এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা  শনিবারবেলা

  • কাদামাটির হাফলাইফ

    ইমানুল হক
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০২ এপ্রিল ২০২২ | ১৬৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (৪ জন)
  • পর্ব ১-৩ | পর্ব ৪-৬ | পর্ব ৭-৯ | পর্ব ১০-১২ | পর্ব ১৩-১৫ | পর্ব ১৬-১৮ | পর্ব ১৯-২১ | পর্ব ২২-২৪ | পর্ব ২৫-২৭ | পর্ব ২৮-২৯ | পর্ব ৩০-৩১ | পর্ব ৩২-৩৩ | পর্ব ৩৪-৩৫ | পর্ব ৩৬-৩৭ | পর্ব ৩৮-৩৯ | পর্ব ৪০-৪১ | পর্ব ৪২-৪৩ | পর্ব ৪৪-৪৫ | পর্ব ৪৬-৪৭ | পর্ব ৪৮-৪৯ | পর্ব ৫০-৫১ | পর্ব ৫২-৫৩ | পর্ব ৫৪-৫৫ | পর্ব ৫৬-৫৭ | পর্ব ৫৮-৫৯ | পর্ব ৬০-৬১ | পর্ব ৬২-৬৩ | পর্ব ৬৪-৬৫ | পর্ব ৬৬-৬৭ | পর্ব ৬৮-৬৯ | পর্ব ৭০-৭১ | পর্ব ৭২-৭৩ | পর্ব ৭৪-৭৬ | পর্ব ৭৭-৭৮ | পর্ব ৭৯-৮০ | পর্ব ৮১-৮২-৮৩ | পর্ব ৮৪-৮৫ | পর্ব ৮৬-৮৭ | পর্ব ৮৮-৮৯ | পর্ব ৯০-৯২ | পর্ব ৯৩-৯৪ | পর্ব ৯৫-৯৬ | পর্ব ৯৭-৯৮ | পর্ব ৯৯-১০০ | পর্ব ১০১-১০২ | পর্ব ১০৩-১০৪ | পর্ব ১০৫-১০৬ | পর্ব ১০৭-১০৮ | পর্ব ১০৯-১১০ | পর্ব ১১১-১১২ | পর্ব ১১৩-১১৪
    আরে, কাদা না থাকলে মানুষ তো বেঁচেই থাকতে পারতো না। শস্য সব্জি কিছুই কি তেমন মিলত? ফুল ফল অনেক কিছুই? কাদা আর বালির মিশেলেই তো জীবনের যত মার প্যাঁচ।

    পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের গ্রামজীবনের স্মৃতিচিত্রণ।


    পর্ব ৬৪

    মেয়েটি সুন্দরী। বাবার বংশের মত লম্বা, মায়ের মত গায়ের রঙ। বেশ ফর্সা। এমনিতে ভাল তবে কালো লোকদের দেখতে পারে না।
    এম্মা কী কালো কী কালো!
    সেই মেয়েই প্রেমে পড়ল এক কালো ছেলের। বাড়ির তিন দিদি প্রেম করে নি। কিন্তু শান্তশিষ্ট মেয়েটি প্রেমে পড়ল এক কালো রঙের ছেলের। ছেলেটি ভিন্ন ধর্মের। সবর্ণ নয়। প্রেম এমন যে জানাজানি হল। মেয়ের বয়স মাত্র ১৪। প্রেম থামল না। পড়াশোনা ডকে। শেষে মাধ্যমিক যাতে ভাল ভাবে পাশ করে তার জন্য দাদার কাছে শহরে পাঠানো হল। একদিন সেই মেয়ে পালাল।

    কোথায় গেছে? খোঁজ খোঁজ। ছেলেকে পাওয়া গেল। সে মেয়েটির খবর জানে না। পূজার আনন্দে সে বিভোর। অনেক খুঁজে মেয়েটিকে পাওয়া গেল। প্রেমিককে খবর পাঠিয়েছিল। কিন্তু প্রেমিক না আসায় এক বান্ধবীর বাড়ি উঠেছে। গ্রামে ফেরান হল। ছেলেটি বিয়ে করতে সাহস করছে না। বাড়ির লোক বলছে, মুসলমান মেয়ে বিয়ে করলে তোর বোনেদের কেউ বিয়ে করবে না। এদিকে রোজগারপাতিও নেই যে খাওয়াবে। অন্যদিকে মেয়েটির বয়স কম। বাবা দাদারা প্রভাবশালী।

    মেয়েটি বাড়ি ফিরেছে। খাওয়া দাওয়া বন্ধ। সে বিয়ে করবেই। ওই ছেলেকেই এবং এখনি। সে একটা মোক্ষম কথা বলে বসল, আমি ন্যায্য বিচার চাই। চাইল বিচারকের কাছে। বিচার করা কঠিন। প্রভাবশালী পরিবার। বিচার বসল। এই মুহূর্তে বিয়ের পক্ষে মেয়েটি ছাড়া তেমন কেউ নেই। দাদা বিয়ের পক্ষে। কিন্তু পড়াশোনার পর। মেয়েটি কিন্তু অনড়। প্রেমিক ছেলেটি চুপ। সে-ও এখন বিয়ে চায় না। সবাই বিচারকের দিকে তাকিয়ে। বিচারক এতক্ষণ কথা বলেননি। তাঁর স্ত্রী এই বিয়ে হলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। বিচারক শেষে মুখ খুললেন।

    বললেন, একজন বাবা হিসেবে অল্প বয়সে রোজগারহীন ছেলের সঙ্গে আমি বিয়ের বিপক্ষে।
    কিন্তু...
    সবাই চুপ।
    কী বলবেন? কিন্তু কেন?

    বললেন, একজন বিচারক হিসেবে আমি মেয়েটির মতকে সম্মান করি। সে যদি বিয়ে করতে চায়, তাকে করতে দেওয়া উচিত।

    বিয়ে হয়ে গেল। বিচারক ছিলেন আমার বাবা। মেয়েটি আমার বোন। আমার বাবাকে সেদিন থেকে আরো বড় চোখে দেখি। এমন মানুষ হওয়া বড় কঠিন। আমাদের গ্রামে মারামারি কাটাকাটি না হওয়ার বড় কারণ এই ধরনের ন্যায্য বিচার।

    পর্ব ৬৫

    বাবা চলে গেলেন ২০১৩-এর ৯ অক্টোবর পঞ্চমীর দিন। বাবা চলে যাওয়ার পর আমাদের এক প্রতিবেশী বললেন, এই গ্রামে গত ৬০ বছর পারস্পরিক বিবাদে মামলা হতে দেন নি। এবার গ্রামে মামলা ঢুকে যাবে। কারো সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে পরদিন সকালে তাঁর বাড়ি চলে যেতেন। কিছু মনে করিস না, তোরও মাথা গরম ছিল, আমারও। চা খাই চল।

    ছোট বড় সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন। গরিব বড়লোক - সবার সঙ্গে এক ব্যবহার। দেখনদারি আত্মীয়তায় অবিশ্বাসী। পার্টির বড় নেতা বা সাধারণ কর্মী এক ব্যবহার। আলাদা খাতির নাই। পার্টির বড় নেতা এলে মুরগি করতেন না। আর বলতেন, কেউ যেন না খেয়ে ফিরে না যায়। তবে দোকান থেকে মিষ্টি মাংস কিনে নয়। যা আছে তাই খাওয়াবি। গরিব বড়লোক ভিখারি কাজের লোক - সবার এক খাবার। তবে মা জামাই ননদাই এলে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটাচ্ছেন।
    মুরগি মোরগ হতো।

    আমার মা বলতেন, ঘর জ্বালায়ে পর ভালায়ে।
    আর উনুন হচ্ছে রাবণের চিতা, নেভে আর না।

    ১৯৭৩ বেলা ১২ টা প্রচণ্ড গরম। মা কাজ করছিলেন।‌ বাবা এসে বললেন, এখুনি পরোটা বানাতে হবে। পার্টির সাইকেল মিছিল আসছে। পরোটা মানে মোটা মোটা পরোটা। পরোটা আলু ভাজা আর চিনির সিরা। ঘণ্টা খানেক ধরে চলল বানানো। ১০০ টার মত পরোটা। ৩০ জন মানুষ। বহুদিন পর লাল পতাকা দেখছি। সামনে পাশের গ্রামে মতিন মাস্টার। বাবাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। মতিন মাস্টার রশিদ ভাই - এই মানুষরা পরে পার্টিতে গুরুত্ব পাননি তেমন। বহু কমরেড তখন এলাকা ছাড়া। বাবাকে মেতে হবে ১৯৭৪এ।

    অতো তাড়াতাড়ি ভাত তরকারি সম্ভব নয়, তাই পরোটাই সই। কোথায় খাবে কমরেডরা? এমন কোনো দিন নেই যেদিন বাইরের কেউ খাচ্ছেন না। লেখালেখি করতেন নানা ছদ্মনামে। অনুভব কারিগর, কাকু ইত্যাদি নামে। চটজলদি ছড়া লিখে দিলেন পত্রিকায় ছাপার জন্য। তার কপি রইল না। 'খণ্ডঘোষ সমাচার' পত্রিকায় নিয়মিত বের হতো বাবার ছড়া। বই করতে দেন নি। কোনো প্রকাশকের দরবারে কোনোদিন যান নি। আমি বই ছাপার কথা বললে বলতেন, লেখা ভাল হলে প্রকাশক বলবে, নিজের পয়সায় কবিতার বই ছাপান পছন্দ করি না। নিজের জামাকাপড় সাজপোশাক নিয়ে উদাসীন। খালি গায়ে ঘুরতেন তিন খানা গাঁ। পরে একটু অনুযোগ করাতে আমার ঐতিহাসিক বন্ধু ওসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রফেসর আরিল এঙ্গেলসেন রুড বলেন, ওঁর কাছে নিজের বাড়িটাই শুধু ঘর নয়, তিন খানা গাঁই ঘর। আরিল আমাদের বাড়িতে ১১ মাস টানা ছিল। ইবসেন ন্যুট হামসুন নিয়ে আড্ডা হতো দু’জনের। পরে নরওয়ের এক বিখ্যাত পত্রিকা ভারতের এক কৃষকের ইবসেন চর্চা নিয়ে লেখে।

    মৃত্যুর এক বছর আগেও হয়তো বাজার যাচ্ছেন, ছেলেরা নানা জায়গায় ক্রিকেট খেলছে উনি সব মাঠেই একটু করে খেলে গেলেন। তখন বয়স ৭৬। সাইকেল ছাড়া চলতেন না। ২৬ কিমি দূরে বর্ধমান শহরে যেতেন সাইকেল নিয়ে। পরে দাদার বর্ধমানের চেয়ারম্যান হওয়ায় বাড়িতে অনুযোগ শুনে বললেন, বাসে যেতে পারি, কিন্তু ছাদে। ভেতরে বদ্ধ লাগে।

    দাবা তাস ক্যারমে ছিলেন দক্ষ। দান পেলে ক্যারমের গুটি শেষ। ফুটবল ক্রিকেট সব খেলেছেন। যাত্রা নাটক গান - নেশা।

    বাবার একটা কাজ আমি মনে করি সারা রাজ্যে একক ও দৃষ্টান্তমূলক। একবার বাড়ি গেছি, বাবা বললেন, তোমাকে একটা কথা দিতে হবে। এমনিতে তুই বলতেন, বিশেষ বিশেষ সময়ে তুমি। রাগের মাথায় তুমি বলতেন, আপনিও। তবে এদিন বলার সুরে বুঝলাম, এই তুমি রাগের তুমি নয়। দেখলাম কয়েকজন বসে আছেন। আমি ভাবলাম, কোনো সামাজিক কাজে কিছু দিতে হবে।

    বললেন, ওঁরা বসে আছেন একটা প্রতিশ্রুতির জন্য।
    কী বিষয়?

    গ্রামে কেউ মারা গেলে মুসলিম বাড়িতে প্রচুর আত্মীয় স্বজন আসে। খুব গরিব বাড়িতেও কম করে তিন চারশো। মুসলিম বাড়িতে মারা গেলে দূরের আত্মীয় স্বজন এলে খাওয়াতে হয়। অশৌচ ছোঁয়াছুঁয়ি ধারণাটাই মুসলিম সমাজে নেই। এতো আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াবে কীভাবে? বাড়ির লোক শোক সামলাবে না খাওয়ানোর আয়োজন করবে? মধ্যবিত্ত বড়লোক আত্মীয়ের মৃত্যুতে সাত আটশো জন আসেন। সমস্যা হয় না। আমার বাবার মৃত্যুর পর ১৫০০ র বেশি মানুষ ছিলেন জানাজায়। এছাড়া অগণিত মানুষ বিশেষ করে মহিলারা এসেছিলেন দল বেঁধে।‌ যে মহিলারা গ্রামে অন্য কোনো বাড়ি যান না সেই সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের মহিলারাও এসেছিলেন।

    তো, বাবা ঠিক করলেন একটা সংগঠন করবেন। যেখানে কেউ মারা গেলে ২০ টাকা করে সংগঠনে নাম লেখান পরিবারগুলো চাঁদা দেবে। সবার এক চাঁদা। বড়লোক বলে বেশি দিতে পারবে না। এ থেকেই মাছ ভাত ডাল তরকারি হবে। সবার ক্ষেত্রে এক নিয়ম গরিব ধনী সবাই। মাংস হবে না।

    আমি বললাম, সবার সঙ্গে কথা না বলে কথা দেওয়া মুশকিল। বাবা বললেন, তুমি রাজি হলে বাকি ভাই-বোনদের তুমি রাজি করাতে পারবে - এ বিশ্বাস আছে। এখন মুখে মার্কসবাদী কথা বলা আর বাস্তব জীবনে তা পালন করা কঠিন।

    ভাবুন, আপনার বাবা বা মা মারা গেছেন লোকের বাড়ি বাড়ি ২০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে লোক খাওয়াতে, মানতে পারবেন? ইগোতে লাগবে। একজন বললেন, ভাই তোমার বাপ আর আমি ছাড়া কোনো সম্পন্ন লোক এই সংগঠনের যোগ দেয় নি। সবাই বলেছে, আমরা যা লাগে খরচ পুরো দেব। তোমরা করবে।‌ ২০ টাকা করে চাঁদা বাড়ি বাড়ি তুলতে পারবে না। কিন্তু তোমার বাপ নিয়ম করেছে, সবার জন্য এক নিয়ম। এক খাবার। এক নাস্তা। কোনো তফাৎ করা যাবে না।
    এবার তুমি বলো কী করবে, প্রফেসার মানুষ। ভেবে বলো।

    বাবা জীবনে কিছু চাওয়ার লোক নন। আমিও কোনোদিন চাই নি, বাবার কাছে। খাতা শেষ হয়ে গেলেও বলি নি। ভাই জইনুল বলত আমার হয়ে। বাবা মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি সম্মোহিতের মত হ্যাঁ বলে দিলাম। বলে দিয়েই খেয়াল হল, বাকিরা মানবে? কিংবা আমিই কি পারব? সেই সময়? ইগোতে লাগবে না? বাবা মারা গেছেন বলে লোক খাওয়াতে বাড়ি বাড়ি ২০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে - এটা শুনতে বা দেখতে।

    কিন্তু ২০১৩-র রাতে যখন বাবা মারা গেলেন হাসপাতালে মাঝরাতে ভাবছি, আমরা তো কেউ গ্রামে থাকি না। মাও এখানে। কী হবে?

    মনে পড়ল বাবার সংগঠন আছে। একটা ফোন করতেই বলল, চিন্তা করো না। সব হয়ে যাবে।
    পরদিন গিয়ে দেখি ৫০০ লোকের নাস্তা/ জলখাবার এবং ১২০০ লোকের দুপুরের খাবার আয়োজন তৈরি। একজন বললেন, আরো চাল তৈরি লোক বুঝে বসিয়ে দেব। আমি বললাম, এতো লোকের মাছ ভাত সবজি ডালের আয়োজন। কী করে করবে? টাকা নাও।
    ওঁরা বললেন, সবার জন্য নিয়ম এক।

    তখন মনে পড়লো, আমি বলেছিলাম, কেউ বাসন, রান্নার সরঞ্জাম, গ্যাস ইত্যাদি ভবিষ্যতে কেনার জন্য কিছু দিতে পারে যদি। সেটা দিতে দাও। বললেন, সেটা স্বাগত।

    কিন্তু এ-জন্য নয়। একসময় ১২০ বিঘা জমির মালিক তখনো সম্পন্ন চাষি বিঘে খানেক জায়গা জুড়ে বাড়ির মালিক, ছেলে মেয়েরা চাকরি করে তিনি ২০ টাকা চাঁদায় নিজের মৃত্যু দিনের খাওয়ানোর আয়োজন মেনে নিচ্ছেন - এটা ভাবা যায় না।

    বাবার সাফল্য এটাই, সম্পন্ন মধ্যবিত্তরাও পরে এমন একটা সংগঠন গড়লেন। এই সংগঠনের সাফল্য দেখে। যাঁরা একসময় কেউ কেউ এটার বিরোধী ছিলেন, কেউ হাসিঠাট্টাও করেছেন।
    লোকের কাছে চাঁদা নিয়ে মা বাপের মরণে খাওয়াচ্ছে!

    বাবা কিন্তু উত্তরপাড়ার সুবিধা বঞ্চিতদের সংগঠন ছেড়ে আসেন নি। দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রয়ে গেছেন।

    সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশে থাক, সংখ্যালঘুর পাশে থাক - এটাই শিক্ষা। শত অবিচার অত্যাচারেও মাথা নত করো না। সাহসী ও নির্ভীক হও দাম্ভিক আত্মম্ভরি নয়।


    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১-৩ | পর্ব ৪-৬ | পর্ব ৭-৯ | পর্ব ১০-১২ | পর্ব ১৩-১৫ | পর্ব ১৬-১৮ | পর্ব ১৯-২১ | পর্ব ২২-২৪ | পর্ব ২৫-২৭ | পর্ব ২৮-২৯ | পর্ব ৩০-৩১ | পর্ব ৩২-৩৩ | পর্ব ৩৪-৩৫ | পর্ব ৩৬-৩৭ | পর্ব ৩৮-৩৯ | পর্ব ৪০-৪১ | পর্ব ৪২-৪৩ | পর্ব ৪৪-৪৫ | পর্ব ৪৬-৪৭ | পর্ব ৪৮-৪৯ | পর্ব ৫০-৫১ | পর্ব ৫২-৫৩ | পর্ব ৫৪-৫৫ | পর্ব ৫৬-৫৭ | পর্ব ৫৮-৫৯ | পর্ব ৬০-৬১ | পর্ব ৬২-৬৩ | পর্ব ৬৪-৬৫ | পর্ব ৬৬-৬৭ | পর্ব ৬৮-৬৯ | পর্ব ৭০-৭১ | পর্ব ৭২-৭৩ | পর্ব ৭৪-৭৬ | পর্ব ৭৭-৭৮ | পর্ব ৭৯-৮০ | পর্ব ৮১-৮২-৮৩ | পর্ব ৮৪-৮৫ | পর্ব ৮৬-৮৭ | পর্ব ৮৮-৮৯ | পর্ব ৯০-৯২ | পর্ব ৯৩-৯৪ | পর্ব ৯৫-৯৬ | পর্ব ৯৭-৯৮ | পর্ব ৯৯-১০০ | পর্ব ১০১-১০২ | পর্ব ১০৩-১০৪ | পর্ব ১০৫-১০৬ | পর্ব ১০৭-১০৮ | পর্ব ১০৯-১১০ | পর্ব ১১১-১১২ | পর্ব ১১৩-১১৪
  • ধারাবাহিক | ০২ এপ্রিল ২০২২ | ১৬৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ভজন দত্ত | 2405:201:9006:117e:98a0:1428:51ea:caea | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৬505921
  • খুব ভালো লাগলো ইমানুল ❤️❤️❤️
  • কৃশানু ভট্টাচার্য | 115.187.42.175 | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২৯505923
  • একবার নয়। দু বার পড়লাম ।
    যে মূল্যবোধের কথা লিখেছেন তা আজ পুরো অতীত ।
    কিন্তু এর ছিটেফোঁটা আপনার মত মানুষের মধ্যে রয়েছে । এটা উত্তরাধিকার ।
    এরপর এটাও যাবে।
    এই যে একসঙ্গে আনন্দ বেদনা ভাগ করে নেওয়া এ র আলাদা আনন্দ আছে। বিশ্বাসঘাতকতা এবং একান্ত আমি আমি ভাব একে শেষ করেছে।
    তাই এগুলো অতীত ।
    লেখাটা পড়তে পড়তে সলিল চোধুরী র ঐ কবিতা টা মনে পড়লো- পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছিলাম একগুচ্ছ চাবি।
     
    স্মৃতি আপনাকে সজীব রাখুক আমাদের মত আধমরা দের মাঝেও
  • Emanul Haque | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৫505925
  • জানা যায় নয়, কথাটা জানাজা।
    মুসলিম কেউ মারা গেলে কবর দেওয়ার আগে সমবেত প্রার্থনা। 
  • Emanul Haque | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৬505926
  • ধন্যবাদ ভজনদা, কৃশানু
  • Guruchandali | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৯:১৪505929
    • Emanul Haque | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৫505925
    • জানা যায় নয়, কথাটা জানাজা।
    - অনিচ্ছাকৃত প্রমাদের জন্য দুঃখিত, ঠিক করে দেওয়া হলো।
  • প্রতিভা | 2402:3a80:1cd1:90d6:278:5634:1232:5476 | ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৯:২১505930
  • ভালো লাগছে। আপনার বাবাকে প্রণাম জানাই।
  • Emanul Haque | ০২ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫৪505931
  • ধন্যবাদ
  • Sushanta Kar | ০২ এপ্রিল ২০২২ ২২:১৫505934
  • চলুক। ভালো লাগছে।
  • touhid hossain | ০২ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১৩505938
  • এমন গুণী মানুষ আমি দেখিনি। পড়ে পুণ্য হল। ভালো লাগল সুন্দরী ফর্সা মেয়েটিকেও। 
     অনায়াস কথন। 
     সুন্দর ❤
  • জয়দীপ | 2405:201:801a:986b:8dd9:2b40:dbe3:ca1b | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৮505943
  • কমিউন কথার সার্থক রূপায়ন
  • Ranjan Roy | ০৩ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫১505976
  • বিষন্ন  এবং গর্বিত। এমন মানসিকতার বাবাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম। আদর্শকে নিজের জীবনে মিলিয়ে দেবার বিরল  উদাহরণ। 
  • reeta bandyopadhyay | ২৯ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৫১507004
  • এমন আকাশের মত উদার হৃদয় ছিল আপনার বাবার , তাঁর সন্তান আপনি, কি সৌভাগ্য ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন