এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • রাজরক্ত (রহস্য গল্প) : ২য় পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২৯ জুন ২০২১ | ২২০৪ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    (২) ডিএসপি কোসলে ২৬/০৩/২০০২ রাত ৯.৩০

    দলগঞ্জন সিং কোসলে বা ডি এস কোসলে রিটায়ার হওয়ার আগে বিলাসপুর জেলার ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের বড়কর্তা ছিলেন। র‍্যাঙ্ক ছিল ডেপুটি সুপারিন্ডেন্ট অফ পুলিস, সংক্ষেপে ডিএসপি। উনি আইপিএস ন’ন; খেটেখুটে সারাজীবন পরিশ্রম করে রিটায়ার হবার তিনবছর আগে ডিএসপি র‍্যাংক পান। চাকরি আরম্ভ হয়েছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর হয়ে। কোসলে রিটায়ার করেছেন বছর পাঁচ, কিন্তু এখনও ‘ডিএসপি স্যার’ সম্বোধন শুনতে ভালবাসেন। অন্ততঃ আমাদের থেকে, যারা ওঁকে ওনার চাকরি জীবন থেকে জানে। কথায় কথায় বলেছিলেন যে ওনার নামের সংক্ষিপ্তরূপে ডিএস আছেই, সঙ্গে পি মানে পুলিসওলা। লোরমী জেলার গৌড়খামহি গ্রামের এক দলিত কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন। ওঁদের পরিবারে উনিই প্রথম সরকারি ‘অফসর’, গাঁয়ের বাড়িতে গেলে লোকজন নানান সমস্যা এবং দরখাস্ত নিয়ে দেখা করে, আশ্বাসবাণী শুনতে চায়।

    এহেন ডিএসপি স্যারের সঙ্গে আমার ভাগ্য কী করে জুড়ে গেল সেটাও কম আশচর্য্যের কথা নয়। এক বিচিত্র পরিস্থিতিতে আমাদের পরিচয়। আর সেই পরিচয় আমার জীবন বদলে দিয়েছে বললে কম বলা হয়। আমার বাবা চন্দ্রমোহন বিশ্বাস বিলাসপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের মূলমূলা গ্রামে চাঁদসী ডাক্তার। আমাদের বাসরাস্তার উপর ছোটমত দোতলা বাড়ির নীচের তলায় বাবার নাগমাতা দাওয়াখানা। সামনে সাইনবোর্ড টাঙানো, তাতে একটা ফণাতোলা সাপের ছবি, নীচে ছোট করে লেখা ডঃ সি এম বিশ্বাস, রেজিঃ ৫২০৭। বোর্ডে আরও লেখা যে এখানে বিনা ছুরিকাঁচি অর্শ ভগন্দরের চিকিৎসা হয়। আর নম্বরটা জালি নয়, বাবা গাঁয়ের সমাজে একজন মান্যিগণ্যি ডাগদর সাহাব। গলায় স্টেথো ঝোলে, লোকের প্রেশার মাপে, সুঁই লাগায়। বাঙালি ডাগদরদের উপর এখানকার লোকজনের অগাধ বিশ্বাস।

    হ্যাঁ, আমার ছোটবেলায় মানা রিফিউজি ক্যাম্পে থাকার সময়ে বাবা আয়ুর্বেদের ডিপ্লোমা প্রাইভেটে পাস করে নেয়। বাড়িতে জ্যেঠুর দাওয়াখানায় কিছুদিন বসে। কিন্তু তারপর আর এম পি বা রেজিস্টার্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার হিসেবে ওই নম্বর পেয়ে লেটার প্যাড কার্ডটার্ড ছাপিয়ে নিয়ে কোন যোগাযোগে এই স্টেট হাইওয়ের উপর মূলমূলা গ্রামে ডিসপেন্সারি খোলে। আমি মানা ক্যাম্পে জ্যেঠুর বাড়িতে থেকে বাংলা স্কুলে পড়ছিলাম, ওখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলাম। তারপর বাবার কাছে চলে এলাম।

    বাবার রোজগারপাতি ভালই। বাবা খদ্দেরের অবস্থা বুঝে ফীস নেয়। কাউকে কাউকে মাপ করে দেয়। এভাবেই টালির চালের বাড়ি ক্রমশঃ পাকা হয়, দোতলা হয়। আমার বোনের বিয়ে হয় আর আমি ওই এলাকার চার-পাঁচটা গ্রামের মধ্যে বখামির জন্যে পরিচিত হই। কলেজে নাম লিখিয়েও যেতে মন চায়নি। নতুন প্রাইভেট কলেজ, ফাইন দিলে সাতখুন মাপ। গল্পের বই ছাড়া অন্য বই পড়ায় আমার আগ্রহ নেই, তাই প্রাইভেটে বিসসি(বায়োলজি) পাশ করেছি। চাকরির বাজারে ছত্তিশগড়ে এর দাম কানাকড়িও নয়। কিছুদিন বাবার দাওয়াখানায় কম্পাউন্ডারগিরি করলাম। তারপর বাবাকে বলে দিলাম যে এসব আমার পোষাবে না। বাবা লোভ দেখাল, মাসে পাঁচশ টাকা হাতখরচ দিচ্ছিল, কাজ শিখলে একহাজার করে দেবে বলল। কিন্তু সকাল আটটা থেকে রাত আটটা ওই একটা ঘরে আটকে থাকা আর নানান রোগের ফিরিস্তি শোনা আমার অসহ্য হয়ে উঠল। বাবা হাল ছেড়ে দিল।

    এমন সময় পাশের গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতি হয়ে গেল।

    ব্যাংকটা একবছর হোল পঞ্চায়েতের মনোরঞ্জন গৃহে খুলেছে। ওটা একেবারে জনবসতির শেষে সুনসান জায়গায়, উঁচু বড়রাস্তার থেকে খানিকটা নেমে মাঠের মধ্যে।

    ছোট্ট ব্র্যাঞ্চ, একজন ম্যানেজার, ক্যাশিয়ার আর চাপরাশি। সেদিন ম্যানেজার ছুটিতে ছিল। তিনটেয় ক্যাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ক্যাশিয়ার চাপরাশিকে একজন গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাড লোন রিকভারির জন্যে ১০ কিলোমিটার দূরের গাঁয়ে পাঠিয়ে ক্যাশ গুণে হিসেব মেলাচ্ছিল। এমন সময় তিনটে ছেলে এসে বলে - দশহাজার টাকা দিয়ে একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলবে। ‘এখন ম্যানেজার নেই, কাল এসো’ বলা মাত্র ওরা কাউন্টারের উপর দিয়ে ওর কলার চেপে ধরে পিস্তলের নল গালে ঠেকিয়ে সিন্দুকের চাবিটা নিয়ে নিল। খুচরো টাকা ছেড়ে চারলক্ষ দশহাজার টাকা একটি থলিতে ভরে চম্পট দিলো। যাবার আগে বলে গেল – আমরা চলে যাওয়ার আগে চেঁচাবি না। নইলে জান খোয়াবি।

    ক্যাশিয়ার ভদ্রলোক জবুথবু বসে রইল। তারপর ওদের মোটরবাইকের শব্দ মিলিয়ে যেতেই বাইরে বেরিয়ে চেঁচাল। একটু দূরে ক্লাবঘরের বারান্দায় আমি বন্ধুদের সঙ্গে ক্যারম খেলছিলাম। চিৎকার শুনে বেরিয়ে দেখি ক্যাশিয়ার বলছে তিনটে ছেলে নীল রঙের হিরো হোন্ডা মোটর বাইকে করে ব্যাংকের টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে গেল! আমরা সঙ্গে সঙ্গে দুটো দলে ভাগ হয়ে চারটে মোটরবাইক স্টার্ট করে রাস্তার দুদিকেই পাঁচ কিলোমিটার অব্দি ধাওয়া করলাম। কোথাও কোন নীল মোটরবাইকের চিহ্ন নেই। সম্ভবতঃ বড়রাস্তা ছেড়ে মাঝখানে কোন গাঁয়ে ঢুকে সেদিক দিয়ে পালিয়েছে।

    মোটরবাইক ওরা ব্যাংকের কাছে রাখে নি, প্রায় ১০০ গজ দূরে পানের গুমটির কাছে একদিকের দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু ওখানে উঠতি বয়েসের ছেলেছোকরারা অনেকেই মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে পান-সিগ্রেট খায়। কাজেই ব্যস্ত দোকানদার অতশত খেয়াল করেনি।

    পুলিশ এল, ব্যাংকের এরিয়া অফিস থেকে অফিসার এল। প্রেসের লোকজন। আমরা স্টেটমেন্ট দিলাম পুলিশকে, আরও দিলাম প্রেসকে। ছবি উঠল। হাওয়া গরম। আমরা সারাক্ষণ ওখানেই ঘুরঘুর করছি। পুলিশ বিলাসপুর থেকে ব্যাংকের ম্যানেজারকেও ডেকে আনল। থানায় নিয়ে গিয়ে সবার স্টেটমেন্ট নিল। মাঝরাত্তিরে একটা বড় ভ্যানে করে পুলিশের কুকুর রেশমি এল। এদিক ওদিক দৌড়ল, শুঁকল ব্যস্‌। সকালে ফরেন্সিক ল্যাব থেকে একজন মেয়ে টেকনিশিয়ান এসে সিন্দুক, কাউন্টার সব জায়গায় পাউডার ছড়িয়ে ছাপ তুলল, ফটো তুলল। আমার বন্ধুরা ইয়ং মেয়েটিকে কফি আর সিঙারা খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমি মন দিয়ে মেয়েটির কাজকর্ম দেখছিলাম, ওকে প্রশ্ন করছিলাম। মেয়েটি একটুও বিরক্ত হচ্ছিল না, বরং হাসিমুখে উত্তর দিচ্ছিল। বেলা বাড়লে বিলাসপুর থেকে পুলিশের এসপি এবং আইজি এলেন। সব শুনে ব্যাংকওলাদের বললেন যে ক্যাশিয়ারকে সন্দেহ। ও কেন ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ক্যাশ মেলানোর সময় কোল্যাপ্সিবল গেট বন্ধ করে ভেতর থেকে তালা লাগায়নি? এটা ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্স।

    দিন দশ গড়িয়ে গেল। কোন সুরাহা হচ্ছিল না। পুলিশের সন্দেহ ক্যাশিয়ার সূর্যকান্তের দিকে, কিন্তু জেরা করে ওর নেগলিজেন্স ছাড়া কিছুই পাওয়া গেল না। কাছাকাছি গাঁয়ে পুলিশের খোচর বা খবরির থেকেও কোন ক্লু বা সন্দেহজনক সূত্র পাওয়া গেল না। পুলিশের দল রোজ একবার করে আসে। তাদের কর্তা এক কাঁধে তিনটে স্টার লাগানো ডিএসপি কোসলে সাহেব। উনি খোলা জায়গায় চেয়ার লাগিয়ে বসে সবার সংগে গল্প করেন, চা খান আর প্যাকেট খানেক সিগ্রেট ফোঁকেন। আমি ওনার সঙ্গে এঁটুলির মত লেগে থাকি। চা-সিগ্রেট নিয়ে আসি। উনি আমার থেকে স্থানীয় ইয়ং ছেলেপিলেদের গতিবিধি, ক্রিমিনাল রেকর্ড এবং অন্য অনেক কিছু, যেমন ইদানীং কোন ছেলেমেয়ে জোড়া বেঁধে পালিয়েছে কিনা-সব জানতে চান।

    একদিন আমাকে বললেন — বাঙালি বাবু, তোমার কি মনে হয়? আমাদের সন্দেহ ক্যাশিয়ার সুর্যকান্তকে — কিন্তু ওর এসব করে লাভ? এখানে পোস্টিং হয়েছে মাত্র ছ’মাস। তুমি কিছু বলতে পার?

    আমি কিন্তু কিন্তু করে বলি-দুটো কথা স্যার। ছ’মাসের মধ্যেই সুর্যকান্তের কাপড়ের আর মুদির দোকানে অনেক ধার হয়ে গেছে। কাপড়ের দোকানটা আমার বন্ধুর বাবার, তাই জানতে পেরেছি। ব্যাংকের লোক বলে ওরা এতদিন কিছু বলেনি, এবার ম্যানেজারের কাছে গিয়ে তাগাদা করবে।

    কোসলে স্যারের চোখ সরু হয়ে ওঠে।

    -- দ্বিতীয় কথাটা?

    -- ডাকাতেরা মোটরবাইক ব্যাংকের জায়গা থেকে অতদূরে কেন রাখবে? আমি ভাবি, আমি ডাকাত হলে কোথায় রাখতাম? ঠিক ব্যাংকের গেটের বাইরে দেয়ালে ঠাসিয়ে, যাতে কাজ হয়ে গেলে চটপট হাওয়া হয়ে যেতে পারি। আর রাস্তার থেকে অনেকটা নীচে ব্যাংক, সহজে কারও নজরে পড়বে না। তা না করে পানদোকানের গায়ে? যেখানে অনেক লোক? আর ব্যাংকের থেকে তিনজন অসময়ে বেরিয়ে একটা বড় ঝোলা নিয়ে হেঁটে পানদোকানের পাশে একটা মোটরবাইকে উঠল অথচ কেউ ওদের নীল হিরোহোন্ডা দেখতেই পেলনা? ডাকাতিটা সত্যিই হয়েছিল কি?

    কোসলে আদ্দেক খাওয়া চা ফেলে উঠে দাঁড়ালেন এবং গাড়িতে ওঠার আগে নিজের কার্ড দিয়ে বললেন — রোববার দিন বিলাসপুরে আমার বাড়িতে আয়, কাজ আছে।

    রোববার আসার আগেই গোটা গাঁ সরগরম। অপরাধী ধরা পড়েছে। সেদিন ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর পুলিশেরা ক্যাশিয়ার সূর্যকান্তকে গাড়িতে তুলে হাইওয়ের একটি ধাবায় গিয়ে পেটভরে খাওয়ায়। তারপর একটা মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক ধোলাই দেয়।

    সূর্যকান্ত কবুল করে যে ডাকাতির গল্পটা ওর বানানো। সেদিন তিনটের পরে ও চাপরাশিকে নোটিস সার্ভ ও বকায়া কিস্তি উসুল করার বাহানায় ১০ কিলোমিটার দূরের গাঁয়ে পাঠিয়ে দেয়। তারপরে ওর বিলাসপুরের রাঁধুনি মহিলা চারটে নাগাদ ভাড়াটে জীপ থেকে নেমে খালি হাতে ব্যাংকে গিয়ে একটি পুঁটুলি নিয়ে বেরিয়ে ফিরতি জীপ ধরে বিলাসপুরে চলে যায়।

    মহিলা পুলিশের হাতে রাম ঠ্যাঙানি খেয়ে রাঁধুনি মাসিটি সুর্যকান্তের বাড়িতে গিয়ে পায়খানার পিছনে সোকপিটের ভেতর পলিথিনের র‍্যাপারে মুড়ে রাখা টাকার পুঁটলিটি বের করে দেয়। জানা যায় শান্তশিষ্ট ক্যাশিয়ারবাবু মহিলা চক্করে ফেঁসে ব্ল্যাকমেলের শিকার; তাই এত টাকার খাঁই। ওর মোবাইলে ডাবল সিম, অন্য সিমে শুধু কিছু মেয়ের নম্বর।

    রবিবার বিলাসপুরের পুলিস অফিসারের বাংলোতে সংকোচের সঙ্গে গেট খুলে সেন্ট্রিকে বলে ভেতরে যাই।

    কোসলে স্যার লুঙি আর স্যান্ডো পরে টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন। চা এবং জিলিপি সিঙাড়ার পর জানতে চাইলেন, আমি কতদূর পড়াশোনা করেছি, আপাততঃ কী করছি এবং কী হতে চাই।

    তারপর বললেন - শোন, তোকে একটা অফার দিচ্ছি। আমি আগামী মাসে রিটায়ার করছি। ছ’মাসের মধ্যে একটা সিকিউরিটি এবং ডিটেকটিভ এজেন্সি খুলব, লুকোছাপা নয়, লাইসেন্স নিয়ে। একজন অ্যাসিসিট্যান্ট দরকার। হোঁশিয়ার অউর চন্ট! তুই করবি? প্রথমে বেশি কিছু দিতে পারব না। ট্রেনিং পিরিয়ডে মাসে দু’হাজার টাকা, দুপুরের লাঞ্চ ও যাতায়াত খরচা। ট্রেনিং এর পর যদি টিঁকে যাস, তো পাঁচ হাজার।আর কেস সল্ভ হলে পাঁচ পার্সেন্ট বোনাস। সাতদিনের মধ্যে ভেবেচিন্তে জানাবি। কার্ডে ফোন নম্বর দেয়া আছে। তুই রাজি হলে ট্রেনিং শুরু করাব।

    তিনবছর কেটে গেছে। আমার মাইনে এখন মাসে দশহাজার।বেশ কিছু কেস আমরা সল্ভ করেছি; হ্যাঁ, পুলিশ বিভাগে স্যারের পুরনো কনট্যাক্ট অনেক সময় কাজে এসেছে। কিছু নাম হয়েছে। ফলে কাজ বেড়েছে। বস আজকাল ছত্তিশগড়ের বাইরেও কিছু কেস নিচ্ছেন।

    অফিসে এখন আরও দুজন যুক্ত হয়েছে, ক্লার্ক কাম কম্পিউটার অপারেটর সিমরন এবং চাপরাশি জগন্নাথ দামলে। ওদের মধ্যে একটা আলাদা বন্ডিং আছে — ওরা তিনজনই-মানে বস, সিমরন ও জগন্নাথ- দলিত সমাজের। আর আমি? আমিও যে বাঙালি নমশূদ্র, মানে দলিত - সেটা কোসলে স্যার জানেন কি?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • ধারাবাহিক | ২৯ জুন ২০২১ | ২২০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০১ জুলাই ২০২১ ০৬:৪৫495497
  • বসটি জাঁদরেল, জহুরীও বটে। দারোগা প্রিয়নাথের ছায়া আছে? 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন