এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা  শনিবারবেলা

  • কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন

    ইমানুল হক
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০৮ জুন ২০২৪ | ৩৭২ বার পঠিত
  • ছবিঃ রমিত চট্টোপাধ্যায়

    কথা - ৩০


    আমাদের গ্রাম ও আশপাশের গ্রামের কোনও মানুষ, হিন্দু মুসলমান আদিবাসী, কেউই বৃহস্পতিবার ধান বিক্রি করতেন না।
    বৃহস্পতিবারকে হিন্দু মুসলমান সবাই বলতেন লক্ষ্মীবার।
    লক্ষ্মীবার ধানের খটি বন্ধ থাকতো।
    বাজারের বড় মুদি দোকান বন্ধের দিনও ছিল লক্ষ্মীবার।

    ভালো ভালো দোকানের নাম হতো লক্ষ্মী দিয়ে। দুর্গা রাজত্ব করতে শুরু করেছেন আশির দশকের পর।
    গ্রাম বাংলায় ছিলেন বসন্ত, কলেরা, বাঘ, শেয়াল, ভালুক, সাপের থেকে বাঁচানোর দেবীদের রাজত্ব।
    আমাদের গ্রামে ওলাইচণ্ডী পূজার পর ছিল মনসার পূজা।
    মূর্তি আসতো না। মাঠে পূজা। অরন্ধন হতো। একদিন উনুনকে অবসর দেওয়া হতো।
    হিন্দু মুসলমান সব বাড়িতেই মাটির উনুন ছিল। গ্যাসের কথা কল্পনাতেও আসেনি। ফ্রিজের নাম শুনিনি। টেলিফোনের কথা জানতাম। দুটো দেশলাই বাক্স সুতো দিয়ে জুড়ে আমরা টেলিফোন বানিয়েছি। গরমকালে কাঁচা তাল কেটে তার শাঁস আঙ্গুল দিয়ে বের করে খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। শহরের মতো কেটে বের করে নয়। সেই তালের মাঝে কঞ্চি জুড়ে আমাদের গাড়ি হতো। তালপাতার ওপরে কেউ বসলে তাকে টেনে নিয়ে যেতাম।
    লোহার রিঙ বানিয়ে লাঠি দিয়ে হেট হেট করে নিয়ে দৌড়াতাম শীতকালে।
    লক্ষ্মীপূজা হল মূর্তি এনে প্রথম ১৯৭৬-এ। পণ্ডিতপাড়ায়। তখন পুরানোরা বলতেন চাঁড়ালপাড়া, নবীনরা পণ্ডিতপাড়া। ওই পাড়ার সবার পদবী পণ্ডিত। তিন পরিবারের সদস্য বেড়ে এবং যুদো/ পৃথক হয়ে ১৯৭৮ নাগাদ আটটি পরিবার হয়। এখন অনেক। লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে নাটক করেন দাদা ও দাদার বন্ধুরা।
    কে দেবে জবাব?
    রাজদূতের লেখা।। নায়ক দাদা। খলনায়কের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন জয়দেব পণ্ডিত। মাত্র দুজন অভিনেতা ছিলেন জন্মসূত্রে 'হিন্দু'। বাকি সবাই জন্মসূত্রে 'মুসলমান'। হ্যাসাক জ্বালিয়ে অভিনয়। মঞ্চ হয় বাড়ির মহিলাদের কাপড় দিয়ে। পর্দা বিছানার চাদর।
    সেফটিপিন দিয়ে দিয়ে কাপড় জুড়ে তিনদিক ঘেরা মঞ্চ।
    মাইক একটা ছিল। মাঝখানে গোল মতো মাইক্রোফোন।‌ কে পরোয়া করে মাইক্রোফোনের। মুখেই সব। এই নাটক থেকে যাত্রার দলে নতুন রক্ত উঠে এল। নতুন অভিনেতাদের বাবারা ছিলেন যাত্রার দলে। নতুনরাও মাঘ মাসে যাত্রা করল। বেশ ভালো অভিনয়।
    পরের বছর বড়দের দলেও কেউ কেউ ঠাঁই পেলেন। আমার বাবা তো রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা। ৫০ বছরের বেশি সময় অভিনয় করেছেন। আমাদের চার ভাইয়ের সঙ্গেই যাত্রা করেছেন। আমাদের সেজ বৌমার সঙ্গেও।
    ঘরে ঘরে মেয়েদের চাল জমিয়ে দান ধ্যান করা ছাড়াও নিজেদের ফিতে আয়না চিরুনি সেফটিপিন নকল হার দুল কেনার জন্য ভরসা ছিল লক্ষ্মীর ভাঁড় আর হাঁস মুরগি ছাগল পালন।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মুরগি পালন করতেন না। তাঁদের ঘরের মেয়েরা হাঁস পালন করতেন। কোনও হিন্দু বাড়িতেই মুরগি ঘরে রান্না করা যেত না। ফিস্টিতে খেতে হতো। মুরগিকে বলা হতো রামপাখি। মুরগির ডিমকে রামফল। জ্বর সর্দি হলে শরীর দুর্বল হলে প্রেসার লো হলে গ্রামের ডাক্তার মুরগির হাফ বয়েল ডিম খেতে নিদান দিতেন। তখন মুসলিম বাড়িতে গিয়ে মুরগির ডিম কিনে আনতে যেতো।
    এখন তো মুরগির মাংস জলভাত পোল্ট্রির কল্যাণে। এই পোল্ট্রি আমাদের গ্রামে আসে বামফ্রন্টের বেকার ভাতা দেওয়ার কল্যাণে। বেকার ভাতা পেতেন তিনজন। তিনজনই কংগ্রেসি। এঁরা ম্যাট্রিক পাস করে কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে নাম লিখিয়েছিলেন। নাসির চাচা ও সালাম চাচা ছিলেন উদ্যোগী মানুষ। দুজনেই আমার খুব পছন্দের মানুষ। তাঁদের রাজনীতি আমাদের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে কোনও বাধা হয়নি।
    বামপন্থী রাজনীতির কারণে ২০০৯ থেকে আমাদের পরিবারকে বয়কট করা হলেও সালাম চাচা, ধনা চাচা ও মাদু চাচা নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। এসেছেন। আর এসেছেন ব্রাহ্মণ সন্তান পীরে কাকা।
    সালাম চাচা ও নাসির চাচা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট সরকারের দেওয়া ঋণ নিয়ে গ্রামে প্রথম পোল্ট্রি করলেন। গ্রামের বাইরে মাঠে।
    তখন ঘরোয়া মুরগির মাংসের দাম ২০ টাকা। ছাগলের মাংসের নাম তখন মাটন হয়নি। দশ টাকা কিলো।
    এবার পোল্ট্রি এসে দাম হল ১৫ টাকা কেজি।
    মুরগি কিনে নিয়ে এসে বাড়িতে এনে জবাই বা কেটে আগুন দিয়ে ঝলসে ছালের গায়ে লেগে থাকা পালকের গোড়া তুলে রান্না।
    ছালসমেত মাংস খাওয়া ছিল রীতি। শুধু ছাল খেতে যে কী ভালো লাগতো!
    ভাবাই যায় না, দেশি মুরগির ছালের স্বাদ।
    মুরগির ঠ্যাং ছিল রইস ব্যাপার। নাম ছিল, মুরগির রান।‌ জামাইকে দেওয়া হতো। আর বড় মাছের মাথা।
    মাথার তখন সম্মান ছিল।
    এখনকার মতো মাথাহীন জীবন ছিল না।
    পদবী না বললে, নাম শুনে বোঝা যেত না হিন্দু না মুসলমান ছেলে বা মেয়ে।
    ঘরে ঘরে সোনা, হীরা, মানিক, মুক্তো নামের ছড়াছড়ি।
    সোনা, হীরা, মুক্তো -- ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের নাম হতো।
    বকুল ছিল ছেলেদের নাম।
    দীপু ছেলে এবং মেয়ে -- দুজনকেই ডাকা হতো।
    খোকা, কচি নামে ডাকা হতো ছোটদের। হিন্দু মুসলমান সব বাড়িতেই।
    তপনকুমার, উত্তমকুমার, তরুণকুমার বহু ছেলের নাম।
    কুমার বাদ যেত মুসলমানদের বেলায়।

    পোশাক দেখে চেনার কোনও আলাদা উপায় ছিল না। পুরুষের দল ঘরে লুঙ্গি পরতেন। বাইরে ধুতি পাঞ্জাবি।
    ১৯৭০ এর পর থেকে নবীনরা বাইরে প্যান্ট শার্ট পরতে লাগলেন।
    প্যান্টের আবার হরেক নাম। প্যান্টুলুন, বেলবটস, বেলবটম।
    কোনও কোনওটা ৩২ ইঞ্চি হতো পায়ের দিকে। তলায় চেন দেওয়া থাকতো। উপরে চোঙা নীচে রাস্তা ঝাঁট দেওয়া।
    চুলের কাটিং দু একজনের আলাদা হল। বিশেষ করে গোরাচাচা আর দক্ষিণ পাড়ার দুয়েকজনের। মিঠুন ছাঁট, বচ্চন ছাঁট এল। বাবার মতো যাত্রা করা লোকদের চুল ছিল ব্যাক ব্রাশ। স্কুলের ছেলেমেয়েদের চুলের কায়দাকানুন নিষিদ্ধ।‌ পিঠের চামড়া তুলে দেবেন স্যাররা।
    বিয়ে শাদিতে যাঁদের পয়সা আছে ব্যান্ড পার্টি আনাতো। ছেলের বিয়েতে।‌ বুকে নারকেলের মালা পরে মেয়ে সেজে ব্যাপক নাচ হতো।
    মাইক বাজাতো নিদেন পক্ষে। পয়সাওয়ালা মুসলমানদের বিয়েতে কনের বাড়িতে ঢোকার আগে দূরে পুকুর পাড়ে বসে প্রচুর বাজি পটকা ফাটিয়ে জানান দেওয়া হতো।
    হিন্দু মুসলমান সব বিয়েতেই বরকে রাস্তায় আটকাতো ছেলে ছোকরারা । পণ অনুযায়ী টাকা আদায় করতো গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন করার জন্য।
    নতুন জামাইকে শালিরা লঙ্কার শরবত খাওয়াতোই।
    হিন্দুদের বিয়েতে বাসরঘরে ছড়া গান বানিয়ে বানিয়ে গাইতেন বয়স্করা। পরে ওটা অন্ত্যাক্ষরী হল।
    আর মুসলমানদের বিয়েতে তিনদিন ধরে ক্ষীর খাওয়ানি।
    গায়ে হলুদ ছিল তিনদিনের।
    ওই তিন দিন সন্ধ্যায় ক্ষীর খাওয়াতে আসবেন গ্রামের মানুষ। শুধু ক্ষীর নয় মাছ মাংস ডিম নানারকম মিষ্টি থাকতো। খাইয়ে তাঁকে আশির্বাদ বা দোওয়া করতেন সাধ্যমতো পয়সা দিয়ে।
    এটা মেয়ের বা ছেলের নিজস্ব সম্পদ বলে গণ্য হতো।
    আর বাজত ঢোল। নেচে গেয়ে জমিয়ে দিতেন আত্মীয় কুটুমরা।
    বানিয়ে বানিয়ে গান তৈরি হতো।
    বিয়ের আগের দিন ব্যাপক রঙ খেলা।
    বড় বড় চৌবাচ্চা বা ড্রাম বা বালতিতে রঙ গুলে পিচকিরি দিয়ে হিন্দি সিনেমায় যেমন হোলি দেখেন তেমন কাণ্ড হতো।
    বিয়ের আগের রাতে মুসলমান বাড়িতে কাগজের শিকলি কেটে বিয়ের আসর সাজাতেন অনেকেই।
    আম গাছের ডাল হিন্দু মুসলমান সব বিয়েতেও গেটে লাগানো হতো।

    এখন তো ডেকরেশনের যুগ।
    বাড়ির ছেলে মেয়েদের শুধু খাওয়া আর সাজা এবং গুলতানি বা পরনিন্দা পরচর্চার কাজ।



    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৮ জুন ২০২৪ | ৩৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Supriyo Mondal | ১৬ জুন ২০২৪ ০৭:৪৭533275
  • দেশি মুরগি এখনও আমাদের বাঁকুড়ার গ্রামে ছাল সুদ্ধই মাংস করে। আমরা ছোটবেলায় ফিস্টের সময় খড় জ্বালিয়ে চামড়ার গায়ে লেগে থাকা পালকের গোড়া পোড়াতাম। এই সিস্টেমটার একটা নাম ছিল - এখন মনে পড়ছে না। তবে বর্ধমান শহরে দেশি মুরগি কিনে না বলে দিলে চামড়া রাখে না। 
    অন্য পদ্ধতিটা মানে ছাল (কথ্য ভাষায় "খাল") ছাড়িয়ে মাংস করলে বলা হতো "খালপোষ"। 
    দেশি মুরগির ক্ষেত্রে প্রথম পদ্ধতিটা চললেও, ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে খালপোষ টাই করা হতো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন