কার ক্ষতি হল, কতটা? ক্ষতিপূরণে কার লাভ হবে? কতটা? ... ...
রক্তারক্তি ছাড়া রহস্য উপন্যাস ... ...
ফেলে আসা সেই সব দিনের কথা এমন দিনেই বলা যায়। ... ...
আজ ভূত চতুর্দশী - মানুষের মতো ভূতদেরও চতুর এবং নানা দোষে দোষী হতে কোন অসুবিধে নেই - তাই আজ ভূত চতুর্দশীতে তাদের স্মরণ করা যাক। ... ...
খুন খারাপি নেই, রহস্য সমাধান করার একক বাহাদুরিও নেই, তবু গোয়েন্দা গল্প। ... ...
পুরোন জিনিষ বাতিল হোক, বিক্রি করে দেওয়া যাক পুরোন কাগজ, পুরোনো বই, আর হ্যাঁ মেরুদণ্ডগুলোও। ... ...
"জানিস না, পুলিশ একবার ছুঁলে বায়ান্ন ঘা! এরপর পাড়ায় যদি পুলিশের আসা যাওয়া চালু হয়, তাহলে তোর কিন্তু এ পাড়ার বাস তুলে ছাড়বো হতভাগি, অলুক্কুণে হাড়জ্বালানে। নাতি মেরে বের করে দেব রাস্তায়। আমার বুকের ওপর বসে তোর ঐ বাঁটনা বাঁটা চিরজম্মের মতো যদি ঘুঁচিয়ে দিতে না পারি তো আমারও নাম...." ... ...
সেই একই কেস। “দেখ মা, এরা নিজেরা ভুল করেছে, তার পানিশমেন্ট পেয়েছে। দে ডোন্ট ডিজার্ভ সিমপ্যাথি।” ‘“ভুল করেনি, এদের ঠকানো হয়েছে। দুটো এক নয়।” “দে চোজ দ্য রঙ মেন। দেয়ার ফল্ট।” “কাগজ পড়িস? প্রোপোজাল রিজেক্ট হয়েছে বলেও অনেক ঘটনা ঘটে। তারও দরকার হয় না, জাস্ট প্রেজেন্সই অনেক কিছু করে।” “কিছুই বুঝলাম না।” “খামবুনির ঘটনা মনে আছে? মেয়েটি গ্যাংরেপড হয়ে খুন হয়। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল, কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির কি দোষ ছিল?” ... ...
"আ-আই হ্যাভ আ কোয়েরি।" মা তাকাল আমার দিকে। "তোমাদের… ডিভোর্স হল ফর দিস রিজন?” "মেনলি। একবার ওকে না বলে একটা এনজিওতে ডোনেট করেছিলাম বলেও প্রচুর ঝামেলা করেছিল।... আরও কিছু খুচরো প্রবলেম ছিল। তবে সে সব কম বেশি সব ফ্যামিলিতেই থাকে। তবে ওই… সব যোগ হয়ে ব্যাপারটা ক্রমশ পয়েন্ট অফ নো রিটার্নের দিকে চলে গেল। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম কোনও টান আর নেই আমাদের মধ্যে। মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়ে গেল। তুই তখন ছোট, ক্লাস ফাইভ, তাই আমিই তোকে পেলাম। তোকে আঁকড়েই বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্ত…." ... ...
ছেলেটার মোবাইল বেজে উঠেছে। "হ্যাঁ স্যার বসিয়েছি… ঠিক আছে।" ফোন রেখে ছেলেটা বলল, "ওনারা ভিআইপি রোডে জ্যামে আটকে গেছেন। আপনাদের কোল্ড ড্রিংকস দিতে বললেন।" তৃষা বলল, "একটু খাবার জলও দেবেন।” ছেলেটা পাশের ঘরটায় ফিরে যেতেই স্বর্ণালীর প্রশ্ন, "ওনারা মানে কারা?" খোঁচা বলল, "আর একটু অপেক্ষা কর।" "না। ওনারা কারা? ডু উই নো দেম?" "জানি তোর অনেক প্রশ্ন আছে, বাট প্লিজ আর একটু ওয়েট কর,” বলল তৃষা। ... ...
"হোয়াট কাইন্ড অফ ড্রামা ইস দিস?" "আরে বাবা বেশিক্ষণ না,” খোঁচা বলল, “এ ড্রামা চলবে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় ঘন্টা।" "কী করতে চাইছিস?” “মেয়ে পাচারের বিজনেস শুরু করেছি। তোকেই ফার্স্ট পাচার করব।” হাত বাড়িয়ে খোঁচার মাথায় চটাস করে মারল স্বর্ণালী। “মারছিস কেন? ভাল লোকের কাছেই বেচব তোকে। ভেরি রিচ, তোকে সোনায় মুড়ে রাখবে।” এবার স্বর্ণালী খোঁচার চুল ধরে জোর টান দিল একটা। “এমন করলে কিন্তু কোনও গরীব লোকের কাছে বেচে দেব, তাতে যা লস হয় হবে,” বলল খোঁচা। অভিষেক হেসে উঠল। "খোঁচা থাম... ভয় পাস না সোনা," বলল তৃষা। ... ...
"চার জন আলাদা হয়ে খুঁজতে হবে, এক সাথে না," খোঁচা বলল। বলে একটু সরে দাঁড়াল, দোকানে আসা এক ভদ্রলোককে জায়গা করে দিতে। বছর ৫৫-র ভদ্রলোকের গায়ে ব্রাইট নীল রঙের শার্ট আর ফেডেড জিন্স, স্পোর্টস জুতোটা বেশ নামী কোম্পানির। পান কিনে ভদ্রলোক দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন। "সেই লোকটা," অভিষেক ফিসফিস করে বলল। "কোন লোকটা?" তিন জন প্রায় এক সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম। "আন্টির সঙ্গে যে লোকটা কথা বলছিল।" "তুই সিওর?" বলল তৃষা। "তাই তো মনে হচ্ছে, এই রকম ব্লু শার্টই ছিল ওনার গায়ে, প্যান্টটাও তো সে রকমই।" ভদ্রলোক হেঁটে যাচ্ছেন সামনে। একটা তিন তলা সাদা বাড়ির গায়ে একটা গ্যারাজ, সেখানেই ঢুকে গেলেন। ... ...
"কী বুঝলি?" বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য না করেই জিজ্ঞেস করল অভিষেক। ফোন থেকে চোখ না তুলে সারাক্ষণ কী করে থাকে ছেলেটা! "বোঝাবুঝির ব্যাপার নেই," বলল তৃষা, "দেখতে হবে সোনা নিজে কী চাইছে।” "কী চাইছে মানে?" আমি বুঝলাম না। খোঁচা বলল, "ও চাইছে কাকিমা প্রেম করছেন কি না সেটা যেন আমরা জানার চেষ্টা করি।" "আমরা কী করে জানব? স্বর্ণালী নিজেই জানে না।" আমি বললাম। তৃষা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই স্বর্ণালীর মোবাইল বেজে উঠল। আন্টি ফোন করছেন।তৃষা ফোনটা নিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। "নির্ঘাত দেরি করে ফিরবেন, ওইখানে যাবেন,” বিরক্তির সঙ্গে বললাম। খোঁচা বলল, "তোর তাতে কী প্রবলেম?" আমি রেগে গেলাম। "আমার কী প্রবলেম মানে? আমি স্বর্ণালীর প্রবলেমকে আমি নিজের প্রবলেম বলে মনে করছি, তাই আমার গায়ে লাগছে।" ... ...
আজকের বাংলার পরিস্থিতিতে এ গল্পটা মনে পড়ল। ... ...
তোয়াদিদি মনে মনে বলল, ‘তোদের সঙ্গে যখন থাকি, মন হয়ে যায় আকাশ, ওরে ছোট্ট ছোট্ট পাখি; আমরা সবাই থাকব ভালো, যদি তোদের ভালো রাখি।’ ... ...
আপনার চোখের সামনে কেউ যদি বোতলের ঢাকনা খোলার মতো মুণ্ডুটা খুলে ফেলে...? ... ...
হল তো "এক দুগুণে শূণ্য" - তারওপর থানা-পুলিশ-আইন-আদালত...ওফ্...তার চে এ যা হল মুখরক্ষা হল... ... ...
অনেক বড়ো মানুষ হয়েও যাঁদের মনটা ছোট - আরে নাঃ যা ভাবছেন তা নয় - বলতে চাইছি - যাঁদের মন অবরে সবরে ছোটবেলায় ফিরে যেতে চায় - এ গল্প তাঁদের জন্যে। ... ...
গোয়েন্দা শোভাময়ী সান্যালের রহস্যভেদের কাহিনী - পড়তে পড়তে পুজোর ছুটিটা উপভোগ করুন। ... ...