এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  খ্যাঁটন  খানাবন্দনা

  • চাষার ভোজন দর্শন – ৩৫ পর্ব   

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    খ্যাঁটন | খানাবন্দনা | ২০ মে ২০২৩ | ৯৬৫ বার পঠিত


  • ভেবে দেখলাম আটল্যান্টিক এর এপারের খাবারের গল্প তেমন লেখা হয় না খুব একটা।  তাহলে কি চাষা যায় না আমেরিকা? মাঝে মাঝেই তো যায়! তো এই পর্বে ভাবলাম মাস দুয়েক আগের ডেনভার এবং হিউষ্টন ঘুরে এসে খাবার অভিজ্ঞতা কিছুটা ভাগ করে নেওয়া যাক। এক পর্বে তো আর হবে না, সুযোগ পেলে পরে না হয় আবার লেখা যাবে।  যখন ডেনভারে পোঁছলাম তখন সেখানকার তাপ মাত্রা মাইনাস আট-এর কাছে ঘোরাফেরা করছে রাতের দিকে – তারপর সেখান থেকে হিউষ্টন এলে প্রবেশ করলাম ২৩ ডিগ্রীর কাছাকাছি।  তো এই তাপমাত্রা প্রভেদের সাথে খাবার উপভোগের কি কোন সম্পর্ক আছে? আমার কাছে তো অবশ্যই আছে – তবে সে গল্প অন্যদিন। 
     
                                                                             (১)

    এই খাবারের নাম আমাদের গ্রামের আশে পাশের রেষ্টুরান্টে হলে হত, “নিমোর গবার ডোবার কালো ছাপ গোটা শোল মাছ”

    এখানে যেহেতু আমেরিকার বিদেশী ব্যাপার স্যাপার, তাই নাম নাম রেখেছে রেষ্টুরান্টে “হোল আলামোসা কলোরাডো স্ট্রাইপড বাস”।
     
    এই ডিসের নামের মধ্যে একদম চেনা শব্দ বলতে ‘হোল’।  আমরা ছোটবেলায় যে জিনিকে হোল বলতাম, এটা সেটা নয় যদিও, এখানে সেটার মানে গোটা। আর অল্প চেনা শব্দের মধ্যে আছে কলোরাডো – আমেরিকার এক রাজ্যের নাম। স্ট্রাইপড মানে না হয় দাগকাটা সেটাও অনুমান করে নিলাম। কিন্তু পাতে মাছ এলে সেই মাছের চর্মরোগ ছিল কিনা বা তার গায়ে তিল ছিল কিনা সেগুলো কিভাবে বিচার্য হয় ভেবে পেলাম না! ‘বাস’ মানে এখানে মাছের প্রজাতি – যেমন সী-বাস, যাকে ভেটকি মাছ বলে বিদেশে বসবাসকারী বাঙালীরে আতুপুতু করে।

    তাহলে বাকি রইল আলামাসো – সে কি জিনিস? গোটা সর্ষে দিয়ে ইলিশের মত হোল আলামোসা দিয়ে কি মাছটা জমবে নাকি? গুগুল সার্চ করা হল – ও হরি, আলামাসো হল এক জায়গার নাম কলোরাডোর পাশে। সেখান থেকেই মাছ ধরে আনা হয়েছে – আমাদের দীঘা/মন্দারমণি চিঙড়ির ভেড়ির মত কেস আর কি!
     
    সেদিন মাছ খেতে ইচ্ছে করছিল বলে, ডেনভার শহরের এক আপস্কেল রেষ্টুরান্টে ডিনার করতে গিয়ে এটাই অর্ডার করলাম।  কিন্তু সেই মাছ কি এমন ভাবে পাতে পরিবেশিত হবে সেটা ভাবতে পেরেছিলাম? এমন মাছ তো চাইনীজ রেষ্টুরান্টে খেয়েছি – পুরো ভাজা, যেখানে আবার মাছের চোখ কে খাবে সেই নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়। 
     
    এই অঞ্চলে, মানে রকি মাউন্টেইনের আশে পাশে তখন প্রচুর ঠান্ডা, মাইনাস ৬ থেকে মাইনাস ৭ ডিগ্রি ঠান্ডা চলছিল।  ডিনারের আগেই কিছু  লেকের আশে পাশে ঘুরে এলাম যেগুলো।  সব জমে গেছে। নিজেকে প্রবোধ দিলাম এই বলে যে ঠান্ডায় মাছ ভাজা খুব একটা খারাপ হবে না!



    আশেপাশের পাবলিক সব জমকালো ডিস খাচ্ছে, আর আমি গোটা মাছের গা থেকে ছাল ছাড়ালাম – বললাম, “কি দারুণ খেতে”! এর পর কাঁটা বেছে মাছের মাংস – গলায় কাঁটা লেগে গেল। কেউ শুনতে চায়নি, কিন্তু তবুও শুনিয়ে দিলাম সবাইকে যে মাছের কোন দোষ নেই, কাঁটা লাগার দোষ আমার নিজের, মাছের মাংস খুব সুস্বাদু। এই ভাবে নিজেকে প্রবোধ দিয়ে মাছ পেটে চালান করলাম।
     
    প্লেটের উপর মাছের পাশে আবার খয়েরী রঙের কি একটা লেপা আছে। কি জিনিস খেয়ে বুঝতে পারলাম না - মনে হয় যে চার দিয়ে মাছটা ধরা হয়েছিল, তারই কিছুটা প্লেটে মাছের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ছড়ানো আছে। ওই সেই মিশরেরে ফারাও-রা মারা যাবার পর তাদের সমাধিতে মমির সাথে তাদের প্রিয় জিনিসও কিছু রেখে দেওয়া হত - অনেকটা তেমনই আর কি!  
     এ জিনিস খেয়ে কি যে পেট ভরল সেটা বলাই বাহুল্য – পকেট থেকে মোবাইল বের করে সার্চ দিলাম ‘ম্যাকডোনাল্ডস’ – আমার গা হাত পা হিম করে দিয়ে সবচেয়ে কাছের ম্যাক ষোল মাইল দূরে দেখালো আর সাথে সাথেই বুঝে গেলাম আপস্কেলে জাতে উঠতে গেলে কিছু কিছু মূল্য তো চোকাতেই হয়!


                                                                            (২)

    খুবই নষ্টালজিক হয়ে উঠলাম এ জিনিস দেখে - অবশ্য তার বেশী আর কিই বা করতে পারতাম এই ঠান্ডায়!

    ডেনভার শহরের হোটেল থেকে সেদিন যখন বেরুলাম বাইরের তাপমাত্রা তখন মাইনাস আট ডিগ্রী। এই ঠান্ডায় সব প্রায় সব কিছু জমে যাচ্ছে, মুখের চামড়া, ঠোঁট, ইয়ে - সব কিছু! হোটেল থেকে রেষ্টুরান্ট মিনিট দশেকের পথ। এর মধ্যে হাঁটতে গিয়ে শরীর গরম করার পদ্ধতি পকেটে হাত ঢুকিয়ে যা করা যায় সব করলাম।

    রেষ্টুরান্টে খেতে গিয়ে কি অর্ডার করলাম? সেই বড় ঝিনুকের মাংস।  একবার খাবারের গল্প লিখে এর সমন্ধে ফীডব্যাক পেয়েছিলাম এই মর্মে যে - এরে কয় 'স্ক্যালপ' এবং খেতে নাকি খুব ভালো। তাই কপাল ঠুকে আবার অর্ডার করে সামনের প্লেটে এই জিনিস পেলাম!



    কত স্মৃতি চলে এল মনে। সেবারে গ্রামের কার একটা বিয়ে খেতে গিয়ে দেখলাম সব কিছু ক্যাটারিং এর মাধ্যমে হচ্ছে। এক ছেলে শালপাতার প্লেটের মাঝখানে ঠকাস করে এক পিস ভেজিটেবল চপের মতন কি একটা দিয়ে গেল! পরে পরেই স্যালাড - দিলি দিলি, কিন্তু পাতের মাঝখানে?? এরা কি জানে না এমন জিনিস দিতে হয় পাতের সাইডে!

    আমাদের ছোটবেলায় কারো শ্রাদ্ধ বাড়ি খেতে গেলে প্রথমেই পাতের কোণে বোঁটা সমেত বেগুনের ফালি যত্ন করে শুইয়ে দিয়ে যেত, সাথে দানা পোস্ত ছড়ানো শাকভাজা। পাতের কোণে থাকতেন তাঁরা - মাঝের জায়গায় আসল খাবার

    সেদিন আমেরিকান রেষ্টুরান্টে এই প্লেটের কোণে ঝিনুকের মাংস আর ভাত দেখে মনটা খুশী হয়ে গেল। দেশের কেটারিং রীতি ভুলে গেলেও এরা মনে রেখেছে! ভাবছি পুরো প্লেটটাই খালি, এবার এখানে আসল খাবার আসবে।

    ভাতের আকার দেখে আমি ধ্বন্দে পড়ে গেলাম - এ কি চাল? রত্না বা বাঁশকাঠিও তো এমন হয় না! তাহলে কি এগুলো ছোট কাঁকুড়ের বীচি? যে কাঁকুড় বড় হতে পারে না, তাদের বীজ এমনই হয়। টেনশন দূর করতে দাঁতে কেটে দেখলাম সেই চাল - আরে বীজ নয় তো! এ চালই বটে, কিন্তু অর্ধসিদ্ধ

    প্লেট নিয়ে বসে আছি, তখনো সন্দেহ হয় নি। খেয়াল হল প্লেটের বাকি খালি জায়গায় আঁকাবুকি কাটা কেন?? তাহলে কি?

    ভাবতে চাইছি না আর, এমন সময় পাশের জন প্রশ্ন করল আমায়,

    - অ্যাই তুমি খাচ্ছ না কেন?
    - না মানে আসল খাবার আসুক, সবে তো পাতের কোণে শাক পড়ল!
    - আরো খাবার আসবে কেন?
    - আসবে না?
    - না, এই ডিসটাই তো তুমি অর্ডার করেছিলে!
    - তাহলে খামোকা প্লেটের কোণে দিয়েছে কেন?
    - হয়ত প্লেটিং এ স্টাইল আনতে!

    আমি আর কিছু বলতে সাহস করলাম না! মুখ থেকে রাগে কি বেরিয়ে আসবে কে জানে!

    মাইনাস আট ডিগ্রীর ঝাপটা মুখে নিয়ে, পকেটে হাত ঢুকিয়ে ইয়ে টিয়ে করে শরীর গরম করে এসে এই শ্রাদ্ধ বাড়ির বেগুন ভাজার মতন পাতের কোণের ছলনা??

    এখান থেকে বেরিয়েই কোথায় যেতে হবে বুঝতেই পারলাম - আশা করছি আপনারাও পারছেন!


                                                                        (৩)

    তার পরের দিন খেতে গিয়ে যা বুঝলাম -  বিজনেস আইডিয়া থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি সেটা বাস্তবায়িত করে ফেলবেন। না হলে ওই - "তোমাকে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে" - এমন টাইপের ব্যাপার হয়ে যাবে!  আপনি জানতেও পারবেন না পৃথিবীর কোন প্রান্তে কে আপনার বিজনেস আইডিয়ার অনুরুপ আইডিয়া নিয়ে অলরেডি প্রচুর ফুলেফেঁপে বিজনেস করে ফেলেছে। অবশ্য অন্যেরা করছে বলে আপনি করবেন না, এমন তো ব্যাপার নয়! তবে কিনা ওই যে, বিজনেসের ইউনিকনেস হারিয়ে ফেললেন আর কি!

    সেদিন ওই হোটেল থেকে বেরিয়ে শহরের আশাপাশে ঘুরছি। আগেই বলেছি যে প্রচুর ঠান্ডা তখন। তো সেদিন আর অন্য ধরনের রেস্টুরেন্টে যাওয়া হল না, যেতে হয়েছিল এক ভারতীয়  রেস্টুরেন্টে।  গিয়ে বুঝলাম ভারতীয়  না, নেপালি পাবলিক সেটা চালায় । যে সার্ভ করছে সে মেক্সিকান।  তাকে 'ভিন্ডালুতে বেশী ঝাল হবে না তো!" জিজ্ঞেস করা আর পাঁচ টাকা দিয়ে লটারি কেটে কোটি টাকা পুরষ্কারের আশায় বসে থাকা একই ব্যাপার।  যেতে হয়েছিল কারণ আমাদের সাথে একজন কাতারের পাবলিক ছিল যে ধর্মীয়  কারণে হালালের জিনিসপত্র ছাড়া খায়  না।
    এবার আমেরিকায়  প্রবলেম হচ্ছে শুধু মাংস হালাল দেখলেই তো হবে না, অনেক রান্নাতে ওয়াইন দিয়ে দেয়  ওরা বা একই পাত্রে পর্কের পর হালাল চিকেন রান্না হচ্ছে, সেই রিস্কও থেকে যায়।  তো যাই হোক সেদিন কলিগ বলল যদি খেতেই হয়  তাহলে আমি একটু ভালোভাবে খেতে পারব কোন ভারতীয়  রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়।
     
    গেলাম আমরা সেই ভারতীয় কাম নেপালি রেষ্টুরান্টে। গিয়ে স্টার্টারে দেখি কি বাঙালি ঝাল মুড়ি! এটা দেখে প্রচন্ড নস্টালজিক হয়ে গেলাম। কেননা আমাদের নিমো গ্রামের দুটো বিখ্যাত ঝাল মুড়ি বিক্রেতা হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে দাপিয়ে খেলে। এক তো ময়রা পাড়ার তপনদা, আর দ্বিতীয় বাউরি পাড়ার হারা।



    বহুদিন আগে আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন বর্ধমান থেকে পাঁচটা চল্লিশে একটা ডাউন ট্রেন ছাড়তো। এক  মুড়ি মশলা বিক্রেতা পুরো রেভুলেশন করে ফেলেছিল - সে শুধু বিক্রি করতো আম তেল দিয়ে ঝালমুড়ি। আর তাতে সরু সরু একদম পাতলা মানে এই পাশ থেকে ওপাশ দেখা যাবে এমন নারকেল টুকরো তো। সেই জিনিস কি মার্কেটে হিট হয়েছিল বলার কথা না - এই নিয়ে আমি আমার বইতে লিখেছি
     
    সেই মুড়ি মশলার মার্কেট দেখে ভেবেছিলাম যে যদি কোনদিন রেস্টুরেন্ট বিসনেসে আমি নামি তাহলে অন্তত ঝাল মুড়িটা রাখবো মেনুতে!  সারা পৃথিবীর অনেক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টই ঝাল মুড়ি এই নামে আগে আমি খুব একটা বেশি বিক্রি দেখি নি। বিজাতীয়  নামে দেখেছি - যেমন 'পাফড রাইস'। কিন্তু বাঙালি ঝাল মুড়ি এই নামে বিক্রি হচ্ছে সেটা আমি ভাবতেই পারিনি। যা বুঝলাম পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে অলরেডি দেদার বিজনেস করছে। রেস্টুরেন্ট পুরো ভরা - অবশ্য ঝাল মুড়ি খুব একটা বেশি লোককে খেতে দেখলাম না। একজন নিয়ে সে যা স্ট্রাগল করছে তাকে দেখে মনে হয়  অন্য কেউ সেই জিনিস অর্ডার করা সাহস পায়নি!
     
    এখানে যেটা আমি দেখলাম সেটা হচ্ছে ঝাল মুড়ির সাথে আভোকাডো! এই একটা ওভার হাইপড সবজি বা ফল যাই বলেন - সারা পৃথিবীতে আর নেই!  এবার এই ঝালমুড়িতে আভোকাডো আর আলু এই দুটো জিনিস দেওয়ার কি অর্থ আমি বুঝতে পারলাম না! চন্দ্রমুখী আলু হলে তাও না হয় কথা ছিল। আভোকাডো এক মার্কেটিং স্ট্রাটিজি - ঝালমুড়িতে তেল দেখে কেউ যদি বলে অস্বাস্থ্যকর, তাই আভোকাডো আছে বলে সামাল দেবার ব্যবস্থা আছে।

     সেদিনের খিদে পেয়েছিল - রাত আটটা প্রায়। ঝালমুড়ি চিবিয়ে আর সেই ফ্রান্সের রেষ্টুরান্টে বসে ঝুড়িতে রাখা ঝিনুকের খোল ছাড়িয়ে মাংস বের করে খিদে মেটাবার অসহনীয় স্মৃতি ফেরাতে চাইলাম না।
     
    তাই আজ আর ঝালমুড়ির ছবি নেই, শুধুই মেনুর ছবি। নিজের কল্পনা দিয়ে মুড়ির থালা কল্পনা করে নিন
     

                                                                          (৪)  



    মাঝে মাঝে কানাঘুঁষো শুনতাম যে কিছু কিছু পাবলিক বলছে, “আমি নানা মুহুর্তে, তা সে দুঃখ হোক বা আনন্দ, ঘরের কোণে বা ঘুরতে বেড়িয়ে, রবি ঠাকুরের গানের মধ্যে দিয়ে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাই”। বলাই বাহুল্য সেই সব শুনেই, ‘ন্যাকা এল আমার’ বলে সরে যেতাম।
     
    কিন্তু সেই দিন বুঝলাম এত দিন কি প্রবল ভুল করেছি! কারণ সামনে রাখা ডিসটা নানা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখে নিজের অবচেতনেই মৃদু স্বরে রবি ঠাকুরকেই গুনগুনিয়ে উঠলাম,
     
    “মনেরে আজ কহো যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে”।
     
    এবার প্রশ্ন হল ‘সত্যটি’ আসলে কি!
     
    এই যে খাবার-দাবারের গল্প লিখি এদিক-ওদিক বেড়াতে গিয়ে - তাতে অনেকে অনেক কিছু বলে। কেউ বলে আপনার ভাগ্যটাই খারাপ, কেউ বলে এসব জায় গায়  যান কেন যেখানে এত খাবার কম দেয় ? কেউ আরো কাছের মানুষের মতন জানতে চায়, ‘গলা দিয়ে নামল?”   
     
    তবে ব্যাপার হলো ভাগ্য যে সব সময়  খারাপ খাবার ব্যাপারে এমন নয় । আর সব জায় গায়  যে পুরো পাখির আহার দেয় এমনও নয় । এই যেমন সেদিন হিউষ্টন শহরে এক ইরানিয়ান রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। ওদের খাবার তো ভারতের সাথে অনেকটাই মিল আছে। যেমন কাবাব টাবাব, বা ওরকম বাসমতি চালের ভাত।

    খিদে পেয়ে গিয়েছিল অর্ডার দিলাম কম্বো কাবাব টাইপের - তার মধ্যে চিকেন ছিল, মাটন ছিল, এটা সেটা অনেক কিছু ছিল আর ছিল বাসমতি রাইস বা ওদের অন্যরকম স্পেশাল রাইসের কিছু প্রিপারেশন। সাথে বেগুন, পেঁয়াজ, স্কোয়াশ, ট্যমেটো এর সব পোড়া যাদের কথা ছেড়েই দিলাম। এগুলোকে সদগতি করার উপায় একটাই – ওয়েটারকে ডেকে, “ভাই/বোন, একটা বাড়তি প্লেট হবে?” সেই বাড়তি প্লেট এলেই সঙ্গে সঙ্গে এঁটো হিসেবে বেগু, স্কোয়াশ ইত্যাদিকে স্থানান্তরিত করা।  আর ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে খাবারের পরিমাণ কম ছিল সেদিন এমনও নয় ।
    তাহলে এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠতে পারে, আমার সমস্যাটা কি?

    ভেবে দেখলাম, ‘সত্য’ অনুসন্ধান করতেই যাই বা ‘সমস্যা’ – এর সব কিছুর গোড়ায় আছে আছে আমার নষ্টালজিয়া! ফিরে এলো আমার মনে সেই সব স্মৃতি মধুর দিনগুলি, বিশেষ করে বেড়াতে যাবার।
     
    সে অনেক দিন আগের কথা – তখন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা পুরানো জায়গায় হত (এখন মনে হয় অন্য জায়গায় হয়)।  আমরা তখন ক্লাশ নাইন – যেতাম পৌষ মেলায় ‘মেমারি-বোলপুর’ বাসে করে যে বাসটি কিনা আমার এক বন্ধুর ফ্যামিলির। তা ড্রাইভারের পাশে আর কেবিনে বসে চেপে পড়লেই হল। রাতের থাকার জায়গার ঠিক নেই – সাথে কম্বল নিয়ে সারা রাত বাউল গান শুনে সেই ছাউনির তলাতেই শুয়ে পড়া। শুধু আমরাই নয় – আমাদের মতন এমন অনেক পাবলিকই শুয়ে থাকত। সমস্যা হত পরের দিক সকালে উঠে – তখনকার দিনে এত ব্যবস্থা ছিল না। ঘুম থেকে উঠে পাবলিক খোয়াই-য়ের দিকে হাঁটা লাগাতো।  

    প্রথম বার গিয়ে এটা বেশ কেমন লাগলো – বন্ধুকে জিজ্ঞাসিলাম, ‘এই ভাবে, হ্যাঁরে?’ সবে ক্লাস এইটে সংস্কৃত শেষ করে উঠেছি। বন্ধু উদাস মুখে জবাব দিল, “কা তব কান্তা কস্তে পুত্রঃ, অর্থাত, এই খোলা মাঠে কেউ কারো নয়। শুধু তুই দেখে সামনে পা ফেল”
     
    সেদিনের খাবার ডিস-টা দেখে বন্ধু যার জন্য দেখে সামনে পা ফেলতে বলত সেটা ভেবে নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। স্মৃতিমেদুর হবার একটা বিশাল প্রবলেম হচ্ছে একবার মেদুর হয়ে উঠলেই, মেদুরতা ক্রমশঃ গভীর হতে লাগলো।  ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল - খোলা প্রকৃতি এল মনের গহীন থেকে উঁকি মেরে।

    মনে পড়ে যায়  ভারত সরকারের যোজনায় গ্রামে অনেক কিছু করে দেওয়া হল – কিন্তু লোকজনের মাঠে যাতায়াত কমানো গেল না।  কেউ স্লোগান দিল, ‘এই বদ্ধ ঘর আমাদের জন্য নয় – আমাদের চাই উন্মুক্ত প্রান্তর’।  যারা ক্লাস এইট পর্যন্ত গেছে, তারা বলল মাঠে যাওয়া আমাদের নাগরিক অধিকার। পঞ্চায়েত প্রধান নীরবতা নিল কারণ সকালে মাঠে না গেলে তার নিজের ব্যাপারটা ক্লীয়ার হয় না।
     
    এটাকে অনেকের মনে হতে পারে বাড়াবাড়ি কথাবার্তা - কিন্তু যারা খোলা মাঠে অভ্যস্ত, তাদের বদ্ধ ঘরে বন্দী করে রাখা যে কি চাপের সে যারা জানে তারাই জানে
    এর ফলে হত কি পরে যারা মাঠে যেত তখন একটা কথাই বলতে হত বারবার  - "এ্যাই, দেখে চল আল দিয়ে। চোখ খোলা রাখ।"
     
    সেদিন এই খাবারে প্লেটটা সামনে নিয়ে পুরনো এসব কথা অনেক বেশী মনে এসে গেল। আর মনে পড়ে গেল যে চোখ খোলা রাখলে সামনেই এই প্লেটে যেগুলো আছে, তেমন রঙের আর আকারের বেশীর ভাগ জিনিস দেখতে পেতাম।

    তো ‘সত্য’ আসলে কি এর জবাবে এটুকু বুঝলাম যে, আর যাই হোক সত্য সব সময় দৃষ্টিনন্দন হবে এমন গ্যারান্টি নেই।
     
    ভাবলাম ওয়েটারকে ডেকে জিজ্ঞেস করি – ‘আচ্ছা, হলুদটা কি চিকেন’? সাহসে কুলালো না -

    নির্লিপ্ত হয়ে খাওয়া-দাওয়ায় মন দিলাম – গুনগুন করতে করতে,

    “মনেরে আজ কহো যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে”।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • খ্যাঁটন | ২০ মে ২০২৩ | ৯৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 120.22.56.217 | ২০ মে ২০২৩ ১০:০২519921
  • এটা যা তা হয়েছে পুরো। ইরানি বা টার্কিশ প্লেসগুলো তে কাবাব খাওয়া এতো ফেভারিট- রেগুলার যাই। এবার খেতে গেলে এসব মনে পড়লে গেলো পুরো। 
     
    তবে এইটা ভেবে পাইনা এইটুকু খাবার র জন্যে শালা রা এমন গামা সাইজ র প্লেট ইউস করে কেন। এ তো খুদে স্নাক প্লেট এই ধরে যায়। তবে মাছটা দেখে বেশ বড়োই লাগলো। 
  • kk | 2601:14a:502:e060:271:599a:86a3:fa61 | ২০ মে ২০২৩ ১৯:৩৭519934
  • তিনটে রেস্টুরেন্টের কোনোটারই প্লেটিং আমার মোটে পছন্দ হলোনা :-/
    লেখা নিয়ে কোনো কথা হবেনা। এই সিরিজের নতুন পর্ব কখন আসবে বলে বসে থাকি।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:6f27:d018:b9f2:2830 | ২০ মে ২০২৩ ২২:০৭519941
  • তাও তো রকি মাউন্টেন অয়স্টার খাননি। কি আর বলব। পরের বার ডিডিকে নিয়ে যাবেন কলরাডোতে। তারপর ঐটি খেয়ে এসে দুজনে এখানে যুগলবন্দী লিখবেন।
  • সুকি | 49.206.129.86 | ২১ মে ২০২৩ ০৮:৪৯519948
  • অমিতাভদা, কেকে, পলিটিশিয়ান - সকলকে ধন্যবাদ। আপনাদের মত কয়েকজন পড়ছেন বলেই এখানে লেখার উৎসাহ পাচ্ছি এখনো। 
     
    অমিতাভদা - একদম ঠিক :) কাবাব গুলো এমনি হয়। কিন্তু খেতে উমদা একথা অস্বীকার করা যাবে না। 
     
    কেকে - একদম ঠিক বলেছেন।  এগুলো সব বেশ বেশ দামী রেষ্টূরান্ট, তা এদের প্লেটিং ভালো হবে আরো এমনটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু এগুলো একদম ভালো দেখতে ভালো ছিল না। বাই দি ওয়ে, এমন ভাবে লেখারও প্রবলেম আছে! আমি মাঝে মাঝে এমন লেখা ফেসবুকে পোষ্ট করি। বেশীর ভাগ লোকই হিউমার-এর ব্যাপারটা বুঝতে পারে। আবার কিছু লোক সব সিরিয়াসলি নিয়ে আমাকে নানা মন্তব্য করে, যেমন - 'আপনি খেতে যান কেন এই সব জায়গায়? শুধু ভাত খান'; 'সব কিছু সবার জন্য নয়, ভালো রেষ্টুরান্ট এমনই হয় - আপনি মনে হয় আগে কোন দিন এমন সব জায়গায় যান নি'; 'আপনার সমস্যটা কি আমি বুঝি না! বিদেশী খাবারের বদনাম করে ফেসবুকে লাইক পেতে চান মনে হচ্ছে' - ইত্যাদি ইত্যাদি। 
     
    পলিটিশিয়ান - এযাত্রায় খাওয়া হয় নি সত্য। তবে এর আগের বার খেয়েছিলাম খুব সম্ভবত। ইনফ্যাক্ট অন্য এক শহরের রেষ্টুরান্টে মনে হয় এমন দাবি করেছিল যে অয়ষ্টার এখানকার। তার আগে জানতামই না যে এখানে অয়েষ্টার বিখ্যাত!  
  • Swanandini | 2405:201:8013:9026:dc07:24d2:b9e1:7367 | ২৩ মে ২০২৩ ০০:৫১519984
  • দেশে বসে বিদেশে ভোজনের গপ্পো বেশ লাগছে।
  • Amit | 163.116.203.89 | ২৩ মে ২০২৩ ০৬:৩৭519987
  • তবে সুকি - আমার নিজের সামান্য যেটুকু গোদা লেভেলের দেখা , তাতে মনে হয়েছে ইন্ডিয়ান বা সাউথ ইস্ট এশিয়ান কুইজিন (চিন আর জাপান বাদ দিয়ে) এ জেনেরালি একটু ওভারকুকিং করা হয়। রান্নায় নানা রকম গরম মশলা র আধিক্য বেশি। নো ওয়ান্ডার বেশির ভাগ সুগন্ধি মশলার- এলাচ লবঙ্গ দারচিনি ষ্টার আনিস র অরিজিন সব এই জায়গা গুলোতেই। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির মেজর বিজনেস ছিল এটাই-মশলা পাচার। তাই মাছ বা মাংস এর অরিজিনাল টেস্ট এর থেকে আমাদের রান্নায় মসলার গন্ধটা বেশি ইম্পর্ট্যান্স পায়। তাই মাছ একদম কড়া করে ভেজে বা ঝোলে সেদ্ধ করে বা মাংস একদম নরম করে সেদ্ধ না হওয়া অবধি আমাদের রান্না শেষ হয়্না। সেই কড়া ভাজা মাছ খেলে রূই না কাতলা না মৃগেল বোঝা দায়। 
     
    জাপানি বা ​​​​​​​চীনা ​​​​​​​রান্না ​​​​​​​অনেকটা কম করে ভাজা হয়। বা সেদ্ধর ওপর। মশলাও একটু কম। অবশ্য চিনে সেচোয়ান স্টাইল রান্না আবার হেভি মসলাদার বা জাপানি/কোরিয়ান বারবিকিউ। চিনেদের ​​​​​​​ওক ​​​​​​​কুকিং ​​​​​​​আবার ​​​​​​​খুব ​​​​​​​হাই ​​​​​​​আঁচে ​​​​​​​ফটাফট ​​​​​​​রান্না ​​​​​​​করে। ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​সারফেস ​​​​​​​টা ​​​​​​​জলদি ​​​​​​​সিল ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​যায় ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​ভেতরটা ​​​​​​​ওভারকুক ​​​​​​​হয়না। 
    এরাবিক ​​​​​​​বা ​​​​​​​পার্সিয়ান ​​​​​​​স্টাইলে ​​​​​​​অনেকটা ​​​​​​​ওক ​​​​​​​স্টাইলে ​​​​​​​কাবাব ​​​​​​​বানায়। ​​​​​​​হাই ​​​​​​​আঁচে ফটাফট। ​​​​​​​ভেতরটা ​​​​​​​ওভারকুক ​​​​​​​হয়না। ​​​​​​​আর ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​জিরে ​​​​​​​দেয়। ​​​​​​​স্বভাবিক- ওটা ​​​​​​​ওখান থেকেই ​​​​​​​এসেছে। 
     
    ইউরোপিয়ান স্টাইল টা আমার যেটুকু দেখা মাছ বা মাংসের অরিজিনাল টেস্ট টা ওরা যতটা পারে রিটেন করার চেষ্টা করে- মসলা দিয়ে ঢেকে দেয়না। মাছ ওভারকুক করা তো এক্কেরে নো নো (ফিশ এন্ড চিপস বাদ দিচ্ছি- কিন্তু ওটাও ব্যাটার এর ভেতরের মাছটা ওভারকুক করেনা )। লবস্টার বা প্রন তো জাস্ট সেদ্ধ করে একটু মাখন আর নুন দিয়ে খায়। মালাইকারি শুনলে তো  বেটারা ভিরমি খেয়ে যাবে (মা মাসি রা শুনলে আবার দুক্ষু পাবেন যে ওটা মালয় থেকে এসেছে বঙ্গের অজ্জিনাল নয়)। 
     
    আমার প্যালেটে ওই স্টাইল টা এডজাস্ট করতে অনেক দিন লেগেছিলো। শুরুতে মাছ বা রেয়ার স্টেক খেতেই পারতুম না - কাঁচা লাগতো পুরো। কিন্তু পরে দেখলাম একবার এডজাস্ট হয়ে গেলে সেটা অন্য রকমের ভালো লাগে। ফ্রেশ টেস্ট টা অন্যরকম পুরো। 
     
    মন আর জীভ কেও ট্রেনিং দিতে হয় সত্যি। এক এক দেশের খাবার এক এক রকমের ভালো। মন খোলা রেখে টেস্ট করলে অনেক গুলোই বেশ ভালো লাগে-প্রেজুডিস থাকলেই গেলো। আমার সাথের ভেজু টাম্ব্রম গুলো কোথাও গেলে হেভি চাপে থাকে। 
     
    অবশ্য আমি কাঁচা মাছ বা র টার্টারে ডিসগুলো এখনো ঠিক খেতে পারিনা। আরো ট্রেনিং লাগবে :) :).
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:29cb:29de:f4ba:9384 | ২৩ মে ২০২৩ ১১:৪৭519996
  • মাংস নরম করে রান্না করার ব্যাপারটা পশ্চিমেও আছে। স্টু এর মাংস ফর্ক টেন্ডার না হলে ঠিক হলনা। ফিলি চিজ স্টেকের মাংস একেবারে ভাজা ভাজা করে বানায়। মেক্সিকানরা ফাহিটা বানায় মাংস ভেজে। আরো উদাহরণ দিতে পারব।
     
    মসলা পশ্চিমে কম ব্যবহার করে। তবে সব জায়গায় না। কেজুন রান্নায় ভালোই মসলা পড়ে। ফরাসী রান্নাতেও। তবে এদের মসলা আমাদের থেকে একটু আলাদা। এরা প্রচুর হার্ব ব্যবহার করে। আমরা ধনেপাতা আর পুদিনা বাদে হার্ব বিশেষ ব্যবহার করিনা।
     
    এমনকি স্টেকের ওপরে হল্যান্ডাইস বা অন্য সস ঢেলে খেতে দেখেছি। সেসব মসলা থাকে। একবার একটা স্টেক হাউসে রেয়ার স্টেকের সাথে অ জ্যু চেয়েছিলাম। অ জ্যু থেকে জিরে গুঁড়োর গন্ধ বেরোচ্ছিল।
     
    আরো অনেক আছে। তবে আমার স্বভাব চিরকুমার সভার অক্ষয়ের মত। তুমি জান আমার গাছে ফল কেন না ফলে/ যেমন ফুলটি ধরে ওঠে আনি চরণতলে।
  • Amit | 163.116.203.89 | ২৩ মে ২০২৩ ১৫:০২520001
  • হ্যা -মেক্সিকান টা ভুলেই  গেসলাম। বাপরে বাপ্। কি ঝাল খেতে পারে এরা। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dc37:f9aa:818a:4f60 | ২৩ মে ২০২৩ ২২:৫৩520018
  • 'তার আগে জানতামই না যে এখানে অয়েষ্টার বিখ্যাত'
    - এ অয়েস্টার কিন্তু সমূদ্র জাত নয় :-)
     
    মূল লেখা ভাল লাগল। মন্তব্য গুলো ও। 
    সুকি-র লেখার আমি বড় ফ্যান 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dc37:f9aa:818a:4f60 | ২৩ মে ২০২৩ ২৩:২৯520019
  • 'অবশ্য আমি কাঁচা মাছ বা র টার্টারে ডিসগুলো এখনো ঠিক খেতে পারিনা।' - অমিত, সুসি পছন্দ কর না? 
  • যোষিতা | ২৪ মে ২০২৩ ০১:০৮520020
  • সুকির লেখা এই সিরিজে স্লাইট একঘেঁয়ে হচ্ছে। অনেস্টলি বললাম।
  • Amit | 163.116.203.89 | ২৪ মে ২০২৩ ০২:৩৪520021
  • "aranya | 2601:84:4600:5410:dc37:f9aa:818a:4f60 | ২৩ মে ২০২৩ ২৩:২৯520019
    'অবশ্য আমি কাঁচা মাছ বা র টার্টারে ডিসগুলো এখনো ঠিক খেতে পারিনা।' - অমিত, সুসি পছন্দ কর না? "
     
    - অরণ্য-দা - যেসব সুশিতে র স্যামন বা ​​​​​​​প্রন বা স্কুইড ​​​​​​​থাকে ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​ভালোই ​​​​​​​লাগে। ​​​​​​​ওগুলোর টেস্টটা এডজাস্ট হয়ে গেছে। কিন্তু ​​​​​​​টুনা ​​​​​​​বা স্ন্যাপের ​​​​​​​​​​এগুলোর র সুশি খেতে একটু চাপে পড়ে যাই। ​​​​​​​এতো ​​​​​​​বছরেও ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​মানিয়ে ​​​​​​​নিতে ​​​​​​​পারিনি। নেহাত খেতেই হলে অনেকটা ​​​​​​​সয়াসস / ওয়াসাবি ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​​​​​​কোনোমতে ​​​​​​​ম্যানেজ ​​​​​​​করি। ওই আর কি। মন জিভের ট্রেনিং লাগবে আরো। 
     
    :) :) 
     
     
  • kk | 2601:14a:502:e060:76c7:e651:f8ac:ea1b | ২৪ মে ২০২৩ ০৩:০১520022
  • অমিত,
    এই টার্টার খাবেন? একে আমি বলি "Tunaah" টার্টার। কাঁচা মাছ নেই। তরমুজ দিয়ে বানাই :-)
     
  • Amit | 163.116.203.89 | ২৪ মে ২০২৩ ০৫:২৮520023
  • দেখতে দারুন। প্লেটিং দেখলেই মন খুশি হয়ে যায়। 
     
    নিচের সবুজ বেস টা কিসের ? 
  • kk | 2601:14a:502:e060:a066:f36c:2a5b:14b0 | ২৪ মে ২০২৩ ০৬:১১520024
  • অ্যাভোকাডো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন