ে উঠেছে যেন। আকবর সাহেব মুখ খুললেন এবার
    - যে গুহাটা ধ্বংস করা হল তার নাম ছিল ডেরা বুগতি, আমাদের পূর্বপুরুষের গোপন আস্তানা। যুদ্ধ তো আমরা তিন প্রজন্ম থেকেই করে এসেছি। লুকিয়ে থাকার জন্য এই ডেরা তৈরী হয়েছিল।
    কাইজার জিজ্ঞাসা করে - আমরা কি কান্দাহারের দিকে যাচ্ছি? কতক্ষন সময় লাগবে যদি জানতে পারি তাহলে হামিদ ভাইকে ফোন করতে হবে। আমাদের পেছনে আই এস আই লাগবে না?
    - ব্রাহামদাগ বলে ওঠে - চিন্তা করবেন না, আমাদের একটা গোপন রাস্তা আছে, কেউ জানে না।
    গাড়ি চলছে একটা অন্ধকার নদীর বুক চিরে। সকলেই চুপ চাপ। প্রায় একঘন্টা হবে হয়তো। সামনে রাস্তা বলতে আর কিছু নেই, মনে হচ্ছে একটা মাঠের মাঝখান দিয়ে এগিয়ে চলেছে গাড়ি।
    - আমরা এবার আমাদের গোপন রাস্তা ধরবো পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে। কথাগুলো কাইজার এর উদ্যেশ্যে।
    কাইজার এর মনে পরে যায় ছোটবেলায় ভূগোলে পড়া তিনটে গুহা পথের নাম, খাইবার, বোলান আর গোলাম।
    এই রাস্তা কি এগুলোর একটা। জিজ্ঞাসা করে বসে বাকিদের। সকলেই হেসে ওঠে। মেহরান বুঝিয়ে বলে কাইজারকে।
    ওই তিনটে রাস্তার কোনটা পেশওয়ার আর আফগানিস্তান কে জুড়েছে কোনটা বালুচিস্তান থেকে আফগানিস্তান কিন্তু সে সব রাস্তায় অনেক পাহারা। এদিকেও একটা এই ধরণের পাস আছে যার নাম খোজাক পাস। কোয়েটা র কাছে একটা গ্রাম আছে নাম কিলা আব্দুল্লাহ সেখান থেকে খোজাক পাস দিয়ে কান্দাহার যাওয়া যায় কিন্তু সেখানেও আই এস আই এর খোচর পাহারায় থাকে। আমরা যেই পাস দিয়ে যাচ্ছি সেটা খুব দুর্গম, মানুষের আসাযাওয়া প্রায় নেই, এই পাস এর নাম বুগতি পাস, আমাদের দেওয়া নাম। বলতে বলতে গাড়ি ঢুকে পড়েছে এক গুহায়। গাড়ির আলোয় এখন আসে পাশে কিছু দেখা যাচ্ছে। দুদিকের দেওয়াল প্রায় গাড়ির গায়ে লেগে যাচ্ছে, রাস্তা এবড়োখেবড়ো, ঝাঁকুনিতে মাঝে মাঝেই গাড়ির ছাদ গুহার ছাদে ধাক্কা খাচ্ছে। ধুলোয় স্বাস কষ্ট হচ্ছিলো সকলের তাই গলার কুফিয়া দিয়ে মুখ ঢেকেছে সকলে। কাইজার ও তাই করলো।
    - এই রাস্তায় কতক্ষন? কাইজার জিজ্ঞাসা করে।
    - প্রায় এক ঘন্টা। তারপর আরো এক ঘন্টা পর আমরা পৌঁছবো কান্দাহারের কাছে, এখন থেকে বেড়িয়ে হামিদ কারজাইকে ফোন করে দিও।
    কাইজার এর চোখে ধুলো ঢুকছে, তাই চোখ বন্ধ করে বসে আছে। গাড়ি চলছে তো চলছেই। রাস্তার শেষ নেই। কাইজারের বোধহয় একটু ঢুলুনি এসে গেছিলো
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ মার্চ ২০২৪ | ৩৭০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ভূতনাথ - Nabhajit
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Guru | 2409:4060:2e9f:8af6:c8ca:b4ca:cc3e:43fd | ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৭529525
  • অনেক কিছু ভুলভাল লিখেছেন। কোয়েটা শহরে বালুচরা সংখ্যালঘু আর পাশতুনরা সংখ্যাগুরু। আকবর বুগতি আর মারি উপজাতিদের সর্দারদের মধ্যে কোনোদিনই সদ্ভাব ছিলোনা। ইতিহাসটা একটু পড়ুন ছাইপাঁশ লেখবার আগে।
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৫০529529
  • "বালোচরা সে ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করে না, ছেলেমেয়েদের নাম সব সময় আরবি নয়, শুনে কেমন যেন খটকা লাগে। বালোচরা আসলে আদিবাসী। বহু বছর আগে মঘুলরা জোর করে এদের ইসলাম বানিয়েছিলো, কিন্তু মনে প্রাণে আজ এরা বোধহয় মাটির খুব কাছের লোকজন, দরিদ্র, নিরক্ষর।"

    মুঘলদের আমলে বালুচিস্তান বা বালুচ বলেই কিছুর অস্তিত্ব ছিলোনা। ছিল কিছু উপজাতি মাত্র যারা মুঘলরা মুসলিম হবার বহু আগে থেকেই মুসলিম হতে শুরু করে দিয়েছে। বালুচ মাত্রই দরিদ্র নিরক্ষর এটা খুবই ভুল কথা। পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি (বেনজির ভুট্টোর স্বামী) একজন বালুচ সর্দার। পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের আগের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ারুল হক কাকর বালুচিস্তানের মানুষ। ইমরান খানের দলের বর্তমান একজন বড়ো বালুচ নেতা লতিফ খোসা পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নির্বাচিত সংসদ। ইমরান খানের সময়ে পাঞ্জাবের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন একজন বালুচ সর্দার উসমান বুজদার।

    সব বুগতি কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলেনি। আনওয়ারুল হক কাকরের সময়ে যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই সরফরাজ বুগতি (যিনি এখন আবার বালুচিস্তানের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী )আপনার গল্পের এই নেতা আকবর বুগতির ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। এরা দুজনেই বুগতি উপজাতির সর্দার এবং দুজনেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড়ো খেলোয়াড়। আপনার গল্পের এই নেতা আকবর বুগতি একটা সময়ে স্বযং জিন্না সাহেবের সঙ্গে দেখা করে বালুচিস্তান যেন পাকিস্তানের অন্তর্গত হয় সেই ব্যবস্থা করিয়েছিলেন।

    আরেকটা কথাও বলে দি এখানে। বালুচিস্তানের মধ্যে বালুচদের থেকে পাশতুন সংখ্যাতে বেশি বলে অনেকে মনে করেন। বালুচিস্তানের থেকে হয়তো বা ​​​​​​​অনেক বেশি বালুচ পাঞ্জাব বা করাচিতে থাকেন।
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৬529533
  • ডেরা বুগতি কোনো গুহার নাম নয়, এটি বালুচিস্তানের একটি ডিস্ট্রিক্ট। লিখবেন যখণ একটু পড়াশোনা করেই লিখুননা বালুচদের ব্যাপারে। ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর জন্য হলেও একটু পড়াশোনা করে তো লিখুন।
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৯529534
  • বালোচরা সে ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করে না, ছেলেমেয়েদের নাম সব সময় আরবি নয়, শুনে কেমন যেন খটকা লাগে।

    কোথা থেকে এই সব তথ্য পেলেন দাদা? কিছু উদাহরণ দিতে পারবেন? খালিদ শেখ মোহাম্মদের নাম শুনেছেন? ইনিও কিন্তু একজন বালোচ এবং ওসামা বিন লাদেনের ডানহাত ছিলেন।

    আপনাকে একটা জিনিস জানিয়ে রাখি কোয়েটাতে কিন্তু বিফ হালিম খুবই পপুলার। খাবেন নাকি কয়েকবাটি?
  • Nabhajit | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১২:০৯529536
  • গুরু কি বালোচি ? না কি গেঞ্জিওয়ালা? 
  • Nabhajit | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১২:১৭529537
  • একবার বুগতির নাতি ব্রাহামদাগ , ওর প্রেমিকা শুলি , শুধু  বুগতি পরিবার থেকেই কম করে দশ তা নাম জানি যাদের নাম আরবি নয়। যাইহোক গল্প পড়ুন। 
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১২:২৪529538
  • একেবারে খাঁটি বাঙালী | তবে বালুচিস্তান নিয়ে কিঞ্চিৎ পড়াশোনা করেছি |
     
    কাইজারের পশতুন ছদ্মবেশের মধ্যে বিফ হালিম খাবার ব্যাপারটা আনলে মনে হয় আরো অনেক কনভিন্সিঙ হতো | কাইজার এতদিন পাকিস্তানে আছে পশতুন ছদ্মবেশে তার তো বিফ হালিম অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া উচিত এতদিনে | বালোচিস্তানের বালুচেরা শুনেছি এই জিনিসটি গোপন মিটিং করলে খেতে ভালোবাসে ওদের নিজস্ব বালুচ ঘরানার নান দিয়ে | 
     
    আরেকটা জিনিস | বালোচি হচ্ছে বালুচিস্তানের ভাষার নাম | বালোচিস্তানের মানুষকে বালুচ বলে বালোচি নয় |
     
    কাইজারের / কায়সারের বয়েস ২৬-২৭ বলে আপনি জানিয়েছেন | ঘটনা হচ্ছে আকবর বুগতির ও পারভেজ মুশারফের সংঘর্ষের ঘটনার সময়কাল ২০০৬ সাল যখন হামিদ কারজাইয়ের বয়স ছিল প্রায় ৫০ বছর | তা কাইজার ও হামিদ যদি দুজনেই একসাথে একক্লাসে MA করে থাকেন তাহলে কাইজার কি মায়ের পেট থেকে পড়েই হিমাচল উনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেছিলো ?
     
    কি বলেন দাদা ??
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৭529539
  • "একবার বুগতির নাতি ব্রাহামদাগ , ওর প্রেমিকা শুলি , শুধু  বুগতি পরিবার থেকেই কম করে দশ তা নাম জানি যাদের নাম আরবি নয়।"
     
    সেই হিসাবে তো আপনার বাবর , হুমায়ুন , শাহজাহান , আওরঙ্গজেব এই নামগুলোও আরবি নয়।তাহলে তো আপনার ভাষাতে বালুচদের মতো মোঘল সম্রাটরাও ঠিক মুসলমান ছিলেননা !!! মিশেল আফলাক নামটা কি আপনার আরবি মনে হয় ? একটু ইন্টারনেট সার্চ করেই দেখুননা দাদা |
  • guru | 103.135.228.235 | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৩529540
  • আকবর বুগতির পুরো নামটি হচ্ছে নবাব আকবর সরফরাজ খান বুগতি | তা এটা কি আরবি নাম না কি ?
  • Nabhajit | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৯529541
  • আমার ভালো লাগছে দেখে যে আপনি এতোটা ইনভল্ভড হয়ে গেছেন। আমার গল্পের নায়ক আকবর বুগতি নয় , কাইজার গান্ধী আমার গল্পের নায়ক। গল্পটা আরো এগোলে আপনার হয়তো ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। 
  • Nabhajit | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:১২529542
  • আরবি ভাষায় অফলাক মানে ম্যান ফ্রম হ্যাভেন। 
  • সোমা | 2409:4060:2d46:c415:1f55:1de6:7191:fa3f | ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৯529550
  • দারুন হচ্ছে বাপি দা
    অপেক্ষা করছি 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন