এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • রাজরক্ত (রহস্য গল্প) : ১ম পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২৬ জুন ২০২১ | ২২২৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    (১) পুরুষ সঙ্গী ২৬/০৪/২০০২

    একমাস আগের কথা। তারিখটা স্পষ্ট মনে আছে - মার্চের ২৬। সেদিন ঠিক বেলা একটার সময় আমার কাছে একটা ফোন এসেছিল।

    - ওয়াচ অ্যান্ড সিকিউরিটিজ? বিলাসপুর, লিংক রোড?
    - জী হ্যাঁ, বোল রহা হুঁ।
    - মিঃ কোসলে? ডায়রেক্টর?
    - না, আমি ওঁর অ্যাসিসট্যান্ট বিশ্বাস বলছি। উনি একটা কাজে একটু বাইরে গেছেন। কাল রাত্তিরে ফিরবেন।
    -- সৌরভ? সৌরভ বিশ্বাস? বাবুমোশায়? জাস্ট দ্য ম্যান আই ওয়ান্ট!
    -- জী হ্যাঁ, আপ কৌন?
    -- কাজের কথাটা আগে শুনে নিন। আগামীকাল আপনাকে ইন্দোর এক্সপ্রেসে বুড়ার যেতে হবে। বুড়ার হোল জবলপুর লাইনে শাহডোলের আগের স্টেশন।

    পরশুদিন বিকেলে একই ট্রেনে করে ফেরতের ব্যবস্থা। টিকিট, অন্য খরচা এবং কিছু অ্যাডভান্স একটু পরে আজ রাত্তির আটটার মধ্যে আপনাদের অফিসে পৌঁছে যাবে। আপনার বসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিন। অসুবিধে হলে যে লোকটি টিকিট দিতে যাবে তাকে জানাবেন, তখন আমি আপনার বসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেব।

    -- কাজটি কী?
    -- তেমন কিছু না। জার্নিতে একজনের এসকর্ট হওয়া।
    -- দেখুন, এইটুকুতে কিছুই স্পষ্ট হল না। আর এসকর্ট হওয়া মানে কী বলতে চান?
    -- দেখ হে ছোকরা। তুমি যা ভাবছ সেসব কিছু না। একজন বছর চল্লিশের লোক্‌, একটু আলাভোলা গোছের, তাকে সঙ্গে করে বুড়ার স্টেশনে পৌঁছে দিতে হবে। ব্যস্‌ তোমার দায়িত্ব শেষ। এবং এই কাজটুকুর জন্যে আমি আজ বায়না দিচ্ছি পাঁচ হাজার টাকা, ফিফটি পার্সেন্ট। কাজটা ঠিকমত করে ফিরে আসার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাকি পাওনা টাকা তোমাদের অফিসে পৌঁছে যাবে।
    -- ভদ্রলোকটি কে?
    -- বোম্বাগড়ের যুবরাজ, বীরেন্দ্রপাল প্রতাপ সিং।
    -- বোম্বাগড়? এ’রকম কোন এস্টেট সত্যি আছে? নাকি ইয়ার্কি মারছেন?
    -- কাজটা করবে, নাকি অন্য কাউকে দেব? বিলাসপুরে আরও সিকিউরিটি এজেন্সি রয়েছে। তোমার বস কোসলে পুলিশের কাজে চুল পাকিয়েছে। পরে যখন জানতে পারবে যে একটা দশহাজারের সহজ কাজ ক্লায়েন্টের সঙ্গে ইয়ার্কি দিতে গিয়ে তোমার হাত ফস্কে প্যারামাউন্ট সিকিউরিটজের কাছে গেছে তখন—
    -- কাজটা করব না কখন বললাম! কিন্তু আউটস্টেশনের কাজ নিলে বসকে আগে জানাতে হবে। উনি ফিরছেন কাল সন্ধ্যেয়। আমি বুড়ার রওনা দিলে কাল অফিসে কেউ থাকবে না। তাই ক্লায়েন্টের নাম ঠিকানা, আর কেন আমাদের মত এসকর্ট চাই সেটা তো আগে জানতে হবে। নইলে —
    -- বড্ড ছটফট করছ, বয়েস কম। কাগজ পেন নাও, আমি বলছি।

    আমি আমাদের কমপিউটার অপারেটর কাম অ্যাকাউন্ট্যান্ট মিস সিমরনকে ইশারায় কাগজ কলম নিয়ে পাশে বসতে বলি। ফোনে স্পীকারের বাটন টিপে দিয়ে বলি - বলুন।

    সিমরন চটপট শর্টহ্যান্ডে নোট করতে থাকে।

    আমি মাত্র বছর তিন হল সিকিউরিটি এজেন্সির চাকরি জয়েন করে মূলমূলা থেকে বিলাসপুরে এসেছি, বোম্বাগড় প্যালেসের নাম শুনি নি। কিন্তু সিমরন বলল চেনে। ওটা নাকি বিলাসপুর শহরের পূব সীমানায় অরপা নদীর এ’পাড়ে শনিচরি পড়াওয়ের সেকেন্ড গলিতে। পুরনো একটা হলদেটে দোতলা বড় বাড়ি, উঁচু বাউন্ডারি ওয়াল, পাশে দুটো গ্যারেজ। লোকজন চাকরবাকর অনেক। তবে ওদের ছেলেমেয়েরা বোধহয় বাইরে কোথাও থেকে পড়ে। এরা এখানে কারও সঙ্গে বেশি মেশে না। ওদের একজন ম্যানেজার আছে, সে এস্টেটের নামে গণেশ পূজোয় ও নবরাত্রিতে পাড়ার ছেলেদের মোটা টাকা চাঁদা দেয়।

    এবার আমি জিজ্ঞেস করি? কখন আসবো? আজ রাত্তিরে বাড়ি ফেরার পথে? ধরুন যে টিকেট পৌঁছতে আসবে ওর সঙ্গে?

    - তোমার আসার কোন দরকার নেই।

    আচ্ছা বেয়াড়া লোক তো! আবার বলা নেই কওয়া নেই আমাকে তুমি করে বলছে! রাগটা চেপে রেখে বলি যে যুবরাজ সায়েবের সঙ্গে একটু আলাপ পরিচয় না হলে তাঁকে স্টেশনে চিনবো কী করে?

    - সেটা আমার মাথা ব্যথা। আমাদের ড্রাইভার আজ রাত্তিরে তোমার টাকা আর অ্যাডভান্স পৌঁছে দেবার সময় তোমাকে দেখে নেবে। ওই কালকে যুবরাজকে ট্রেনে বসিয়ে তোমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। আর একটা কথা। ইন্দোর এক্সপ্রেসে এসি নেই, একটা ফার্স্ট ক্লাসের কোচ আছে, তাতে জি কেবিনে তোমাদের দুজনের টিকিট হয়েছে। তুমি কিন্তু বিলাসপুর স্টেশন থেকে ওই ফার্স্ট ক্লাস কোচে উঠবে না। তোমাকে উঠতে হবে ওর দুটো কোচ আগে কোন একটা স্লিপারে। ট্রেন ছাড়লে পরে তুমি ভেতর দিয়ে এসে কেবিন জি’তে ঢুকবে। ওই কেবিনে দুটো মাত্র বার্থ। ওপরেরটা তোমার, নিচে যুবরাজ সাহেব।

    আর রাগটা সামালানো গেল না।

    - বিলাসপুরে আমার সঙ্গে উঠলে কি যুবরাজ সাহেবের সম্মান যাবে?
    -- তোমার দেখছি আরও ট্রেনিং দরকার। তোমার বসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এত অল্পেতে গায়ে ছ্যাঁকা লাগছে? এবার শোন, শুধু ট্রেনে সঙ্গে থেকে ফাইফরমাস খাটার জন্যে কি সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে দশহাজার দিয়ে এসকর্ট ভাড়া করে কেউ? আমার বাড়ির কোন চাকরকে সঙ্গে পাঠালেই হত।

    জেনে রাখ, যুবরাজ যাচ্ছেন বুড়ারে আমাদের পারিবারিক দেবী ছিন্নমস্তার মন্দিরে বার্ষিক পূজো দিতে। কিন্তু একে তো যুবরাজের ব্যামোটি একটু বেড়েছে। আবার কিছু লোক পেছনে লেগেছে। উনি আলাভোলা গোছের। তাই মাঝখানে যদি কোন স্টেশনে নেমে পড়েন বা কেউ ভুলিয়ে ভালিয়ে নামিয়ে নেয়, বুঝতেই পারছ।

    - তারা কে? দু’একটা নাম যদি বলেন।

    - আরে সেটা জানলে তো হয়েই যেত। এসপি সাহেব আমার সঙ্গে অফিসার্স ক্লাবে রামি খেলেন। তোমাকে পাঠানো এই জন্যে যে আগে তোমার কিছু কাজের সুখ্যাতি শুনেছি। ওই এসপি সাহেবের কাছেই। আমি চাইনে ট্রেন ছাড়ার সময় লোকে জেনে যাক যে ওঁর সঙ্গে কেউ এসকর্ট যাচ্ছে। ওদের সাহস বাড়বে, ওরা অসতর্ক হবে। এমন কিছু করে বসবে যে মুখোশ খুলে আসল চেহারা বেরিয়ে পড়বে। তাই এত লূকোচুরি।

    এমনি ভয়ের কিছু নেই, তবে সাবধানের মার নেই। সব সময় চোখে চোখে রাখবে। অপরিচিত লোকজন গায়ে পড়ে আলাপ করলে দ্বিগুণ সতর্ক হবে। ওঁকে ছেড়ে একা বাথরুমে যাবে না। কন্ডাক্টরকে এবং কোচের যে অ্যাটেন্ড্যান্ট তাকে দেখতে বলবে। বলে দিও উনি অসুস্থ, কিছু টিপস দিও, বুঝলে? যা টাকা দিচ্ছি তার সবটা পকেটে পুরো না, কিছু খরচা কর, বুঝলে?

    ভয়ের কিছু নেই, তবে যুবরাজ বলে কথা, সবাই ধরে নেবে যে সঙ্গে মালকড়ি আছে। কিন্তু সকাল দশটায় ট্রেন ছাড়বে আর বেলা তিনটেয় বুড়ার স্টেশন এসে যাবে। আমার লোক স্টেশনে এসে নামিয়ে নেবে। তোমার দায়িত্ব শেষ। রাত্তিরে ছিন্নমস্তা দেবীর পূজো দেখ, খাও দাও। পরের দিন ফেরার ট্রেন দুপুর দুটোয়, তুমি একা ফিরবে। উনি ফিরবেন সাতদিন পরে।

    এমনিতে চিন্তার কিছু নেই, তবে তোমাদের তো রিভলবারের লাইসেন্স আছে, এসপি সায়েবের থেকে শুনেছি।

    মেজাজটা খিঁচড়ে গেল। এ শ্যালক আমাকে ভেবেছে কি? কোথাকার লাল্লু-পাঞ্জু হবে! বোম্বাগড়ের রাজা! ওই যারা ছবির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা? হ্যাঁ, কেউ জানেনা বোম্বাগড়ের রাজারা কখন কেন কী করে? একেবারে উদ্ভটপুরাণ। আর সত্যি সত্যি রাজা কিনা কে জানে! ছত্তিশগড়ে অমন অমুকপুরের রাজকুমার, তমুকগড়ের রাণীসাহিবা গন্ডায় গন্ডায় পাওয়া যায়। ছোটবেলায় রায়পুরের কাছে বাঙালী উদ্বাস্তুদের ক্যাম্প নং ২ তে বড় হয়েছি। ওখানে সব পাড়াতুতো কাকু, জ্যেঠু বা দাদুর দল, সবাই নাকি হয় পূববাংলায় জমিদার ছিলেন, নয় নবাবগঞ্জে কাপড়ের দোকান ছিল, অথবা ঢাকায় কারখানা ছিল।

    আর টাকা দিচ্ছে বলে মাথা কিনেছে নাকি? কোন মিনিমাগনা খয়রাতি করছে? কাজ করিয়ে তবে দিচ্ছে। কাজটা প্রথমে যত হালকা মনে হছিল এখন লাইসেন্সড রিভলবারের কথা তোলায় মনটা কু’ গাইছে।

    এইসব সাত সতেরোয় ঘড়ির কাঁটা কখন আটটার ঘর ছুঁয়েছে খেয়াল হয় নি। কিন্তু বাইরে একটা হিরো হোন্ডা বাইক এসে থেমেছে। জগন্নাথ দামলে বলে ফাইফরমাশ খাটার ছেলেটা উঁকি মেরে দেখে আমার দিকে তাকাল।মানে ক্লায়েন্ট এসেছে। যে ঢুকল তাকে শনিচরি বাজারে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়বে না। শ্যামলা একহারা পেটানো চেহারা। হাতা গোটানো জামাটা প্যান্টের ভেতরে গোঁজা, কোঁকড়ানো চুলে কিছু পাক ধরেছে। কিন্তু রাত্তিরে চোখে একটা কালো চশমা কেন? সে সোজা আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল, ‘সৌরভ বিশ্বাস সাহাব’? কুমারসাহাব নে ভেজে হ্যায়’। তারপর চামড়ার ফোলিও ব্যাগের চেন টেনে বের করল একটা খাম, তার বাইরে কলম দিয়ে ৫০০০ লেখা।

    ‘আপ কা পরিচয়’?
    ‘শান্তিরাম, কুমারসাহাবকে ড্রাইভার’।

    তারপর ও বিশুদ্ধ খড়িবোলী হিন্দিতে জানায় যে এরমধ্যে কালকের ইন্দোর এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাসের জি কেবিনের আপার বার্থের টিকিট এবং ৫০০০ টাকা রয়েছে, আমি যেন ওর সামনে গুণে দেখি। কিন্তু কুমারসাহেব আপনাকে মনে করিয়ে দিতে বলেছেন যে বিলাসপুর স্টেশনে আপনি স্লিপার কোচে উঠবেন, ট্রেন ছাড়লে পরে ভেতর দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসের কেবিনে যাবেন।

    ‘শান্তিরামজী, একটা কথা। উনি আমাকে চিনবেন কী করে? উনি তো একটু আলাভোলা লোক, মানে, কুমারসাহেব যেমন বলেছেন আরকি’।

    শান্তিরাম হাসে না। জানিয়ে দিল যে ও নিজে যুবরাজ সাহেবকে নিয়ে জি কেবিনে উঠবে। আমি এলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কুড়ি মিনিট পরের ঘুটকু স্টেশনে নেমে যাবে।

    শান্তিরাম চলে গেল। আমি সিমরনকে জানাই যে কাল ওকে একা অফিস সামলাতে হবে। কোন অসুবিধে হলে আমাকে চারটের পরে ফোন করতে পারে। ততক্ষণে আমি বুড়ার নেমে রাজবাড়ির আতিথ্যে থাকবো। জরুরী হলে আগেও এসএমএস করতে পারে। এছাড়া কোসলে স্যারের স্পেশাল নম্বর আছেই। কিন্তু এমার্জেন্সি না হলে ওঁকে বিরক্ত করার দরকার নেই। তবে আমি বাড়ি গিয়ে রাত্রে ওনার সঙ্গে কথা বলব। সিমরনের জন্যে কোন স্পেশাল ইন্সট্রাকশন থাকলে উনিই জানিয়ে দেবেন।

    কিন্তু অফিসের লাইট নেভানোর আগে আমার মোবাইল বেজে উঠলো। স্ক্রীনে দেখছি ‘বস’।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • ধারাবাহিক | ২৬ জুন ২০২১ | ২২২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৭ জুন ২০২১ ১১:৫৮495345
  • বেশ চলুক। 


    কিন্তু খাতায় কেন হদাপায় না দিয়ে? 

  • Ranjan Roy | ২৯ জুন ২০২১ ১২:১৩495424

  • এখন কি  হদাপায় ট্রান্সফার করা যাবে?

  • | ২৯ জুন ২০২১ ১২:৫৪495426
  • আরএকবার এন্ট্রি করেদেন। 

  • lcm | ২৯ জুন ২০২১ ১৩:৫৬495428
  • হদাপায় গেছে  

  • গবু | 223.223.141.210 | ২৯ জুন ২০২১ ১৬:৩৯495432
  • শুরু তো ভালোই। কিন্তু তৃতীয় পর্ব দেখলাম আছে, দ্বিতীয় পর্ব কই? 

  • | ২৯ জুন ২০২১ ১৭:৩৬495435
  • দইতীয় পর্ব কই? তৃতীয় টা এর সাথে জোড়ে নি কেন? ধারাবাহিক কি অত খুঁজে খুঁজে পড়া যায়? 

  • Ranjan Roy | ২৯ জুন ২০২১ ১৯:৩৪495438
  • যথারীতি ছড়িয়েছি।


    প্রথম পর্ব জোড়েনি। এলসিএমের দাক্ষিণ্য চাই।


    আর তাড়াহুড়োয় ঘাবড়ে গিয়ে দেখিনি যে প্রথম দুটো পর্ব প্রথম কিস্তিতেই ঢুকে গেছে।


    আর ২য় ও ৩য় একই। এবার ৪র্থ থেকে সামলে দিয়েছি। বাকি সব পরপর চলবে। 

  • lcm | ৩০ জুন ২০২১ ১১:৫৩495466
  • ডান

  • বিপ্লব রহমান | ০১ জুলাই ২০২১ ০৬:৩১495496
  • জমাট গল্প, প্রথম পর্ব থেকেই শুরু করলাম 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন