এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • কাদামাটির হাফলাইফ

    ইমানুল হক
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৯ নভেম্বর ২০২০ | ১৪০৫ বার পঠিত
  • পর্ব ১-৩ | পর্ব ৪-৬ | পর্ব ৭-৯ | পর্ব ১০-১২ | পর্ব ১৩-১৫ | পর্ব ১৬-১৮ | পর্ব ১৯-২১ | পর্ব ২২-২৪ | পর্ব ২৫-২৭ | পর্ব ২৮-২৯ | পর্ব ৩০-৩১ | পর্ব ৩২-৩৩ | পর্ব ৩৪-৩৫ | পর্ব ৩৬-৩৭ | পর্ব ৩৮-৩৯ | পর্ব ৪০-৪১ | পর্ব ৪২-৪৩ | পর্ব ৪৪-৪৫ | পর্ব ৪৬-৪৭ | পর্ব ৪৮-৪৯ | পর্ব ৫০-৫১ | পর্ব ৫২-৫৩ | পর্ব ৫৪-৫৫ | পর্ব ৫৬-৫৭ | পর্ব ৫৮-৫৯ | পর্ব ৬০-৬১ | পর্ব ৬২-৬৩ | পর্ব ৬৪-৬৫ | পর্ব ৬৬-৬৭ | পর্ব ৬৮-৬৯ | পর্ব ৭০-৭১ | পর্ব ৭২-৭৩ | পর্ব ৭৪-৭৬ | পর্ব ৭৭-৭৮ | পর্ব ৭৯-৮০ | পর্ব ৮১-৮২-৮৩ | পর্ব ৮৪-৮৫ | পর্ব ৮৬-৮৭ | পর্ব ৮৮-৮৯ | পর্ব ৯০-৯২ | পর্ব ৯৩-৯৪ | পর্ব ৯৫-৯৬ | পর্ব ৯৭-৯৮ | পর্ব ৯৯-১০০ | পর্ব ১০১-১০২ | পর্ব ১০৩-১০৪ | পর্ব ১০৫-১০৬ | পর্ব ১০৭-১০৮ | পর্ব ১০৯-১১০ | পর্ব ১১১-১১২ | পর্ব ১১৩-১১৪
    আরে, কাদা না থাকলে মানুষ তো বেঁচেই থাকতে পারতো না। শস্য সব্জি কিছুই কি তেমন মিলত? ফুল ফল অনেক কিছুই? কাদা আর বালির মিশেলেই তো জীবনের যত মার প্যাঁচ।

    পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের গ্রামজীবনের স্মৃতিচিত্রণ।
    ২২

    গোরু একটা গালাগাল। শহরে। গ্রামে গোরু ছিল আপনার জন। আত্মার আত্মীয়। প্রতিটি গোরুর নাম ছিল। তেমন ছিল কুকুরের। বেড়াল, মুরগি, হাঁসেরও। ছেলে মেয়ে পালনের মতোই যত্নে এদের পালন। নতুন গোরু কিনে আনা হলে তার পায়ে জল দিয়ে ধুয়ে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন বাড়ির গিন্নি।
    গাই হলে আলাদা খাতির।
    গোরুরা মালিক ও তার চাকরদের কথা স্পষ্ট বুঝতো। গোরু মুরগি হাঁস ছাগল চুরি হতো না আমাদের গ্রামে।
    গোরু চরাতে নিয়ে যেতো বাগালেরা আমানিভাত খেয়ে। আমরা পান্তা বলেছি শহরে এসে। গ্রামে আমানি। গোরু পিছু দুপয়সা ছিল মজুরি। দিনে দুপয়সা। ছাগল এক পয়সা।
    তবে গোরু ছাগল লোকের ধান খেয়ে খোঁয়াড়ে গেলে এক টাকা লাগতো।
    ছাগল ২৫ পয়সা। পরে বেড়ে হয় ৫০ পয়সা।
    খোঁয়াড় ডাক করাতো পঞ্চায়েত। খোঁয়াড় ডাক করা লোকের পয়সা হতো। কিন্তু তাঁকে লোকে নিষ্ঠুর ভাবতো। আমাদের ছাগল দু একবার খোঁয়াড়ে গেছে।
    এতো কষ্ট হতো তাকে দেখে।
    করুণ জল ভরা চোখে তাকিয়ে থাকতো। ১৯৭৭ এ সিপিএম ক্ষমতায় এলো
    ১৯৭৮ এ বাবা পঞ্চায়েত সদস্য হলো, আমাদের অর্থনীতি আরো খারাপ হলো।
    চা জলখাবার খাওয়ার লোক বাড়লো। পার্টি নেতাদের আনাগোনা বাড়লো। আয় কমলো।
    এই সময় আমি একটু হাল ধরি। বয়স কম। কিন্তু পয়সার মূল্য বুঝেছি।
    ১৯৭৭ এ আমার বার্ষিক পরীক্ষার প্রগতিপত্র আটকে দেওয়া হয়েছিল। মাইনে দেওয়া হয় নি বলে। ক্লাসে প্রথম হতাম তাই কেবল তিন মাসের বেতন ৩ টাকা ৭৫পয়সা করে ১১ টাকা ২৫ পয়সা লাগতো। আর ১৫ টাকা পরীক্ষার ফি।
    মোট ২৬ টাকা ৭৫।
    এই প্রগতিপত্র যখন আটকানো হয় তখন স্কুলের সম্পাদক আমার বাবা।।
    পরে বড়োমামা এসে মার্কশিট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরের দিন টাকা দিয়ে দিই।
    এই কারণে আমি বিনা বেতনে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানোর সমর্থক। প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করার সময় দেখেছি মাসে মাত্র ১২ টাকা বেতন তাও বহু ছাত্র ছাত্রী দিতে পারে নি। তাই ভোট দিতে পারে নি। এঁরা শতকরা ১০০ ভাগ ছিলেন তপশিলি জাতির ছাত্র ছাত্রী। মুসলিম ছাত্র ছাত্রী ২% ও ছিল না প্রেসিডেন্সি কলেজে।

    একজন খেতমজুরের মাসিক মজুরি ছিল ২৫ টাকা। বাবা সংসার উদাসীন। আর আমি কোনোদিনই বাড়ি থেকে টাকা পয়সা চাইতে পারতাম না। ফলে মাইনে বাকি থেকেছে বলা হয় নি। বাবা সমাজসেবায় ব্যস্ত। মা অসুস্থ।১৯৭৬-এ মেজদিকে শ্বশুরবাড়িতে নোড়া দিয়ে দাঁত ভেঙে মুখে বিষ ঢেলে মেরে ফেলে শাশুড়ি। খুব কম খেতে দিতো। একদিকে পণ অন্যদিকে মেজদি খুব গল্পের বই পড়তো।
    এই অপরাধ। বাবা অভিযোগ করেন নি থানায়। গান্ধীবাদী কমিউনিস্ট। বাবার মায়ের মতো দেখতে ছিলেন মেজদি। আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকেই সুযোগ পেলেই ৩০ কিলোমিটার দূরে ইন্দাস থানায় পাড়ি দিতাম বিডিআর ট্রেন।
    মেজদি আমাকে কোনোদিন মারে নি।
    মারামারি ছিল না তাঁর স্বভাবে।
    দুই ভাই-বোন মিলে গল্পের বই পড়তাম। পড়া বইয়ের গল্প শোনাতাম। লুকিয়ে বই নিয়ে যেতাম গল্পের।
    মেজদি ছিল অতীব সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। স্কুলের স্যাররা বলতেন, চলন্ত ওয়ার্ড বুক। এই ঘটনার পর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রান্না বান্না করতো ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া দিদি।
    এই সময় ছাগল চাষে মন দিলাম।
    ছয়টা ছাগল ছিল বাড়িয়ে ৩৬ টা করে ফেললাম দু বছরে। কিন্তু যখন ছাগল বিক্রি করা হতো আমি কেঁদে ভাসিয়ে দিতাম।
    বলতেও পারতাম না। সৎ লোক। পার্টি চালায় ঘরের পয়সা দিয়ে। কী বলবো।
    গোরুও বিক্রি হতো।
    কিন্তু সেটা সহজে করা যেতো না।
    একে তো সবার সামনে থাকে।
    দুই, একবার বিক্রি করার ফল ভালো হয় নি। গোঁজ দড়ি সমেত গোরু ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘরে এসে হাজির।
    গোরু বোকা নয়, গোরু নিয়ে রাজনীতি করারা শয়তান।
    বড়ো বড়ো তামার ডেকচি ছিল গোটা আষ্টেক। সারাতে যাওয়ার নাম করে বেচে এসেছে ছয় খানা।
    মা অশান্তি করলেন।
    কিন্তু তাতে গেলো জমি। বাবা বাড়িতে মিষ্টি ফল কোনোদিন আনতেন না।
    কিন্তু যেদিন লুচি মিষ্টির প্যাকেট ঢুকতো, বুঝতাম কোনো জমি বিক্রি করে আসা হলো।

    ---

    ২৩/১

    বাবাকে নিয়ে গল্প ফুরাবে না। একটা উপন্যাস লিখছি। সেখানেই সব লিখবো। এতে ১৯৩৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ধরবো বাংলার সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ভৌগোলিক পরিবর্তনের কাহিনি।
    তবে বাবার খেয়ালি মনের কথা কিছু লিখি।
    বাবা তো জরুরি অবস্থা জারির আগেই গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন মিথ্যা মামলা আর হামলার কারণে। কোথায় কোথায় না ঘোরেন। এর একটা পর্ব হচ্ছে চিল্লা পর্ব।
    চিল্লা মানে চল্লিশ দিন ঘোরা ধর্মপ্রচারে। বাবা নাস্তিক মানুষ। কিন্তু তবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ঘুরলেন সারাদেশে তিন চিল্লা বা ১২০ দিন ধরে।
    এতে সঙ্গী সাথীও পেলেন আবার দেশ জানা হলো। মানুষও। আর শিখে এলেন নানা খাদ্যাভ্যাস।
    এবং সেগুলো চাপল আমাদের ওপর।
    তোড়জোড় করে গম যব চাষ হলো।
    সকালে ছাতু খাওয়া আরম্ভ।
    আর ভাজা গম খেতে যে কী ভালো এই প্রথম শিখলাম। খালি গরম থাকতে হবে। ফাটাফাটি।
    আরেকটি জিনিস শুরু হলো তন্দুরি রুটি তৈরি। রুটি আমার দু চোখের বিষ। গরিবদের খাবার বলে ধারণা। আমার পছন্দ ভাত মুড়ি। যতো দাও খাবো। রুটি নয়।
    সকালে পাশের বাড়ির এক ছেলের সঙ্গে রুটি দিয়ে মুড়ি নেওয়া।
    তো তন্দুরি রুটি আমার দারুণ লাগলো। একটু খাবার সোডা একটু চিনি/ গুড় দিয়ে তৈরি হতো।
    নতুন চুলো তৈরি করা হলো সে-জন্য।
    তাতে আমরা শীতের সময় গোল করে বসতাম। রুটি তৈরি হচ্ছে হাতে হাতেই খেয়ে নিচ্ছি। তরকারি লাগছে না।
    আজ বড্ডো মন কেমন করছে।
    শিরমল পরোটা নিয়ে এলাম।
    কিন্তু মন ভরলো না।
    একদিন বানাতে হবে।
    একটা ছবি পেলাম। দিচ্ছি। রুটির সঙ্গে একটু ঘি আর চিনি দিয়ে পাকিয়ে রোল করে খেতাম।
    বাসি রুটিতে বেশি জমতো।
    তখন তো চিকেন রোল/ মাটন রোল শিখিনি।
    এই ছিল আমাদের রোল মডেল।

    বাবার তবলিগ জামায়াতের সফর শেষে একদিন বাড়ি ফিরলেন ফেরার জীবন সেরে।
    কদিন মসজিদে গেলেন। কপালে সাদা দাগ হলো নামাজ আদায় করে।
    মা খুব খুশি।
    চাষাবাদে মন দিয়েছেন।
    বাড়ির সামনে বিট গাজর টমাটো রায়গঞ্জের বিরাট বেগুন চাষ।
    বাড়ির দেওয়ালের চাল ভর্তি লাউ উচ্ছে।
    রাগ কমেছে বাড়িতে।
    মা আরো খুশি।
    মায়ের খুব গর্ব ছিল পীরের বংশধর। পানিপড়া আর হোমিওপ্যাথি দুই চলতো মায়ের বিধানে।
    আর ছোটো মামা অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার হওয়ার পর সে-সব ঘুচলো।
    তো উনিশে মাঘ আসছে। এবার আবার রাজলক্ষ্মী পালা।
    রাম সাজবে কে?
    একজনকে দেওয়া হয়েছে। সুবিধা লাগছে না উমাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাবাকে এসে ধরলেন, এনাম, এ ভাই।
    না দাদা বৌ রাগ করবে। আর যাত্রা করবো না।
    আচ্ছা করতে হবে না, একটু দেখিয়ে শুনিয়ে দিবি।
    যাত্রার গোটা তিনেক দল হতোই।
    এটা বড়োদের দল। উমাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সেহারা স্কুলের রসায়ন শিক্ষক।
    তো বাবা গেলেন।
    মুখে দাড়ি আর টুপি পকেটে পুরেই মহলা চললো।

    #
    যাত্রার দিন বাবার পাত্তা নাই।
    মা নিশ্চিত। বাবা এবার যাত্রা করছেন না। নামাজি লোক। যাত্রা ফাত্রা করবে না।
    আমার বাবার প্রায় ৬০ বছরের যাত্রা জীবন। ৫৯ বছরের বিবাহিত জীবন।
    প্রথম বছর যাত্রায় অভিনয় দেখেই প্রেমে পড়া বোধহয়, বিয়ের পর যাত্রা হয়ে গেল মায়ের সতীন।
    মা আর একটাও যাত্রা দেখেন নি। অথচ ১৯৬৭ তে রাজ্যের সেরা টাইপ আর্টিস্ট নির্বাচিত রবি চৌধুরী।
    বাবার ছদ্মনাম।
    যাত্রার রাতে রামকে দেখে আমার একটু চেনা চেনা লাগছে।
    মেজদি বলল, চুপ ঘরে বলিস না।
    আর বলিস না।
    ভোরে মা নামাজ পড়ার জন্য বাবা উঠছে না বলে ডাকতে গিয়ে দেখে দাড়ি কাটা। চোখে যাত্রার সুরমা আঁকা। যাত্রার পেন্ট তেমন ওঠে নি। ছাপ আছে।
    আর টুপি?
    চালের বাতায় গোঁজা।
    মা বুঝেও না বোঝার ভান করে বলল,
    যাবে না ফজরের নামাজ পড়তে?
    ধুস তবলিগ জামায়াত ওসব আমেরিকার চক্রান্ত বুঝলে। সাম্প্রদায়িকতা বাড়াবে। ছাড়ো তো।
    ওসবে আর এনাম নাই।

    বলে দিলীপ কুমারের একটা সংলাপ বলে পাশ ফিরে শুলেন।

    ---

    ২৪
    রুটি।
    আমার ভালো লাগতো না। তবে রুটি খেতেই হতো। এতো এতো গম চাষ হয়েছে। খাবে কে? গম কাটার সময় ঝাড়ার সময় বড়ো ঝামেলা। বড়ো শুং। গায়ে 'ভুঁকে' গেলে বা লাগলে বড়ো বেদনা। গা জ্বালা জ্বালা করে। ধানের ধুলোর গা জ্বালা একরকম, গমের আরেকরকম। যদিও রাশিয়ান গল্প উপন্যাসের খুব ভক্ত। 'সোভিয়েত দেশ' পত্রিকায় সোনালী গমের ছবি বের হয় দুপাতা জুড়ে। যেমন পাতা তেমন ছাপা ও ছবি। এলেই গন্ধ শুঁকতাম।
    আমার বড়ো মামা কংগ্রেসি। তবু সোভিয়েত দেশ, সোভিয়েত নারী কিনতেন।
    এ-সব দিয়ে বই মলাট দিলে সহজে ছিঁড়তো না। গুণছুঁচ দিয়ে এলোমেলো সেলাই। আর একটা ছুরি এঁকে লেখা-- এই বই যে করবে চুরি/ তার বুকে পড়বে এই ছুরি। তবু বই চুরি হতো। একজন ধরাও পড়লো। আমার বই আমাকেই ১৫ পয়সায় বেচতে চেয়ে। ক্লাস ফাইভে।
    রুটি খেতে ইচ্ছে না করলেও খেতে হতো।
    দুধ দিয়ে
    আম দিয়ে
    আলুভর্তা দিয়ে
    খেজুর গুড় দিয়ে।
    গরম রুটি আর খেজুরের গরম গুড় অনবদ্য।
    খেজুরের রস দিয়ে রুটি
    মাংস দিয়ে রুটি
    জিরে লঙ্কা দিয়ে আলুভাজা । তার সঙ্গে রুটি।
    ডিম ভাজি দিয়ে রুটি
    ওমলেট দিয়ে রুটি
    পটল ভাজি রুটি
    বেগুনভাজা রুটি
    পাঁয়চা/ নেহারি দিয়ে রুটি
    মুসুর ডাল দিয়ে
    মুগের ডাল রুটি
    মটরের ডাল রুটি
    ছোলার ডাল জিরে লঙ্কা দিয়ে রুটি
    পায়েস দিয়ে রুটি
    ক্ষীর দিয়ে রুটি
    আচার দিয়ে
    ভেলিগুড় দিয়ে
    আখের গুড় দিয়ে
    চিনি বা গুড়ের সিরা দিয়ে
    টক দই দিয়ে
    কাঁচা লঙ্কা/ আমের আচার দিয়ে
    কুমড়োর ছক্কা এবং কুচো কুচো আলু আর পাঁচফোড়ন।
    হলুদ নেই মশলা নেই তেল আছে কী নেই।
    সেরা সেরা।
    উচ্ছে দিয়ে রুটি খাই নি।
    তবে মুড়ি দিয়ে খেয়েছি।
    গ্রামে রুটি ছিল গরিবের রাতের খাবার, মধ্যবিত্তের সকালের, শহরে এসে দেখলাম ধনীরা রাতে গরিব খায় সকালে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১-৩ | পর্ব ৪-৬ | পর্ব ৭-৯ | পর্ব ১০-১২ | পর্ব ১৩-১৫ | পর্ব ১৬-১৮ | পর্ব ১৯-২১ | পর্ব ২২-২৪ | পর্ব ২৫-২৭ | পর্ব ২৮-২৯ | পর্ব ৩০-৩১ | পর্ব ৩২-৩৩ | পর্ব ৩৪-৩৫ | পর্ব ৩৬-৩৭ | পর্ব ৩৮-৩৯ | পর্ব ৪০-৪১ | পর্ব ৪২-৪৩ | পর্ব ৪৪-৪৫ | পর্ব ৪৬-৪৭ | পর্ব ৪৮-৪৯ | পর্ব ৫০-৫১ | পর্ব ৫২-৫৩ | পর্ব ৫৪-৫৫ | পর্ব ৫৬-৫৭ | পর্ব ৫৮-৫৯ | পর্ব ৬০-৬১ | পর্ব ৬২-৬৩ | পর্ব ৬৪-৬৫ | পর্ব ৬৬-৬৭ | পর্ব ৬৮-৬৯ | পর্ব ৭০-৭১ | পর্ব ৭২-৭৩ | পর্ব ৭৪-৭৬ | পর্ব ৭৭-৭৮ | পর্ব ৭৯-৮০ | পর্ব ৮১-৮২-৮৩ | পর্ব ৮৪-৮৫ | পর্ব ৮৬-৮৭ | পর্ব ৮৮-৮৯ | পর্ব ৯০-৯২ | পর্ব ৯৩-৯৪ | পর্ব ৯৫-৯৬ | পর্ব ৯৭-৯৮ | পর্ব ৯৯-১০০ | পর্ব ১০১-১০২ | পর্ব ১০৩-১০৪ | পর্ব ১০৫-১০৬ | পর্ব ১০৭-১০৮ | পর্ব ১০৯-১১০ | পর্ব ১১১-১১২ | পর্ব ১১৩-১১৪
  • ধারাবাহিক | ১৯ নভেম্বর ২০২০ | ১৪০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:14a:fd1:3e63:a264 | ০৪ অক্টোবর ২০২১ ২০:১৫499052
  • সুন্দর 
  • | ০৪ অক্টোবর ২০২১ ২২:২০499061
  • তাবলিগ জামাত সত্যিই সাম্প্রদায়িকতা বাড়ায়।
    এই সিরিজটা দেখলেই পড়ে ফেলি।
  • | ০৪ অক্টোবর ২০২১ ২২:৪২499065
  • যাহ এই পর্বটা কেমন খাপছাড়া। 
  • Emanul Haque | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ০২:১৫499084
  • ধন্যবাদ
  • Emanul Haque | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ০৭:১৮499089
  • ধন্যবাদ। খেয়াল রাখবো।
    আপনি নিয়মিত পড়ছেন বলে ধন্যবাদ।
    আসলে গ্রাম বাংলার একটা পরিচয় দেওয়া লক্ষ্য।
    মেলামেশা খাদ্য বাসস্থান সংস্কৃতি শিক্ষা বিচারব্যবস্থা জীবনযাপন -- সবকিছুর একটা ছবি তুলে ধরা। গ্রামগুলোও তো আস্তে আস্তে শহরের মন নিয়ে ফেলছে! তাই
  • | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ১২:২৮499115
  • নিশ্চয়ই। লিখতে থাকুন, পড়ছি। 
    এই লেখাটা আসলে একেবারেই লেখার আগের ব্যক্তিগত নোটের মত লাগল তাই বললাম। 
  • বিপ্লব রহমান | ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:২৭499170
  • এপারে তবলীগ জামাতের দুই গ্রুপে রীতিমত মারপিট হচ্ছে, মোটেই সুফিবাদ নয়। 
     
    আপনার বাবাকে ভাল লাগল। তাকে নিয়ে বই লেখায় যায়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন